নিঝুম রাতের আতঙ্ক ডনকে নিয়ে পুরানো বিনোদন পার্কে গেল কিশোর । ওখানে দেখা দিল শ্বেতবসনা রহস্যময় এক কিশোরী। বহু বছর আগেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছিল সে। কে এই মেয়ে? ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব কাণ্ড-কারখানা। খলিফার দরবারে বিশ্বের আর জিনা জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে এবার ১২০০ বছর আগের বাগদাদে। শহরটার তখন স্বর্ণযুগ। ওদের কাছে গচ্ছিত আছে রহস্যময় এক বাক্স। কী আছে ওটার ভিতরে? জিনিসটা খলিফার এত প্রয়োজন কেন? অতল আতঙ্ক দুশো বছর আগে ডুবে গিয়েছিল জলদস্যুদের জাহাজ । ওটার খোঁজে সাবমেরিনে চড়ে সাগরে ডুব দিল কিশোর, ডন আর হিরু চাচা। দুর্ঘটনাক্রমে উদয় হলো জলদস্যুদের কঙ্কাল। পালিয়ে নির্জন এক দ্বীপে গিয়ে আটকা পড়ল ওরা। তারপর?
স্বর্গে বিপদ সাগরে ছোট্ট এক বাচ্চা সিলমাছ পেয়ে, ওটাকে চিড়িয়াখানায় দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক লোকের ষড়যন্ত্রের জটিল জালে জড়িয়ে গেল কিশোর, মুসা ও রবিন। ঠিক করল, ওই খুনে লোককেই তুলে আনবে ওদের শক্ত জালে। পারল কি শেষে? অপারেশন ডেমন ধনকুবের মি. রচেস্টারের মেয়ে টিনা কিশোরের বান্ধবী। ওকে কিডন্যাপ করল একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাবি মি. রচেস্টারকে তাঁর হেভি-ওয়াটার প্ল্যাণ্টের উদ্বোধন বন্ধ করতে হবে। রাজি হলেন না তিনি। টিনা-উদ্ধারে তদন্তে নামল পুলিস। হাত গুটিয়ে বসে থাকল না কিশোরও। ফলে, জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে। রহস্য যখন জটিল দারুণ ফুর্তির পার্ক মুভি কিংডমে একের পর এক অন্তর্ঘাত হতেই তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল বন্ধু রন। কিন্তু শুরুতেই ওদের পিছু নিল কারা? শোধ নেবে দুর্ধর্ষ দস্যু গ্যাব্বার কাম্বারসন? পার্কের গহীন জঙ্গলে ওটা কি সত্যিই পৌরাণিক দানব ম্যানটিকর, না আর কিছু? কীভাবে ঠেকাবে ওরা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর স্যাবোটারকে? ক্রমেই জটিল হলো রহস্য! …তারপর?
হারানো সুর: শহরে অর্কেস্ট্রা এসেছে। তারা সঙ্গে করে এনেছে মহান সঙ্গীতজ্ঞ মোযার্টের নিজ হাতে লেখা এক দুষ্প্রাপ্য স্বরগ্রাম। চুরি গেল ওটা। স্বরগ্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল তিন গোয়েন্দা। জড়াল রহস্যজালে। দুঃস্বপ্নভূমি: ভয়ঙ্কর এক পার্ক–ঠিক যেন দুঃস্বপ্নভূমি। অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আটকে পড়েছে ওখানে। ওদেরকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও বন্দি হলো কিশোর, মুসা আর রবিন। এদিকে, একের পর এক উদয় হচ্ছে অশুভ সব চরিত্র। পালাবার পথ বন্ধ। দেখা যাক, তিন গোয়েন্দা এবার কী করে। হীরক-রহস্য: রাতের বেলায় মনুমেণ্টের ভেতরে রহস্যময় আলো। খুদে এক বানর। বহু বছর আগে চুরি যাওয়া হীরে। ভাঙা প্লাস্টার। এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র কী? সূত্রগুলো জুড়তে পারলেই রহস্যভেদ হবে। কিশোরের আর কী চাই?
সূত্রের সন্ধানে কারাতে ক্লাসে ভর্তি হয়েছে তিন গোয়েন্দা। বিল লারা নামে একটি ছেলে বিখ্যাত সিনেমাস্টার ব্রুস ল্যাঙের উপহার দেয়া একটি ব্ল্যাক বেল্ট নিয়ে এল । কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই জানা গেল বেল্টটি চুরি গেছে। কথা ছিল বিল ব্রুস ল্যাংকে কারাতে ক্লাসে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন বলছে চোরদের মাঝে সে অ্যাকশন হিরোকে আনবে না। সবাই হতাশ। অগত্যা তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। অমঙ্গলের পূর্বাভাস বিডনের রক্ষক মুমূর্ষু, তিনি আশঙ্কা করছেন ভয়ঙ্কর অশুভ কোন শক্তি বিডন গ্রহটিকে গ্রাস করতে চাইছে। হিরু চাচার সাহায্য চাইলেন রক্ষক। বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়ানক এক বিভীষিকার মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। রুখে দাঁড়ানো ছাড়া গতি রইল না হিরু চাচা আর কিশোরের। ভুতুড়ে পুতুল মেরি চাচীর বোনের ছেলে কিন কিছুদিন থাকবে বলে খালার বাসায় এসেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক পুতুল। ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা করে কিশোরকে তটস্থ করে রেখেছে ওটা। কিশোরের ধারণা পুতুলটা জ্যান্ত । আসলেই কি তাই?
ওয়্যারউলফ ক্যালিফোর্নিয়ার ড্রাগো গ্রাম থেকে পালিয়ে আসার পর তিন বছর কেটে গেছে। সুহিতা সুলতানা ও সাগর চৌধুরী ভেবেছিল আগুনে গড়ে ড্রাগের সব কটা নরকের পিশাচ মারা গেছে। কিন্তু ওরা জানে না বেঁচে আছে দুজনবুকে প্রতিহিংসার জ্বালা আর প্রতিশোধের আগুন নিয়ে। সুহিতা তিন বছর আগের ভয়ঙ্কর স্মৃতি যখন ভুলতে বসেছে এমন সময় দুঃস্বপ্নের মত সেই পৈশাচিক ইঙ্গিতগুলো আবার শুরু হলো। মেক্সিকোর পাহাড়ে শেষ লড়াইয়ে সুহিতা ও সাগর আবার মুখোমুখি হলো ভয়ঙ্কর দুই ওয়্যারউলফের! কিংবদন্তীর প্রেত সুন্দরী মেয়েটির ঘাড়ের টিউমারটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিকুর কিছু মনে হচ্ছিল না । কিন্তু ওটা যখন দ্রুত বেড়ে চলল, সিদ্ধান্ত নেয়া হলো অপারেশন করে ফেলে দেয়া হবে টিউমার। এমন সময় ওটা নড়াচড়া শুরু করে দিল…তারপর এ টিউমারকে ঘিরে ঘটতে শুরু করল অকল্পনীয় এবং ভয়ঙ্কর সব ঘটনা কারণ সাধারণ টিউমার ওটা নয়, ওর মধ্যে জন্ম নিতে চলেছে কিংবদন্তীর প্রত–ম্যানিটু। ম্যানিটুর ব্ল্যাক ম্যাজিক আর আমাদের বিজ্ঞানের মধ্যে শুরু হয়ে গেল মরণপণ লড়াই,..এমন রুদ্ধশ্বাস পিশাচ কাহিনি আপনি কখনও পড়েছেন কিনা সন্দেহ।
রানা ভেবেছিল কাজটা হবে খুব সহজে! যে ছিল ওর গভীর প্রেম, সেই মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেবে, আর জেনে নেবে কেন খুন হয়েছে ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে রানা একটু দেরিতে টের পেল, জড়িয়ে গেছে অদ্ভুত গভীর এক জটিল রহস্যের জালে! এরা কারা? কেন এভাবে নরহত্যা করছে হাসতে হাসতে? এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলেও মাথার ওপর ঘনিয়ে আসছে নিশ্চিত মৃত্যুর ঘনঘটা! তবে কি এদের হাতেই খুন হয়েছিলেন সুরের যাদুকর মোযার্ট? ধাঁধার গভীর সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে রানা। নিজেই বাঁচবে না, তো কী করে বাঁচাবে প্রাণপ্রিয় লিয়াকে?
