নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
সবাই বলে, যেয়ো না ওই রহস্যময় গুহায়, মারাত্মক বিপদ ঘটবে। কেন? জিজ্ঞেস করল কিশোর। জানল, ওখানে বাস করে এক ভূত। গুহার ভেতর বেজে ওঠে ভূতের ঘণ্টি, সতর্ক করে দেয়, পালাও! পালাতে হবে। নইলে ঘটবে ভয়ঙ্কর বিপদ । ভাল চাও তো ওই ভুতুড়ে গুহার ধারেকাছেও যেয়ো না! ঠিক করে ফেলল কিশোর, ও যাবেই যাবে! জিনা, রবিন আর মুসাও চলল ওর সঙ্গে। কি, সঙ্গী হবে নাকি ওদের? সাহস থাকলে সাগরে নৌকো ভাসাও, বিপজ্জনক অভিযান আর গভীর রহস্যে জড়িয়ে পড়ো ওদের সঙ্গে। তবে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না এখুনি!
রেডিয়ো স্টেশন কে বা কারা চুরি করল চাচার ভ্যান থেকে গানের ওই দুর্লভ ক্যাসেট? হাজারো মানুষের ভিড়ে কী করে চোরকে ধরবে তিন বন্ধু! তবুও অদ্ভুত রহস্যে জড়িয়ে শেষে কিডন্যাপ হলো ওরা! তা হলে কি পার পেয়ে গেল নাটের সেই গুরু? কিশোর দ্য গ্রেট সুন্দরী এক তরুণীকে গুণ্ডাদের কবল থেকে বাঁচাল কিশোর। জানতে পারল দাদুর লেখা দুষ্প্রাপ্য এক জার্নাল আছে মেয়েটির কাছে। তাতে আছে গুপ্তধনের সঙ্কেত। কিন্তু অসহায়, গরীব মেয়েটির পক্ষে একা গুপ্তধন উদ্ধার অসম্ভব। ফলে, ওর পাশে দাঁড়াল কিশোর পাশা, নিল। মৃত্যুর ঝুঁকি। হাঙুরে পিশাচ! অসহায় এক বয়স্কা মহিলাকে গেঁথে ফেলতে চাইল ধারাল হার্পুনওয়ালা হাঙুরে পিশাচ! অতীতে পাপ ছিল মহিলার পরিবারে? এখন প্রমাণ চাই বাস্তবে নেই পিশাচ! ওই প্রমাণ খুঁজতে গিয়েই শয়তান সাধকের কবলে পড়ল তিন গোয়েন্দা!
ভয়াল দানোর কবলে জাদুকরের টাইপ-রাইটার আর কলম কিনল রবিন । ওগুলো কেনা উচিত হয়নি ওর । যেচে বিপদ ডেকে আনল ও । তিন গোয়েন্দা, দানবের হাত থেকে এবার আর রক্ষা নেই তোমাদের । কঙ্কাল উধা: নার্সের অফিস থেকে চুরি গেল স্কুলের কঙ্কালটা । মেঝেতে পাওয়া গেল রহস্যময় একটি মাত্র বাঁ পায়ের ছাপ । প্রিন্সিপাল ঘোষণা কঙ্কালটা উদ্ধার করতে পারলে পুরস্কার দেবেন । কঙ্কাল উদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল পুরো স্কুল । তিন গোয়েন্দাও বসে থাকল না । শাপমোচ: তিন গোয়েন্দা এবার অস্ট্রেলিয়ায় । ওদের সঙ্গে ছোট্ট কুকুর টমি । টমির শাপমোচনে কি সাহায্য করতে পারবে তিন গোয়েন্দা? রংধনু সাপের অলৌকিক ক্ষমতা কি দাবানলের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বনভূমির নিরীহ প্রানীদের? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওদেরকে
পেইন্টিং-রহস্য এক বন্ধু হিরু চাচার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন দামি এক পেইন্টিং। কিন্তু হিরু চাচার বাসা থেকে চুরি গেল ওটা। ফলে, চাচার মান বাঁচাতে তদন্তে নামল কিশোর, মুসা আর রবিন। অভিশপ্ত ক্রুশ কিশোরের বন্ধু সিজারের সুপ্রাচীন পারিবারিক ক্রশটি অভিশপ্ত। অভিশাপ আছে-যে ওটা চুরি করবে এবং যে খোয়াবে দু’জনেই মারা পড়বে। ঘটনাচক্রে, ক্রুশটা বেহাত হয়ে গেল সিজারের। মৃত্যু আশঙ্কায় ভেঙে পড়ল সে। অসহায় বন্ধুর পাশে দাঁড়াল কিশোর। যেভাবে হোক উদ্ধার করবে ক্রুশটা। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা নয়। স্বর্ণ সিন্দুক-রহস্য সিন্দুক ভর্তি সোনা লুকানো আছে কোথাও। একাংশ পুড়ে যাওয়া এক প্রাচীন চিঠিতে ছিল ওটার হাদিস।…চুরি গেল কিশোরের উপহার পাওয়া দামি আংটিটি। ওদিকে, নতুন বান্ধবী জেনির নানা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। সব রহস্য মিলেমিশে একাকার। জট ছাড়াতে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
নেকড়ে মানুষ লোন উলফ রানশের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে গেছে তিন গোয়েন্দা, জিনা আর রাফি। কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ উঠতেই শুরু হলো গোলমাল। রানশের সোনার হর্সশুগুলো চুরি করল এক নেকড়েমানুষ। ফলে রহস্যের সমাধানে তদন্তে নামতে হলো ছেলে-মেয়েদের। মারণাস্ত্র ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ যদি সুপার নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে ফেলে তবে কী ঘটবে? যে করে হোক ঠেকাতে হবে ভিজিলের বোমা তৈরির পরিকল্পনা, ধ্বংস করতে হবে তার ফর্মুলার সব ক’টা কপি। নিজের জীবন বাজি রেখে শক্রশিবিরে হানা দেয়ার ক্ষমতা কার আছে? মাসুদ রানার? ও কি পারবে মানব জাতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে?…হিরু চাচার রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার। ভ্যাম্পায়ারের পদধ্বনি পুরানো, ভুতুড়ে স্টোরেজ বিল্ডিঙে ঘটনাচক্রে জ্যামিতি নোট বইটা ফেলে এসেছে মুসা। ওটা আনতে ওখানে ফিরে গেল ও। কিন্তু অদ্ভুত আলোটা কীসের? কফিনের ঢাকনা খোলা কেন? ভিতরের দেহটা কার? এসব কী ঘটছে প্রাচীন বাড়িটাতে?