লুকানো সোনা পর্তুগালের লিসবনে বেড়াতে চলেছে তিন গোয়েন্দা। খবরটা জেনেই ফ্রাউ তারানা ইসলাম ওদের অনুরোধ করলেন তাঁর বাবার লুকানো সোনাগুলো উদ্ধার করে দিতে। তিন গোয়েন্দা কথা দিল, সাধ্যমত চেষ্টা করবে ওরা। কিন্তু লিসবনে অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব বিপদ, এমন বিপদ, যা ওরা কল্পনাও করতে পারেনি। পিশাচের ঘাঁটি রাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল আধ পাগল লোকটার চোখে। বলল, ‘সাহস আছে তোমার, ছোকরা। এই বেয়াদবির জন্য লোহা পুড়িয়ে গরুর মত নম্বর দেয়া হবে তোমার কপালে।‘ছুটতে শুরু করল মুসা। কোনভাবে গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই মুক্তি। পিছনে শোনা গেল গুলির শব্দ। তুষারমানব গ্রীন হিলসে শুরু হল প্রবল তুষারপাত। আনন্দে চেঁচাতে লাগল মুসা। রনিও যোগ দিল তার সঙ্গে। একটাই আফসোস, কিশোর নেই। বাদ সাধল দুষ্ট রিকি। তবে সময়মত এসে হাজির হলো কিশোর। শুরু হলো লড়াই-রিকি বনাম তিন গোয়েন্দা।
দস্যুর সমাধি ওই অবোধ শিশুর মত বৃদ্ধ আসলে কে? কেন বলে সাগরে তলিয়ে যাওয়া জাহাজের কথা? তদন্তে নামল কিশোর, মুসা ও রবিন। সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দস্যুদের সমাধির ভেতর! আকাশদস্যু হিমালয়ের দুর্গম এক উপত্যকায় আচমকা উদয় হচ্ছে পুরানো, ভুতুড়ে এক বিমান। ফলে, নিখোঁজ হচ্ছে বৈমানিক, লাপাত্তা হচ্ছে উড়োজাহাজ। ডাকোটা প্লেনে চেপে হিরু চাচার সঙ্গে রহস্যের তদন্ত করতে চলল তিন গোয়েন্দা এবং শামিল হলো রুদ্ধশ্বাস অভিযানে। ভৌতিক মুখোশ ভৌতিক এক মুখোশ বশ করতে চাইছে মুসাকে। ওকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইছে নানান অপকর্ম। রুখে দাঁড়াল মুসা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। পাশে পেল প্রিয় দুই বিশ্বস্ত বন্ধু কিশোর আর রবিনকে। জমিদারবাড়ি হত্যা-রহস্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লুনেনবার্গ ম্যানরে। খুনী ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে নামল কিশোর। ধূর্ত হত্যাকারীকে যেভাবে হোক দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। ক্রমেই জড়িয়ে গেল ও জটিল এক রহস্যে। ভয়াল দ্বীপে তিন গোয়েন্দা কে বা কারা দিল ওই অদ্ভুত ধাঁধা! পুরাকীর্তি লুঠেরা দল স্ফি, বদমাশ শুটকি টেরি না তৃতীয় কোনও পক্ষ? কী রহস্য বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছে মাকাটাও দ্বীপ! ওখানে গেলে ফেরে না কেন কেউ? হাজারো বিপদ ডিঙিয়ে পাতাল-গুহায় ঢুকে তিন গোয়েন্দা বুঝল, এবার বুঝি মরতেই হচ্ছে ওদেরকে!
নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
সবাই বলে, যেয়ো না ওই রহস্যময় গুহায়, মারাত্মক বিপদ ঘটবে। কেন? জিজ্ঞেস করল কিশোর। জানল, ওখানে বাস করে এক ভূত। গুহার ভেতর বেজে ওঠে ভূতের ঘণ্টি, সতর্ক করে দেয়, পালাও! পালাতে হবে। নইলে ঘটবে ভয়ঙ্কর বিপদ । ভাল চাও তো ওই ভুতুড়ে গুহার ধারেকাছেও যেয়ো না! ঠিক করে ফেলল কিশোর, ও যাবেই যাবে! জিনা, রবিন আর মুসাও চলল ওর সঙ্গে। কি, সঙ্গী হবে নাকি ওদের? সাহস থাকলে সাগরে নৌকো ভাসাও, বিপজ্জনক অভিযান আর গভীর রহস্যে জড়িয়ে পড়ো ওদের সঙ্গে। তবে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না এখুনি!
রেডিয়ো স্টেশন কে বা কারা চুরি করল চাচার ভ্যান থেকে গানের ওই দুর্লভ ক্যাসেট? হাজারো মানুষের ভিড়ে কী করে চোরকে ধরবে তিন বন্ধু! তবুও অদ্ভুত রহস্যে জড়িয়ে শেষে কিডন্যাপ হলো ওরা! তা হলে কি পার পেয়ে গেল নাটের সেই গুরু? কিশোর দ্য গ্রেট সুন্দরী এক তরুণীকে গুণ্ডাদের কবল থেকে বাঁচাল কিশোর। জানতে পারল দাদুর লেখা দুষ্প্রাপ্য এক জার্নাল আছে মেয়েটির কাছে। তাতে আছে গুপ্তধনের সঙ্কেত। কিন্তু অসহায়, গরীব মেয়েটির পক্ষে একা গুপ্তধন উদ্ধার অসম্ভব। ফলে, ওর পাশে দাঁড়াল কিশোর পাশা, নিল। মৃত্যুর ঝুঁকি। হাঙুরে পিশাচ! অসহায় এক বয়স্কা মহিলাকে গেঁথে ফেলতে চাইল ধারাল হার্পুনওয়ালা হাঙুরে পিশাচ! অতীতে পাপ ছিল মহিলার পরিবারে? এখন প্রমাণ চাই বাস্তবে নেই পিশাচ! ওই প্রমাণ খুঁজতে গিয়েই শয়তান সাধকের কবলে পড়ল তিন গোয়েন্দা!
ভয়াল দানোর কবলে জাদুকরের টাইপ-রাইটার আর কলম কিনল রবিন । ওগুলো কেনা উচিত হয়নি ওর । যেচে বিপদ ডেকে আনল ও । তিন গোয়েন্দা, দানবের হাত থেকে এবার আর রক্ষা নেই তোমাদের । কঙ্কাল উধা: নার্সের অফিস থেকে চুরি গেল স্কুলের কঙ্কালটা । মেঝেতে পাওয়া গেল রহস্যময় একটি মাত্র বাঁ পায়ের ছাপ । প্রিন্সিপাল ঘোষণা কঙ্কালটা উদ্ধার করতে পারলে পুরস্কার দেবেন । কঙ্কাল উদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল পুরো স্কুল । তিন গোয়েন্দাও বসে থাকল না । শাপমোচ: তিন গোয়েন্দা এবার অস্ট্রেলিয়ায় । ওদের সঙ্গে ছোট্ট কুকুর টমি । টমির শাপমোচনে কি সাহায্য করতে পারবে তিন গোয়েন্দা? রংধনু সাপের অলৌকিক ক্ষমতা কি দাবানলের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বনভূমির নিরীহ প্রানীদের? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওদেরকে
পেইন্টিং-রহস্য এক বন্ধু হিরু চাচার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন দামি এক পেইন্টিং। কিন্তু হিরু চাচার বাসা থেকে চুরি গেল ওটা। ফলে, চাচার মান বাঁচাতে তদন্তে নামল কিশোর, মুসা আর রবিন। অভিশপ্ত ক্রুশ কিশোরের বন্ধু সিজারের সুপ্রাচীন পারিবারিক ক্রশটি অভিশপ্ত। অভিশাপ আছে-যে ওটা চুরি করবে এবং যে খোয়াবে দু’জনেই মারা পড়বে। ঘটনাচক্রে, ক্রুশটা বেহাত হয়ে গেল সিজারের। মৃত্যু আশঙ্কায় ভেঙে পড়ল সে। অসহায় বন্ধুর পাশে দাঁড়াল কিশোর। যেভাবে হোক উদ্ধার করবে ক্রুশটা। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা নয়। স্বর্ণ সিন্দুক-রহস্য সিন্দুক ভর্তি সোনা লুকানো আছে কোথাও। একাংশ পুড়ে যাওয়া এক প্রাচীন চিঠিতে ছিল ওটার হাদিস।…চুরি গেল কিশোরের উপহার পাওয়া দামি আংটিটি। ওদিকে, নতুন বান্ধবী জেনির নানা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। সব রহস্য মিলেমিশে একাকার। জট ছাড়াতে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
