ফিলিস্তিনের বুকে ইজরাইল (হার্ডকভার) - উদার ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট বিশ্বাসঘাতকতা ও দখলদারিত্বের পুর্বাপর ইতিহাস ধরণির বুকে ইহুদি জাতির শুরুটা হয়েছিল মহিমান্বিত মানুষের হাত ধরেই। ইউসুফ (আ.)-কে হত্যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সাদা দেয়ালে প্রথম কালো দাগ লাগে। হিংসা ও ষড়যন্ত্রের শুরু সেখান থেকেই। উত্থান-পতনের নানান ইতিহাস পেরিয়ে ভাগ্য তাদের নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের উর্বর ও সিগ্ধ প্রান্তরে। অবাধ্যতা ও বিশ্বাসঘাতকতা যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তারা কি নীরবে বসে থাকতে পারে? চলতে থাকে একের পর এক ঘৃণ্য কার্যক্রম। কর্মফল তাদের বিতাড়িত করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভ‚মি থেকে; তবুও থেমে থাকে না ষড়যন্ত্রের চাকা। সভ্যতার চিরায়ত নিয়মে ফিলিস্তিনের মুতায়াল্লিয়াত চলে আসে বিশ্বাসীদের হাতে। প্রবাহিত হয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বারিধারা। কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে সেখানে আবারও শুরু হয় নির্মম পৈশাচিকতা। আশ্রয়ীরা বনে যায় দখলদার হিংস্র দানবে, ভ‚লুণ্ঠিত হতে থাকে মানবতা। এর প্রতিক্রিয়ায় রচিত হতে থাকে হাজারো ত্যাগ ও সাহসের গল্প, লক্ষ প্রাণে যা এঁকে দেয় মুক্তির রক্তিম স্বপ্ন।
বিশ্রুত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল। মহানবি ﷺ-এর যুগে দুনিয়ার অন্যতম পরাশক্তি পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য বা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী। ‘একজন মহান সেনাপতির নেতৃত্বে এক উৎকৃষ্ট সেনাদলের হাতে সুবিখ্যাত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল মুসলিমদের করায়ত্ত হবে’-এমন সুসংবাদ দিয়েছিলেন মহানবি ﷺ। তাঁর সুসংবাদ বাস্তবায়নের গৌরব অর্জনে বহু সেনাপতি, খলিফা ও সুলতান কনস্ট্যান্টিনোপল জয়ের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করে রাসূলুল্লাহর সুসংবাদ বাস্তবায়নকারী ‘আমির’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই বইয়ে ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ওই ঘটনার অনুপুঙ্খ বিবরণ উঠে এসেছে। তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আনাতোলিয়ায় উসমানি তুর্কিদের সালতানাত প্রতিষ্ঠার ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষয়িষ্ণু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন এবং উদীয়মান অটোমান সালতানাতের উত্থানের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি পর্যালোচনা করা হয়েছে নির্মোহ দৃষ্টিতে। নিছক মৃত মানুষের কাহিনি সংকলন নয়; বরং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সূত্রগুলোকে এক সুতোয় গাঁথার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনির সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে? ‘সানজাক-ই উসমান আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আটশো বছর আগের পৃথিবীতে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্তান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গলঝড় ধেয়ে এলো ককেশাস, আনাতোলিয়া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্তানের দিকে। মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ। মোঙ্গলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ইরান তুর্কিস্তান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিলো কিছু মানুষ। তারপর কী হলো? কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল এক সালতানাত? মোঙ্গলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা-মদিনাকে? এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সঙ্গে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম হিসেবে হালাল-হারামের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আবশ্যক। অবশ্য কিছু বিষয়ের হালাল-হারাম হওয়া নিয়ে কখনো কখনো বেশ দ্বন্দ্বে পড়ে যাই আমরা। এটা হালাল হলে ওটা হারাম কেন, এভাবে হারাম হলে ওভাবে হালাল কেন—এ জাতীয় নানা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা। অথচ কোনো কিছুর হালাল কিংবা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার যে সামান্য কিছু মূলনীতি রয়েছে, সেগুলো জানা থাকলে এ অবস্থা থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব। একজন মুসলিমের জন্য কোন কাজটি হালাল আর কোনটি হারাম, কোন কাজ এক জায়গায় জায়িয হলেও অন্য জায়গায় বা অন্য সময়ে নাজায়িয, কোনো কাজ জায়িয এবং নাজায়িয হওয়ার কারণগুলোই বা কী? ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক-জীবনঘনিষ্ঠ এমন অসংখ্য বিষয়ের বাস্তবধর্মী আলোচনা নিয়ে ড. ইউসুফ আল-কারযাবি রাহিমাহুল্লাহর বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো গ্রন্থটি প্রকাশিত হলো ‘হালাল-হারামের বিধান’ নামে।
জান্নাত এমন এক শান্তিসুখের চিরস্থায়ী নিবাস, যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। জান্নাতের শুরু আছে, শেষ নেই। সেখানে জীবন আছে, মৃত্যু নেই। যৌবন আছে, বার্ধক্য নেই। এমন সব নিয়ামত রয়েছে সেখানে, যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো হৃদয়ও কখনো কল্পনা করেনি। আর জাহান্নাম হচ্ছে চিরস্থায়ী শাস্তিভোগের এমন এক আবাস, যার কল্পনা করাও আমাদের সাধ্যের বাইরে। শাস্তির ভয়াবহতায় মানুষ সেখানে মরে যেতে চাইবে। মৃত্যুকে সেখানে সবার সামনে জবাই করা হবে। তাই চাইলেও কেউ আর মরে যেতে পারবে না। জাহান্নামের শাস্তি এতটাই প্রলয়ংকরী যে, এর বর্ণনা শুনলেও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। জান্নাত-জাহান্নামের স্বরূপ না জানলে আমরা আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারব না। তাই জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামত আর জাহান্নামের প্রচণ্ড ভয়াবহতার বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন—‘জান্নাত-জাহান্নাম’