নাহার আল বোখারী জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬, বৃহত্তর বৱিশালের খেপুপাড়া উপজেলার ধানখালী গামে, পিত্রালয়ে। পিতা আধ্যাত্মিক পুরুষ মরহুম হজরত কফিলউদ্দীন আহমেদ (রহ,) । মা মরহুমা মোহতাৱেমা হাসেনা বানু। নাহার আল বোখারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে এমএসএস করেছেন। পারিবারিক জীবনে গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের সহধর্মিণী। কর্মজীবনে যোগ ফাউন্ডেশন ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মহিলাদের যোগ ব্যায়াম শিক্ষাদান শুরু করেন ১৯৮৩ সালে যোগ মেডিটেশন কেন্দ্রের মাধ্যমে। তার রান্না শেখালনোর জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান তাই চি চাইনিজ কুকিং সেন্টার বন্ধ করে মেডিটেশন ও ব্যায়ামের আধুনিকায়নের গবেষণায় গুরুজীর সাথে আত্মনিয়োগ করেন। সেইসাথে শুরু করেন পরিবার স্বাস্থ্য সৌন্দর্য। ও রান্না নিয়ে লেখালেখি। টানা ২২ বছরের গবেষণার ফসল হচ্ছে এই রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা। রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা মনোদৈহিক সুস্থতা ও সৌন্দর্যের গুরুত্বকে সামনে রেখে দীর্ঘ দুই যুগের গবেষণার ফসল-রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা। বইয়ের প্রথমভাগে রয়েছে বিভিন্ন আসন, মুদ্রা, প্রাণায়ামের খুব সহজ সাবলীল বিবরণ ও নিয়মাবলি। বইটির দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত সৌন্দর্যচর্চা অধ্যায়টি যে-কোনো সচেতন মানুষের জন্যে অবশ্যপাঠ্য। ব্যায়াম, পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, সাজপোশাক, ব্যক্তিত্ব, কথা বলা, হাটা-চলার ভঙ্গি, শুদ্ধাচার, মানবিক গুণাবলি, শিক্ষা-এ সবকিছু মিলিয়েই একজন মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আগ্রহী সব বয়সী পাঠক এ বইয়ের দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে হতে পারেন সুস্থ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত জীবনের অধিকারী।
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিবৃৎ। জাগতিক ও মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ ২৬ বছর ধরে তিনি একনাগাড়ে দেশের সর্বত্র কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে প্রশিক্ষন প্রদান করছেন। মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে উদ্ভাবক কর্তিক এককভাবে ক্লাস নিয়ে ৪৪৮টি কোর্স সম্পন্ন করা বিশ্বে এই প্রথম। দুই যুগ ধরে বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত ‘আত্মনির্মাণ’, ‘চেনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি’, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন” এ এর ইংরেজি সংস্করণ 1001 Autosuggestions to change your life, আলোকিত জীবনের হাজার সূত্র কোয়ান্টাম কণিকা’ এবং কোয়ান্টাম ॥ হাজারো প্রশ্নের জবাব পর্ব ১, পর্ব ২; পর্ব ৩ পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী’র লক্ষাধিক কপি মুদ্রণ এই পাঠকপ্রিয়তারই প্রকাশ। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্যা মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ স্ব-পরিকল্পনা ও সব-অর্থায়নে সুষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের স্ররবস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে – সুস্থতায়, ব্যার্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙগবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
