কে এই কোনান? পরোপকারী এক স্বাধীন বীর। কোথাও অন্যায় অবিচার-অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। তবে ওর প্রতিবাদের ধরনটা বুনো। কোমল আচরণের কোনও বালাই নেই সিমেরিয়ান যুবকটির মাঝে। কোনানের সাফ কথা: যা ওর ভালো মনে হবে, তা-ই করবে সে পথে যদি কোনও বাধা এসে দাঁড়ায়, সঙ্গে-সঙ্গে উপড়ে ফেলবে। আসুন, এই আদিম, বর্বর যুবকটির সঙ্গে পরিচিত হই। ঘুরে আসি সমৃদ্ধ অতীতের বিস্মৃত সব জনপদ থেকে।
ইংল্যান্ডের নরফোক কাউন্টির ডিচিংহাম ডিস্ট্রিক্ট শান্তিতেই কাটছিল আমাদের জীবন, এমনি সময়ে স্পেন থেকে এক লোক এসে খুন করল আমার মাকে। আমি তখন সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ, ডাক্তারি শিখছি। | আমাকেই ছুটতে হলো হত্যাকারীর পিছনে। তারপর? তারপর ঘটনার পর ঘটনা, বিপদের পর বিপদ। কেউ বিশ্বাস করবে, দুই-দুইবার নরবলির পাথর থেকে বেঁচে ফিরে এসেছি আমি? বিশ্বাস করবে, এই আমি পুরো একটি বছর দেবতা ছিলাম আযটেকদের? বিয়ে হয়েছিল আমার সম্রাট মন্টেজুমার মেয়ের সঙ্গে? বিশ্বাস করবে, একমাত্র আমারই জানা আছে কোথায় লুকানো রয়েছে মন্টেজুমার বিপুল ধন-সম্পদ, সোনা? নির্মম নির্যাতন করেও স্প্যানিয়ার্ডরা আমার মুখ থেকে বের করতে পারেনি সেই গুপ্তধনের খবর । আপনি শুধু জানবেন কোথায় কীভাবে পুতি আমরা ওগুলো। হ্যা।
পাহাড়ের উপর এই প্রাচীন দুর্গ ঘিরে কী দুয়ে রহস্য রয়েছে কে জানে! আতঙ্কিত গ্রামবাসী কেউ সে-সম্পর্কে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চায় না যে? পরিত্যক্তই যদি হবে, রাতের অন্ধকারে কীসের অতও সঙ্কেত আসে ওটার উঁচু টাওয়ার থেকে? আজও কেন ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ আর্তচিৎকার ভেসে এসে কাঁপিয়ে দেয় মানুষের বুঝ? সামনেটা ধসে গেছে, কিন্তু পিছন দিয়েও কি ভিতরে ঢুকবার কোনও উপায় নেই? দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা, জিনা ও কিকো এবং অটিকা পড়ল গোপন তলকুঠরিতে।
রুদ্রপ্রয়াগের চিতা আশ্চর্য রোমহর্ষক এক শিকার কাহিনি। আট বছর ধরে যে ভয়ঙ্কর হিংস্র ধূর্ত নিশাচর প্রাণীটি গাড়িয়ালের পাঁচশো বর্গমাইল জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, বন্দুকের গুলি বা মারাত্মক বিষ পটাশিয়াম সায়েনাইডও যাকে কাবু করতে পারেনি, শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজয় বরণ করতে হলো দুর্দান্ত শিকারী জিম করবেটের কাছে। ডক্টর মরোর দ্বীপ দ্বীপটা বিচ্ছিন্ন, কিন্তু সেখানে আছে গোপন ও সুরক্ষিত এক গবেষণাগার। অদ্ভুত কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় সে-দ্বীপে, যারা আসলে মানুষ না কী বুঝিনি প্রথমে। …যাচ্ছিলাম ক্যালাও, দুর্ঘটনায় ডুবল জাহাজ, কোনমতে গিয়ে উঠলাম ওই দ্বীপে। যা দেখলাম, সেটা যেন ঈশ্বর ও তাঁর সৃষ্টির ক্ষুদ্র অথচ অদ্ভুত সাদৃশ্যযুক্ত এক সংস্করণ। পার্থক্য একটাই সৃষ্টির উপর স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরিণতিটাও দেখতে হলো আমাকে। কনটিকি অভিযান ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি? অসম্ভব! কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন থর হেয়ারডেল এবং তার দুঃসাহসী পাঁচ সঙ্গী, জন্ম দিলেন ইতিহাসের। কীভাবে? জানতে হলে এ বইটি পডুন। সত্য ঘটনা।
