নব্বইয়ের দশকের সময় নিয়ে উঠে আসা গল্পগুলোতে অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় সাংসরিক টানাপোড়েনে চলা জীবনের চিত্র৷ এর বাহিরেও সমাজে অন্য আর দশজন রয়েছে, তারা থেকে যায় আড়ালে। তাদের নিয়ে যে গল্প লেখা হয়নি তা কিন্তু নয়। হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু উল্লেখ করার মতো খুব বেশি বই আমাদের হাতে নেই৷ বর্তমান সময়ে তরুণ লেখকদের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক এবং বাংলা সাহিত্যে সামাজিক থ্রিলারের অগ্রদূত শরীফুল হাসানের নতুন উপন্যাসে উঠে এসেছে নব্বই দশকের এক মফস্বলের কিছু মানুষের চিত্র৷ যাদের জীবনে সাংসরিক টানাপোড়ন ছাপিয়ে থাকে জীবনের টানাপোড়ন৷ যাদের বেঁচে থাকতে হয় অন্যদের দমিয়ে। পাশার দান হাত বদল হয়ে গেলে লুকিয়ে পরতে হয় লোকচক্ষুর আড়ালে। 'মেঘ বিষাদের গল্প' কিংবা 'ছায়া সময়', শরীফুল হাসান প্রমাণ করেছেন এই জনরায় তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আর সেটা নিয়ে যে কোনো ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও তা মুছে দিবে "যেখানে রোদেরা ঘুমায়"। যারা বইয়ের অক্ষরে ডুব দিয়ে হারিয়ে যেতে চান অচেনা মফস্বলের প্রান্তরে৷ তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
আবদুল্লাহ (রা.)-এর কবিতা শুনে উমর (রা.) চটে যান। ধমক দিয়ে বলেন-‘থামো! রাসূলুল্লাহর সামনে এ পবিত্র স্থানে কবিতা পাঠ?’ কিন্তু কবিতা তো সবার। সর্বজনীন। একজনের হৃদয় উৎসারিত হলেও সকলের হৃদয়গ্রাহী। কবিতা মায়ের বুলি। তাতে জাতপাত নেই। কাঠিন্য নেই। দর্শন নেই। প্রেম আছে। কবিতা আরশে মোয়াল্লার ভাষা। ফেরেশতার বিশুদ্ধ সুর। কাওসারের কুলুকুলু ধ্বনি। আয়িশা (রা.)-এর ঘরে মৌ মৌ গুঞ্জন। কবিতা রাসূলের মসজিদের আলাদা মিম্বর। ক্ষুরধার তার শব্দশৈলী। ইবনে রাওয়াহা (রা.)-এর তলোয়ার।
আমাদের মেঘবাড়ি ‘আর ওই পেছনে দেখ, কেমন জমাট বেঁধে আছে তুলোর মতো! মনে হচ্ছে মেঘের উপর একটা প্রাসাদ!’ ‘ওই প্রাসাদে কারা থাকে, আম্মু?’ ‘পরীরা থাকে...আর তোমার মতো পরীর বাচ্চারা থাকে।’ লামিয়া মুখে আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ ভেবে বলল, ‘ওখানে কি আমরা যেতে পারব, আম্মু?’ মীরা নিচু হয়ে লামিয়ার গালে চুমু খেয়ে বলল, ‘নিশ্চয়ই যেতে পারব, মা। যখন তুমি অনেক বড় হবে, তোমার যখন দুটো পাখা হবে, তখন তুমি উড়ে উড়ে ওই মেঘের ওপর বাড়িটাতে উড়ে চলে যেতে পারবে!’ ‘তখন ওটা আমাদের বাড়ি হবে?’ ‘হ্যাঁ, আম্মু! আমাদের মেঘবাড়ি!’ প্রতিটি মানুষই শৈশবে অযুত নিযুত স্বপ্ন নিয়ে জীবন শুরু করে। মীরাও করেছিল। শ্যামাঙ্গী, নতমুখী, শান্ত মেয়ে মীরা। ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান মীরা। জীবনের কাছে, বাস্তবতার কাছে পরাজিত মীরা। জীবন মীরার প্রতি সুবিচার করেনি। এ নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার মতো, নিজের অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য লড়াই করার শক্তিও তার নেই। তবে জীবনের এক পর্যায়ে এসে নিজের সন্তানের সামনে দাঁড়িয়ে মীরা ভাবে: সে কি তার সন্তানের সামনে মুখ বুজে অন্যায় মেনে নেওয়ার, সহ্য করে যাওয়ার উদাহরণ তৈরি করে রেখে যাচ্ছে না? সব মানুষই গোপনে এমন একটা আকাশ খুঁজে বেড়ায়, যেখানে তার স্বপ্নগুলো ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারে! যারা খুঁজে পায়...