হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
কালো পর্দার অন্তরালে কিশোর, রবিন আর মুসা স্কুলের ছুটিতে চলেছে সুদূর কেনিয়ায়। জানে না একের পর এক বিপদ অপেক্ষা করছে ওখানে ওদের জন্য। শুরুতেই ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরা হলো ওদের, রওনা হওয়ার আগেই। তারপর? বিমান দুর্ঘটনা—কুমিরের আক্রমণ, খুনীর হামলা…পিছু হটল না তিন গোয়েন্দা। কীভাবে সমস্ত রহস্য ভেদ করবে ওরা? কীভাবে ঠেকাবে অন্যায় পশুহত্যা? ভয়াল শহর ছুটি কাটাতে বেরিয়েছিল ওরা। রুক্ষ উষর অঞ্চলে ঢুকে খারাপ হয়ে গেল গাড়ি। অবাক হয়ে গেল কিশোর ও মুসা। যার কাছেই যায়, এক কথা: বেরিয়ে যাও এখান থেকে! বোকার মত চ্যালেঞ্জ করে বসল ওরা মহাপরাক্রমশালী, খুনী, ভয়ঙ্কর শত্রুকে। সুমেরুর আতঙ্ক গোরস্থানের পাশে কুয়াশা ঘেরা প্রাচীন এক বাড়ি। সেখানে বাস করে বিচিত্র এক পরিবার। ঘটনাচক্রে, সায়েন্স প্রজেক্টের কাজে ও বাড়িতে যেতে হলো রবিনকে। ঘুণাক্ষরেও জানে না, ওকে ঘিরে বোনা হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্রের জাল!
কালো ডাক এখানে ওখানে আগুন ধরে যাচ্ছে। সবার ধারণা দুর্ঘটনা। কিন্তু তিন গোয়েন্দার ধারণা আগুন কেউ ধরিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহটা আরও বাড়ল, যখন হুমকি দিয়ে চিঠি এল: তদন্ত বন্ধ করো, নইলে খুন হয়ে যাবে! দমল না তিন গোয়েন্দা। সিংহ নিরুদ্দেশ রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গেছে একটা সিংহ। লোকালয়ে ঢুকলে সর্বনাশ। পিছু নিল তিন গোয়েন্দা। যে করেই হোক জ্যান্ত ধরতে হবে ওটাকে। ভুট্টাখেতে গুলির শব্দ। চেঁচিয়ে উঠল কাপলিং: মেরেছি! মেরেছি! সর্বনাশ করে দিল বুঝি লোকটা! ফ্যান্টাসিল্যাণ্ড ফ্যান্টাসিল্যাণ্ডে মজা করতে এসে মহা বিপদে পড়ে গেল কিশোর। কালো আলখিল্লাধারী এক জীব ওকে বলছে ড্রাগন খুঁজে দিতে। কীসের ড্রাগন? কোথা থেকে খুঁজে দেবে কিশোর? অত কথা ওরা শুনতে চায় না। হুমকি দিল, সে সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে চাপ। বন্ধুকে রক্ষা করতে পাশে এসে দাঁড়াল মুসা ও রবিন। শক্তিধর শত্রুর বিরুদ্ধে নামল লড়াইয়ে।
কিশোর থ্রিলার তিন গোয়েন্দা রকিব হাসান হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোমে আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছিÑ এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
লুকানো সোনা পর্তুগালের লিসবনে বেড়াতে চলেছে তিন গোয়েন্দা। খবরটা জেনেই ফ্রাউ তারানা ইসলাম ওদের অনুরোধ করলেন তাঁর বাবার লুকানো সোনাগুলো উদ্ধার করে দিতে। তিন গোয়েন্দা কথা দিল, সাধ্যমত চেষ্টা করবে ওরা। কিন্তু লিসবনে অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব বিপদ, এমন বিপদ, যা ওরা কল্পনাও করতে পারেনি। পিশাচের ঘাঁটি রাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল আধ পাগল লোকটার চোখে। বলল, ‘সাহস আছে তোমার, ছোকরা। এই বেয়াদবির জন্য লোহা পুড়িয়ে গরুর মত নম্বর দেয়া হবে তোমার কপালে।‘ছুটতে শুরু করল মুসা। কোনভাবে গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই মুক্তি। পিছনে শোনা গেল গুলির শব্দ। তুষারমানব গ্রীন হিলসে শুরু হল প্রবল তুষারপাত। আনন্দে চেঁচাতে লাগল মুসা। রনিও যোগ দিল তার সঙ্গে। একটাই আফসোস, কিশোর নেই। বাদ সাধল দুষ্ট রিকি। তবে সময়মত এসে হাজির হলো কিশোর। শুরু হলো লড়াই-রিকি বনাম তিন গোয়েন্দা।
দস্যুর সমাধি ওই অবোধ শিশুর মত বৃদ্ধ আসলে কে? কেন বলে সাগরে তলিয়ে যাওয়া জাহাজের কথা? তদন্তে নামল কিশোর, মুসা ও রবিন। সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দস্যুদের সমাধির ভেতর! আকাশদস্যু হিমালয়ের দুর্গম এক উপত্যকায় আচমকা উদয় হচ্ছে পুরানো, ভুতুড়ে এক বিমান। ফলে, নিখোঁজ হচ্ছে বৈমানিক, লাপাত্তা হচ্ছে উড়োজাহাজ। ডাকোটা প্লেনে চেপে হিরু চাচার সঙ্গে রহস্যের তদন্ত করতে চলল তিন গোয়েন্দা এবং শামিল হলো রুদ্ধশ্বাস অভিযানে। ভৌতিক মুখোশ ভৌতিক এক মুখোশ বশ করতে চাইছে মুসাকে। ওকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইছে নানান অপকর্ম। রুখে দাঁড়াল মুসা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। পাশে পেল প্রিয় দুই বিশ্বস্ত বন্ধু কিশোর আর রবিনকে। জমিদারবাড়ি হত্যা-রহস্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লুনেনবার্গ ম্যানরে। খুনী ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে নামল কিশোর। ধূর্ত হত্যাকারীকে যেভাবে হোক দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। ক্রমেই জড়িয়ে গেল ও জটিল এক রহস্যে। ভয়াল দ্বীপে তিন গোয়েন্দা কে বা কারা দিল ওই অদ্ভুত ধাঁধা! পুরাকীর্তি লুঠেরা দল স্ফি, বদমাশ শুটকি টেরি না তৃতীয় কোনও পক্ষ? কী রহস্য বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছে মাকাটাও দ্বীপ! ওখানে গেলে ফেরে না কেন কেউ? হাজারো বিপদ ডিঙিয়ে পাতাল-গুহায় ঢুকে তিন গোয়েন্দা বুঝল, এবার বুঝি মরতেই হচ্ছে ওদেরকে!