মাদকাসক্তি যে একটা রোগ, সেটা এখন আধুনিক বিশ্বে স্বীকৃত। এই বইয়ে মাদকাসক্তি রোগের ধরন, লক্ষণ, সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই বই যাদের কাজে আসবে, তাঁরা হচ্ছেন: শিক্ষিত আসক্ত ব্যক্তি নিজে; তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব; যেসব প্রতিষ্ঠানে এই রোগের চিকিৎসা করা হয় সেখানকার চিকিৎসক, পরামর্শদাতা ও রোগী, এবং বুদ্ধিজীবী মহলের লোকজন, যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের অগ্রগতির up-to-date খবরাখবর জানতে আগ্রহী। শুভাকাঙ্ক্ষী লোকজনও প্রয়োজনবোধে তাঁদের কোন প্রিয়জনকে এই বই উপহার দিতে পারেন। সেবা বই
এক এঞ্জিনিয়ার মারা যাওয়ার পর ভুল করে দোজখে চলে গেছেন। দোজখের পরিবেশ পছন্দ না হওয়ায় অচিরেই তিনি ওখানে এয়ার কন্ডিশনার, এস্কেলেটার, ফ্লাশ-ট্যালেট ইত্যাদি সমস্ত সর্বাধুনিক আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করে ফেললেন। একদিন স্যাটানকে ফোন করলেন গড়, জানতে চাইলেন দোজখের হালচাল। ‘ওহ, অপূর্ব।’ বলল শয়তান, “সব অসুবিধা দূর করে দিয়েছেন আমাদের এঞ্জিনিয়ার সাহেব।” “অ্যা?” চমকে গেলেন গড়। তারপর গর্জে উঠলেন, ‘এভিনিয়ারটা আবার ওখানে গেল কি করে? ওর তো বেহেস্তে আসার কথা। এক্ষুণি ওকে এখানে পাঠিয়ে দাও, নইলে তোমার নামে মামলা ঠুকব আমি!” “তাই নাকি? ফিক ফিক করে টিটকারীর হাসি হাসল শয়তান, “মামলা যে ঠুকবেন, স্যার, উকিল পাবেন কোথায়?? এমনি আরও পাঁচ শতাধিক কৌতুক নিয়ে এক কৌতুক সংকলন) বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় কি পারিবারিক মজলিশে এগুলো বলতে পারবেন নির্মল আনন্দের খোরাক হিসেবে। পরিবারের সবাই উপভোগ করতে পারবেন, লজ্জিত বা বিব্রত হতে হবে না। সংগ্রহে রাখার মত নির্দোষ একটি কৌতুক সংকলন।
হাদীস শরীফ বাংলা মর্মবাণী নবীজীর (স) পবিত্র বাণীর শাব্দিক অনুবাদ নয়, তাঁর কিছু বাণীর বাংলা মর্মান্তর। সহজ, সাবলীল এই মর্মান্তর আপনার অন্তরে সৃষ্টি করবে এক অভাবিত অনুরণন। ক্ষণে ক্ষণেই আপনি শিহরিত হবেন আপনার জীবনে এ বাণীর প্রাসঙ্গিকতায়। মনে হবেÑযেন আপনাকেই কথাগুলো বলছেন তিনি। পড়া শুরু করুন যে-কোনও পাতা থেকে। ডুবে যান বাক্যের গভীরে। আপনি পাবেন পথের দিশা। জীবন বাঁক বদলাবে। আপনার উত্তরণ ঘটবে উচ্চতর মানবে।
অখণ্ড অবসরে অনেক কাল্পনিক ঘটনা ও চরিত্র পড়তে গিয়ে পাশাপাশি নিজের বাস্তব জীবনের কথা প্রায়ই মনে পড়ত; গল্পের ছলে অনেক সময় সেগুলো অনেককে শোনাতামও। যাদের ভাল লাগত তাদেরই একজন হঠাৎ একদিন প্রস্তাব দিল—এ নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়। গল্প বোধহয় ভালই করতাম; কিন্তু লিখতে গেলে কিছু বেরুবে কি? এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতাও ফিট অন্তরায়। ভাগ্নে রনজু বলল, আপনি বলে যান, আমি লিখব। তারপরেই চলল দু’জনের প্রাণান্তকর চেষ্টা। অনেক ঘাম ঝরিয়ে, অনেক স্মৃতি রোমন্থন করে যা বের হলো, সেটাই হচ্ছে এই ‘হেল কমাণ্ডো’ ।
