দুষ্প্রাপ্য এক কালো চিতা আঁধার রাতে বতসোয়ানার বিপদসংকুল কালাহারি মরুভূমি ধরে নিঃশব্দে ছুটছে। টোপ বানানো হয়েছে পরমাসুন্দরী জুলজিস্ট ডোরা ডারবিকে। ফাঁদে আটকা পড়েছে মাসুদ রানা, এখন ওকে মোগলদের সঙ্গে খানা খেতে হবে। টেরোরিস্টদের গ্রুপটাও ছুটে এল, রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে হলেও সফল করবে নিজেদের ষড়যন্ত্র । ‘তোমাকে ভালবাসি, তাই তোমার বিপদ শুনে স্থির থাকতে পারিনি, রানাকে শুধু এই কথাটি বলার জন্যে ছুটে এল মিষ্টি কোমল মেয়ে ইভা পুনম, কিন্তু না এলেই ভাল হােত। সন্ত্রাসী ডেকা বারগাম এবার অগ্নিমূর্তি ধারণ করে নিজেই হাজির হলো রণক্ষেত্রে। ফুয়েল নেই, রসদ নেই, সঙ্গীরাও হারিয়ে গেছে-কোণঠাসা রানা আঁধার দেখছে চোখে।
খুন হয়ে গেলেন জেনেটিক্স বিজ্ঞানী আহসান মোবারক। এবার খুন হবে তার মেয়ে মোনা? বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বিজ্ঞানীর বাড়ি। ইউএন অফিসে কে বা কারা দিল ভাইরাস মাখা চিঠি? এ কোন কাল্ট, লড়ছে ধর্মের বিরুদ্ধে? দুবাইয়ের বুর্জ আল আরব হোটেলের বলরুমে রানার সঙ্গে বেধে গেল মরণপণ লড়াই! সত্যিই কি অমৃত তৈরি করছিল বাপ-বেটিতে মিলে? মস্ত ঝুঁকি নিয়ে খুঁজতে গেল ও উত্তপ্ত মরুভূমিতে।…তারপর? মোনাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইরানের পরিত্যক্ত এক দ্বীপে রানা দেখা পেল ভয়ঙ্কর এক শত্রুর! কণ্ঠে অকৃত্রিম ঘৃণা নিয়ে সে বলল: এবার পারলে বাঁচতে চেষ্টা করো দেখি, বাঙালি গুপ্তচর! বুঝাল রানা, সত্যিই আজ বেজে গেছে ওর মৃত্যুঘণ্টা!
আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙগবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
সমস্যার যেন শেষ নেই, মস্ত বিপদের মোকাবিলা করছে রানা। …মরুভূমির ভিতর ডেভিলস্ ওয়েসিস কারাগার থেকে মুক্ত করতে 24. হবে প্রতিভাবান বাঙালি বিজ্ঞানী আসিফ হায়দার চৌধুরিকে। একের পর এক বাধার মুখে পড়ে রানার মনে হলো এবার হার মানতেই হবে বুঝি। কারাগারের ভিতর ঢোকা যত সোজা, তার চেয়ে এক শ’ গুণ কঠিন বেরিয়ে আসা। আসলে, বিজ্ঞানী আছেনই বা কারাগারের ঠিক কোন্ জায়গাটাতে? ওদিকে উন্মুক্ত হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক খ্যাপা বিজ্ঞানীর নিষ্ঠুর পরিকল্পনা। অয়েল রিগ দখল করে লক্ষ লক্ষ টন ক্রুড অয়েল ফেলবে সে সাগরে… তৈরি করবে প্রচণ্ড শক্তিশালী এক ঝড়। ধ্বংস করে দেবে সে গোটা একটা শহর। প্রায় অসম্ভব তাকে রোখা। লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে চাইলে থামাতে হবে ভয়ঙ্কর ওই ঝড়। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? এদিকে হাতে যে ফুরিয়ে আসছে সময়! সাগরের মাঝে পুরনো এক সুপারট্যাঙ্কারে কপ্টার থেকে নেমে পড়ল রানা, ঝড়ের ভিতর মুখোমুখি হলো সেই উন্মাদ বিজ্ঞানীর। কী হলো তারপর? …আর সোয়া শ’ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সেই হীরাগুলো?
