"চণ্ডাল" বইয়ের ভিতরের লেখা: অঘোরীদের সাধনাক্ষেত্র শ্মশান। আত্মাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ তাদের। শবদেহের আধ পোড়া মাংসকে পরম তৃপ্তিতে তারা তুলে নেয় মুখে। এক অঘোরী তান্ত্রিক চণ্ডাল। অঘোর বিদ্যায় সে দক্ষ। কেন মধুময়ের পরিবার এসেছিল এক অঘোরী তান্ত্রিকের কাছে ? প্রেম - বন্ধুত্ব - বিশ্বাসঘাতকতা - প্রবঞ্চনা - তারপর? তন্ত্র সাধিকা কৃপালিনী কি পারবে প্রতিশোধ নিতে? কে এই কালভদ্র ? কেন ওর আগমন ? অঘোরী তান্ত্রিকরা শরীরে লেপন করে চিতাভস্ম। করোটিতে ঢেলে পান করে সুরা। কিন্তু কেন ? বিশ্বাস রেখেছে যারা চণ্ডালের ওপর তারা কি জীবন যুদ্ধে উত্তীর্ন হতে পারবে? চণ্ডাল কি অঘোর বিদ্যার সাহায্যে অসাধ্য সাধন করতে পারবে নাকি সেই বিদ্যেই বুমেরাং হয়ে বিনাশ ঘটাবে ওর?
প্রিয় পাঠক, উপন্যাসের আড়ালে লুকিয়ে-থাকা কোনো উপন্যাস কি কখনও পড়েছেন আপনি? কখনও কি সমাধান পেয়েছেন রহস্যের নিচে চাপা পড়ে-থাকা রহস্যের? আগাথা ক্রিস্টি অথবা ডরোথি এল. সেয়ার্সের সমসাময়িক গোল্ডেন-এইজ-অভ-মিস্ট্রি’র সঙ্গে কি সাযুজ্য পেয়েছেন আধুনিক কোনো কাহিনির? যদি তিনটি প্রশ্নের জবাবই “না” হয়, তা হলে এ-বই আপনার জন্য। অ্যালান কনওয়ে একজন রহস্য-সাহিত্যিক। তাঁর সাম্প্রতিক উপন্যাসটা সম্পাদনা করার জন্য দেয়া হয়েছে “ক্লোভারলিফ বুকস”-এর এডিটর সুয্যান রাইল্যান্ডকে। ওটা পড়তে গিয়ে চমকে উঠতে হলো সুয্যানকে...শেষের কয়েকটা চ্যাপ্টার হারিয়ে গেছে! অ্যালানের দ্বারস্থ হতে চেয়ে জানতে পারল সে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু সে-মৃত্যু মেনে নিতে পারল না সুয্যান। ওর ধারণা, খুন করা হয়েছে অ্যালানকে। অনন্যোপায় হয়ে শখের গোয়েন্দাগিরিতে নামল সে। ফলে, শুরুটা হয়েছিল সাদামাটা এক রহস্যোপন্যাস দিয়ে, আর কাহিনির শেষ টানল অভিনব এক টুইস্ট।
বহুদিন পর মঞ্চে উঠলেন জাদুকর। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেদিনই জড়িয়ে পড়লেন মিথ্যা খুনের দায়ে। পুলিশের চোখ থেকে পালিয়ে খুঁজতে শুরু করলেন সত্যিকার খুনিকে! খুনের এই মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কিন্তু বিনিময়ে তার চাই ভবিষ্যৎ দেখার বই। যার খোঁজে বেরিয়ে গত ১৫ বছর ধরে নিখোঁজ হয়ে আছেন দিল্লী ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট এক প্রফেসর। অন্যদিকে প্রাক্তন আর্কিওলজিস্ট খুঁজে বেড়াচ্ছেন অমরত্বের উৎস! অথচ এই সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে মিয়ানমারের অচেনা এক মন্দিরের অন্ধকারে! সবার অলক্ষ্যে বুনে উঠছে বিশ্রী ষড়যন্ত্রের জাল! সাতশো বছরের আগে হারিয়ে যাওয়া অভিশাপ জেগে উঠছে আবারো ! "লেগেছে গ্রহণ তিন চাঁদ সাত নক্ষত্রে রক্তের রেখা শপথ এঁকেছে সে শর্তে"