তারা ভাগ্যবান... ...আর যারা পায় না, তাদের মতো দুর্ভাগা আর নেই। ‘আমাদের মেঘবাড়ি’ আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প। নিজেকে হারিয়ে আবার খুঁজে পাওয়ার গল্প। হার না মেনে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, উঠে দাঁড়ানোর গল্প। সাধারণ কারো অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প। এই গল্প একই সাথে ভালোবেসে দূরে যাওয়ার আর ফিরে আসার, এই গল্প হেরে গিয়ে জিতে যাওয়ার, সব স্বপ্ন ভেঙে-চুরে চুরমার হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে জোড়া দেওয়ার।
একটি পুরোনো কোদাল . . . একটি প্রাচীন কয়েন . . . একটি কালো পাথর . . . কী সম্পর্ক এদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খান মুহাম্মদ ফারাবির? মহাবীর আলেকজান্ডার, মুহাম্মদ বিন কাসেম, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি-ইতিহাস প্রসিদ্ধ বড় বড় নাম। এসব প্রসিদ্ধ বিজেতাদের দেশজয়ের পেছনের কারণ কি শুধুই তাদের শৌর্যবীর্য? একটি কালো পাথরের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে কেন আমেরিকাফেরত বিদুষী যুবতী লিয়া? উদ্ভট সব হ্যালুসিনেশন হচ্ছে কেন খান মুহাম্মদ ফারাবির? কেনই বা তিনি যা দেখছেন, তাই হয়ে উঠছে ভবিতব্য? এসব প্রশ্নের উত্তর কি লুকিয়ে আছে কোনো প্রাচীন ইতিহাসের পাতায়? উত্তর জানার নেশায় শেষতক না জানটাই না খুইয়ে বসতে হয় ফারাবিকে!
নির্মোক শব্দের অর্থ 'খোলস'। এই সমাজের অনেকেই খোলসের অন্তরালে আড়াল করে রাখে নিজের প্রকৃত স্বরূপকে। মুখোশধারী এই পৃথিবীতে আমরা সবাই ছদ্মবেশী। সংসার, সমাজ, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে, বন্ধুর এই পৃথিবীতে পথ চলতে গিয়ে নিয়ত আমাদের খোলস পরিবর্তন। বিষকাঁটা: হাজার বছরের পুরোনো এক গল্প, যার নাম সংসার। যুগ যুগান্তরের সময় ছুটছে দ্রুত-বর্ধমানশীল দ্রুততায়; আর যুগল ঘরটির প্রাসঙ্গিকতা স্থির, মানুষের চিরন্তনের আশ্রয়, অবকাশের নীড়। নীড়ে গল্পই 'বিষকাঁটা' করেছে, চিরন্তনী প্রেমকে, প্রেমের অভিমানকে, ভাঙনের দুঃখ ও বিচ্ছেদের কারণকে দেখিয়েছে বর্তমান অস্থির-ব্যস্ত-দ্রুত সময়ের ফ্রেমে বেঁধে। অদ্ভুত আঁধার এক: এই মহানগরীর সারি সারি অট্টালিকার মধ্যে একটি বহুতল ভবনের ছয়তলায় আচমকা একদিন পাওয়া যায় এক তরুণীর মৃতদেহ। কী তার পরিচয়? তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয় কতজনের মুখোশ, বেরিয়ে আসে কত অজানা সত্য। এই নাগরিক সভ্যতার ইটে ইটে কত পাপ...কত অন্ধকার লুকিয়ে আছে! লোভ আর উচ্চাশা বরাবরই মানুষকে ধ্বংস করে দেয় জেনেও মানুষ কেন পা বাড়ায় আদিম অন্ধকারের পথে, ওপরে ওঠার সহজ পথ খুঁজে পাওয়ার মারণ নেশায়?