এযেন অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা! গ্রিক পন্ডিত আর্কিমিডিসের তৈরি করা যে- ধাঁধা দুহাজার বছরেও ভেদ করতে পারেনি কেউ, সেটাই সমাধান করতে চাইছে রানা মাত্র চার দিনে! নইলে খুন করা হবে পিতৃসম অ্যাডমিরাল হ্যামিল্টনকে। পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে ও দু’দুটো মহাদেশ। পাঠক, চলুন ওর সঙ্গে ঘোড়া ছোটাই ইংল্যান্ডের প্রান্তরে; চুরি করি গ্রিসের জাতীয় জাদুঘরের অমূল্য সম্পদ; ২০০ মাইল বেগে গাড়ি চালাই জার্মানির ফ্রী ওয়েতে; অথবা হারিয়ে যাই ইটালির ভূগর্ভস্থ প্রাচীন সুড়ঙ্গে, কিংবা আমেরিকার রাস্তায় জড়িয়ে পড়ি মরণপণ সংঘর্ষে। নিষ্ঠুর দুই শত্রু পিছু নেবে আপনার। সমস্ত বাধা-বিপত্তি ঠেলে ওর সঙ্গে এক সময় ঠিকই পৌছাবেন রাজা মাইডাসের সেই সোনার সমাধিতে। লোভ হচ্ছে? তাহলে চলুন রওনা হই!
গড় অঙ্কের গরমিলে’ মাসুমা মায়মুরের দ্বিতীয় গল্প-সঙ্কলন। বিভিন্ন সময় রহস্যপত্রিকায় প্রকাশিত গল্পের বাইরেও ‘যুগে যুগে হৈমন্তী’ ও ‘গড় অঙ্কের গরমিলে’ নামে আরও দুটি গল্প সহ মোট সাতটি গল্প ঠাই পেয়েছে এই সঙ্কলনে। গল্পগুলোতে রয়েছে সামাজিক অবক্ষয়, নারী অধিকারের কথা, আছে স্বার্থের জন্য নিজ রক্তকেও উপেক্ষা করার করুণ কাহিনী। আশা করি গল্পগুলো পাঠকদের ভাল লাগবে।
ওখানে কে? অনীশ দাস অপুর হরর কাহিনী আপনি পছন্দ করেন। কারণ, তাঁর প্রতিটি গল্পে থাকে চমক-শিহরন-রোমাঞ্চ। আপনি জানেন, অনীশ দাস অপুর হরর কাহিনী নিয়ে বসা মানে দু’ থেকে আড়াই ঘণ্টা উত্তেজনা ও আতঙ্কের রাজ্যে পরিভ্রমণ। চলুন, লেখকের সঙ্গে ভয়ের জগতে ঘুরে আসি একপাক। পিশাচী পিশাচী কেন পড়বেন? কারণ আপনি ভয় পেতে পছন্দ করেন এবং জানেন পিশাচী আপনাকে ভয় ও আতঙ্কের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাবে, যেখান থেকে হয়তো ফিরে আসতে চাইবেন না। চলুন, দেখি, সম্পাদক এবার আপনার জন্য কেমন ভয়ের ডালি সাজিয়েছেন!
অপারেশন বসনিয়া বসনিয়া বাহিনীর এক বিশ্বাসঘাতক কর্নেল হাত মিলিয়েছে সার্বদের সাথে, দখল করে নিয়েছে মুসলিম বাহিনীর মূল অস্ত্র-ঘাটি-বসনিয়ার মানচিত্র বদলে দিতে চায় ওরা। মানবিক সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে ছুটল মাসুদ রানা। ওর সাথে যোগ দিল গগল ও বুরুজ আলি। টার্গেট বাংলাদেশ পাগলা কুকুর বললেই হয়, মিডিয়া সম্রাট ম্যাডক ফাউলার আগামীকালের খবর আজকের বলে চালাবার অপতৎপরতায় মেতে উঠেছেন। সঙ্গে আছে কবির চৌধুরীর ছেলে টেকনো-টেরোরিস্ট খায়রুল কবির আর জার্মান কিলিং মেশিন ডিক মেনাচেম।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
ছ’টা কাঠবিড়ালি… গ্রাফিতির মতো, বড়সড় এক রক্তলাল পে্টাকল… একটা হাইপোডার্মিক সিরিঞ্জ… ওল্টানো ক্রুশ… গুলি ভরা পিস্তল… মৃত এক তরুণীকে ঘিরে জনা কয়েক আলখেল্লাধারী… জানেন, কী অর্থ এসবের? জবাবটা জানা আছে বলেই রুখে দাঁড়াল তাহিতি অন্য ভুবনের প্রতিনিধি ওই আত্মা মাদকের বিরুদ্ধে, সঙ্গী হলো টনি ডায়েস আর পিটার পারকার। কিন্তু মিস গ্রেভ? একাকী ও মোকাবেলা করবে কী করে অপার্থিব আতঙ্কটার?
