জীবন বদলে দেওয়া এক অমূল্য বই হ্যাল এলরডের দ্য মিরাকল মর্নিং। প্রকৃতপক্ষে এটা শুধু একটি বই নয়; এটা জীবনযাপনের এক নতুন পদ্ধতি- একটি অভ্যাস গঠন প্রক্রিয়া যা জীবনকে গড়ে দেয় নতুন আঙ্গিকে। বইটি যেন একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন। জীবনে এই বইটির সংস্পর্শে আসা মানে যে-কোনাে মাত্রায় জীবনকে বদলে ফেলা, জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারা।
আমেরিকা কারো কাছে স্বপ্নপুরী। কারো কাছে দূঃস্বপ্ন। এই দুইয়ের মধ্যে অপসৃয়মান একটি হালকা ব্যবধান-রেখা হয়ত আছে, কিন্তু সে রেখা অনায়সে বদলে যায়, যেতে পারে। আদনান সৈয়দের “আমেরিকানামা”-য় সেই স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের আমেরিকাই ধরা পড়েছে স্বপ্নতাড়িত একদল মানুষের নিকট অভিজ্ঞতার আয়নায়। এই গ্রন্থে সংকলিত প্রতিটি কাহিনী আদনানের কাছ থেকে দেখা ও শোনা। এখানে তিনি একাধারে সাংবাদিক ও শিল্পী। তথ্য সংকলিত করেছেন সাংবাদিকের অভিনিবেশ ও নিবিষ্টতায়। কিন্তু সে কাহিনী গেঁথেছেন প্রকৃত শিল্পীর সহমর্মিতায়। ফলে এই গ্রন্থ হয়ে উঠেছে যথার্থ সাহিত্যে।
জানা-অজানা রবার্ট ক্লাইভ ১ : ছেলেবেলা ২ : ক্ষুদে মাস্তান রবার্ট ক্লাইভ ৩ : ভাগ্য পরীক্ষার জন্য ভারত যাত্রা ৪ : ক্লাইভের দ্বিতীয় জীবন ৫ : ফোর্ট সেইন্ট জর্জ দখল ৬ : ক্লাইভের নতুন জীবন ৭ : ক্ষমতার জন্য স্বপ্ন দেখা ৮ : ক্লাইভের প্রথম যুদ্ধ ৯ : ক্লাইভের প্রেম ও বিয়ে ১০ : ক্ষমতার লড়াই ১১ : ক্লাইভের নেতৃত্ব ১২ : পলাশীর ষড়যন্ত্র ১৩ : প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ১৪ : ক্লাইভের পলাশী বিজয় ১৫ : কিং মেকার ক্লাইভ ১৬ : বাংলা গভর্নর ক্লাইভ ১৭ : লর্ড ক্লাইভ ১৮ : ধূর্ত ক্লাইভ ১৯ : কাঠগড়ায় রবার্ট ক্লাইভ ২০ : ক্লাইভ-এর মৃত্যু ২১ : ক্লাইভের শত্রু-মিত্র এক নজরে রবার্ট ক্লাইভ
শিক্ষা এবং সাহিত্য আধার আধেয় উভয় বৈশিষ্ট্যেই স্বতন্ত্র। শিক্ষা বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষা প্রসঙ্গে মনীষীদের ভাবনাসহ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্ভাব্য সকল দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষিত হয়েছে এ গ্রন্থের 'শিক্ষা অংশে। ইংরেজি শিক্ষায় বিদ্যাসাগরের ইতিবাচক দিক, ইংরেজি শিক্ষাদানে রবীন্দ্রনাথের সরলীকৃত পদ্ধতি এবং জীবনানন্দ দাশের যুগোপযোগী শিক্ষাচিন্তার শিল্পসম্মত মেলবন্ধন ঘটেছে এতে। অগোচরে পড়ে থাকা মেধাবী কথাকার সাবিত্রী রায়, সুলেখা সান্যাল ও লোকনাথ ভট্টাচার্যের সাহিত্যকর্মের সযত্ন পরিচর্যা; উপন্যাসের কথক প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিকের ভাবনা; সতীনাথ ভাদুড়ী, মিরজা আবদুল হাই, আহমদ ছফা এবং বিজন শর্মার প্রতিনিধিত্বশীল উপন্যাসের বিশ্লেষণ; এবং সর্বোপরি ইন্টারনেটে বাংলা সাহিত্যের দুরবস্থার অন্বেষণ এ গ্রন্থের সাহিত্য অংশের আলোচ্য। সর্বশেষ প্রবন্ধটি অনলাইনে বাংলাদেশের সাহিত্যের দারিদ্র্য দূরীকরণে লেখকের ব্যক্তিগত পদক্ষেপের খতিয়ানে হয়ে উঠেছে সমুজ্জ্বল।
