লোভের ফাঁদে/কাজী শাহনূর হোসেন হ্যাজেন ক্যারী আর তার স্ত্রী স্যালীর নির্বিঘ্ন ট্রেনযাত্রা বিঘ্নিত হলো ডাকাতদের হামলায়। বেঘোরে প্রাণ হারাল হ্যাজেন ক্যারি। লুট হয়ে গেল ট্রেনের কার্গো-সোনা। ব্ল্যাক ডায়মণ্ড মাইনিং অ্যাণ্ড মিলিং কোম্পানী তাদের হারানো সম্পদ ফিরে পেতে পুরস্কার ঘোষণা করল। ফলে শহরে এসে ভিড় জমাল প্রতিটা শকুন। সবাই-এমনকি স্যালী ক্যারিও তার স্বামীর মৃত্যুর ফায়দা লুটতে উঠে পড়ে লাগল । লোভের ফাদে জড়িয়ে পড়ছে ওরা। সামনে বিপদ/গোলাম মাওলা নঈম কার্ল রিকটারের মত চালু পিস্তলবাজের গুলি মাথায় লাগার পরও বেঁচে যাওয়া লোকটা কে? কী নাম ওর? পরিচয় কী? কেনই বা একদল লোক খুন করার জন্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে ওকে? কে শত্রু? কেই বা বন্ধু? জানা নেই। কিছুই জানা নেই ওর। শুধু জানে পালাতে হবে, বাঁচতে হলে অনেক দূরে চলে যেতে হবে। অচেনা শত্রুর হাতে খুন হওয়ার আগেই নিজের পরিচয় জানতে হবে…স্মৃতি ফিরে পেতে হবে… কিন্তু যাওয়া হলো না ওর। একদল আউট-লর মাঝখানে অসহায় অ্যাঞ্জেলা জ্যাকসনকে কীভাবে ফেলে যায়? জেনে-শুনেই বিপদ মাথায় নিল । ক’জন আসবে শত্রুরা? আসুক না! একটা কোল্ট আছে ওর, আর আছে অসংখ্য বুলেট… ষড়যন্ত্রের জাল/সায়েম সোলায়মান বয়েডের দোষ দুটো-মেজাজটা চড়া এবং পিস্তলে দারুণ চালু হাত। ফলাফল: আট বছরের কারাদণ্ড। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে দেখল, বলতে গেলে কিছুই নেই ওর। হঠাৎ করেই ওকে পরপারে পাঠানোর জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারা যেন। শেরিফ কলিন্স নির্বিকার, বন্ধু স্টিভ ছাড়া পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই। ভেবেছিল নিরীহ গরু-ব্যবসায়ী হিসেবে বাকি জীবন কাটাবে, ভুলেও হাত দেবেন না পিস্তলে। হলো না!
কে এই কোনান? পরোপকারী এক স্বাধীন বীর। কোথাও অন্যায় অবিচার-অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। তবে ওর প্রতিবাদের ধরনটা বুনো। কোমল আচরণের কোনও বালাই নেই সিমেরিয়ান যুবকটির মাঝে। কোনানের সাফ কথা: যা ওর ভালো মনে হবে, তা-ই করবে সে পথে যদি কোনও বাধা এসে দাঁড়ায়, সঙ্গে-সঙ্গে উপড়ে ফেলবে। আসুন, এই আদিম, বর্বর যুবকটির সঙ্গে পরিচিত হই। ঘুরে আসি সমৃদ্ধ অতীতের বিস্মৃত সব জনপদ থেকে।
পাহাড়ের উপর এই প্রাচীন দুর্গ ঘিরে কী দুয়ে রহস্য রয়েছে কে জানে! আতঙ্কিত গ্রামবাসী কেউ সে-সম্পর্কে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চায় না যে? পরিত্যক্তই যদি হবে, রাতের অন্ধকারে কীসের অতও সঙ্কেত আসে ওটার উঁচু টাওয়ার থেকে? আজও কেন ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ আর্তচিৎকার ভেসে এসে কাঁপিয়ে দেয় মানুষের বুঝ? সামনেটা ধসে গেছে, কিন্তু পিছন দিয়েও কি ভিতরে ঢুকবার কোনও উপায় নেই? দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা, জিনা ও কিকো এবং অটিকা পড়ল গোপন তলকুঠরিতে।
পনেরো শতকের জেনোয়া। ক্ষমতা দখলের আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে সেখানে। অস্থির রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের বলি হলো প্রসপেরোর বাবা অ্যাণ্টোনিওট্টো। এজন্য দায়ী অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডোরিয়া। পিতৃহত্যার প্রতিশোধের শপথ নিল পুত্র… এদিকে স্প্যানিশ সম্রাটের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর কমাণ্ডার দ্রাগুত রেইজ। ডোরিয়ার উপরে দায়িত্ব: যে-কোনও মূল্যে দমন করতে হবে দ্রাগুতকে। পাকেচক্রে প্রেমিকা জিয়ান্না সহ দ্রাগুতের হাতে বন্দি হলো প্রসপেরো। এ অবস্থায় পারবে কি সে শপথ রক্ষা করতে?
গ্রেমলিন বদলী সেক্রেটারি আসার পর থেকে একে-একে বিগড়ে যেতে লাগল গ্রীন হিলস স্কুলের যন্ত্রপাতি। মহিলা কি গ্রেমলিন? দুষ্টু প্রাণীটার সঙ্গে তার অদ্ভুত মিল। বিপদের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা। ঘড়ি-রহস্য জ্যাক নানার সঙ্গে গোল্ডউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে তিন গোয়েন্দা। ভুতুড়ে ক্লক টাওয়ার। মাঝরাতে রহস্যময় আলো। অচেনা পদচিহ্ন গুপ্তধনের সঙ্কেত। তদন্তে জড়িয়ে পড়তে আর কী চাই ছেলেদের? মেঘ ড্রাগন মার্লিন বিষণ্ণতায় ভুগছে। তার জন্য কিশোর আর জিনার কাছে সাহায্য চাইল মরগ্যান। প্রাচীন জাপানে যেতে হবে ওদের। খুঁজে বের করতে হবে সুখের উপায়। সঙ্গে আছে এক গাইড বই আর এক জাদুদণ্ড-সেটা ব্যবহারের আবার তিনটে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। মিশন সম্পূর্ণ করতে এ দুটোই কি যথেষ্ট? দেখাই যাক না।
অদেখা ভুবনের সে তিন গোয়েন্দার বন্ধু মার্ক। তার মৃত যমজ ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি হঠাৎ করে ফুটে উঠল আয়নায়। তারপর থেকে ঘটতে শুরু করল নানা ধরনের অঘটন। বন্ধুর বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তিন গোয়েন্দা। প্যালেস থিয়েটার-রহস্য প্যালেস থিয়েটার প্রাচীন এক স্থাপনা। কনসার্ট শুনতে ওখানে হাজির ছিল তিন গোয়েন্দা আর জিনা। হঠাৎ করে শুরু হলো ভূতের উপদ্রব। ফলে তদন্তে নামতে বাধ্য হলো ছেলে-মেয়েরা। সময়ের চাবি-রহস্য সময়ের চাবির পাঁচটা টুকরো জোগাড় করতে পেরেছে কিশোর আর হিরু চাচা। এবার বেরিয়েছে ছ’নম্বর টুকরোটার খোঁজে। ওটা পেলেই পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে চাবিটা, নিরাপদ হবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। কিন্তু অশুভ শক্তিরও যে চাই ওটা। কাজেই চাচা-ভাতিজার সঙ্গে বেধে গেল দ্বন্দ্ব।