বৈকাল হ্রদের অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে গেছে মাসুদ রানা। তাই বলে পিস্তলটা রাখবে না সাথে? চিফের বারণ শুনে মস্ত ভুল করেছে ও। ওখানে জটিল এক ঝামেলায় জড়িয়ে গেল ওরা। কারা যেন ডুবিয়ে মারতে চায় রিসার্চ শিপের সবাইকে। প্রলয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশাল ঢেউ থেকে যাদেরক উদ্ধার করল ওরা, তাদেরই ভিতর রয়েছে কালনাগিনী! ঠিক সময়মত ফণা তুলল সে। কী করবে নিরস্ত্র রানা? চেষ্টা করেও তা বিজ্ঞানীদের কিডন্যাপ হওয়া ঠেকানো গেল না। এবার? বৈকাল হ্রদ ছেড়ে চলল ও মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর। বন্ধু ববি মুরল্যাণ্ডকে নিয়ে ঢুকে পড়ল ভয়ঙ্কর এক উন্মাদের আস্তানায়। চেঙ্গিস খানের সমাধির ভিতর পরিচিত বিজ্ঞানীর লাশ নীরবে বলল, বাঁচতে চাইলে পালাও, রানা! এ বিরান মরুভূমিতে কোথায় পালাবে রানা-ববি? হিংস্র-বর্বর প্রহরীদের আদেশ দিয়েছে জালাইর তেমুজিন: লাশ চাই আমি ওই লোক দুটির!
দ্য লায়ন’স স্কিন মা’র করুণ মৃত্যুর বদলা নিতে ইংল্যাণ্ডে এসেছে ক্যারিল। উদ্দেশ্য: রাজদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিয়ে দেবে লর্ড অস্টারমোরকে, যিনি ওর জন্মদাতা হয়েও ওর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু ঘটতে শুরু করল একের পর এক আজব ঘটনা। ক্যারিলের দ্বিধাবিভক্ত মন শোধ নেয়ার আগে ভালোবেসে ফেলল এক অসহায় অনাথ মেয়েকে। ওদিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে ওরই সৎ ভাই, তাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যে-নাটকীয় ঘটনা ঘটল, সে-ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কোনো ধারণা ছিল না ক্যারিলের। দক্ষিণের যাত্রী বন্দিশিবির থেকে এল পয়গাম। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের আচরণ কংস মামার মতো। মানবিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনীতির নোংরা খেলা। শেষ পর্যন্ত বাকি রইল একটা কাজই। বিপন্ন জাহাজের উদ্ধারে এগিয়ে চলল ওরা সাতজন। …মানুষগুলো কোথায়? প্রকৃতির হারামিপনা তো রয়েছেই, ষোলো কলা পূর্ণ করতে মুখ খিচাল রক্তলোভীর দল। প্রাণ বাঁচানোই এখন দায়। এত কিছু সামলে পাবে কি অভিযাত্রীরা সেই মানুষটির হদিস- যার আছে দুই জিভ, দুই হৃদপিণ্ড?