নেকড়ে মানুষ লোন উলফ রানশের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে গেছে তিন গোয়েন্দা, জিনা আর রাফি। কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ উঠতেই শুরু হলো গোলমাল। রানশের সোনার হর্সশুগুলো চুরি করল এক নেকড়েমানুষ। ফলে রহস্যের সমাধানে তদন্তে নামতে হলো ছেলে-মেয়েদের। মারণাস্ত্র ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ যদি সুপার নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে ফেলে তবে কী ঘটবে? যে করে হোক ঠেকাতে হবে ভিজিলের বোমা তৈরির পরিকল্পনা, ধ্বংস করতে হবে তার ফর্মুলার সব ক’টা কপি। নিজের জীবন বাজি রেখে শক্রশিবিরে হানা দেয়ার ক্ষমতা কার আছে? মাসুদ রানার? ও কি পারবে মানব জাতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে?…হিরু চাচার রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার। ভ্যাম্পায়ারের পদধ্বনি পুরানো, ভুতুড়ে স্টোরেজ বিল্ডিঙে ঘটনাচক্রে জ্যামিতি নোট বইটা ফেলে এসেছে মুসা। ওটা আনতে ওখানে ফিরে গেল ও। কিন্তু অদ্ভুত আলোটা কীসের? কফিনের ঢাকনা খোলা কেন? ভিতরের দেহটা কার? এসব কী ঘটছে প্রাচীন বাড়িটাতে?
গোরস্থানে সাবধান! রাতের ঝড়ে উপড়ে পড়েছে গোরস্থানের প্রাচীন হেডস্টোনগুলো। তারপর গোরস্থানে উদয় হলো অচেনা এক লোক। মুসাদের গ্রীনহাউসে রহস্যময় আলোটা কীসের? ভীতিকর দুপ দুপ শব্দটা আসে কোথা থেকে? এসব প্রশ্নের জবাব জানতে কোথায় গেল তিন গোয়েন্দা? নেকড়ের বনে উলেফলেকে চাচা-চাচির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বিচিত্র রহস্যের মুখোমুখি হলো রবিন। উলফদের বাড়িতে যাওয়া নিষেধ কেন? চাঁদনিরাতে বনের ভিতর কীসের গর্জন শোনা যায়? বুনো প্রাণীগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করে রেখে যায় কে? মানুষের দিকে হাত বাড়াবে না তো ওই জঘন্য খুনি? খাবারচোর কিশোরদের পাড়ায় হঠাৎ করেই খাবারচোরের উৎপাত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাড়ি থেকে চুরি যাচ্ছে খাবার। কে করছে কাজটা? কেনই বা? সন্দেহভাজনদের উপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করল কিশোর।
মৎস্যকন্যা ট্র্যাক মিটে অংশ নিতে ক্যাম্প লোন উলফে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডানা। জানতে পারল সুন্দরী, রহস্যময়ী কোচ ওয়াটারপুল ওদেরকে ট্রেনিং দেবেন। ডানার ধারণা মহিলা মৎস্যকন্যা এবং গভীর ষড়যন্ত্র করছেন তিনি ক্যাম্প ডিরেক্টর মি. উলফারের বিরুদ্ধে। ঘনিয়ে উঠল রহস্য। এবং তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা । মৃত্যুমন্দির কিশোর পাশার মনে কটা প্রশ্ন জেগেছে: অমূল্য সোনার আংটিটা ওর বন্ধু হানি পেল কোথায়? এক জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক কেন বলছেন ফেরাউনের সমাধিমন্দিরে কিছু নেই? রাজাদের উপত্যকার ট্র্যাপডোরটার নিচে কী আছে? উত্তরগুলো পাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে হলো কিশোরকে। দমকলবাড়ি-রহস্য শহরের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন দমকলবাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাউন কাউন্সিল। প্রতিবাদ করল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাজে নেমে বুঝল প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী। ওদিকে, দমকলবাড়ির ঐতিহাসিক ট্রফিগুলো চুরি হয়ে গেল। ফলে অনিবার্যভাবেই নতুন রহস্যে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা।