দু’ডজন প্রকাশিত অপ্রকাশিত অতিপ্রাকৃত কাহিনী নিয়ে আমাদের এবারের নৈবেদ্য-শব্যাত্রা। সুলেখিকা নাশমান শরীফ আবারও আপনার সামনে উন্মোচন করছেন রোমাঞ্চ, শিহরন, অলৌকিক আর ভয়াল জগতের দুয়ার। সাবধান, পাঠক, এ জগতে ঢোকা সহজ, কিন্তু বেরনো কঠিন। আপনাকে স্বাগতম। আপনি তৈরি তো?
অদৃশ্য মানব হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হলো অদ্ভুতদর্শন রহস্যময় এক অতিথি, সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। রাত নামার সাথে সাথে ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ, কে এই আগম্ভক? দ্য ফিফ্থ কলাম ফিলিপ, প্রেস্টন আর ডরোথি। এই তিনজনকে নিয়েই গল্পটা। স্পেন আর জার্মানির মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। ফিলিপ কমিউনিস্টদের পক্ষে, প্রেসটন ফ্যাসিস্টদের। প্রেসটন ডরোথিকে দখল করে নিতে চায়। কিন্তু ডরোথি ভালবাসে ফিলিপকে। এই বিরোধ ও প্রেমের পরিণতি কী? জঙ্গলে অমঙ্গল এটি বিশ্ববিখ্যাত শিকারী কেনেথ এন্ডারসনের চারটি রোমাঞ্চকর কাহিনির সঙ্কলন। এতে রয়েছে: দিগুভামুট্টার গুপ্তঘাতক, অরণ্যের দিন-রাত্রি, বেলান্দারের বিভীষিকা ও জঙ্গলে অমঙ্গল। পাঠক, অরণ্যচারী এন্ডারসনের অনবদ্য অভিজ্ঞতার কাহিনিগুলো আপনাকে নিঃসন্দেহে মুগ্ধ ও শিহরিত করবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জার্মান বাহিনী মেতে উঠেছে লুণ্ঠন, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে ইয়োরোপ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শরণার্থীরা। কিন্তু পালাবার বেশিরভাগ পথই রুদ্ধ; যদিও বা কোনও রাস্তা মেলে, তার মূল্য চড়া। এমনই এক অবস্থায়, পর্তুগালের লিসবনে, অসহায় এক শরণার্থী সামনে হঠাৎ উদয় হলো এক আগন্তুক আমেরিকায় যাবার টিকেট আর একটা গল্প নিয়ে। গল্পটা সাহসিকতা ও নৃশংসতার… প্রেম ও বেদনার। রাতভর চলতে থাকা সেই গল্পে ফুটে উঠবে যুদ্ধের ভয়াবহতা, ত্যাগের মহিমা আর অদম্য সংগ্রামের এক অসামান্য প্রতিচ্ছবি। পাঠক, চলুন না, আমরাও শুনি সেই গল্প।
এ-কাহিনীর নায়ক সার অলিভার ট্রেসিলিয়ান… টগবগে তরুণ, বীর নাইট, অভিজাত এক পরিবারের শেষ সন্তান। সৎ ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে সবকিছু হারাল ও। অভিযুক্ত হলো মিথ্যা খুনের দায়ে, ভুল বুঝে দূরে সরে গেল তার প্রেমিকা, হলো অপহৃত, কপালে জুটল ক্রীতদাসের মানবেতর জীবন । তারপর?সময়ের পরিক্রমায় এবং নিয়তির অমোঘ লিখনে সে-ই পরিণত হলো ভয়ঙ্কর এক জলদস্যু… সি-হক, মানে সাগরের বাজপাখিতে- যার নাম শুনে কেঁপে ওঠে সাত সমুদ্র আর তেরো নদীর মানুষ। শুরু হলো প্রতিশোধের পালা । রাফায়েল সাবাতিনি -র সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস। প্রেম, প্রতিহিংসা আর সংগ্রামের এক অতুলনীয় উপাখ্যান । মুগ্ধতার শতভাগ নিশ্চয়তা।
পনেরো শতকের জেনোয়া। ক্ষমতা দখলের আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে সেখানে। অস্থির রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের বলি হলো প্রসপেরোর বাবা অ্যাণ্টোনিওট্টো। এজন্য দায়ী অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডোরিয়া। পিতৃহত্যার প্রতিশোধের শপথ নিল পুত্র… এদিকে স্প্যানিশ সম্রাটের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর কমাণ্ডার দ্রাগুত রেইজ। ডোরিয়ার উপরে দায়িত্ব: যে-কোনও মূল্যে দমন করতে হবে দ্রাগুতকে। পাকেচক্রে প্রেমিকা জিয়ান্না সহ দ্রাগুতের হাতে বন্দি হলো প্রসপেরো। এ অবস্থায় পারবে কি সে শপথ রক্ষা করতে?