বাংলা উপন্যাসের জগতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আগমন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত গ্রন্থে বলেছেন, শরৎচন্দ্রের আকস্মিক আবির্ভাবের কথা সেকালের পাঠকসমাজের মনে পড়বে। যখন একদিকে রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসের বিচিত্র ঐশ্বর্য ও সূক্ষ্ম তাৎপর্য এবং প্রভাতকুমারের রচনার প্রসন্ন মাধুর্য নিয়ে পাঠক সমাজ নিজ নিজ প্রকৃতি ও প্রবণতা অনুসারে খুশি হয়েছিলেন, তখন তারা বুঝতে পারেননি কোন গগনে, কোন বনান্তরালে ঔষধিনাথ চন্দ্রের উদয় হয়েছে। বাংলা কথাসাহিত্যে অপরাজেয় কথা-সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। তাঁর সরব পদচারণায় বাংলা উপন্যাস জনপ্রিয়তার শিখরে পৌছে। বাংলা উপন্যাসের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চোখের বালি উপন্যাস ও নষ্টনীড় গল্প প্রভৃতিতে যে সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই রীতির বিকাশ ঘটালেন। বাংলা সাহিত্যে তার আবির্ভাব আকস্মিকতায় এবং অতুলনীয় লেখনী নির্মাণের দ্বারা স্বল্প সময়ে বাংলা সাহিত্য জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছালেন তিনি। নিষিদ্ধ সমাজ বহির্ভূত প্রেমানুভূতির বিশ্লেষণে তিনি যে অপরিসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তিনি বাঙালি সুলভ সঙ্কীর্ণ মনোবৃত্তি অতিক্রম করে আধুনিক পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ সাধন করলেন। শরৎচন্দ্রের উপন্যাস যখন প্রথম দিকে প্রকাশিত হলো তখন তার প্রভাবে তথাকথিত ভদ্র সমাজ যেন শিউরে উঠেছিল। অনেকে তাদের বাড়ির মেয়েদের তার বই পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু শরৎচন্দ্রের মত বাংলার জন-জীবনকে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে আর কোনও সাহিত্যিক পারেননি তা বোধহয় নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করে আমাদের মুক্তিচেতনাকে আলোকিত করে তুললেন বটে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মননশীলতা, রূপক ও অলঙ্করণ প্রবণতা এবং সূক্ষ্ম ভাবপরিক্রমতার ফলে তার সাহিত্য প্রত্যক্ষ ও প্রবলভাবে সমাজসত্তাকে আঘাত করতে পারেনি। কিন্তু শরৎচন্দ্র সোজাভাবে, স্পষ্ট ভাষায় ও দুঃখ-বেদনার কারুণ্যে সিক্ত করে সমাজের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলেন এবং আমাদের প্রচলিত সংস্কার, নীতিবোধ ও ধর্মবোধের অন্যায় ও জবরদস্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। এর ফলে আমাদের বদ্ধ অচলায়তনের দ্বার যেন হঠাৎ খুলে গেল এবং সেই মুক্ত দ্বার দিয়ে আলো-বাতাস এসে মুক্তির আনন্দে চঞ্চল করে তুলল আমাদের। নারীর সতীত্বের যে ধারণা এতদিন আমাদের মনে বদ্ধমূল ছিল তা বিচলিত করে তুলল । উপেক্ষিত ও অবজ্ঞাত মানুষ সম্বন্ধে এক নতুন মূল্য ও মর্যাদাবোধ আমাদের মনে জাগ্রত হলো। দরিদ্র ও দুর্গত কৃষক ও শ্রমিক সমাজের মধ্যে তিনি বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে দিলেন। শরৎচন্দ্রের পরবর্তীকালে যে সমাজ-প্রগতি এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন দেখা দিয়েছিল তার মূলে যে শরতসাহিত্যের প্রেরণা অনেকখানি ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