অদেখা ভুবনের সে তিন গোয়েন্দার বন্ধু মার্ক। তার মৃত যমজ ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি হঠাৎ করে ফুটে উঠল আয়নায়। তারপর থেকে ঘটতে শুরু করল নানা ধরনের অঘটন। বন্ধুর বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তিন গোয়েন্দা। প্যালেস থিয়েটার-রহস্য প্যালেস থিয়েটার প্রাচীন এক স্থাপনা। কনসার্ট শুনতে ওখানে হাজির ছিল তিন গোয়েন্দা আর জিনা। হঠাৎ করে শুরু হলো ভূতের উপদ্রব। ফলে তদন্তে নামতে বাধ্য হলো ছেলে-মেয়েরা। সময়ের চাবি-রহস্য সময়ের চাবির পাঁচটা টুকরো জোগাড় করতে পেরেছে কিশোর আর হিরু চাচা। এবার বেরিয়েছে ছ’নম্বর টুকরোটার খোঁজে। ওটা পেলেই পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে চাবিটা, নিরাপদ হবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। কিন্তু অশুভ শক্তিরও যে চাই ওটা। কাজেই চাচা-ভাতিজার সঙ্গে বেধে গেল দ্বন্দ্ব।
ফার্মার বয় ছোট্ট ছেলে আলমানযো। সবে নয় বছর বয়স। বাবার খামার-বাড়িতে বড় হয়ে উঠছে। ভাইবোনদের সঙ্গে ওকেও প্রচুর কাজ করতে হয়। কিন্তু ভুলেও ওকে শহুরে জীবনের আরাম-আয়েশের লোভ দেখিয়ো না-ও মাথা নাড়বে। লিটল হাউস অন দ্য প্রেয়ারি ওই একই সময়ে ছোট্ট মেয়ে লরা বাবা-মার সঙ্গে গোটা আমেরিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে স্থায়ী বসতির সন্ধানে। বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে ও। জানে না, একদিন দেখা হবে আলমানযোর সঙ্গে। অন দ্য বাঙ্কস অভ প্লাম ক্রীক প্লাম ক্রীকের তীরে বসতি গড়ল ওরা ইণ্ডিয়ান টেরিটোরি থেকে তাড়া খেয়ে ফিরে এসে। কিন্তু এখানে আকাশ থেকে নামল শত্ৰু-কোটিকোটি ঘাসফড়িং। সর্বস্বান্ত করে দিল বাবাকে। জীবন থেমে থাকে না। আরও পশ্চিমে চলল ওরা। লরা কি দেখা পেল আলমানযাের? লিটল টাউন অন দ্য প্রেয়ারি ডাকোটার শীত কাকে বলে টের পাবে তোমরা দ্য লঙ উইন্টারে। সাত মাস ধরে তুষার-ঝড়! কল্পনা করা যায়? শহরের সব খাবার শেষ, কী করে টিকে থাকবে ওরা ছয়জন? আপমানযো বাড়িয়ে দিল সাহায্যের হাত।
পাহাড়ে আতঙ্ক রুবি মাউন্টেনে হাইকিঙে গেল তিন গোয়েন্দা। ওখানে দেখা পেল অতিকায়, লোমশ এক জানোয়ারের। ওটাই কি কিংবদন্তির সেই দানো সাসকোয়াচ? তিন বন্ধু রহস্য ভেদ করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠল। ভুতুড়ে বর্ম: গোবেল বিচে জিনার বাড়িতে এসে রহস্যের খোঁজ পেয়ে গেল কিশোর। জাদুঘরে গভীর রাতে ভয়ঙ্কর ওটা কী? কোনও পিশাচী? ভুতুড়ে বর্ম থেকে বেরিয়ে এল দানব বাদুড়। এল এক পুরানো প্রেতাত্মা। সঙ্গে এল ভয়ানক জাদুকর। জমে উঠল খেলা! ভূমিকম্প: জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর ও জিনা এবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে। ওরা ওখানে পৌছনোর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো প্রবল ভূমিকম্প। বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে, রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল। নিজেদের জীবন বিপন্ন, এ অবস্থায় অসহায় মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ওরা। তারপর…
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল ঘেঁষে যাচ্ছিল জাহাজটা। ভীষণ ঝড় উঠল সাগরে, জাহাজডুবি থেকে বেঁচে গেল রালফ নামের এক ইংরেজ ছেলে। ওকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এল আমার মেয়ে সুয্যান। বোয়া হয়ে কী করে ঠাই দিই এক জাতশত্রুকে? কিন্তু নিয়তি চেয়েছিল আমাদের সঙ্গেই থাকুক রালফ ওর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হোক সুয্যানের। চেয়েছিল ছেলেটার বংশ পরিচয়ের কারণে স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকায় হাজির হোক দুই ইংরেজ। চেয়েছিল সুয্যানের রুপে উন্মত্ত হয়ে রাল্ফকে গুলি করুক আমার জাতভাই সোয়ার্ট পিয়েট। চেয়েছিল, সুয্যানের ত্রাণকর্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হোক আদিবাসী ডাকিনী সিহাম্বা গেনয়াঈা তারপর? তারপর কী চেরেল নিয়তি?
