কালের ঘূর্ণাবর্তে সবকিছুর পালাবদল ঘটছে ৷ পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপ ও রঙে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন চিন্তা এসে গ্রাস করছে পুরােনাে চিন্তার জগৎ। এভাবেই চলছে গ্রহণ-বর্জনের নিরন্তর চক্র কালের এই চক্র ৷ সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও একমাত্র ইসলাম-ই চৌদ্দশত বছর ধরে চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান বিকাশের অবিকৃত ও পরিপূর্ণ ধারায় রয়েছে বিরাজমান। মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসেবে নাযিল হওয়া ইসলামের বার্তাসমূহের রয়েছে সমসাময়িক ও আগামী জীবনের উপযোগিতা। ইসলামের সুমহান সেই বার্তাগুলাে-ই বিশ্বাসী মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘সমকালীন প্রকাশন-এর পথচলা। চৌদ্দ শ’ বছর আগের কথা। তপ্ত মরুর বুকে গড়ে উঠেছে বিশাল এক জনপদ। আধারের আস্তরণ সেখানে অনেক বেশি প্রকট। মিথ্যের বেসাতি আর পাপাচারের নগ্নোৎসবে মাতােয়ারা সবাই ৷ বিচ্যুত তারা সকলে, এক অনিবার্য সত্যের পয়গাম থেকে যা এই অঞ্চলে একদিন ফেরি করেছিলেন এক আলাের ফেরিওয়ালা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম৷ যে আলাে প্রায় নিভুনিভু, সে আলােতে নতুন বিচ্ছুরণ নিয়ে একদিন উন্মেষ ঘটলাে এক মহামানবের যার আগমনে বদলে গিয়েছে গোটা পৃথিবী! ইতিহাসের সকল গতিপথ, সকল বাঁক যিনি ভেঙেচুরে গড়েছেন, যিনি অনিবার্য সেই সত্য পয়গামের ধারক হয়েছেন ধরণির বুকে, তিনি হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম৷ সেই মহামানবের মহামানবীয় গুণাবলি, যা তাকে সবার চাইতে আলাদা করেছে, যা তাকে সকলের মাঝে অনন্যসাধারণ করে তুলেছে, সেই অনন্যতার গল্প আমাদের জীবনে কতটা নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক তা জানতে ডুব দেওয়া যাক ‘নবি-জীবনের গল্পে।
তারা ছেড়ে এসেছিলেন আয়েশি জীবন, চাকচিক্যময় দুনিয়া; রঙিন আর স্বাপ্নিক সব মুহূর্ত। তারা ছুটে চলেছিলেন এক ধ্রুব সত্যের পানে, যে সত্য নিয়ে এসেছিল এক ভিন্ন জীবন, ভিন্ন ভুবন। তারা ডুব দিলেন এক পবিত্র, শুভ্র-সফেদ জীবনসমুদ্রে। তারা তুলে আনলেন মণিহার, মুক্তোর মালা। তাদের জীবনালেখ্যে কত না সংগ্রাম, কত না ত্যাগ আর হারানোর গল্প লুকিয়ে আছে। সে গল্পগুলোই আমাদের আয়না। আয়নার নাম ‘নারী সাহাবির পথে’। এই আয়নায় আমরা দেখে নেব নিজেদের অবয়ব। নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি আর শূন্যতাকে পূর্ণতায় রুপ দিতে চলুন মেলে ধরি সেই আয়না...
