কেন ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের গড় বৃষ্টিপাত? তবে কি আসছে মারাত্মক খরা, তারপর ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ? এ বিষয়ে রিসার্চ করতে গিয়েই গায়েব হয়ে গেল নুমার তিনজন গবেষক। রানা-সোহেল তখন ছুটিতে। বন্ধু রাহাত খানের সহায়তা চাইলেন নুমা চিফ অ্যাডমিরাল জর্জ হ্যামিলটন। মালদ্বীপে কার্যত বাতিল হলো রানা ও সোহেলের ছুটি। বিসিআই চিফের নির্দেশে তৎপর হয়ে উঠল ওরা। রানা জানতে চাইল, কেন এক অদ্ভুত সুন্দরী চোখ রেখেছে। ওদের ওপর । কিডন্যাপারদের কাছ থেকে মেয়েটাকে উদ্ধার করেই ছুটল ভাসমান এক দ্বীপের পিছনে, সেখান থেকে ছুটল দুই বন্ধু সুদূর ইয়েমেনে। পৌছেও গেল শত্রু-শিবিরে, দেখল ন্যানোবটের কারখানা, কিন্তু কিছু করার আগেই ফেলে দেয়া হলো ওদেরকে গভীর এক মৃত্যু-কূপে!
নেভাদার এক র্যাঞ্চে বেড়াতে গিয়ে নতুন রহস্যের জালে জড়িয়ে গেল অয়ন-জিমি। প্রথম রাতেই আগুন লাগল গোলাঘরে, ওদের মাথায় বাড়ি দিয়ে পালিয়ে গেল এক মুখোশধারী লোক। বাধ্য হলো ওরা তদন্তে নামতে। জানল, পুরো র্যাঞ্চ জুড়ে চলছে পানির হাহাকার, আর তা নিয়েই নোংরা ষড়যন্ত্রে মেতেছে কেউ। সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে গিয়ে মস্ত বিপদে পড়ল দু’বন্ধু। হাড়ে হাড়ে বুঝল, জল নিয়ে রহস্য মানেই জলের মত সোজা নয়। কখনও কখনও তা পাথরের চেয়েও কঠিন হতে পারে।
পাইন রিজ নামের ছোট্ট ছিমছাম গ্রামে সত্যিই কি ভ্যাম্পায়ার হানা দিয়েছে? বিশ্বাস করে না অয়ন-জিমি। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। নিজ চোখে দেখল ওরা, গভীর রাতে গাঁয়ের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিকায় এক বাদুড়। ঘুম থেকে জেগে উঠছে মানুষ রক্তশূন্য শরীর নিয়ে। তাদের গলায় পাওয়া যাচ্ছে সূক্ষ্ম দুটো কামড়ের দাগ। এখন কী করবে ওরা? গোয়েন্দা দিয়ে কি আর ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো যায়? দেখাই যাক।
ম্যারিয়ট ম্যানশন… প্রাসাদের মত বিশাল এক পরিত্যক্ত প্রাচীন বাড়ি। একটা খেলার আয়োজন করা হয়েছে সেখানে, গোয়েন্দাগিরির খেলা। এক রাতের জন্য ভেতরে আটকা পড়বে কয়েকজন মানুষ, তাদের ভেতর থেকে ‘খুন’ হবে একজন, বাকিরা বুদ্ধি খাটিয়ে খুনিকে খুঁজে বের করবে। অনেকের মত অয়ন, জিমি আর রিয়াও চলল খেলায় অংশ নিতে। কিন্তু ওরা জানত না, বাড়িটা অভিশপ্ত। প্রতিশোধের নেশায় অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে বাড়ির আনাচে-কানাচে। বাড়িতে ঢুকতেই সত্যি সত্যি উধাও হয়ে গেল একজন। শুরু হয়ে গেল রোমহর্ষক কান্ড-কারখানা। খেলা আর খেলা রইল না, হয়ে উঠল প্রাণ বাঁচানোর লড়াই।