সার্কাস-রহস্য গ্রীন হিলসে সার্কাস পার্টি এসেছে। মহা উৎসাহে সার্কাস দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু পারফর্মারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রপগুলো নেই কেন? ব্যাপারটা রহস্যময় ঠেকল ওদের কাছে। ফলে, তদন্তে জড়িয়ে গেল। ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য নিউ ইংল্যান্ডের এক জেলে পল্লীতে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল, ফ্লাইং ক্লাউড নামে এক জাহাজ বহু বছর আগে ডুবে গিয়েছিল। কেউ জানে না কী ঘটেছিল ডোবার আগে। লোকে বলে, অন্ধকার, ঝড়ো রাতে নাকি উদয় হয় ওটা। তিন গোয়েন্দা কি পারবে ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য উদঘাটন করতে? আশ্চর্জন্তু অন্ধকার চিলেকোঠায় প্রকাণ্ড এক ডিম। ক্লাস টিচার মিসেস এগসকে ওটায় তা দিতে দেখল তিন গোয়েন্দা। ডিম ফুটে কী বেরোবে? মতলবটা কী মিসেস এগসের? তিনি কি মানবজাতির জন্য মস্ত বড় কোন বিপদ ডেকে আনছেন? …নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল ছেলেরা।
জাদুকরের ভেল্কি প্যালেস থিয়েটারে নামকরা জাদুকরের প্রতিযোগিতা , সেখানে ঘটছে নানান ধরনের অঘটন । কে ঘটাচ্ছে সেসব ? কেন ঘটাচ্ছে ? কীভাবে ঘটাচ্ছে ? প্রতিযোগিতা শেষে কে হবে আমেরিকার সেরা জাদুকর ?… ওদিকে আবার নস্টালজিয়া ল্যান্ড অপেরা হাউসে শুরু হলো জ্বলজ্বলে সবুজ ভূতের বিদ্ঘুটে উপদ্রব । তদন্ত করার এমন সুবর্ণ সুযোগ পেলে কি আর ছাড়ে তিন গোয়েন্দা ? মিশর-রহস্য ; মিশরীয় পিরামিডের অভ্যন্তরে বন্দি খুনী লোর্কার মুক্তির ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে । আঁতকে উঠলেন প্রফেসর জোসেফ মিলার । তার ভাইয়ের সঙ্গে ভয়ংকর মমিগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন ? রুখে দাড়াল কিশোর আর হিরু চাচা । হিম মৃত্যুর ফাঁদে ভারমেন্টে বন্ধু রনির বাসায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর ডন । রাতের বেলা বরফের উপর গরম কাপড় ছাড়া স্কেটিং করে কে ? কারা হাতছানি দিয়ে ডাকে ওদেরকে ? ডনকে কে টেনে নিয়ে যেতে চায় বনভূমির ভিতরে ? রহস্যর পর রহস্য । অনিবার্যভাবেই তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা ।
নিঝুম রাতের আতঙ্ক ডনকে নিয়ে পুরানো বিনোদন পার্কে গেল কিশোর । ওখানে দেখা দিল শ্বেতবসনা রহস্যময় এক কিশোরী। বহু বছর আগেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছিল সে। কে এই মেয়ে? ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব কাণ্ড-কারখানা। খলিফার দরবারে বিশ্বের আর জিনা জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে এবার ১২০০ বছর আগের বাগদাদে। শহরটার তখন স্বর্ণযুগ। ওদের কাছে গচ্ছিত আছে রহস্যময় এক বাক্স। কী আছে ওটার ভিতরে? জিনিসটা খলিফার এত প্রয়োজন কেন? অতল আতঙ্ক দুশো বছর আগে ডুবে গিয়েছিল জলদস্যুদের জাহাজ । ওটার খোঁজে সাবমেরিনে চড়ে সাগরে ডুব দিল কিশোর, ডন আর হিরু চাচা। দুর্ঘটনাক্রমে উদয় হলো জলদস্যুদের কঙ্কাল। পালিয়ে নির্জন এক দ্বীপে গিয়ে আটকা পড়ল ওরা। তারপর?