বিচিত্র মানুষের বসবাস আমাদের চারপাশে। চলার পথে তারা গল্প করে, গল্প বানায়, গল্প গাঁথে। সেসব গল্পে উঠে আসে জনমানুষের কথা, জীবনের কথা। প্রাণ এবং প্রণােদনার কথা। উৎসাহ এবং উদ্দীপনার কথা। কিছু গল্প ভাবায়, অনুপ্রেরণা দেয়, শক্তি যােগায়। আমাদের আহ্বান করে কল্যাণের দিকে ধাবিত হওয়ার। জীবনকে নতুন করে গড়ে তােলার। সেরকম কিছু গল্প দিয়েই সাজানাে নানান রঙের মানুষ।
পড়াশুনায় ভালো ছিলাম বলেই আশেপাশে ছিলো বেশ সুনাম। হৈচৈ করে বেড়াতাম চারিদিক। কেউ দেখলেই ডেকে ডেকে কথা বলতো। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক হতে শুরু করে সকলেই খুব আদরে আদরে শাসন করতো। বাসায় এলেও সকলেই আহ্লাদ করতো। দুষ্টামি আর আর কথার ফাঁকে সকলেই একটা কথা জিজ্ঞেস করতো। সকলেই বলতো ‘তুমি বড় হয়ে কী হবে?’ উত্তরে আমি বলে ফেলতাম ‘আমি ডাক্তার হবো’ আবার কখনো কখনো বলতাম ‘আমি ইঞ্জিনিয়ার হবো’ রাজনীতিবিদ কিংবা অন্য পেশা নিয়ে তখন এতটা ভাবিনি। সময় গড়িয়ে আজ যখন বড় হয়ে কিছু হবার যুদ্ধে নামলাম। তখন মনে হয় সবার উদ্দেশ্য একটাই থাকা উচিৎ। আর তা হওয়া উচিৎ একজন প্রকৃত মানুষ হওয়া। আর তাইতো আজ আমি বারবার বলি ‘মানুষ হবো’ ‘মানুষ হবো’
যেহীন আহমদ স্মরণে স্বরণিকাটি হচ্ছে এক সাধারণ মানুষের অসাধারণ গুণাবলিকে সংক্ষিপ্তভাবে ধরে রাখার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস। যেহীন আমাদের বন্ধু এবং এক আদর্শের প্রতীক। জীবনকে অতি সহজসরলভাবে পরিচালনা করে নিজ অসাধারণ কর্ম প্রেরণা দিয়ে সর্বস্ব ত্যাগ করে উপেক্ষিত গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করা ছিল তাঁর প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা। মৃদুভাষী একজন অসাধারণ জ্ঞানী ব্যক্তি দীর্ঘ দিন সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এফআইভিডিপি'র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দীর্ঘ ৩০ বৎসর বিশেষ করে সিলেটের মানুষের দুঃখ-কষ্টে নিজেকে সামিল করে তাদের উন্নতিকল্পে তাঁর অবদান অপরিসীম। পারিবারিক সূত্রে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা, গবেষণা ছিল তাঁর একটি আকর্ষণ। যেহীনের কাছে ছিল কবিতা ও সংগীতের এক অফুরন্ত ভান্ডার। ছাত্র থাকা সময়েও যেহীন আমাদেরকে তাঁর পরশে আলোকিত করেছে। ক্লাসিক্যাল মিউজিক, গজল, ভজন ছিল তাঁর দৈনন্দিন কর্মতৎপরতার এক চালিকাশক্তি। কর্মজীবন, তাঁর নিজ সংগঠন, সহকর্মী ও বন্ধু বান্ধবরাই ছিল তাঁর সংসার। যেহীনের নিজ পরিবার গঠনে ছিল সম্পূর্ণ অনীহা। তিনি তাঁর জীবনের সমস্ত কর্মক্ষমতা ও সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করেছিলেন। গরিব মানুষের কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য "কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট" স্থাপনায় তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার সাহায্য সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান আজ দৃশ্যমান এবং অগ্রসরগামী। যেহীন আহমদ স্মরণে এই স্বরণিকাটি যেহীনকে আমাদের স্মৃতিতে ধরে রাখবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। সম্পাদনা পরিষদ
উভয় বাংলার জনপ্রিয় লেখক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রনির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখকের সহপাঠী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। হুমায়ূন আহমেদ হঠাৎ করেই অসময়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাঁর সামনে ছিল অমিত সম্ভাবনা। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলা সাহিত্য আরও সমৃদ্ধ হতো। এই বহুমুখী প্রতিভাবান লেখককে খুব কাছ থেকে জানার সৌভাগ্য হয়েছিল লেখকের। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি দেখেছে নিবিড়ভাবে। তাঁর সঙ্গে লেখকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা অনেকের অজানা। হুমায়ূন আহমেদের রহস্যময় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পাঠকদের জন্য লিপিবদ্ধ এ গ্রন্থ যা তাঁর অসমাপ্ত জীবনকে পরিপূর্ণভাবে পাঠকদের কাছে উন্মোচিত করবে। এক অচেনা হুমায়ুন আহমেদ সমন্ধে তার বন্ধুর বয়ান ।