কালো পর্দার অন্তরালে কিশোর, রবিন আর মুসা স্কুলের ছুটিতে চলেছে সুদূর কেনিয়ায়। জানে না একের পর এক বিপদ অপেক্ষা করছে ওখানে ওদের জন্য। শুরুতেই ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরা হলো ওদের, রওনা হওয়ার আগেই। তারপর? বিমান দুর্ঘটনা—কুমিরের আক্রমণ, খুনীর হামলা…পিছু হটল না তিন গোয়েন্দা। কীভাবে সমস্ত রহস্য ভেদ করবে ওরা? কীভাবে ঠেকাবে অন্যায় পশুহত্যা? ভয়াল শহর ছুটি কাটাতে বেরিয়েছিল ওরা। রুক্ষ উষর অঞ্চলে ঢুকে খারাপ হয়ে গেল গাড়ি। অবাক হয়ে গেল কিশোর ও মুসা। যার কাছেই যায়, এক কথা: বেরিয়ে যাও এখান থেকে! বোকার মত চ্যালেঞ্জ করে বসল ওরা মহাপরাক্রমশালী, খুনী, ভয়ঙ্কর শত্রুকে। সুমেরুর আতঙ্ক গোরস্থানের পাশে কুয়াশা ঘেরা প্রাচীন এক বাড়ি। সেখানে বাস করে বিচিত্র এক পরিবার। ঘটনাচক্রে, সায়েন্স প্রজেক্টের কাজে ও বাড়িতে যেতে হলো রবিনকে। ঘুণাক্ষরেও জানে না, ওকে ঘিরে বোনা হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্রের জাল!
বদলা ভাইয়ের খুনীকে খুঁজতে ম্যাড রিভার কান্ট্রি এসেছে বার্ট। এখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল সে কেন্ট ব্রাইসনের সঙ্গে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ডেনিস মাইকেল, চাকরি দিল নিজের র্যাঞ্চে। কিন্তু ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে জানানো হলো ওকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেপথ্য থেকে কে চালছে দাবার খুঁটি? কী স্বার্থ তার? বিল হিকক বু হিল র্যাঞ্চে হচ্ছেটা কী? রহস্যময় সব লোক বাথানের ক্রু। কী চায় সে? কেউ জানে না। কেউ কখনও তাকে কাছ থেকে দেখেওনি। যার যার প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সবাই। সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বু হিল বাথানের সীমানার কাছে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায় রহস্যময় আরেক চরিত্র-ব্লাক রাইডার। ক্রমে জমে উঠল নাটক। একে একে সবার মুখোশ উন্মোচিত হলো। ভাল-মন্দের বিচার করার এখন সময় নেই, বু হিল বাথান, আর সবকিছুর নিয়ামক হয়ে দাঁড়াল কিংবদন্তী একটা নাম-বিল হিকক। রক্ত পিশাচ সামান্থা রিভার্সের বিয়ের দিনই খুন হয়ে গেল বুড়ো সাধক জেড পারভিট। খুনী সন্দেহে বিনা বিচারে ওরা ফাঁসিতে ঝোলাল দুজন আগন্তুককে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হলো না সামান্থার । একদিন ভাই আর বোন জামাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হাজির হলো সুদর্শন ওয়েন রে। রেঞ্জওয়ার দানা বেঁধে উঠছে। বোঝা যাচ্ছে না কে খুনী। খুন হয়ে গেল সামান্থার বাবা। কে যেন ওয়েন রোকে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে। শক্ত লোক ওয়েন। জমে উঠল নাটক ।