জন্মেছিলেন পঞ্চাশ দশকের বরিশালে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঐ মফস্বল শহরেই। তারপর লেখাপড়া ও কর্মসূত্রে বাস করেছেন নানান শহরে এবং ঘুরেছেন নানান দেশে। কিন্তু কখনও ভোলেননি বরিশালকে- যে শহর তাঁর হৃদয়ে গাঁথা হয়ে গিয়েছে স্বপ্নের ও স্মৃতির শহরে। তাঁর স্মৃতির শহরকে তিনি দেখেছেন তাঁর শৈশব আর কৈশোরের চোখ দিয়ে। সে স্মৃতিতে উঠে এসেছে কিছু মায়াময় ঘটনার কথা, কিছু অনন্যসাধারণ মানুষের কথা, তাঁর পারিপার্শ্বিকতার কথা। বড় মমতার সঙ্গে এক স্বাদু গদ্যে তিনি লিখেছেন সে সব কথা। তাঁর বর্ণনায় মূর্ত হয়ে উঠেছে সেই সময়টিও। সব কিছুর সঙ্গে তিনি ধরেছেন পঞ্চাশ-ষাটের দশকের সময়কেও। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে যাঁদের বড় হয়ে ওঠা সেদিনের বরিশালে, তাঁরা এ গ্রন্থস্থিত লেখাগুলোর সঙ্গে একটি একাত্মতা খুঁজে পাবেন। যাঁরা বরিশালের বাইরের, তাঁদের কাছেও এ সব লেখার প্রাসঙ্গিকতা অনেক। কারণ সে সময়ে বাংলাদেশের জেলা শহরগুলোর যাপিত জীবনের ধারার অভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। স্মৃতির তাড়না থেকে নয়, বরং স্মৃতির চালনা থেকে উদ্ভূত এ সব লেখা থেকে বর্তমান ও ভদেশে-বিদেশে ড. সেলিম জাহানের পরিচিতি একজন কৃতবিদ্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে। কিন্তু তাঁর রয়েছে একজন কথাশিল্পীর চোখ আর সংবেদনশীল মন। লিখতে পারেন খুব কাব্যিক আর আকর্ষক গদ্য, পাঠককে যা সহজে টেনে নেয়। এ বইয়ে তিনি ফিরে গেছেন তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতির শহর বরিশালে এবং তুলে ধরেছেন তাঁর হিরণ্ময় স্মৃতি, যা অন্যদেরও স্মৃতিমেদুর করে তোলে। বিষ্যৎ প্রজন্ম অতীতের জীবন ও জগৎ সম্পর্কে একটি বড় মায়াময় গুরুত্বপূর্ণ চালচিত্র পাবেন।
ভাল-মন্দ, সুন্দর-অসুন্দর এবং সুখ-দুঃখ হাত ধরাধরি করে চলে জীবনের বাঁকে বাঁকে। এভাবে জীবন থেকে যেন খুব দ্রুতই বিদায় নেয় প্রতিটি দৃশ্যপট। অনেকটা ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে আকাশের অসংখ্য তারার অদৃশ্য হবার মত। দেশান্তরী হয়েছি সেই কবে! দুই যুগ আগে। এক জীবনের হিসেবে অনেক সময় যদিও, তবুও চোখ বন্ধ করলে স্পষ্টই যেন দেখতে পাই সব আজো। মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। এভাবেই বুঝি জীবনের সব বেলা ফুরায়। ছোটবেলা, বড়বেলা কিংবা বুড়োবেলা। অতঃপর বিদায়বেলার পালা আসে যেন দ্রুতই। এই বিদায়ের আগ অবধি আমাদের চারপাশে নিয়ত ঘটে যাওয়া নানান চড়াই উত্রাই আর অনুভূতির গল্প নিয়ে রচিত অনুভূতির আকাশে তারার মেলা বইটি। লেখাগুলো আমার নিজের অনুভূতির আকাশ থেকে নেয়া হলেও মূলত বইটি পড়ার পর প্রত্যেক পাঠকের মনে হবে তাঁরই জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা। গল্পগুলো আমার, আপনার, এবং আমাদের সকলের।