ডন ইগনাশিয়ো-শেষ অ্যাযটেক সম্রাটের বংশধর, দখলদার স্প্যানিয়ার্ডদের কবল থেকে মেক্সিকোকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। জেমস স্ট্রিকল্যান্ড- চাকরি-হারানো সুদর্শন অকুতোভয় ইংরেজ। মায়া-রহস্যময়ী এক অপূর্ব সুন্দরী মেক্সিকান-ইন্ডিয়ান যুবতী। যিব্যালবেস্বার্থপর আর পাগলাটে এক সর্দার। কিংবদন্তির স্বর্ণ শহর কী এদের পরিণতি লিখে রেখেছে নিয়তি? সেজন্যই কি জান বাজি রেখে যিব্যালবে আর মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন ইগনাশিয়ো আর স্ট্রিকল্যাণ্ড? সেজন্যই কি স্বর্ণ শহর অভিমুখে শুরু হলো অভিযান, ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা? এবং সেজন্যই কি সিনর স্ট্রিকল্যাণ্ড শপথ করলেন, ‘আমার কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে পারবে না কেউ? প্রিয় পাঠক, ডন ইগনাশিয়ো লেখনীতে পুরো ঘটনার বর্ণনা স্যর হ্যাগার্ড এর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর জনৈক বন্ধু জোন্স (ছদ্মনাম)। বিশাল সে-কাহিনীরই রূপান্তর এখন আপনার হাতে। সত্যি করে বলুন তো, সুপ্রাচীন মায়া সভ্যতার উপর ভিত্তি করে লেখা বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার, প্রেম, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর প্রতিহিংসার এই অসাধারণ গল্পের পুরোটা না-পড়ে থাকতে পারবেন আপনি?
দ্য বন্ডম্যান/সার টমাস হেনরি হল কেইন হতভাগিনী র্যাচেল বলে গেছে, ‘তোমার ওপর আমার শেষ আদেশ, হত্যা করবে তুমি স্টিফেনকে, ওর ছেলেকে। ওদের রক্ত ছাড়া আর কোনও কিছুতেই তৃপ্তি হবে না আমার আত্মার। শুনেছ? হত্যা করবে তুমি ওদের। হত্যা!’ বিবেকের টুঁটি চেপে ধরে বাবা আর সৎ ভাইকে হত্যার প্রস্তুতি নিল মাতৃভক্ত জেসন। আসুন, পাঠক, আমরাও যাই আইসল্যান্ড আর ম্যান দ্বীপে, দেখি সেখানে আসলে কী হচ্ছে। নীল অন্ধকার/ফ্র্যাঙ্কো পোলি আমি চলেছি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, আর্নস্ট হেমিংওয়ের সেই নীল অন্ধকারের দেশে। তখনও জানি না ছোট্ট ডিঙি নিয়ে রাত-বিরেতে সাগরে যেতে হবে হাঙর শিকারে। বলুন তো, পাঠক, কোন্ তিমির পেটে আছে অসম্ভব দামি কস্তুরী? শুধু একটা ছোরা সম্বল করে লড়া যায় হাঙরের সঙ্গে? নৌকোর পাশে ভেসে উঠেছে বিশাল মান্টা রে! এখন? দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান/আলেকযান্ডার বেলায়েভ সমুদ্রের সঙ্গে জড়িত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, আজব এক দানবের আবির্ভাব হয়েছে সাগরে। কী ঘটছে রহস্যময় ডাক্তার সালভাদরের বাড়ির চার দেয়ালের ভেতর? পুকুরের পানির তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে কেন বানরটা? কেন হঠাৎ ডাকাতের আক্রমণ? কেন কী ঘটছে জানতে চাইলে বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম রুশ কল্পকাহিনী এই বইটি না পড়ে কোনও উপায় নেই।
কাযানের দেহে বইছে কুকুর ও নেকড়ের রক্ত। চারটা বসন্ত দেখেছে ও। এই চার বছরে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি হয়েছে অনেক। ক্ষুধার যাতনা কী, ভাল করেই জানে কাযান। আর্কটিক থেকে ভেসে আসা শীতল হাওয়ার হুঙ্কার বড় পরিচিত প্রাণীটার। দেহের একপাশ আর গলায় বহন করে চলেছে লড়াইয়ের ক্ষতচিহ্ন। মানব প্রভুদের স্লেজ নিয়ে ছুটে চলে জমাট বাঁধা পৃথিবীর বুকে। প্রভুপত্নীকে রক্ষা করতে গিয়ে খুন করে বসল একজনকে। পলাতক জীবনে দেখা হলো একদল নেকড়ের সঙ্গে। ওদের নেতা বনে গেল কাযান। জীবনে এল প্রেম। কিন্তু অরণ্যের টান…নাকি মানুষের ভালোবাসা-কোনটাকে বেছে নেবে ও?
কিশোর থ্রিলার তিন গোয়েন্দা হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা– আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা–চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা–লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোমে আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি– এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
জেন্ডার বন্দি স্যার অ্যান্টনি হোপ হকিন্স ১৮৯৪ সালে লেখেন ‘দ্য প্রিজনার অভ জেন্ডার। প্রকাশের সাথে সাথে বইটি এত জনপ্রিয় হয় যে তিনি আইন ব্যবসা ছেড়ে লেখাকেই পেশা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন রুরিতানিয়া নামে কল্পিত এক দেশে রুডলফ র্যাসেনডিল নামের এক যুবকের রোমান্টিক অভিযানের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে এ বইটিতে। ব্ল্যাক হার্ট অ্যান্ড হোয়াইট হার্ট নিজের অর্জনক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, এমন কোনকিছুর জন্যে বাসনা হলে তা থেকে ফিলিপ হ্যাডেন নিজেকে কখনও বঞ্চিত করেনি। শ্বেতাঙ্গ হ্যাডেন কেন দেশান্তরী হয়ে আফ্রিকার নাটালে এসেছিল তা কেউ জানে না। আইনের হাত এড়ানোর জন্যে একদিন সে সেখান থেকে বণিকের বেশে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ল জুলুল্যান্ডে। রাজা সেটি ওয়েইয়ো-র কাছে তাঁর দেশে শিকারের অনুমতি চাইতে গিয়ে কঠিনএকসমস্যার ফাঁদে পা দিয়ে বসল। পালাতে হবে তাকে, যে-করেই হোক। এক টুকরো স্বর্গ পৃথিবীর অন্যতম এক নির্জন স্থানে বাসা বেঁধেছে এক মানব আর এক মানবী। সোনালি সীল খুঁজে চলেছে তারা মরিয়ার মত। পেল কি? এদিকে ওদের এক টুকরো স্বর্গে হানা দিয়েছে বিষধর সাপ। তারপর?
দ্য লেডি অভ ব্লসহোম: জমিদার স্যর জন ফোটরেলের কিছু জমি দখল করতে চান ব্লসহোম অ্যাবির অধ্যক্ষ ক্রেমেন্ট মন্ডন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন স্যর জন। তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে সিসিলি জানে না কী করতে হবে। শুধু জানে, এবার ওর পালা—হয় মারা পড়তে হবে বাবার মতোই, নয়তো আজীবন বন্দি থাকতে হবে সেম অ্যাবি-সংলগ্ন আশ্রমে। আপন বলতে মাত্র দু’জন আছে মেয়েটার পালক-মা এমিলিন স্টোয়ার আর প্রেমিক স্যর ক্রিস্টোফার হার্ট|শুরু হলো প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ক্লেমেন্ট মন্ডনের বিরুদ্ধে ওদের তিনজনের সংগ্রাম। পদে পদে বাধা, বিপদ আর মৃত্যুর হাতছানি। কী হলো শেষপর্যন্ত? মেরি: প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনী-‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকেমেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে। সবাই কে এই মেরি? কী তার কাহিনী? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন?