দুঃসাহসী টম সয়্যার মার্ক টোয়েন/রকিব হাসান নীরব, নিঝুম রাত। আকাশে তারার ঝিকিমিকি। সামনে বিছিয়ে আছে নদীর কালো পানি। কান খাড়া করে শুনল টম। কোনও সাড়া নেই কোথাও। ‘কে যায়?’ “টম সয়্যার, স্প্যানিশ মেইনের কালো প্রতিহিংসা। তোমরা? লাল পাঞ্জা হাক ফিন আর সাগরের আতঙ্ক জো হারপার। সংকেত? ‘রক্ত।‘ বাউন্টিতে বিদ্রোহ চার্লস নর্ডহফ ও জেমস নরম্যান হল/নিয়াজ মোরশেদ নভেম্বর আটাশ, সতেরোশো অষ্টাশি। হিজ ম্যাজেস্টিজ শিপ বাউন্টি রওনা হলো দক্ষিণ সাগরীয় দ্বীপ তাহিতির পথে। কয়েক দিনের মধ্যেই অসন্তোষের বীজ রোপিত হলো নাবিকদের মনে। কয়েকজন নাবিকের সহায়তায় বিদ্রোহ করে জাহাজ দখল করে নিল মেট ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ান। ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ব্লাইকে আঠারোজন সঙ্গীসহ ছোট একটা নৌকায় ভাসিয়ে দেয়া হলো খোলা সাগরে… সত্য ঘটনা অবলম্বনে অবিস্মরণীয় এক উপন্যাস। ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক আলেকজান্দার দ্যুমা/নিয়াজ মোরশেদ শুয়ে আছেন রাজা লুই। হঠাৎ দুলে উঠল বিছানা। না, স্বপ্ন নয়, সত্যিই নড়ে উঠেছে বিছানাটা। ধীর গতিতে নিচে নেমে যাচ্ছে পালঙ্ক। মৃদু একটা ঝাঁকুনির সাথে থেমে গেল পালঙ্ক। রাজা দেখলেন, খাটের তিনদিকে দাঁড়িয়ে আছে ভয়ঙ্কর তিন মুখোশধারী। ‘…ফ্রান্সের রাজাকে নিয়ে কী করতে চাও তোমরা? জানতে চাইলেন রাজা। জবাব এল, তুমি আর রাজা নও।
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
কালো ডাক এখানে ওখানে আগুন ধরে যাচ্ছে। সবার ধারণা দুর্ঘটনা। কিন্তু তিন গোয়েন্দার ধারণা আগুন কেউ ধরিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহটা আরও বাড়ল, যখন হুমকি দিয়ে চিঠি এল: তদন্ত বন্ধ করো, নইলে খুন হয়ে যাবে! দমল না তিন গোয়েন্দা। সিংহ নিরুদ্দেশ রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গেছে একটা সিংহ। লোকালয়ে ঢুকলে সর্বনাশ। পিছু নিল তিন গোয়েন্দা। যে করেই হোক জ্যান্ত ধরতে হবে ওটাকে। ভুট্টাখেতে গুলির শব্দ। চেঁচিয়ে উঠল কাপলিং: মেরেছি! মেরেছি! সর্বনাশ করে দিল বুঝি