এক ধনীর পুত্র ও তার পিতার ভৃত্যের ছেলের অবিস্মরণীয় বন্ধুত্বের গল্প দ্য কাইট রানার, যে গল্পের পটভূমি এমন এক দেশ যা ধ্বংস হতে বসেছে! গল্পটি পঠনের শক্তির, বিশ্বাসঘাতকতার মূল্যের, পরিত্রাণের সম্ভাবনার। সেই সঙ্গে দ্য কাইট রানার আলোকপাত করে পুত্রের ওপর পিতার প্রভাবের ব্যাপারেও: তাদের ভালোবাসার, তাদের মিথ্যা-কথনের, তাদের বলীর। আফগানিস্তানের বিগত তিরিশ বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে খালেদ হোসাইনি এঁকেছেন পরিবার, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের এক অবিস্মরণীয় চিত্র। টানা দুটো বছর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার লিস্টে থাকা বইটি শুধুমাত্র আমেরিকাতেই বিক্রি হয়েছে সাত মিলিয়ন কপির চাইতে বেশি। পাঠক ও সমালোচক, সবার কাছে সমাদৃত বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছেও ভালো লাগবে।
দ্য সিক্রেট অ্যাডভার্সারি টমি আর টাপেন্স, যুবক আর যুবতী, পয়সাকড়িতে টান পড়ায় সিদ্ধান্ত নিলো: ব্যাবসায় নামবে। তবে সেই ব্যাবসা যে খুবই বিপজ্জনক তা প্রতিষ্ঠানের নাম থেকেই বোঝা যায়: ইয়াং অ্যাডভেঞ্চারার্স লিমিটেড। কাজের খোঁজে দেওয়া বিজ্ঞাপনে ওরা বলেছে: যাবে যে কোনোখানে, করবে যেকোনো কাজ। কিন্তু প্রথমেই যে রহস্যময় মি. হুইটিংটনের খপ্পরে পড়ে জানটা খোয়াবার উপক্রম হবে, তা কি কখনও কল্পনাও করেছিল? দ্য ম্যান ইন দ্য ব্রাউন স্যুট সুন্দরী, যুবতী অ্যান বেডিংফিল্ড লন্ডনে এসেছে উত্তেজনার খোঁজে। কিন্তু উত্তেজনাই যে ওকে খুঁজে নেবে, তা তো ওর জানা ছিল না! অদ্ভুত-দর্শন আর একই রকম অদ্ভুত গন্ধধারী এক লোক ভূগর্ভস্থ প্লাটফর্মে পড়ে, রেল লাইনের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা পড়ে। পুলিসের ফয়সালা: দুর্ঘটনাক্রমে মৃত্যু। কিন্তু লাশটাকে পরখ করে পালিয়ে যাওয়া বাদামি স্যুট পরা লোকটার ব্যাখ্যা কী দেবে তারা? মাত্র একটা দুর্বোধ্য সূত্র হাতে নিয়ে খুনির পেছনে লাগল অ্যান; জান গেলে যাক, কিন্তু অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি সে করাবেই! দ্য সিক্রেট অভ চিমনিস ইংল্যান্ডের এক গ্রাম্য বাড়িতে একটা পার্সেলই তো দিতে হবে, এ আর এমন কী? এই ভেবেই কাজটা হাতে নিয়েছিল অ্যান্থনি কেড। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপের বেরিয়ে আসা যে অবশ্যম্ভাবী, তা কে না জানে? বন্ধুর হয়ে এই একটা কাজ করতে গিয়ে নিজেকে সে আবিষ্কার করল আন্তর্জাতিক এক ষড়যন্ত্রের ঠিক মধ্যখানে। অনেক দূরের দেশ, হার্জোস্লোভাকিয়ায় নতুন করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে থামবে না সেই ষড়যন্ত্রকারী। হাতে হাত মেলাল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আর ফরাসি সুরেত। কিন্তু তারপরেও সুরাহা হলো কই? অবশেষে, চিমনিস-এ, মানে গ্রাম্য সেই বাড়িতে ঘটা হত্যাকাণ্ডের ফলে পর্দা উঠল অভাবনীয় এক রহস্যের ওপর থেকে।
মর্গ উপন্যাসের একটি চরিত্র। বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া মৃত্যুর ঘটনা কখনও ব্যক্তিগত শোককে ছাড়িয়ে রাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা চিহ্ন হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। মৃত্যুর পরে মর্গই তো সেই জায়গা যেখানে শব হয়ে ঢুকতে হয়, যখন মৃত্যু আর স্বাভাবিক মৃত্যু থাকে না। আইনের নিয়মে এখানে শব-ব্যবচ্ছেদ সম্পন্ন হয়, কিন্তু মেটে না জীবনের মূল্য। এই উপন্যাসের একদল ছেলেমেয়ে মর্গের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে নিজেদের বয়স্ক হতে দেখেছে। অভিজ্ঞ হয়েছে। নানা ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেখেছে কতভাবে সংঘটিত হয় মৃত্যুর মতো বেদনাবহ ঘটনা। কখনও ব্যক্তিগত শোক মর্গের ছোট ঘরটিকে বদলে দিয়েছে। কখনও পরিবারের প্রবল ব্যবচ্ছেদের পর বেওয়ারিশ হয়ে গেছে লাশ। ছেলেমেয়েরা বদলে দিচ্ছে রাষ্ট্রের সংজ্ঞা। বলছে, রাষ্ট্র নিজেই বেওয়ারিশ লাশ বহনকারী আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের গাড়ি। এতকিছুর ভেতর ছেলেমেয়েরা বেঁচে থাকার অর্থ খোঁজে। ওরা জীবনকে সহজ করে নেয়, বিচিত্র অভিজ্ঞতার তিক্ততা ওদেরকে দমাতে পারে না। এই উপন্যাসের চরিত্ররা ছোট ছোট চাওয়া-পাওয়ার ভেতরে দিন যাপন করে। বড় কিছু করার সাধ্য ওদের নেই। তেমন কিছু করার চিন্তাও ওদের নেই। ওরা ব্যক্তিগত জীবন-যাপনের মাধ্যমে শুধু দু'পা ফেলার মতো পরিসর দেখতে পায়। সেই ছোট পরিসরকে অর্থবহ করার জন্য জীবন ও মৃত্যুকে সমান্তরালে রাখে।
দ্য অ্যালকেমিস্ট - জাদু আর জ্ঞানের পূর্ণ এক এ্যাডভেঞ্চার, মানুষের পরিপূর্ণতা পথে যাত্রার কাহিনি: দ্য অ্যালকেমিস্ট’ বইটির লেখকের কথাঃ পাওলো কোয়েলহো ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট ব্রাজিলে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক এবং গীতিকার। কোয়েলহো পড়াশোনা শেষ না করেই ১৯৭০ সালে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। মেক্সিকো, পেরু, বলিভিয়া, চিলি সহ ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়ান। তারপরই শুরু করেন লেখালেখি। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ এ পর্যন্ত ৮০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং ১৫০ মিলিয়ন কপির অধিক বিক্রি হয়েছে। দ্য অ্যালকেমিস্ট’ এমন এক জাদুকরী বই যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। কোয়েলহোর লেখা কাব্যমণ্ডিত এবং বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এ পর্যন্ত বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। পাওলো কোয়েলহোর লেখার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো তাঁর লেখা পড়ে গণমানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা খুঁজে পায় । প্রচ্ছদ :: অমর্ত্য আতিক । অনুবাদকের পরিচিতিঃ রাকিবুল রকি ১৯৮৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। আ. আউয়াল এবং রানু বেগমের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। পড়াশোনা করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। স্কুলে পড়াকালীন সময় লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে সমান পদচারণা। ইদানীং অনুবাদ সাহিত্যেও তার উপস্থিতি লক্ষণীয়। এই লেখকের অন্যান্য অনুদিত গ্রন্থগুলো হলো ‘কাজুও ইশিগুরোর গল্প’ এবং ‘দি পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড। ফটোক্রেডিট :: মারজান আক্তার
কন্ট্রাক্ট - বেগ-বাস্টার্ড সিরিজ - ২: “কন্ট্রাক্ট” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর জন্ম ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। সাড়া জাগানো উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড, লস্ট সিম্বল, গডফাদার, বর্ন আইডেন্টিটি, বর্ন আলটিমেটাম, দ্য ডে অব দি জ্যাকেল, দ্য লাইসেন্স অব দি পয়েন্ট, আইকন, মোনালিসা,পেলিকান বৃফ, এ্যাবসলিউট পাওয়ার , ওডেসা ফাইল, ডগস অব ওয়ার, অ্যাডভেঞ্জার, দান্তে ক্লাব, দ্য কনফেসর ,স্লামডগমিলিয়নেয়ার, দ্য কনফেফক্স এবং দ্য এইটসহ বেশে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন তিনি। পাঁচ লক্ষ টাকা দামের একটি টেলিফোন কল! কোটি টাকার ষড়যন্ত্র। পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে ফিরে আসতে হলো দেশে; একটি লাইফটাইম, কন্ট্রাক্ট। আত্মবিশ্বাসী বাস্টার্ড তার মিশনে নেমে পড়তেই সব কিছু জট পাকাতে শুরু করে। বিশাল এক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যায় সে। এ দিকে দৃশ্যপটে আর্বিভূত হয় হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। তাদের দু’জনের লক্ষ্য একেবারেই ভিন্ন। ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্র-রাজনীতি আর অন্ধকার জগতের উপাখ্যান। নেমেসিস-এর পর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আরেকটি রেসিংকার গাতির অনবদ্য থৃলার। ইতিমধ্যেই পাঠক প্রশংসায় ধন্য এই উপন্যাসটি।
গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা শেষ হতে না হতেই বোস্টন শহরে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব হত্যাকাণ্ড-অভিনব আর বীভৎসভাবে হত্যা করা হয় শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে। ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে সবগুলো হত্যাকাণ্ডই মহাকবি দান্তের ইনফার্নো’র অনুপ্রেরণায় করা হয়েছে। মারাত্মক এক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় দান্তের সাহিত্যকর্ম। এ দিকে হারভার্ড কেন্দ্রিক দান্তে ক্লাবের কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং বিখ্যাত কবি লংফেলো এই রহস্যের জট খুলতে নেমে পড়েন এক অভিযানেÑকে খুন করছে, আর কেনই বা করছে, সেই প্রশ্নের জবাব পাবার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারা।
পরাজিত নাৎসিদের গোপন সংগঠন ওডেসার ক্ষমতাশালী কয়েকজন সদস্য বিদেশের মাটিতে বসে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু কাকতালীয়ভাবেই সেই ঘটনায় ঢুকে পড়ে ফৃল্যান্স সাংবাদিক পিটার মিলার। নিজের জীবন বিপন্ন করে ঢুকে পড়ে ওডেসার অভ্যন্তরে। নিতান্তই একটি এক্সক্লুসিভ রিপোটিংয়ের জন্যে মিলার এমনটি করছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওডেসার ভেতরে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো ঘটনা!
“নেমেসিস”বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে। সিটি হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বিস্ময়কর দ্রুততায় ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো লেখকের যুবতী স্ত্রীর ওপর। ওদিকে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে লেখকের আত্মজীবনী মেইল হয়ে গেলো অন্য একজনের কাছে। বেরিয়ে এলো নানান কাহিনী...তারপর ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারলো তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর অচিন্তনীয়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর আলোচিত এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
Lily hasn't always had it easy, but that's never stopped her from working hard for the life she wants. She's come a long way from the small town in Maine where she grew up - she graduated from college, moved to Boston, and started her own business. So when she feels a spark with a gorgeous neurosurgeon named Ryle Kincaid, everything in Lily's life suddenly seems almost too good to be true. Ryle is assertive, stubborn, and maybe even a little arrogant. He's also sensitive, brilliant, and has a total soft spot for Lily, but Ryle's complete aversion to relationships is disturbing. As questions about her new relationship overwhelm her, so do thoughts of Atlas Corrigan - her first love and a link to the past she left behind. He was her kindred spirit, her protector. When Atlas suddenly reappears, everything Lily has built with Ryle is threatened. With this bold and deeply personal novel, Colleen Hoover delivers a heart-wrenching story that breaks exciting new ground for her as a writer. It Ends With Us is an unforgettable tale of love that comes at the ultimate price. This book contains graphic scenes and very sensitive subject matter.