আত্ম-উন্নয়ন সাইলেন্স ডা. রেজা আহমদ পৃথিবীতে সবকিছু সাম্যাবস্থায় থাকতে চায়। আর সাইলেন্স বা নীরবতায় প্রকৃতি তার আসল রূপ প্রকাশ করে। আপনি যদি নিজেকে জানতে চান, তাহলে আপনাকে ভেতরে-বাইরে নীরব হয়ে যেতে হবে। আমি আপনার এ নীরবতার সঙ্গী হয়ে কিছু পথ, কিছু পরীক্ষা দেখিয়ে দিতে পারি। সেগুলো নিজে হাতে-কলমে পরীক্ষা করে আপনি লাভ করতে পারেন আত্মজ্ঞান। শুধু একটু সাহসী হতে হবে। নিজের ভেতর, নিজের সাথে থাকার ইচ্ছা থাকতে হবে। আর সর্বদা বর্তমান সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে। আপনি নিজে যা দেখতে পাচ্ছেন, তাতে আস্থা রাখতে হবে। আপনি কি প্রস্তুত? তাহলে আসুন, আমার সাথে ডুব দিন এ নীরবতায়।
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ। জাগতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। ১৯৯৩ সাল থেকে বিরতিহীনভাবে দেশের সর্বত্র এখন পর্যন্ত (মার্চ, ২০১৫) অনুষ্ঠিত এ কোর্সের ৩৮৫ টি ব্যাচে তিনি একাই প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। বিশ্বের মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। দুই যুগ ধরে বাংলাভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত আত্মনির্মাণ, চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন ও এর ইংরেজি সংস্করণ “1001 Autosuggestions to change your life’, আলোকিত জীবনের হাজার সূত্র কোয়ান্টাম কণিকা এবং সর্বশেষ আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম এক গতিময় প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া জীবনকে স্বপ্নের রঙে রাঙানোর, শূন্য থেকে শুরু করার, সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তরের, সাফল্যের সোনালি স্তরে উত্তরণের, সেবা আর মানবিকতায় চারপাশ আলোকিত করার। লাখো মানুষের মতো তাই আপনিও একাত্ম হোন জীবনের চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরের এই চিরায়ত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় । আপনিও বলুন, যা চাই তা-ই পাব। আমি পারি আমি করব।
চেতনা, অতিচেতনা, নিরাময় ও প্রশান্তি আপনাকে নিয়ে যাবে চেনা জগতের বাইরে এক ভিন্ন ভুবনে। কৃস্টাল বলের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা, টেলিপ্যাথির মাধ্যমে লাভ করতে পারেন অতিচেতনা, আঙুলের পরশেই আপনি নিরাময় করতে পারেন ব্যথা বেদনা, ৩টি মাত্র মুদ্রা ৬ বার নিক্ষেপ করলেই আই চিং-এ পেতে পারেন আপনার যে কোনও প্রশ্নের নির্ভুল জবাব। আর শিথিলায়ন ও মেডিটেশনের মাধ্যমে আপনি অবগাহন করতে পারেন প্রশান্তির মহাসাগরে।
এরা সব যায় কোথায়? কাল্পনিক কিছু নয়-আটলান্টিকের একটা বিশেষ এলাকায় পৌঁছলেই আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে নাবিকেরা, সেই কলম্বাসের সময় থেকে, আজও। হারিয়ে যায়। গোটা জাহাজ, সাবমেরিন বা বিমানের কোন চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায় না আর। ইদানীং পাশ্চাত্য বিশ্বে এ নিয়ে মহা হৈ-চৈ হচ্ছে। সবাই জানতে চায়, কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই ত্রিভুজে। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড, নাকি গ্রহান্তরের বা সাগর গর্ভের কোন বুদ্ধিমান জীবের কারসাজি, নাকি অন্য কোন ডাইমেনশন, নাকি টাইম ডিসটরশন, নাকি অন্য কিছু?
আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন। কর্মব্যস্ত সুখী জীবন ভোগবাদী পণ্য-আগ্রাসন আর নিত্যনতুন প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে আজ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে লক্ষ্যহীন, নিষ্ক্রিয়, হতাশ, একাকী ও পরিবার-বিচ্ছিন্ন মানুষের সংখ্যা। সেইসাথে ফেসবুক-ইউটিউব-অনলাইন গেমের মতো ভার্চুয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আত্মধ্বংসী গোলকধাঁধায়। ডুবে যাচ্ছে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে। বৈশ্বিক এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে মূলধারার পত্রিকা ও খ্যাতনামা চিকিৎসা-সাময়িকীগুলো বলছে-লক্ষ্য-সচেতনতা, ইতিবাচক জীবনদৃষ্টি, পারিবারিক সম্প্রীতি ও সক্রিয় জীবনাচারই পারে দুর্দশার এই বৃত্ত থেকে একজন মানুষকে মুক্তি দিতে। সে বিবেচনায় আমরা বলতে পারি কোয়ান্টামের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত কর্মব্যস্ত সুখী জীবন একটি সময়পযোগী সংকলন। যার ৩২টি নিবন্ধজুড়ে রয়েছে জীবনকে কর্মমগ্নতায় উদযাপন করার কল্যাণ-আহ্বান। বিষয়বৈচিত্র্যে তাই বইটি হয়ে উঠতে পারে আধুনিক মানুষের যুগ-যন্ত্রণার অন্যতম প্রতিষেধক।
নাহার আল বোখারী জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬, বৃহত্তর বৱিশালের খেপুপাড়া উপজেলার ধানখালী গামে, পিত্রালয়ে। পিতা আধ্যাত্মিক পুরুষ মরহুম হজরত কফিলউদ্দীন আহমেদ (রহ,) । মা মরহুমা মোহতাৱেমা হাসেনা বানু। নাহার আল বোখারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে এমএসএস করেছেন। পারিবারিক জীবনে গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের সহধর্মিণী। কর্মজীবনে যোগ ফাউন্ডেশন ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মহিলাদের যোগ ব্যায়াম শিক্ষাদান শুরু করেন ১৯৮৩ সালে যোগ মেডিটেশন কেন্দ্রের মাধ্যমে। তার রান্না শেখালনোর জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান তাই চি চাইনিজ কুকিং সেন্টার বন্ধ করে মেডিটেশন ও ব্যায়ামের আধুনিকায়নের গবেষণায় গুরুজীর সাথে আত্মনিয়োগ করেন। সেইসাথে শুরু করেন পরিবার স্বাস্থ্য সৌন্দর্য। ও রান্না নিয়ে লেখালেখি। টানা ২২ বছরের গবেষণার ফসল হচ্ছে এই রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা। রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা মনোদৈহিক সুস্থতা ও সৌন্দর্যের গুরুত্বকে সামনে রেখে দীর্ঘ দুই যুগের গবেষণার ফসল-রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা। বইয়ের প্রথমভাগে রয়েছে বিভিন্ন আসন, মুদ্রা, প্রাণায়ামের খুব সহজ সাবলীল বিবরণ ও নিয়মাবলি। বইটির দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত সৌন্দর্যচর্চা অধ্যায়টি যে-কোনো সচেতন মানুষের জন্যে অবশ্যপাঠ্য। ব্যায়াম, পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, সাজপোশাক, ব্যক্তিত্ব, কথা বলা, হাটা-চলার ভঙ্গি, শুদ্ধাচার, মানবিক গুণাবলি, শিক্ষা-এ সবকিছু মিলিয়েই একজন মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আগ্রহী সব বয়সী পাঠক এ বইয়ের দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে হতে পারেন সুস্থ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত জীবনের অধিকারী।