স্বর্গে বিপদ সাগরে ছোট্ট এক বাচ্চা সিলমাছ পেয়ে, ওটাকে চিড়িয়াখানায় দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক লোকের ষড়যন্ত্রের জটিল জালে জড়িয়ে গেল কিশোর, মুসা ও রবিন। ঠিক করল, ওই খুনে লোককেই তুলে আনবে ওদের শক্ত জালে। পারল কি শেষে? অপারেশন ডেমন ধনকুবের মি. রচেস্টারের মেয়ে টিনা কিশোরের বান্ধবী। ওকে কিডন্যাপ করল একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাবি মি. রচেস্টারকে তাঁর হেভি-ওয়াটার প্ল্যাণ্টের উদ্বোধন বন্ধ করতে হবে। রাজি হলেন না তিনি। টিনা-উদ্ধারে তদন্তে নামল পুলিস। হাত গুটিয়ে বসে থাকল না কিশোরও। ফলে, জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে। রহস্য যখন জটিল দারুণ ফুর্তির পার্ক মুভি কিংডমে একের পর এক অন্তর্ঘাত হতেই তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল বন্ধু রন। কিন্তু শুরুতেই ওদের পিছু নিল কারা? শোধ নেবে দুর্ধর্ষ দস্যু গ্যাব্বার কাম্বারসন? পার্কের গহীন জঙ্গলে ওটা কি সত্যিই পৌরাণিক দানব ম্যানটিকর, না আর কিছু? কীভাবে ঠেকাবে ওরা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর স্যাবোটারকে? ক্রমেই জটিল হলো রহস্য! …তারপর?
হারানো সুর: শহরে অর্কেস্ট্রা এসেছে। তারা সঙ্গে করে এনেছে মহান সঙ্গীতজ্ঞ মোযার্টের নিজ হাতে লেখা এক দুষ্প্রাপ্য স্বরগ্রাম। চুরি গেল ওটা। স্বরগ্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল তিন গোয়েন্দা। জড়াল রহস্যজালে। দুঃস্বপ্নভূমি: ভয়ঙ্কর এক পার্ক–ঠিক যেন দুঃস্বপ্নভূমি। অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আটকে পড়েছে ওখানে। ওদেরকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও বন্দি হলো কিশোর, মুসা আর রবিন। এদিকে, একের পর এক উদয় হচ্ছে অশুভ সব চরিত্র। পালাবার পথ বন্ধ। দেখা যাক, তিন গোয়েন্দা এবার কী করে। হীরক-রহস্য: রাতের বেলায় মনুমেণ্টের ভেতরে রহস্যময় আলো। খুদে এক বানর। বহু বছর আগে চুরি যাওয়া হীরে। ভাঙা প্লাস্টার। এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র কী? সূত্রগুলো জুড়তে পারলেই রহস্যভেদ হবে। কিশোরের আর কী চাই?