প্রাসাদ বাড়ির রহস্য সদ্যপ্রয়াত এক পাগলাটে পরিচালকের উইলে পাওয়া গেছে অদ্ভুত এক ধাঁধা,ভেদ করতে পারলে মিলবে গুপ্তধন। রিয়াকে নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রাচীন এক প্রাসাদ বাড়িতে ঢুকল অয়ন-জিমি। আধপাগল কেয়ারটেকার আর লোভী আত্মীয়ের দল ভিড় জমিয়েছে ওখানে, রয়েছে অদৃশ্য এক প্রতিপক্ষও। বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলল প্রাসাদ বাড়িরর আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে থাকা এক মৃত দাসী! তারপর? বিপদের ছয়টি আঙুল অদ্ভুত একটা হাতমোজা কুড়িয়ে পেল অয়ন আর জিমি- পাঁচটার জায়গায় ছ’টা আঙুল! কৌতুহলের বশে মালিকের খোঁজে বেরুতেই পড়ে গেল মহা বিপদে। প্রথমে এল হুমকি, তারপর আক্রমণ। কেউ একজন চাইছে না ওরা মানুষটাকে ওরা খুঁজে বের করুক। কারণটা কী? রোখ চেপে গেল দু’বন্ধুর, রহস্যটা ভেদ করেই ছাড়বে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একটা হারানো মুকুট যে পুরো ব্যাপারটাকে এভাবে জট পাকিয়ে তুলবে, সেটা তদন্ত শুরুর সময় কল্পনাও করতে পারেনি ওরা! পাথরপিশাচ চমকে উঠলেন বৃদ্ধ হিউ মিচাম। তাঁর পাশের বাড়ির ব্যালকনিতে জ্যান্ত হয়ে উঠেছে একটা পাথরের তৈরি পিশাচমূর্তি! টিকটিকির মত ওঠানামা করছে দেয়াল বেয়ে। অবিশ্বাস্য! তদন্ত করতে গেল অয়ন-জিমি। আঁতকে উঠল রাত দুপুরে জানালায় গারগয়েলের মুখ দেখে। শুরু হয়ে গেল একের পরে এক রহস্যময় কাণ্ড। কে ঘটাচ্ছে একের পর এক রহস্যময় কাণ্ড? কেন?
বনের ভেতর থেকে এমিলি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে উদ্ধার করল অয়ন, জিমি আর রিয়া। ওকে নাকি ড্রাগন আক্রমণ করেছিল। এমিলির মা বললেন, তাঁর মেয়ে বড্ড কল্পনাবিলাসী। ওর জগৎ্টা রাজকন্যা-রাজপুত্র, দত্যি-দানো, পরী-জাদুকর আর রূপকথার সব প্রাণী দিয়ে ভরা। তা-ই যদি হবে, এমিলিকে আক্রমণ করল কে? অদ্ভুতদর্শন এক পাখি নিয়ে কে ঘুরে বেড়াচ্ছে উপত্যকায়? অলোকদর্শী অ্যালথিয়াই বা অমঙ্গলের আশঙ্কা করছে কেন? কেনই বা হামলা আসছে অয়ন-জিমি-রিয়ার ওপর… বার বার? রহস্যের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে গোয়েন্দারা। শেষে বুঝল, এই রহস্যের সমাধান করতে চাইলে এমিলির চোখ দিয়ে দুনিয়াটা দেখতে হবে ওদের। উকি দিতে হবে রূপকথার জগতে।
কাজী আনোয়ার হোসেন সহযোগী: ডিউক জন বিতর্কিত সার্বিয়ান বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা-র আবিষ্কারের সাহায্যে এক দল ষড়যন্ত্রকারী চাইছে পৃথিবীর বুকে ভয়াবহ বিষাক্ত ছোবল বসাতে। তাদের প্রলয়নেশায় ধস নামল পাহাড়ে, ফুঁসে উঠল সমুদ্র, ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেল আস্ত এক শহর। উদ্দেশ্যটা কী এদের? পুরানো বন্ধু সেলেনার সাহয্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ কাউণ্টার ইণ্টেলিজেন্সের মাসুদ রানা গিয়ে পড়ল প্রচণ্ড এই আবর্তের মধ্যে। ধীরে ধীরে খুলতে লাগল ভয়ঙ্কর এক চক্রান্তের গিঁট।
কুয়াশা, শহীদ ও কামাল। দেশে-বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে। দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন, উপভােগ করতে পারবেন রহস্য, রােমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছােটরাই নয়, ছােট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন।
