রাজনীতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিক্রিয়া, ষড়যন্ত্র নিয়ে লেখকের অনুসন্ধানী গবেষনা ১১ জানুয়ারি ২০০৭। বিকেলে বঙ্গভবনে মঞ্চস্থ হলো রুদ্ধশ্বাস নাটক। হঠাৎই বদলে গেল দেশের হালচাল। ক্ষমতায় এলো সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। লাইনচ্যুত গাড়ি ফের লাইনে তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকার হাত দিলো অনেকগুলো কাজে, যা প্রশংসা ও নিন্দা দুটোই কুড়িয়েছে। উথাল-পাথাল এই দুই বছর ছিলো ঘটনাবহুল। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এ অধ্যায়। ১১ জানুয়ারির পালাবদলের ক্ষণটির নাম হলো ওয়ান-ইলাভেন বা এক-এগারো। প্রশ্ন হল - এই সেনা হস্তক্ষেপ কি বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের অনিবার্য পরিণতি, নাকি এর পেছনে ছিলো অনেক দিনের পরিকল্পনা? কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিক্রিয়া, নাকি ষড়যন্ত্র? লেখকের অনুসন্ধানী গবেষণায় ঐ সময়ের একটি সুরতহালের চেষ্টা করা হয়েছে এই বইয়ে।
রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একজন ক্যারিশম্যাটিক ও জনপ্রিয় নেতা। বিংশ শতাব্দীর শেষ ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এই নেতার উত্থান। ২০০১ সালে একে পার্টি গঠনের মাধ্যমে ‘নতুন তুরস্ক’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০২ সালের নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন তিনি। টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। তাঁর নেতৃত্বকেই তুরস্ক বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমান তুরস্ক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। শুধু উন্নয়নই নয়; এরদোয়ান জয় করেছেন তাঁর দেশের সাধারণ জনগণের হৃদয়ও। তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে দুনিয়াব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে এরদোয়ান একজন অন্যতম নীতিনির্ধারকে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের মজলুম মানুষের পাশে তিনি সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তবে এরদোয়ানের এই দীর্ঘ সফলতার পথচলা মোটেই সহজ ছিল না।
হামাস। বিশ্বব্যাপী পরিচিত এক মুক্তি আন্দোলনের নাম। হামাসের চোখ দিয়ে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা আল কুদুস মুক্তির স্বপ্ন দেখে। জাতির বেঈমান বড়ো একটা অংশ যখন জয়োনবাদীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা ও আপসকামীতায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুরন্ত সাহসে গর্জে ওঠে আমৃত্যু লড়াকু হামাস যোদ্ধারা। মজলুম জননেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিনের হাত ধরে জন্ম নেওয়া হামাস এখন রক্তাক্ত জনপদ ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইয়ে আশা-ভরসার একমাত্র প্রতীকে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অবস্থানে পৌঁছতে অসংখ্য শাহাদাত এবং ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হয়েছে। ইজরাইলের মতো ঘৃণ্য অপশক্তির মোকাবিলায় হামাস যে দুঃসাহসিতার পরিচয় দিচ্ছে, তা অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়। ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাভাষী পাঠকবৃন্দ হামাস নিয়ে বেশ অনুসিন্ধুৎসু। বাস্তবে বাংলা ভাষায় এই বৈপ্লবিক মুক্তি আন্দোলন নিয়ে সেই অর্থে কোনো একাডেমিক কাজ হয়নি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত এই মুক্তি আন্দোলনকে বাংলাভাষীদের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন তরুণ লেখক ও অনুবাদক জনাব আলী আহমদ মাবরুর। অনেক পরিশ্রম করে তুলে এনেছেন হামাস সম্পর্কিত অনেক আজানা তথ্য ও ঘটনা। দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান অনেক ঘটনা পড়ে পাঠকবৃজন্দ কখনো অশ্রুসিক্ত হবেন, কখনো রিক্ত হবেন, কখনো-বা শিহরণ জাগবে রক্তকণিকায়।
আতাতুর্ক থেকে এরদোয়ান (হার্ডকভার) - বদলে যাওয়া তুরস্কের ১০০ বছর আতাতুর্ক এবং এরদোয়ান- দুটি বিপরীত আদর্শের মানুষ। দুই কিংবদন্তি। এই দুজন মানুষ তুরস্কের একশো বছর সময়কালের দুই প্রান্তে বসে ইতিহাস গড়েছেন। দুটি ভিন্ন ধারার, ভিন্ন চিন্তার ইতিহাস। একজন ছিলেন খিলাফত পরবর্তী তুরস্ককে চরম জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মহীন সমাজব্যবস্থা গড়ার কারিগর। আর অপরজন উদারপন্থী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামি মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনার রূপকার। এই দুই কিংবদন্তির মধ্যখানে রয়েছে বহু উত্থান-পতনের গল্প। রয়েছে আদনান মেন্দেরেস এবং মিল্লিগুরুশের জনক নাজিমুদ্দিন আরবাকানের সংগ্রামী জীবনের গল্প। একশত বছর আগে যে বিশ্বাসী মানুষদের আশা ভঙ্গের সূচনা হয়েছিল, ঠিক তার