লোকটা! ফ্যান্টাসিল্যাণ্ড ফ্যান্টাসিল্যাণ্ডে মজা করতে এসে মহা বিপদে পড়ে গেল কিশোর। কালো আলখিল্লাধারী এক জীব ওকে বলছে ড্রাগন খুঁজে দিতে। কীসের ড্রাগন? কোথা থেকে খুঁজে দেবে কিশোর? অত কথা ওরা শুনতে চায় না। হুমকি দিল, সে সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে চাপ। বন্ধুকে রক্ষা করতে পাশে এসে দাঁড়াল মুসা ও রবিন। শক্তিধর শত্রুর বিরুদ্ধে নামল লড়াইয়ে।
লুকানো সোনা পর্তুগালের লিসবনে বেড়াতে চলেছে তিন গোয়েন্দা। খবরটা জেনেই ফ্রাউ তারানা ইসলাম ওদের অনুরোধ করলেন তাঁর বাবার লুকানো সোনাগুলো উদ্ধার করে দিতে। তিন গোয়েন্দা কথা দিল, সাধ্যমত চেষ্টা করবে ওরা। কিন্তু লিসবনে অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব বিপদ, এমন বিপদ, যা ওরা কল্পনাও করতে পারেনি। পিশাচের ঘাঁটি রাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল আধ পাগল লোকটার চোখে। বলল, ‘সাহস আছে তোমার, ছোকরা। এই বেয়াদবির জন্য লোহা পুড়িয়ে গরুর মত নম্বর দেয়া হবে তোমার কপালে।‘ছুটতে শুরু করল মুসা। কোনভাবে গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই মুক্তি। পিছনে শোনা গেল গুলির শব্দ। তুষারমানব গ্রীন হিলসে শুরু হল প্রবল তুষারপাত। আনন্দে চেঁচাতে লাগল মুসা। রনিও যোগ দিল তার সঙ্গে। একটাই আফসোস, কিশোর নেই। বাদ সাধল দুষ্ট রিকি। তবে সময়মত এসে হাজির হলো কিশোর। শুরু হলো লড়াই-রিকি বনাম তিন গোয়েন্দা।
নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
সবাই বলে, যেয়ো না ওই রহস্যময় গুহায়, মারাত্মক বিপদ ঘটবে। কেন? জিজ্ঞেস করল কিশোর। জানল, ওখানে বাস করে এক ভূত। গুহার ভেতর বেজে ওঠে ভূতের ঘণ্টি, সতর্ক করে দেয়, পালাও! পালাতে হবে। নইলে ঘটবে ভয়ঙ্কর বিপদ । ভাল চাও তো ওই ভুতুড়ে গুহার ধারেকাছেও যেয়ো না! ঠিক করে ফেলল কিশোর, ও যাবেই যাবে! জিনা, রবিন আর মুসাও চলল ওর সঙ্গে। কি, সঙ্গী হবে নাকি ওদের? সাহস থাকলে সাগরে নৌকো ভাসাও, বিপজ্জনক অভিযান আর গভীর রহস্যে জড়িয়ে পড়ো ওদের সঙ্গে। তবে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না এখুনি!