অ্যাপাচি চীফ সাদা মানুষ রিচার্ড। কিন্তু অ্যাপাচিদের মাঝেই ওদের কঠিন শিক্ষা-দীক্ষায় বড় হয়েছে সে। এখন আটাশ বছর বয়সে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর একজন গানম্যানকে অনুসরণ করছে সে। ওর বাল্যবন্ধু এবং শত্রু অ্যাপাচি চীফ নিনোও ওর দলবল নিয়ে অনুসরণ করছে ওকে। মেক্সিকোর সিয়েরা মাদ্রে পাহাড়ে ঘটতে শুরু করল আজব এক নাটক। ঘায়েল খবরটা শুনেই স্টেজ অফিসের উদ্দেশে ছুটল জন ক্যালকিন। দশ দিন ধরে ক্যামেরনে আটকা পড়ে আছে ও। আবার যাত্রা শুরু করতে পারে জন–যদি স্টেজে একটা আসন পায়। এভাবেই আরম্ভ হলো রোমাঞ্চকর এক কাহিনী। ডুয়েল প্রিয় পাঠক, নাগরিক জীবনের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে, চলুন খানিকক্ষণের জন্য ঘুরে আসি রোমাঞ্চকর বুনো পশ্চিম থেকে। আমাদের প্রত্যাশা, সময়টা বেশ ভালই কাটবে আপনার।
তিনটি ক্লাসিক উপন্যাস। এর আগে পৃথক পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, এবার বেরোল ভলিউম আকারে। জিম করবেটের ‘কুমা্য়ুনের মানুষখেকো’ শিকার নিয়ে লেখা চমৎকার কয়েকটি কাহিনি। মানুষখেকো এক বাঘিনীর উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করল এলাকার লোকজন। শেষ পর্যন্ত বাঘিনীকে হার মানতে হয়েছিল জিম করবেটের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কাছে...... ‘মাই কাজিন র্যাচেল’ ড্যাফনে দু মরিয়ের লেখাফ অন্যমত শ্রেষ্ঠ কাহিনি। এতিম ছেলে ফিলিপ মানুষ হয়েছে পিতৃসম কাজিন অ্যমব্রোসের কাছে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল অ্যামব্রোস। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ইতালি যেতে হলো তাকে। শুরু হল নতুন এক ঘটনাপ্রবাহ....এবার ‘দি ওল্ডম্যান এণ্ড দি সী’ থেকে সামান্য অংশ পাঠকের জন্য তুলে দিচ্ছি: বুড়ো মানুষ। ডিঙিতে চেপে পালফ স্ট্রিমে মাছ ধরে বেড়ায় একাকী। আজ চুরাশি দিন একটিও মাছ পায়নি। প্রথম চল্লিশ দিন একটি ছেলে ছিল সঙ্গে। কিন্তু চল্লিশ দিন পরেও যখন কোনও মাছ উঠল না, ছেলেটির বাবা-মা বলল বুড়ো এখন নির্ঘাত সালাও, অর্থ্যাৎ চরম অপয়া হয়ে গেছে। ওদের নির্দেশে অন্য নৌকায় চলে গেছে ছেলেটা এবং পয়লা হপ্তায়ই বড় তিনটে মাছ ধরেছে ওরা। বুড়োকে রোজ শূন্য ডিঙি নিয়ে ফিরতে দেখে খারাপ হয়ে যায় ছেলেটির মন। বুড়ো এলেই ও দৌড়ে চলে যায় কাছে, মাছ ধরা দড়ি বা কেঁচোর বোঝা, হারপুন আর নয়তো মাস্তুলে গোটানো পাল বয়ে আনতে সাহায্য করে.....তিনটি কাহিনিই কালের কৃষ্টিপাথরে যাচাই হয়ে বিশ্ব সাহিত্য জায়গা করে নিয়েছে। যাঁরা ক্লাসিক কাহিনির ভক্ত তাঁদের জন বইটি অবশ্যপাঠ্য বলে বিবেচিত হবে।
আমাদের ভাগ্য নির্ধারক হচ্ছে আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তাই বলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। নিউমারোলজি অর্থাৎ সংখ্যা জৌতিষ নিয়ে বইটিতে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে, বিস্তারিত জানতে বইটি পড়তে পারেন।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
ওয়্যারউলফ ক্যালিফোর্নিয়ার ড্রাগো গ্রাম থেকে পালিয়ে আসার পর তিন বছর কেটে গেছে। সুহিতা সুলতানা ও সাগর চৌধুরী ভেবেছিল আগুনে গড়ে ড্রাগের সব কটা নরকের পিশাচ মারা গেছে। কিন্তু ওরা জানে না বেঁচে আছে দুজনবুকে প্রতিহিংসার জ্বালা আর প্রতিশোধের আগুন নিয়ে। সুহিতা তিন বছর আগের ভয়ঙ্কর স্মৃতি যখন ভুলতে বসেছে এমন সময় দুঃস্বপ্নের মত সেই পৈশাচিক ইঙ্গিতগুলো আবার শুরু হলো। মেক্সিকোর পাহাড়ে শেষ লড়াইয়ে সুহিতা ও সাগর আবার মুখোমুখি হলো ভয়ঙ্কর দুই ওয়্যারউলফের! কিংবদন্তীর প্রেত সুন্দরী মেয়েটির ঘাড়ের টিউমারটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিকুর কিছু মনে হচ্ছিল না । কিন্তু ওটা যখন দ্রুত বেড়ে চলল, সিদ্ধান্ত নেয়া হলো অপারেশন করে ফেলে দেয়া হবে টিউমার। এমন সময় ওটা নড়াচড়া শুরু করে দিল…তারপর এ টিউমারকে ঘিরে ঘটতে শুরু করল অকল্পনীয় এবং ভয়ঙ্কর সব ঘটনা কারণ সাধারণ টিউমার ওটা নয়, ওর মধ্যে জন্ম নিতে চলেছে কিংবদন্তীর প্রত–ম্যানিটু। ম্যানিটুর ব্ল্যাক ম্যাজিক আর আমাদের বিজ্ঞানের মধ্যে শুরু হয়ে গেল মরণপণ লড়াই,..এমন রুদ্ধশ্বাস পিশাচ কাহিনি আপনি কখনও পড়েছেন কিনা সন্দেহ।
রানা ভেবেছিল কাজটা হবে খুব সহজে! যে ছিল ওর গভীর প্রেম, সেই মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেবে, আর জেনে নেবে কেন খুন হয়েছে ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে রানা একটু দেরিতে টের পেল, জড়িয়ে গেছে অদ্ভুত গভীর এক জটিল রহস্যের জালে! এরা কারা? কেন এভাবে নরহত্যা করছে হাসতে হাসতে? এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলেও মাথার ওপর ঘনিয়ে আসছে নিশ্চিত মৃত্যুর ঘনঘটা! তবে কি এদের হাতেই খুন হয়েছিলেন সুরের যাদুকর মোযার্ট? ধাঁধার গভীর সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে রানা। নিজেই বাঁচবে না, তো কী করে বাঁচাবে প্রাণপ্রিয় লিয়াকে?
বৈকাল হ্রদের অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে গেছে মাসুদ রানা। তাই বলে পিস্তলটা রাখবে না সাথে? চিফের বারণ শুনে মস্ত ভুল করেছে ও। ওখানে জটিল এক ঝামেলায় জড়িয়ে গেল ওরা। কারা যেন ডুবিয়ে মারতে চায় রিসার্চ শিপের সবাইকে। প্রলয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশাল ঢেউ থেকে যাদেরক উদ্ধার করল ওরা, তাদেরই ভিতর রয়েছে কালনাগিনী! ঠিক সময়মত ফণা তুলল সে। কী করবে নিরস্ত্র রানা? চেষ্টা করেও তা বিজ্ঞানীদের কিডন্যাপ হওয়া ঠেকানো গেল না। এবার? বৈকাল হ্রদ ছেড়ে চলল ও মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর। বন্ধু ববি মুরল্যাণ্ডকে নিয়ে ঢুকে পড়ল ভয়ঙ্কর এক উন্মাদের আস্তানায়। চেঙ্গিস খানের সমাধির ভিতর পরিচিত বিজ্ঞানীর লাশ নীরবে বলল, বাঁচতে চাইলে পালাও, রানা! এ বিরান মরুভূমিতে কোথায় পালাবে রানা-ববি? হিংস্র-বর্বর প্রহরীদের আদেশ দিয়েছে জালাইর তেমুজিন: লাশ চাই আমি ওই লোক দুটির!
দ্য লায়ন’স স্কিন মা’র করুণ মৃত্যুর বদলা নিতে ইংল্যাণ্ডে এসেছে ক্যারিল। উদ্দেশ্য: রাজদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিয়ে দেবে লর্ড অস্টারমোরকে, যিনি ওর জন্মদাতা হয়েও ওর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু ঘটতে শুরু করল একের পর এক আজব ঘটনা। ক্যারিলের দ্বিধাবিভক্ত মন শোধ নেয়ার আগে ভালোবেসে ফেলল এক অসহায় অনাথ মেয়েকে। ওদিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে ওরই সৎ ভাই, তাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যে-নাটকীয় ঘটনা ঘটল, সে-ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কোনো ধারণা ছিল না ক্যারিলের। দক্ষিণের যাত্রী বন্দিশিবির থেকে এল পয়গাম। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের আচরণ কংস মামার মতো। মানবিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনীতির নোংরা খেলা। শেষ পর্যন্ত বাকি রইল একটা কাজই। বিপন্ন জাহাজের উদ্ধারে এগিয়ে চলল ওরা সাতজন। …মানুষগুলো কোথায়? প্রকৃতির হারামিপনা তো রয়েছেই, ষোলো কলা পূর্ণ করতে মুখ খিচাল রক্তলোভীর দল। প্রাণ বাঁচানোই এখন দায়। এত কিছু সামলে পাবে কি অভিযাত্রীরা সেই মানুষটির হদিস- যার আছে দুই জিভ, দুই হৃদপিণ্ড?
ডন ইগনাশিয়ো-শেষ অ্যাযটেক সম্রাটের বংশধর, দখলদার স্প্যানিয়ার্ডদের কবল থেকে মেক্সিকোকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। জেমস স্ট্রিকল্যান্ড- চাকরি-হারানো সুদর্শন অকুতোভয় ইংরেজ। মায়া-রহস্যময়ী এক অপূর্ব সুন্দরী মেক্সিকান-ইন্ডিয়ান যুবতী। যিব্যালবেস্বার্থপর আর পাগলাটে এক সর্দার। কিংবদন্তির স্বর্ণ শহর কী এদের পরিণতি লিখে রেখেছে নিয়তি? সেজন্যই কি জান বাজি রেখে যিব্যালবে আর মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন ইগনাশিয়ো আর স্ট্রিকল্যাণ্ড? সেজন্যই কি স্বর্ণ শহর অভিমুখে শুরু হলো অভিযান, ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা? এবং সেজন্যই কি সিনর স্ট্রিকল্যাণ্ড শপথ করলেন, ‘আমার কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে পারবে না কেউ? প্রিয় পাঠক, ডন ইগনাশিয়ো লেখনীতে পুরো ঘটনার বর্ণনা স্যর হ্যাগার্ড এর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর জনৈক বন্ধু জোন্স (ছদ্মনাম)। বিশাল সে-কাহিনীরই রূপান্তর এখন আপনার হাতে। সত্যি করে বলুন তো, সুপ্রাচীন মায়া সভ্যতার উপর ভিত্তি করে লেখা বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার, প্রেম, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর প্রতিহিংসার এই অসাধারণ গল্পের পুরোটা না-পড়ে থাকতে পারবেন আপনি?