একশত বছর পর নতুন করে বিশ্বাসের নির্মাণ শুরু হয়েছে। ষাট এবং নব্বইয়ের দশকে প্রত্যাশিত স্বপ্নের শুরু হলেও দ্রুতই তা কালো মেঘের আড়ালে চাপা পড়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসীদের স্বপ্ন তো শেষ হওয়ার নয়। কেবল দরকার ছিল একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নাবিকের। তাইতো কালো মেঘের ঘনঘটা কাটিয়ে নায়ক এরদোয়ানের হাত ধরে শুরু হয় মূল্যবোধ নির্মাণের পুনযাত্রা। উসমানি খেলাফতের উর্বরভূমি তুরস্ক- স্বভাবতই ইতিহাস সমৃদ্ধ। বিশেষ করে আতাতুর্কের হাত ধরে জন্ম নেওয়া সেক্যুলার তুরস্ক খিলাফতপ্রেমী মানুষদের যেন দীর্ঘশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। বসফরাসের পানি যেন সেই মানুষদের অশ্রজিলে বয়ে চলা স্রোতধারা। আশাভঙ্গের ঠিক একশত বছর পরে বসফরাসের তীর নতুন স্বপ্নের হাতছানি দিচ্ছে ।
আনোয়ার ইব্রাহিম | ইতিহাসের আড়ালে যিনি নিজেই ইতিহাসের স্থপতি | মালয়েশিয়ার আকাশস্পর্শী অগ্রগতির সামনে কেবল যে মাহাথির মোহাম্মদকে দেখি, তাঁর ডান হাতের ক্রাচটাই হচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহিম | বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেন, মাহাথির নয়, বরং ইব্রাহিম-ই প্রকৃত নায়ক। সময়ের গাইতি ঠেলে মালয় সমাজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই নেতা মূলত দেশের মানচিত্র পেরিয়ে সব মানুষের জন্য গণতন্ত্রের সৌরভ ছড়াচ্ছেন | তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমকামিতার জঘন্য অভিযোগ বারবার প্রতিপক্ষকে দমনের 'ভোঁতা অস্ত্র' হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিপ্লবের প্রচলিত ধারণাই ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে নির্যাতিত নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম | প্রচলিত জীবনযাপন, বোধব্যবস্থার প্রতি অবিচল থেকেও কিভাবে তিনি মালয়েশিয়ার সমাজে বিপ্লব ও পরিবর্তন চিন্তার অনুরণন ঘটালেন, তারই অনালোচিত অনালোকিত প্রচ্ছদে আলো ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে 'বিপ্লবী আনোয়ার ইব্রাহিম' বইয়ে |
‘অবাক বাংলাদেশ বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ রাজনৈতিক দিক থেকে জন্মলগ্নে বাংলাদেশ ছিল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দুর্বার, উচ্ছল ও প্রাণবন্ত একটি দেশ । আর অর্থনৈতিক দিক থেকে ছিল একটি দারিদ্র্যপীড়িত ও সমস্যা- জর্জরিত রাষ্ট্র। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক মানে দেশটিতে সুশাসনের প্রকট ঘাটতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমাপে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপন্ন। এই বইয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের বিশ্লেষণ এবং তা থেকে উত্তরণের পথ সন্ধান করা হয়েছে। রাজনৈতিক সমস্যার সামাধান দেওয়া এ বইয়ের উদ্দেশ্য নয় । আর কোনো একটি গবেষণাকর্মে তা সম্ভবও নয়। মূলত রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু করার তাগিদই বইটি লেখার পেছনে কাজ করেছে। আর সে বিতর্ক যাতে যুক্তির পথে পরিচালিত হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় মালমসলা বা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে এ বইয়ে। বইটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর রচনাশৈলী। একটি নির্ভেজাল গবেষণাগ্রন্থ লিখিত হয়েছে অনেকটা রম্যরচনার ঢঙে। ফলে রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে যাঁদের তেমন মাথাব্যথা নেই, এমনকি তাঁরাও এ বই পড়ে আনন্দ লাভ করবেন।
সত্য গল্পের চেয়েও রোমাঞ্চকর-মার্ক টোয়েনের এই বিখ্যাত উক্তিটি বাংলাদেশের রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে খুবই প্রাসঙ্গিক। এই ভূখণ্ডের সাম্প্রতিক ইতিহাসের প্রধান মাইলফলক মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধ দেশের মানুষকে বদলে দিয়েছে আমূল, নড়বড়ে করে দিয়েছে এ অঞ্চলের সামাজিক বুনন ও রাজনীতির চালচিত্র। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে দিয়েছে রাজনীতির ব্যাকরণ। বলা চলে, একরকম শূন্যতার মধ্যেই জন্ম নিয়েছে প্রতিবাদের অন্য একধরনের প্রবণতা, যার সংগঠিত রূপ হচ্ছে জাসদ নামের একটি রাজনৈতিক দল। দলটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের উপজাত ফসল এবং একই সঙ্গে দ্রোহের চরমতম প্রতীক। এই বইয়ে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়েছে দলটির উত্থান, বিস্তার ও ভেসে যাওয়ার কাহিনি, যা উপন্যাসকেও হার মানায়। সে কাহিনিতে স্বপ্ন আছে, রোমাঞ্চ আছে, আছে নাটকীয়তা ও বীরত্ব। সব মিলিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে স্বাধীনতা-পরবর্তী অস্থির সময়ের এক দলিল, যার অনেকটাই লেখা হয়েছে রক্তের অক্ষরে।
