হারানো সুর: শহরে অর্কেস্ট্রা এসেছে। তারা সঙ্গে করে এনেছে মহান সঙ্গীতজ্ঞ মোযার্টের নিজ হাতে লেখা এক দুষ্প্রাপ্য স্বরগ্রাম। চুরি গেল ওটা। স্বরগ্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল তিন গোয়েন্দা। জড়াল রহস্যজালে। দুঃস্বপ্নভূমি: ভয়ঙ্কর এক পার্ক–ঠিক যেন দুঃস্বপ্নভূমি। অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আটকে পড়েছে ওখানে। ওদেরকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও বন্দি হলো কিশোর, মুসা আর রবিন। এদিকে, একের পর এক উদয় হচ্ছে অশুভ সব চরিত্র। পালাবার পথ বন্ধ। দেখা যাক, তিন গোয়েন্দা এবার কী করে। হীরক-রহস্য: রাতের বেলায় মনুমেণ্টের ভেতরে রহস্যময় আলো। খুদে এক বানর। বহু বছর আগে চুরি যাওয়া হীরে। ভাঙা প্লাস্টার। এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র কী? সূত্রগুলো জুড়তে পারলেই রহস্যভেদ হবে। কিশোরের আর কী চাই?
সূত্রের সন্ধানে কারাতে ক্লাসে ভর্তি হয়েছে তিন গোয়েন্দা। বিল লারা নামে একটি ছেলে বিখ্যাত সিনেমাস্টার ব্রুস ল্যাঙের উপহার দেয়া একটি ব্ল্যাক বেল্ট নিয়ে এল । কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই জানা গেল বেল্টটি চুরি গেছে। কথা ছিল বিল ব্রুস ল্যাংকে কারাতে ক্লাসে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন বলছে চোরদের মাঝে সে অ্যাকশন হিরোকে আনবে না। সবাই হতাশ। অগত্যা তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। অমঙ্গলের পূর্বাভাস বিডনের রক্ষক মুমূর্ষু, তিনি আশঙ্কা করছেন ভয়ঙ্কর অশুভ কোন শক্তি বিডন গ্রহটিকে গ্রাস করতে চাইছে। হিরু চাচার সাহায্য চাইলেন রক্ষক। বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়ানক এক বিভীষিকার মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। রুখে দাঁড়ানো ছাড়া গতি রইল না হিরু চাচা আর কিশোরের। ভুতুড়ে পুতুল মেরি চাচীর বোনের ছেলে কিন কিছুদিন থাকবে বলে খালার বাসায় এসেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক পুতুল। ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা করে কিশোরকে তটস্থ করে রেখেছে ওটা। কিশোরের ধারণা পুতুলটা জ্যান্ত । আসলেই কি তাই?
কুয়াশা,শহীদ ও কামাল। দেশে- বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন রহস্য, রোমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছোটরাই নয়, ছোট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন। আজই সংগ্রহ করুন।
আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড। কোম্পানি পরিচালনা করতে গিয়ে তাঁর তো চক্ষু চড়কগাছ! এ কী! ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে পৃথিবীকে! ফোর্ড ১৯২০ সালে শুরু করলেন নিজের পত্রিকা 'দ্য ডিয়ারবর্ন ইনডিপেন্ডেন্ট'। সেখানে ৯১ পর্বের কলামে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলেন ইহুদি জাল ও নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হলো। জায়োনিষ্ট মুখোশ উন্মোচিত হলে আমেরিকান ব্যবসায়ীর কলমে। ইতোমধ্যে ফোর্ড-এর কলামগুলো নিয়ে চার খণ্ডের বই তৈরি হলো; নাম- 'The International Jew'। প্রতিক্রিয়ায় ইহুদি লবি জবাব দিতে লাগল। আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানেই সব বই লাপাত্তা হলো। পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি নষ্টের উস্কানির অভিযোগ উঠল। ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হলো তার পত্রিকা এবং আলোচিত এই বই। কিন্তু চাইলেই কি সব বন্ধ করে দেওয়া যায়? আশির দশকে আবার প্রকাশিত হলো বইটি। দুনিয়াব্যাপী ২৩টি ভাষায় অনূদিত হলো। বিশ্বখ্যাত সেই বইটির বাংলা অনুবাদ 'সিক্রেটস অব জায়োনিজম'।