সায়েম সোলায়মান ভুল: আনিকাকে পাওয়ার জন্য আপন চাচাকে খুন করার প্ল্যান করেছে সোহেল। কিন্তু… ওয়াস্পস নেস্ট: ‘আমি আসলে এমন একটা অপরাধের তদন্ত করছি, যা এখনও সংঘটিত হয়নি, বলল এরকুল পোয়ারো ঈর্ষা: শিরিনকে খুন করেছে কবির। কেউ কিছু টের পায়নি। কিন্তু শিরিনের লেখা প্রেমপত্রটাই এলোমেলো করে দিল সব। ডেথ বাই ড্রাউনিংঃ রোয এমটের মৃত্যু কি আত্মহত্যা, না খুন? চিরকুটে কী লিখেছেন মিস মার্পল? নেকলেস রহস্যঃ আলমারি অক্ষত , চোরের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি নেই। তালা লাগাতেও ভুল হয়নি। তা হলে কীভাবে গায়েব হলো নেকলেসটা? দি আইডল হাউয অভ অ্যাস্টার্টে: চন্দ্রদেবীর মূর্তি প্রাণ পেয়ে হত্যা করেছে রিচার্ড হেইডনকে? মিস মার্পল মানতে নারাজ। সৈকতে সাবধান: পড়ে থাকা কিছু কাপড় অভিনব এক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলল ক্রাইম রিপোর্টার রাশেদ হায়দারকে। স্যাংচুয়ারিঃ আশ্চর্য, ভাই মরেছে, কিন্তু লাশের চেয়ে কোটের প্রতি আগ্রহ বেশি ভদ্রমহিলার। কারণ কী? ভালোবাসা ভালো নয়ঃ কবিতার স্বামী ফয়সল নিখোঁজ। তদন্ত করতে গিয়ে উঠতে হলো রাশেদ হায়দারকে। দ্য থাম্ব অভ সেইন্ট পিটারঃ স্বামীকে নাকি বিষ খাইয়ে মেরেছে মেবল। রহস্যটার সমাধান করে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন মিস মার্পল। নিশির ডাকঃ ছেলে হারানো আফরোজা ঘুমের ঘোরে মা শোনেন। মানসিক সমস্যা? তদন্ত শুরু করল রাশেন হায়দার। টেপ-মেজার মার্ডার। নিজঘরে মরে পড়ে আছেন মিসেস স্পেনলো। গ্রামবাসীর ধারণা, নির্বিকার স্বামীই খুনি। আসলেই?
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ। জাগতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। ১৯৯৩ সাল থেকে বিরতিহীনভাবে দেশের সর্বত্র এখন পর্যন্ত (মার্চ, ২০১৫) অনুষ্ঠিত এ কোর্সের ৩৮৫ টি ব্যাচে তিনি একাই প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। বিশ্বের মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। দুই যুগ ধরে বাংলাভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত আত্মনির্মাণ, চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন ও এর ইংরেজি সংস্করণ “1001 Autosuggestions to change your life’, আলোকিত জীবনের হাজার সূত্র কোয়ান্টাম কণিকা এবং সর্বশেষ আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম এক গতিময় প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া জীবনকে স্বপ্নের রঙে রাঙানোর, শূন্য থেকে শুরু করার, সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তরের, সাফল্যের সোনালি স্তরে উত্তরণের, সেবা আর মানবিকতায় চারপাশ আলোকিত করার। লাখো মানুষের মতো তাই আপনিও একাত্ম হোন জীবনের চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরের এই চিরায়ত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় । আপনিও বলুন, যা চাই তা-ই পাব। আমি পারি আমি করব।