দ্য বন্ডম্যান/সার টমাস হেনরি হল কেইন হতভাগিনী র্যাচেল বলে গেছে, ‘তোমার ওপর আমার শেষ আদেশ, হত্যা করবে তুমি স্টিফেনকে, ওর ছেলেকে। ওদের রক্ত ছাড়া আর কোনও কিছুতেই তৃপ্তি হবে না আমার আত্মার। শুনেছ? হত্যা করবে তুমি ওদের। হত্যা!’ বিবেকের টুঁটি চেপে ধরে বাবা আর সৎ ভাইকে হত্যার প্রস্তুতি নিল মাতৃভক্ত জেসন। আসুন, পাঠক, আমরাও যাই আইসল্যান্ড আর ম্যান দ্বীপে, দেখি সেখানে আসলে কী হচ্ছে। নীল অন্ধকার/ফ্র্যাঙ্কো পোলি আমি চলেছি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, আর্নস্ট হেমিংওয়ের সেই নীল অন্ধকারের দেশে। তখনও জানি না ছোট্ট ডিঙি নিয়ে রাত-বিরেতে সাগরে যেতে হবে হাঙর শিকারে। বলুন তো, পাঠক, কোন্ তিমির পেটে আছে অসম্ভব দামি কস্তুরী? শুধু একটা ছোরা সম্বল করে লড়া যায় হাঙরের সঙ্গে? নৌকোর পাশে ভেসে উঠেছে বিশাল মান্টা রে! এখন? দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান/আলেকযান্ডার বেলায়েভ সমুদ্রের সঙ্গে জড়িত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, আজব এক দানবের আবির্ভাব হয়েছে সাগরে। কী ঘটছে রহস্যময় ডাক্তার সালভাদরের বাড়ির চার দেয়ালের ভেতর? পুকুরের পানির তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে কেন বানরটা? কেন হঠাৎ ডাকাতের আক্রমণ? কেন কী ঘটছে জানতে চাইলে বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম রুশ কল্পকাহিনী এই বইটি না পড়ে কোনও উপায় নেই।
কাযানের দেহে বইছে কুকুর ও নেকড়ের রক্ত। চারটা বসন্ত দেখেছে ও। এই চার বছরে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি হয়েছে অনেক। ক্ষুধার যাতনা কী, ভাল করেই জানে কাযান। আর্কটিক থেকে ভেসে আসা শীতল হাওয়ার হুঙ্কার বড় পরিচিত প্রাণীটার। দেহের একপাশ আর গলায় বহন করে চলেছে লড়াইয়ের ক্ষতচিহ্ন। মানব প্রভুদের স্লেজ নিয়ে ছুটে চলে জমাট বাঁধা পৃথিবীর বুকে। প্রভুপত্নীকে রক্ষা করতে গিয়ে খুন করে বসল একজনকে। পলাতক জীবনে দেখা হলো একদল নেকড়ের সঙ্গে। ওদের নেতা বনে গেল কাযান। জীবনে এল প্রেম। কিন্তু অরণ্যের টান…নাকি মানুষের ভালোবাসা-কোনটাকে বেছে নেবে ও?
কিশোর থ্রিলার তিন গোয়েন্দা হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা– আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা–চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা–লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোমে আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি– এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
জেন্ডার বন্দি স্যার অ্যান্টনি হোপ হকিন্স ১৮৯৪ সালে লেখেন ‘দ্য প্রিজনার অভ জেন্ডার। প্রকাশের সাথে সাথে বইটি এত জনপ্রিয় হয় যে তিনি আইন ব্যবসা ছেড়ে লেখাকেই পেশা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন রুরিতানিয়া নামে কল্পিত এক দেশে রুডলফ র্যাসেনডিল নামের এক যুবকের রোমান্টিক অভিযানের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে এ বইটিতে। ব্ল্যাক হার্ট অ্যান্ড হোয়াইট হার্ট নিজের অর্জনক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, এমন কোনকিছুর জন্যে বাসনা হলে তা থেকে ফিলিপ হ্যাডেন নিজেকে কখনও বঞ্চিত করেনি। শ্বেতাঙ্গ হ্যাডেন কেন দেশান্তরী হয়ে আফ্রিকার নাটালে এসেছিল তা কেউ জানে না। আইনের হাত এড়ানোর জন্যে একদিন সে সেখান থেকে বণিকের বেশে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ল জুলুল্যান্ডে। রাজা সেটি ওয়েইয়ো-র কাছে তাঁর দেশে শিকারের অনুমতি চাইতে গিয়ে কঠিনএকসমস্যার ফাঁদে পা দিয়ে বসল। পালাতে হবে তাকে, যে-করেই হোক। এক টুকরো স্বর্গ পৃথিবীর অন্যতম এক নির্জন স্থানে বাসা বেঁধেছে এক মানব আর এক মানবী। সোনালি সীল খুঁজে চলেছে তারা মরিয়ার মত। পেল কি? এদিকে ওদের এক টুকরো স্বর্গে হানা দিয়েছে বিষধর সাপ। তারপর?