সূত্রের সন্ধানে কারাতে ক্লাসে ভর্তি হয়েছে তিন গোয়েন্দা। বিল লারা নামে একটি ছেলে বিখ্যাত সিনেমাস্টার ব্রুস ল্যাঙের উপহার দেয়া একটি ব্ল্যাক বেল্ট নিয়ে এল । কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই জানা গেল বেল্টটি চুরি গেছে। কথা ছিল বিল ব্রুস ল্যাংকে কারাতে ক্লাসে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন বলছে চোরদের মাঝে সে অ্যাকশন হিরোকে আনবে না। সবাই হতাশ। অগত্যা তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। অমঙ্গলের পূর্বাভাস বিডনের রক্ষক মুমূর্ষু, তিনি আশঙ্কা করছেন ভয়ঙ্কর অশুভ কোন শক্তি বিডন গ্রহটিকে গ্রাস করতে চাইছে। হিরু চাচার সাহায্য চাইলেন রক্ষক। বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়ানক এক বিভীষিকার মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। রুখে দাঁড়ানো ছাড়া গতি রইল না হিরু চাচা আর কিশোরের। ভুতুড়ে পুতুল মেরি চাচীর বোনের ছেলে কিন কিছুদিন থাকবে বলে খালার বাসায় এসেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক পুতুল। ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা করে কিশোরকে তটস্থ করে রেখেছে ওটা। কিশোরের ধারণা পুতুলটা জ্যান্ত । আসলেই কি তাই?
তিনটি ক্লাসিক উপন্যাস। এর আগে পৃথক পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, এবার বেরোল ভলিউম আকারে। জিম করবেটের ‘কুমা্য়ুনের মানুষখেকো’ শিকার নিয়ে লেকাচমৎকার কয়েকটি কাহিনি। মানুষখেকো এক বাঘিনীর উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করল এলাকার লোকজন। শেষ পর্যন্ত বাঘিনীকে হার মানতে হয়েছিল জিম করবেটের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কাছে...... ‘মাই কাজিন র্যাচেল’ ড্যাফনে দু মরিয়ের লেখাফ অন্যমত শ্রেষ্ঠ কাহিনি। এতিম ছেলে ফিলিপ মানুষ হয়েছে পিতৃসম কাজিন অ্যমব্রোসের কাছে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল অ্যামব্রোস। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ইতালি যেতে হলো তাকে। শুরু হল নতুন এক ঘটনাপ্রবাহ....এবার ‘দি ওল্ডম্যান এণ্ড দি সী’ থেকে সামান্য অংশ পাঠকের জন্য তুলে দিচ্ছি: বুড়ো মানুষ। ডিঙিতে চেপে পালফ স্ট্রিমে মাছ ধরে বেড়ায় একাকী। আজ চুরাশি দিন একটিও মাছ পায়নি। প্রথম চল্লিশ দিন একটি ছেলে ছিল সঙ্গে। কিন্তু চল্লিশ দিন পরেও যখন কোনও মাছ উঠল না, ছেলেটির বাবা-মা বলল বুড়ো এখন নির্ঘাত সালাও, অর্থ্যাৎ চরম অপয়া হয়ে গেছে। ওদের নির্দেশে অন্য নৌকায় চলে গেছে ছেলেটা এবং পয়লা হপ্তায়ই বড় তিনটে মাছ ধরেছে ওরা। বুড়োকে রোজ শূন্য ডিঙি নিয়ে ফিরতে দেখে খারাপ হয়ে যায় ছেলেটির মন। বুড়ো এলেই ও দৌড়ে চলে যায় কাছে, মাছ ধরা দড়ি বা কেঁচোর বোঝা, হারপুন আর নয়তো মাস্তুলে গোটানো পাল বয়ে আনতে সাহায্য করে.....তিনটি কাহিনিই কালের কৃষ্টিপাথরে যাচাই হয়ে বিশ্ব সাহিত্য জায়গা করে নিয়েছে। যাঁরা ক্লাসিক কাহিনির ভক্ত তাঁদের জন বইটি অবশ্যপাঠ্য বলে বিবেচিত হবে।
কুয়াশা,শহীদ ও কামাল। দেশে- বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন রহস্য, রোমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছোটরাই নয়, ছোট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন। আজই সংগ্রহ করুন।