রিক রিওরড্যানের থার্টি নাইন ক্লুজ সিরিজের প্রথম বই এটি। পাজল আর ধাধার অসাধারণ একটি অ্যাডেভঞ্চার। শুধু শিশু-কিশোরদেরই নয়, বরং সব বয়সী পাঠকের এটি ভাল লাগবে।
যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল - সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন: মুহিব ভেবেছিলাে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। প্রেমিকা, পরিবার, বন্ধু এবং বান্ধবিদের নিয়ে উনিশ বছরের সুখি জীবন। প্রশাসনের দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যেও জীবনটা মানিয়ে নিতে শুরু করেছিলাে যখন, ক্যাম্পাসের একটি খুন পাল্টে দিলাে সবকিছু। পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলতেই যেন যােগ দিলেন একজন ক্যালটেক ফেরত শিক্ষক, ভদ্রলােকের বাম-হাতটা কনুইয়ের নিচ থেকে কাটা কেন? ছাত্রনেতারা রাজনীতির নামে কোন অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছে? এই কেসে কমিউনিস্ট পাটির আগ্রহটা ঠিক কোথায়? পুলিশ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কি? আন্দোলনরত শিক্ষার্থিদের ক্ষোভের উৎপত্তিস্থল কোনটি? মুহিব জানে সে আর পিছিয়ে আসতে পারবে না। পড়াশােনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে -আসা ছেলেমেয়েগুলাে কোন পরিস্থিতিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় টের পেলাে হাড়ে হাড়ে। যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন। কৌতুহলের কাছে সতকর্তার হার মেনে যাওয়া মানব-চরিত্রের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এ এক হার মেনে নেওয়া উপাখ্যান। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সাধারণদের না পেরে ওঠার গল্প। তারুণ্যের শক্তি-আদর্শের লড়াই আর মতবাদের সংঘর্ষ। অধিকার আদায়ে বেপরােয়া চিরায়ত বাঙালি ছাত্রদের স্তবগান। সাধারণ এক ছাত্রের জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঁধারস্পর্শে ধীরে ধীরে পাল্টে যাওয়ার উপাখ্যান। এক মিথস্ক্রিয়ার পর মৃগতৃষায় যে কিশাের পাশা ইমনকে পেয়েছিল পাঠক, এবারও তাকে পাবে বৃহৎ কলেবরের যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল উপন্যাসে।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় একবার রোকেয়া হলের এক সিনিয়র আপুর প্রেমে পড়লাম। ঢাবির প্রত্যেক সেশনেই দুই-একজন ‘ক্যাম্পাস কাঁপানো সুন্দরী’ থাকে – এই আপু সেইরকমই একজন ‘ক্যাম্পাস কাঁপানো সুন্দরী’ (ক্যাকাসু) ছিলেন। অসাধারণ গান গাইতেন – রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। সে আমলেও রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পীরাও বেশ আলগা ভাব নিতে পারতেন – উনিও নিতেন। আমি তখন সেকেন্ড কি থার্ড ইয়ারে পরি- ক্যাকাসু পরেন মাস্টার্সে। আমরা ছিলাম ‘টঙমেট’ অর্থাৎ দু’জনেই একি টঙ্গে আড্ডা দিতাম। তবে উনি উনার সার্কেল নিয়ে আড্ডা দিতেন, আর আমি আড্ডা দিতাম আমার সার্কেল নিয়ে। ধীরে ধীরে তার সাথে একটি মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমার, যদিও সেই সম্পর্ককে প্রেম বলা যাবে কিনা আমি জানি না। একজন ক্যাকাসু সেই মধুর সম্পর্কেরই গল্প। নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে যারা ইউনিভার্সিটি জীবন কাটিয়েছে, এই উপন্যাস তাদের জন্য।
Chetan Bhagat is the author of four bestselling novels - Five Point Someone (2004), One Night the Call Center (2005), The 3 Mistakes of My Life (2008) and 2 States: The Story of My Marriage (2009). Chetan's books have remained bestsellers since their release, and have been adapted into major Bollywood films. The New York Times called him the 'the biggest selling English language novelist in India's history.’ Time magazine named him as one amongst the ‘100 Most Influential People in the world' and Fast Company, USA, listed him as one of the world's 100 most creative people in business.' Chetan writes for leading English and Hindi newspapers, focusing on youth and national development issues. He is also a motivational speaker.
নেহাত কথার প্রসঙ্গ ধরে ব্যক্তিগত আলাপের যে গল্প, সেই গল্পের হাত ধরেই একদিন শিহাব সিদ্ধান্ত নেয়, হাসানকে সে আত্মহত্যা করতে বলবে। তারপর দিনের পর দিন হাসানের সাথে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা কম হয়নি। এমতাবস্থায় একদিন এক সমঝোতা হয় তাদের ভেতরে। হাসান সম্মতি জানিয়ে বলে, চলে যাবার আগে পৃথিবী বরাবর কিছু লিখে যেতে চায়। সেই চিঠি শেষ করে হাসান আত্মহত্যা করবার জন্য দড়ি কিনতে ঘর থেকে বের হয়। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় সে ফেরে একটা অ্যাকুরিয়াম নিয়ে। সে আত্মহত্যা করবে না।