রাজনীতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিক্রিয়া, ষড়যন্ত্র নিয়ে লেখকের অনুসন্ধানী গবেষনা ১১ জানুয়ারি ২০০৭। বিকেলে বঙ্গভবনে মঞ্চস্থ হলো রুদ্ধশ্বাস নাটক। হঠাৎই বদলে গেল দেশের হালচাল। ক্ষমতায় এলো সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। লাইনচ্যুত গাড়ি ফের লাইনে তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকার হাত দিলো অনেকগুলো কাজে, যা প্রশংসা ও নিন্দা দুটোই কুড়িয়েছে। উথাল-পাথাল এই দুই বছর ছিলো ঘটনাবহুল। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এ অধ্যায়। ১১ জানুয়ারির পালাবদলের ক্ষণটির নাম হলো ওয়ান-ইলাভেন বা এক-এগারো। প্রশ্ন হল - এই সেনা হস্তক্ষেপ কি বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের অনিবার্য পরিণতি, নাকি এর পেছনে ছিলো অনেক দিনের পরিকল্পনা? কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিক্রিয়া, নাকি ষড়যন্ত্র? লেখকের অনুসন্ধানী গবেষণায় ঐ সময়ের একটি সুরতহালের চেষ্টা করা হয়েছে এই বইয়ে।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের ‘বাংলাদেশ : উন্নয়ন ও ভবিষ্যত্ সম্ভাবনা’ নামের গ্রন্থে সাতচল্লিশের দেশভাগের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ননীতি, অহিংস পররাষ্ট্রনীতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। এ গ্রন্থে আরো আছে সাহিত্য দর্শন সমাজ ও মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জারের ‘কথিত তলাবিহীন ঝুড়ি’র পর্যায় থেকে উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কিভাবে হলো, আছে তার বিশ্লেষণও। অর্থনীতির নানা নির্দেশনা উঠে এসেছে এ গ্রন্থে। এদিক থেকে এই গ্রন্থের লেখাগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ভিন্ন মাত্রার।