আবারও রহস্যের আড়ালে রহস্য। আবারও একই মলাটের ভিতরে দুটো উপন্যাস। এবং আরও একবার সুয্যান রাইল্যান্ড আর অ্যাটিকাস পান্ডের দ্বৈরথ। ম্যাগপাই মার্ডার্সের সুয্যান রাইল্যান্ড এখন থাকে গ্রীসের ক্রীটে। ভালোমন্দ মিলিয়ে ওর দিন কেটে যাচ্ছে পলিডোরাস হোটেলে। কিন্তু হুট করেই যেন দিক বদল করল ঘটনাপ্রবাহ। ধনী এক ইংরেজ দম্পতি হাজির হলেন পলিডোরাসে। সুয্যানকে শোনালেন অদ্ভুত এক গল্প... অ্যালান কনওয়ের লেখা “অ্যাটিকাস পান্ড টেকস দ্য কেস” বইটি পড়ে গায়েব হয়ে গেছে তাঁদের মেয়ে সিসিলি ট্রেহার্ন। তবে তার আগে বলেছে, আজ থেকে আট বছর আগে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের দায়ে জেল খাটছে যে-লোক, সে আসল খুনি না। নিজের ভিতরে এমন এক আহ্বান টের পেল সুয্যান, যা অগ্রাহ্য করা অসম্ভব ওর পক্ষে। চলে এল ইংল্যান্ডে। শুরু করল তদন্ত। কিন্তু পদে পদে হাজারটা বাধা। ভালোমানুষির মুখোশ যারা পরে আছে, লেজে পা পড়লে তারাই ফণা-তোলা বিষধর সাপ! শুধু তা-ই না, সে যদি পুলিশের কাজে বাধার কারণ হয়, তা হলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়া হলো ওকে। এবং, সে যখন রহস্য-সমাধানের দ্বারপ্রান্তে, তখন আরও একবার ওর জন্য পাতা হলো মৃত্যুফাঁদ। সে-ফাঁদ কি এড়াতে পারবে সুয্যান? সে কি সমাধান করতে পারবে জটিলতম এক রহস্যের... তা-ও আবার শুধু একটি বই সম্বল করে? চলুন, পাঠক, আরও একবার আমরা সঙ্গী হই সুয্যান রাইল্যান্ডের। “অ্যাটিকাস পান্ড টেকস দ্য কেস” ঘেঁটে ক্লু বের করে আমরাও সমাধান করার চেষ্টা করি “মুনফ্লাওয়ার মার্ডার্সের”।
কান ফাটানাে চিকার শুনে ছুটে এলাে মাসিসহ অন্যরা তাদের মাঝে দু-চারটে খদ্দেরও আছে। এসে দেখে, ওসি কামরুল ইসলাম বুকে গুলি খেয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। সিলিঙের দিকে চেয়ে আছে। নজর কিন্তু দেখছে না কিছুই । সঙ্গে সঙ্গে যেন নরক নেমে এলাে বাড়িটায়। এমনিতেই দুই নম্বুরি ব্যবসা চালায়, তার ওপর হলাে, খুন.তাও আবার যে-সে না, খােদ ওসি সাহেব খুন! খদ্দেররা লুঙ্গি-পায়জামা সামলে দৌড় লাগাল। বাড়ির দিকে, কোন দুঃখে যে এখানে এসেছিল। তাই ভাবছে বারবার। মেয়েদের অবস্থা আরও খারাপ, ওরা যাবেই বা কোথায়? ঘর-বাড়ি থেকে প্রতারিত আর প্রত্যাখ্যাত হয়েই তাে মাথা গুজেছিল। এই বাড়িতে. মচ্ছবের মাঝে কখন যে হুডি জ্যাকেট পরা এক। লােক, দলা পাকানাে একটা কাগজ ছুঁড়ে দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার ঘরের সামনে তা কেউ জানে না। ভয়ে। জায়গাটা ফাকা হয়ে গিয়েছে মুহূর্তের মাঝে, নইলে। হয়তাে ওটা নজরে পড়ত না পরে আসা পুলিশ কর্মকর্তারও কাগজটা তুলে নিল সে হাতে। ওতে লেখা: দুনীর শেষ, সুদনের শুরু
ছোটো থেকেই বড়ো ভাই কেইনের গুণমুগ্ধ উইল ক্লেইন। নিউ জার্সির এক মফস্বল শহরে বাবা-মা, বোন আর ভাইকে নিয়ে ভালোই সময় কাটছিল তার। কিন্তু সব হিসেব-নিকেশ বদলে যায় এক রাতে। উইলের ভালোবাসার মেয়েটা নৃশংসভাবে খুন হয় নিজ বাসার বেইজমেন্টে। প্রধান সন্দেহভাজন উইলের ভাই। পালিয়ে যায় কেইন, সব প্রমাণও তার বিরুদ্ধে। হাসিখুশি পরিবারটা আর হাসিখুশি থাকে না। ঘটনাটা পাল্টে দেয় প্রত্যেকের জীবনের গতিপথ। এক পর্যায়ে তারা ধরেই নেয় যে চিরতরে হারাতে হয়েছে কেইনকে। এগারো বছর পরের ঘটনা। উইল প্রমাণ পায় তার ভাই বেঁচে আছে। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে সে যা বিশ্বাস করে এসেছে, সব বদলে যেতে থাকে একের পর এক। বাধ্য হয় সে সত্যের পিছু নিতে। কিন্তু জীবন তার জন্যে যা সাজিয়ে রেখেছে, তা কল্পনাকেও হার মানাবে। পাঠক, আপনাকে স্বাগতম শ্বাসরুদ্ধকর এক সত্যের অনুসন্ধানে।