‘বিএনপি সময়-অসময়’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ বিএনপির জন্ম সেনাছাউনিতে, একজন সেনানায়কের হাতে, যখন তিনি ছিলেন ক্ষমতার কেন্দ্রে। এ ধরনের রাজনৈতিক দল ক্ষমতার বৃত্ত থেকে ছিটকে পড়লে সাধারণত হারিয়ে যায়। বিএনপি এদিক থেকে ব্যতিক্রম। দলটি শুধু টিকেই যায়নি, ভোটের রাজনীতিতে বিকল্প শক্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র আছে কি না, বিএনপিতেও গণতন্ত্রের চর্চা হয় কি না, তা নিয়ে চায়ের পেয়ালায় ঝড় তোলা যায়। কিন্তু দলটি দেশের জনগোষ্ঠীর এক বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, এটা অস্বীকার করার জো নেই। বিএনপির সুলুক সন্ধান করতে হলে আমাদের যেতে হবে একাত্তরে। জানতে হবে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের মনস্তত্ত্ব। পঁচাত্তরের বিয়োগান্ত ঘটনাপ্রবাহকে এড়িয়ে গিয়েও বিএনপি সম্পর্কে আলোচনা হবে অসম্পূর্ণ। প্রশ্ন হলো, বিএনপি কি ষড়যন্ত্রের ফসল, নাকি এর উত্থান ছিল অনিবার্য। লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ এই বইয়ে দলটির একটা সুরতহালের চেষ্টা করেছেন। প্রথমবারের মতো এই বইয়ে উঠে এসেছে জানা-অজানা নানা প্রসঙ্গ, যা একদিন ইতিহাসের উপাদান হবে।
‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আবুল মনসুর আহমদের আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য গ্রন্থ। স্মৃতিকথার আঙ্গিকে লেখা এই বইটিতে লেখক ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে পুরো পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়-পরবর্তী সময় পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাব্দীর রাজনৈতিক ইতিহাস অত্যন্ত সরল ও অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন। লেখক নিজে ছিলেন এই সময়ের অনেক ঘটনার সাক্ষী, কিছু ঘটনায় তাঁর ছিল সরাসরি অংশগ্রহণ। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাঁর সে অভিজ্ঞতারই বস্ত্তনিষ্ঠ বয়ান পাওয়া যায় বইটিতে। কৌতূহলী পাঠক, ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে বহুদিন ধরেই এ বই একটি মূল্যবান ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-আকর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। প্রথমা প্রকাশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ বইটির একটি সুমুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
"জন্ম ঝড়ের বাংলাদেশ" বই নিয়ে বিখ্যাত কয়েকজনের মন্তব্য । মুক্তিযুদ্ধ গবেষক তাজুল মোহাম্মদ বলেন, “এই অমর কাহিনীগল্প শুধুই গল্প নয়, একটি জাতির ইতিহাসও। এই গ্রন্থের কাহিনীকার এমন এক ব্যক্তি, যিনি ষাটের দশক থেকে ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের যুদ্ধে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।” জন্ম ঝড়ের বাংলাদেশ - ড. নূরুন নবী কবি দিলারা হাফিজ বলেন, “হৃদয় ছোঁয়া বর্ণনায় আমাদের সবচেয়ে গৌরবের দিনগুলোর ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সংকলন এই গ্রন্থটি। আমার কাছে নূরুন নবী শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই নন, আমার স্বামী কবি রফিক আজাদের সহযোদ্ধা হিসেবে আলাদা মর্যাদায় আসীন। আমি তাঁকে অভিবাদন জানাই এই গ্রন্থটি রচনার জন্য।” কথাশিল্পী সালমা বাণী বলেন, “সাহিত্য মর্যাদায় ‘জন্ম ঝড়ের বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি যেমন উত্তীর্ণ, তেমনি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেও তুলনাহীন।”
This volume by three outstanding scholars in the field of education provides both evidence and analyses of the malfunctions and inequity which underlie South Asia’s school system. It argues for an educational agenda for the region which can contribute to challenging the poverty, inequality, and exclusion which originate in an unjust social order. Its insightful suggestions for remedial action need to be invested with a political economy perspective. The volume should be made mandatory reading not just for education specialists but for development practitioners, policymakers, and political leaders at the national, regional, and global levels.
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যেমন, তেমনি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরও বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস তৎপর হয়ে উঠেছিল? কী ঘটেছিল সে সময়টায়? এরশাদের পতনের সম্ভাবনা কি সিআইএ আগেই আঁচ করেছিল? অবমুক্ত হওয়া মার্কিন দলিল থেকে সেসব তথ্যই বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ বইয়ে। বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহীদের জন্য এক অবশ্যপাঠ্য বই।