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিবৃৎ। জাগতিক ও মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ ২৬ বছর ধরে তিনি একনাগাড়ে দেশের সর্বত্র কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে প্রশিক্ষন প্রদান করছেন। মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে উদ্ভাবক কর্তিক এককভাবে ক্লাস নিয়ে ৪৪৮টি কোর্স সম্পন্ন করা বিশ্বে এই প্রথম। দুই যুগ ধরে বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত ‘আত্মনির্মাণ’, ‘চেনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি’, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন” এ এর ইংরেজি সংস্করণ 1001 Autosuggestions to change your life, আলোকিত জীবনের হাজার সূত্র কোয়ান্টাম কণিকা’ এবং কোয়ান্টাম ॥ হাজারো প্রশ্নের জবাব পর্ব ১, পর্ব ২; পর্ব ৩ পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী’র লক্ষাধিক কপি মুদ্রণ এই পাঠকপ্রিয়তারই প্রকাশ। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্যা মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ স্ব-পরিকল্পনা ও সব-অর্থায়নে সুষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের স্ররবস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে – সুস্থতায়, ব্যার্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙগবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ। জাগতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথড এর উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে গত ১৭ বছর ধরে তিনি একনাগাড়ে দেশের সর্বত্র কোয়ান্টাম মেথড এর তিন শতাধিক কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে উদ্ভাবক কর্তৃক এককভাবে ক্লাস নিয়ে ১৭ বছরে ৩০০ কোর্স সম্পন্ন করা এই প্রথম। গত দেড় দশকে বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ ‘কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত “আত্মনির্মাণ’, ‘চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি’, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন’ পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ জাতির অন্তর্ভুক্ত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
বাংলা উপন্যাসের জগতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আগমন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত গ্রন্থে বলেছেন, শরৎচন্দ্রের আকস্মিক আবির্ভাবের কথা সেকালের পাঠকসমাজের মনে পড়বে। যখন একদিকে রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসের বিচিত্র ঐশ্বর্য ও সূক্ষ্ম তাৎপর্য এবং প্রভাতকুমারের রচনার প্রসন্ন মাধুর্য নিয়ে পাঠক সমাজ নিজ নিজ প্রকৃতি ও প্রবণতা অনুসারে খুশি হয়েছিলেন, তখন তারা বুঝতে পারেননি কোন গগনে, কোন বনান্তরালে ঔষধিনাথ চন্দ্রের উদয় হয়েছে। বাংলা কথাসাহিত্যে অপরাজেয় কথা-সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। তাঁর সরব পদচারণায় বাংলা উপন্যাস জনপ্রিয়তার শিখরে পৌছে। বাংলা উপন্যাসের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চোখের বালি উপন্যাস ও নষ্টনীড় গল্প প্রভৃতিতে যে সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই রীতির বিকাশ ঘটালেন। বাংলা সাহিত্যে তার আবির্ভাব আকস্মিকতায় এবং অতুলনীয় লেখনী নির্মাণের দ্বারা স্বল্প সময়ে বাংলা সাহিত্য জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছালেন তিনি। নিষিদ্ধ সমাজ বহির্ভূত প্রেমানুভূতির বিশ্লেষণে তিনি যে অপরিসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তিনি বাঙালি সুলভ সঙ্কীর্ণ মনোবৃত্তি অতিক্রম করে আধুনিক পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ সাধন করলেন। শরৎচন্দ্রের উপন্যাস যখন প্রথম দিকে প্রকাশিত হলো তখন তার প্রভাবে তথাকথিত ভদ্র সমাজ যেন শিউরে উঠেছিল। অনেকে তাদের বাড়ির মেয়েদের তার বই পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু শরৎচন্দ্রের মত বাংলার জন-জীবনকে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে আর কোনও সাহিত্যিক পারেননি তা বোধহয় নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করে আমাদের মুক্তিচেতনাকে আলোকিত করে তুললেন বটে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মননশীলতা, রূপক ও অলঙ্করণ প্রবণতা এবং সূক্ষ্ম ভাবপরিক্রমতার ফলে তার সাহিত্য প্রত্যক্ষ ও প্রবলভাবে সমাজসত্তাকে আঘাত করতে পারেনি। কিন্তু শরৎচন্দ্র সোজাভাবে, স্পষ্ট ভাষায় ও দুঃখ-বেদনার কারুণ্যে সিক্ত করে সমাজের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলেন এবং আমাদের প্রচলিত সংস্কার, নীতিবোধ ও ধর্মবোধের অন্যায় ও জবরদস্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। এর ফলে আমাদের বদ্ধ অচলায়তনের দ্বার যেন হঠাৎ খুলে গেল এবং সেই মুক্ত দ্বার দিয়ে আলো-বাতাস এসে মুক্তির আনন্দে চঞ্চল করে তুলল আমাদের। নারীর সতীত্বের যে ধারণা এতদিন আমাদের মনে বদ্ধমূল ছিল তা বিচলিত করে তুলল । উপেক্ষিত ও অবজ্ঞাত মানুষ সম্বন্ধে এক নতুন মূল্য ও মর্যাদাবোধ আমাদের মনে জাগ্রত হলো। দরিদ্র ও দুর্গত কৃষক ও শ্রমিক সমাজের মধ্যে তিনি বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে দিলেন। শরৎচন্দ্রের পরবর্তীকালে যে সমাজ-প্রগতি এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন দেখা দিয়েছিল তার মূলে যে শরতসাহিত্যের প্রেরণা অনেকখানি ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
অ্যাপাচি চীফ সাদা মানুষ রিচার্ড। কিন্তু অ্যাপাচিদের মাঝেই ওদের কঠিন শিক্ষা-দীক্ষায় বড় হয়েছে সে। এখন আটাশ বছর বয়সে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর একজন গানম্যানকে অনুসরণ করছে সে। ওর বাল্যবন্ধু এবং শত্রু অ্যাপাচি চীফ নিনোও ওর দলবল নিয়ে অনুসরণ করছে ওকে। মেক্সিকোর সিয়েরা মাদ্রে পাহাড়ে ঘটতে শুরু করল আজব এক নাটক। ঘায়েল খবরটা শুনেই স্টেজ অফিসের উদ্দেশে ছুটল জন ক্যালকিন। দশ দিন ধরে ক্যামেরনে আটকা পড়ে আছে ও। আবার যাত্রা শুরু করতে পারে জন–যদি স্টেজে একটা আসন পায়। এভাবেই আরম্ভ হলো রোমাঞ্চকর এক কাহিনী। ডুয়েল প্রিয় পাঠক, নাগরিক জীবনের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে, চলুন খানিকক্ষণের জন্য ঘুরে আসি রোমাঞ্চকর বুনো পশ্চিম থেকে। আমাদের প্রত্যাশা, সময়টা বেশ ভালই কাটবে আপনার।
আলেয়ার পিছে ডেডউড গাল্শে দ্বিতীয়বার মেয়েটাকে দেখেই এরফান তার জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। রাকা ওয়েস্টও তার বাবার সাথে সোনার খোঁজে বিগ হর্নসে যাচ্ছে শুনে বিপদের গন্ধ পেয়েও কিছু লোকের আপত্তি উপেক্ষা করে গায়ে পড়েই সে ওই ওয়্যাগন ট্রেইনে যোগ দিল। শুরু হলো অভিনব বিপদসঙ্কুল এক যাত্রা। আর কতদূর এরফানের সাত বছর বয়সের ছেলে কেবল একটা ছুরি আর পানির বোতল সম্বল করে, বিভিন্ন রকম বিপদের মোকাবিলা করে একটা তিন বছর বয়সের মেয়ের সমস্ত ভার নিজের কাঁধে নিয়ে কীভাবে বাবার সাথে মিলিত হতে এত মাইল পথ পাড়ি দিল? তারই এক চমকপ্রদ বর্ণনা।