বড় ভাইয়ের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিল ওলাফ। ইডুনা নামের ওই মেয়েকে অপছন্দ করল বড় ভাই, কিন্তু ভালো লাগল ওর। ওর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলো ইডুনার। ওয়াণ্ডারার নামে পরিচিত এক সর্দারের কবরে একরাতে অতিপ্রাকৃত কিছু একটা দেখতে পেল ওরা। জানতে পারল, চাঁদনি রাতে নেকলেস পরে যখন দেখা দেন সর্দার, বড় বিপদ নেমে আসে ওদের এলাকায় নেকলেসটা কি তা হলে সত্যিই অভিশপ্ত? মানুষের জীবন বদলে দেয়ার ক্ষমতা কি আছে ওটার আসলেই? ওই নেকলেসের মোহে আচ্ছন্ন ইডুনা বলেছে, ওটা এনে দিতে না পারলে বিয়ে করবে না সে কাউকে। তাই একরাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, মাটি খুঁড়ে ওয়াণ্ডারারের কবরে ঢুকে পড়ল ওলাফ।
ম্যাজিক শো রকিব হাসান রকি বীচে খেলা দেখাতে এসেছে জাদুকর গ্রেট ক্ল্যাণ্ডর। প্রতি শো-তে একজন করে ছেলে কিংবা মেয়েকে সহকারী হিসেবে স্টেজে ডেকে নেয় ও। জাদুর বাক্সে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ফেরত নিয়ে আসে। অদ্ভুতভাবে বদলে যায়। তখন ছেলেমেয়েগুলো । রহস্য উদঘাটনে ঝাপিয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা। কালঘুম শামসুদ্দীন নওয়াব মা’র কথা না শুনলে মানুষের যা হয়, তা-ই হলো মুসার। অন্য দুনিয়ায় চলে যেতেই হলো। ওয়ার্প পুলিশ-বাহিনী। ওকে খুন করতে এল। মুসা বাঁচবে কী করে? বাঁচবার কোনও পথই নেই। নাকি আছে? মঞ্চনাটক শামসুদ্দীন নওয়াব জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন লণ্ডনে। ঘটনাচক্রে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে হলো ওদেরকে। পরিচয় হলো। কালজয়ী এক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। বন্দি এক ভালুককে মুক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল জিনা। বাধা হয়ে দাঁড়াল ভালুকটার মালিক। তারপর?
খনিতে বিপদ কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? হাতে কোন সূত্র নেই। আসলে ঘটছে কী? পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের! গুহ-রহস্য গুহার মুখে পাহারা থাকা সত্ত্বেও রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যায় জিনিসপত্র। ভূত, না মানুষ? কিশোরের দৃঢ় বিশ্বাস, মানুষ। শুরু হলো তদন্ত। ধীরে-ধীরে জট খুলল জটিল এক রহস্যের। কিশোরের নোটবুক পোষা পশু-পাখিদের নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী মনিব ও পোষ্য টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। বাঘাকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিল কিশোর। কিন্তু একী! বাঘা খেলা দেখাচ্ছে না কেন? এর পিছনে কি কারও কারসাজি আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা।
ওপার থেকে নতুন স্কুলবিল্ডিঙে ক্লাস করছে তিন গোয়েন্দা । কিন্তু একের পর এক ক্ষতি করা বিল্ডিংটার । কে বা কারা করছে অপকর্মগুলো ? রবিনের ধারণা এসব ভূতের কান্ড । স্কুলটাকে রক্ষা করতে নামল তিন গোয়েন্দা । জ্যান্ত ভূত গ্রিনহিলসের বন্ধু রেমন্ডের সঙ্গে ক্যাম্প মুনলাইট-এ ঢুকেই ধাক্কা খেল রবিন । একদম নির্জন । তবে একটু পরেই একে একে হাজির হলো । রহস্যময় ওদের আচরণ । বিচিত্র ওদের চালচলন । ক্যাম্পের পরিচালক আংকেল গ্রেগ তো আরও রহস্যময় । কারা ওরা ? ধীরে ধীরে জটিল এক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ল ওরা । প্রাণ বাঁচানোই দায় । দেবতার শহর জাদুর ট্রী হাউসে চড়ে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন পম্পেই শহরে । এখানে পৌছনোর খানিক পরেই বিস্ফোরিত হলো মাউন্ট ভিসুভিয়াস । প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে গেল ওদের । এসময় আলৌকিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়াল – কে ?