ভয়াল দানোর কবলে জাদুকরের টাইপ-রাইটার আর কলম কিনল রবিন । ওগুলো কেনা উচিত হয়নি ওর । যেচে বিপদ ডেকে আনল ও । তিন গোয়েন্দা, দানবের হাত থেকে এবার আর রক্ষা নেই তোমাদের । কঙ্কাল উধা: নার্সের অফিস থেকে চুরি গেল স্কুলের কঙ্কালটা । মেঝেতে পাওয়া গেল রহস্যময় একটি মাত্র বাঁ পায়ের ছাপ । প্রিন্সিপাল ঘোষণা কঙ্কালটা উদ্ধার করতে পারলে পুরস্কার দেবেন । কঙ্কাল উদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল পুরো স্কুল । তিন গোয়েন্দাও বসে থাকল না । শাপমোচ: তিন গোয়েন্দা এবার অস্ট্রেলিয়ায় । ওদের সঙ্গে ছোট্ট কুকুর টমি । টমির শাপমোচনে কি সাহায্য করতে পারবে তিন গোয়েন্দা? রংধনু সাপের অলৌকিক ক্ষমতা কি দাবানলের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বনভূমির নিরীহ প্রানীদের? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওদেরকে
পেইন্টিং-রহস্য এক বন্ধু হিরু চাচার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন দামি এক পেইন্টিং। কিন্তু হিরু চাচার বাসা থেকে চুরি গেল ওটা। ফলে, চাচার মান বাঁচাতে তদন্তে নামল কিশোর, মুসা আর রবিন। অভিশপ্ত ক্রুশ কিশোরের বন্ধু সিজারের সুপ্রাচীন পারিবারিক ক্রশটি অভিশপ্ত। অভিশাপ আছে-যে ওটা চুরি করবে এবং যে খোয়াবে দু’জনেই মারা পড়বে। ঘটনাচক্রে, ক্রুশটা বেহাত হয়ে গেল সিজারের। মৃত্যু আশঙ্কায় ভেঙে পড়ল সে। অসহায় বন্ধুর পাশে দাঁড়াল কিশোর। যেভাবে হোক উদ্ধার করবে ক্রুশটা। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা নয়। স্বর্ণ সিন্দুক-রহস্য সিন্দুক ভর্তি সোনা লুকানো আছে কোথাও। একাংশ পুড়ে যাওয়া এক প্রাচীন চিঠিতে ছিল ওটার হাদিস।…চুরি গেল কিশোরের উপহার পাওয়া দামি আংটিটি। ওদিকে, নতুন বান্ধবী জেনির নানা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। সব রহস্য মিলেমিশে একাকার। জট ছাড়াতে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
নেকড়ে মানুষ লোন উলফ রানশের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে গেছে তিন গোয়েন্দা, জিনা আর রাফি। কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ উঠতেই শুরু হলো গোলমাল। রানশের সোনার হর্সশুগুলো চুরি করল এক নেকড়েমানুষ। ফলে রহস্যের সমাধানে তদন্তে নামতে হলো ছেলে-মেয়েদের। মারণাস্ত্র ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ যদি সুপার নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে ফেলে তবে কী ঘটবে? যে করে হোক ঠেকাতে হবে ভিজিলের বোমা তৈরির পরিকল্পনা, ধ্বংস করতে হবে তার ফর্মুলার সব ক’টা কপি। নিজের জীবন বাজি রেখে শক্রশিবিরে হানা দেয়ার ক্ষমতা কার আছে? মাসুদ রানার? ও কি পারবে মানব জাতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে?…হিরু চাচার রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার। ভ্যাম্পায়ারের পদধ্বনি পুরানো, ভুতুড়ে স্টোরেজ বিল্ডিঙে ঘটনাচক্রে জ্যামিতি নোট বইটা ফেলে এসেছে মুসা। ওটা আনতে ওখানে ফিরে গেল ও। কিন্তু অদ্ভুত আলোটা কীসের? কফিনের ঢাকনা খোলা কেন? ভিতরের দেহটা কার? এসব কী ঘটছে প্রাচীন বাড়িটাতে?
মৎস্যকন্যা ট্র্যাক মিটে অংশ নিতে ক্যাম্প লোন উলফে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডানা। জানতে পারল সুন্দরী, রহস্যময়ী কোচ ওয়াটারপুল ওদেরকে ট্রেনিং দেবেন। ডানার ধারণা মহিলা মৎস্যকন্যা এবং গভীর ষড়যন্ত্র করছেন তিনি ক্যাম্প ডিরেক্টর মি. উলফারের বিরুদ্ধে। ঘনিয়ে উঠল রহস্য। এবং তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা । মৃত্যুমন্দির কিশোর পাশার মনে কটা প্রশ্ন জেগেছে: অমূল্য সোনার আংটিটা ওর বন্ধু হানি পেল কোথায়? এক জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক কেন বলছেন ফেরাউনের সমাধিমন্দিরে কিছু নেই? রাজাদের উপত্যকার ট্র্যাপডোরটার নিচে কী আছে? উত্তরগুলো পাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে হলো কিশোরকে। দমকলবাড়ি-রহস্য শহরের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন দমকলবাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাউন কাউন্সিল। প্রতিবাদ করল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাজে নেমে বুঝল প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী। ওদিকে, দমকলবাড়ির ঐতিহাসিক ট্রফিগুলো চুরি হয়ে গেল। ফলে অনিবার্যভাবেই নতুন রহস্যে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা।