মুসলিম মস্তিষ্ক (হার্ডকভার): বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প পপুলার কালচারে আমরা ‘অন্ধকার যুগ’ কথাটার সাথে অনেক পরিচিত। সাইন্স, টেকনোলজি, ফিলোসফির জন্য ইতিহাসে এক কালো গহ্বর। আবার অন্যদিকে বিভিন্ন মুসলিম দাওয়াহ সংগঠনকে প্রচার করতে শুনি-এটা ইউরোপিয়ানদের জন্য অন্ধকার সময়কাল, আর মুসলিম বিশ্বে তো চলছিল এক স্বর্ণযুগ। আর এখন অনেক পপুলার মাধ্যমে এই কথাটাও প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। তাহলে অন্ধকার যুগ ন্যারেটিভের বাস্তবতা কতটুকু? স্বর্ণযুগ ন্যারেটিভও-বা কতটুকু সত্য? বইটির গল্পগুলোর মধ্যে দিয়ে সেসবেই আলো ফেলার প্রচেষ্টা...
আমাদের জীবনটা বড্ড সমস্যা সংকুল। এই জীবন কখনো যদি আমাদের সামনে বিপদের ঢালি নিয়ে হাজির হয়, আমরা ভেঙে পড়ি। ভেতরে ভেতরে গুড়িয়ে যাই। আমরা বুঝতে চেষ্টা করিনা যে, বহতা নদীর স্রোতের মতো জীবনের গতিপথ সরল এবং সোজা নয়; বরং তা সৃষ্টিগতভাবেই দুর্গম, বন্ধুর এবং কণ্টকাকীর্ণ। মুমিন ব্যক্তি মাত্রই বিশ্বাস করে যে, যত সংকটই আসুক না কেন, তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। ফলে সে বিপদে পড়েও ক্ষোভ, হতাশা ও অস্থিরতা প্রকাশ করে না। বরং নিজের ভাষা ও আচরণ সংযত রাখে। কারণ, সে আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী। সে বিশ্বাস করে যে, মুমিনের জন্য বিপদ-আপদ নিয়ামতস্বরূপ। কারণ, এর দ্বারা গুনাহ মাফ হয়। বিপদে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নিকট থেকে যথাযথ প্রতিদান পাওয়া যায়। তাই মুমিন বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করে। আল্লাহর কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে। সৃষ্ট জীব থেকে বিমুখ হয়ে এক আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
মায়ান, নস্ট্রাডামুস, জোসেফ স্মিথ, জ্যোতিষবিদ্যা, ট্যারো কার্ড, হস্তরেখা পঠন... বর্তমানের লাখো মানুষের বিশ্বাস, তাদের এবং এসবের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই ভবিষ্যতের চিত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আপনার হাতে যে বইটি আছে, দ্য ফরবিডেন প্রফেসিস, একটি অন্যরকম বই। ইতিহাসের এ-পাতা থেকে ও-পাতায় নিয়ে যাবে আপনাকে বইটি; বিখ্যাত সব ভবিষ্যদ্বক্তাকে দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। বস্তুনিষ্ঠ শর্তের আলোকে পর্যালোচনা করবে তাদের দাবি। আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন, এদের মাঝেও একজন অনন্য ব্যক্তি আছেন, যাঁর সঙ্গে আর কারও তুলনাই চলে না! ১৪০০ বছর আগে করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যেমন অতীতে সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি বর্তমানও নেই তার প্রভাব মুক্ত। শুধু তাই না, কেয়ামত তথা মহাপ্রলয়ের আগে আরও কী কী হবে, সে সম্পর্কেও মানবজাতিকে জানিয়ে গেছেন তিনি। আসুন, প্রিয় পাঠক, দেখে নিই ভবিষ্যবচনের জন্য যদি কারও দ্বারস্থ হতেই হয়, তাহলে কার বচন থেকে সেই জ্ঞান অর্জন করা উচিত।