শায়েস্তা বন্ধুর খুনীকে অনুসরণ করে সুদূর কলোরাডোতে এল রে জনসন, সিডার শহরের সেলুনে অন্যায় ভাবে পেটানো হলো ওকে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে কারা এরা? ওর বন্ধুর খুনীটা কে আসলে? চারদিকে ছড়িয়ে আছে শত্রু। তেতে উঠছে পরিস্থিতি, এমনি সময় পাল্টা ছোবল দিল রে জনসন। সাহস করে ওর পাশে দাড়াল কয়েকজন। শুরু হলো লড়াই। সমন-১+২ ব্যাগলে আর বোন, দুই বন্ধু। অস্থায়ী রেঞ্জার ওরা; দুর্ধর্ষ, বেপরোয়া, সাহসী অথচ সহজ-সরল মানুষ। বিপজ্জনক সব অ্যাসাইনমেন্টে ব্যস্ত। বোন গেছে রেড রিভারে এক ব্যাঙ্ক ডাকাতকে ধরতে। গভর্নর ডুক ব্যাগলেকে পাঠালেন মেক্সিকোর গভীরে ঢুকে ব্ল্যাক শ্যাডো নামের এক ভয়াবহ দস্যুকে ধরে আনতে। ওরা কি জানত জীবনের সবচেয়ে কঠিন অ্যাসাইনমেন্টে জড়িয়ে যাবে? শেষ পর্যন্ত বেনন আর ব্যাগলে বন্দি হলো। ব্যাগলের তৈরি অস্ত্র দিয়েই বেননকে খুন করতে চায় প্রাক্তন রাজনীতিবিদ গ্রিফিন। অস্ত্রটা না বানিয়ে উপায় নেই ব্যাগলের। বেননকে দু’একদিন বেশি বাচাতেই খুন করার যন্ত্র তৈরি করল ব্যাগলে!
বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত দুঃসাহসী স্পাই গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে। বিচিত্র তার জীবন। অদ্ভুত রহস্যময় তার গতিবিধি। কোমলে-কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর-সুন্দর এক অন্তর। একা। টানে সবাইকে, কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না। কোথাও অন্যায় অবিচার অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। পদে পদে তার বিপদ শিহরণ ভয় আর মৃত্যুর হাতছানি। আসুন, এই দুর্ধর্ষ চির-নবীন যুবকটির সঙ্গে পরিচিত হই। সীমিত গণ্ডিবদ্ধ জীবনের একঘেয়েমি থেকে একটানে তুলে নিয়ে যাবে ও আমাদের স্বপ্নের এক আশ্চর্য মায়াবী জগতে। আপনি আমন্ত্রিত। ধন্যবাদ।
ডিউককে যদি কেউ বলে অমুক লোকটাকে খুন করতে হবে—পারবে? প্রথমে সে জানতে চাইবে বিনিময়ে কত টাকা দেয়া হবে তাকে। দরে বনলে অর্ধেক টাকা অগ্রিম চাইবে সে। এবং টাকা নিয়ে কাজটা করবে না। কারও কিচ্ছুটি করবার উপায় নেই এ নিয়ে তো আর থানা-পুলিস চলে না। বেশ চলছিল এরকম। কিন্তু ভুলটা করল তখনই যখন আশি হাজার টাকা নিল সে কেয়া চৌধুরীর কাছ থেকে—যে জানে, টাকা নিয়ে কাজ করবার অভ্যেস নেই ওর।
করুণ আকুতি জানালেন ধনকুবের পিয়েরে উইনিং: মরতে বসেছে তাঁর নাতনি, ব্যর্থ হয়েছে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান, এখন কেবল একটা মিথ… অ্যালকেমির পুরনো এক পাণ্ডুলিপিই হয়তো পারে মিনতিকে বাঁচাতে। চমকে গেল রানা মেয়েটির নাম শুনে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে রানা বুঝল, অনুরোধে ঢেঁকি গিলেছে। ওই পাণ্ডুলিপির অস্তিত্ব আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তো আছেই, ঝামেলা হিসেবে সঙ্গে জুটে গেছে কানাডিয়ান এক একরোখা সুন্দরী। কোনও এক গুপ্তসংঘও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় ওটার সাহায্যে… যে-কোনও মূল্যে। একাধিকবার মরণফাঁদ পাতল তারা রানা-সেলেনার জন্য। উপযুক্ত জবাব দিল রানাও। কিন্তু ও জানত না, সব শেষ হয়ে গেছে ভেবে যখন সতর্কতায় ঢিল দিয়েছে একটু,তখনই চুপিসারে হাজির হয়ে যাবে শত্রুপক্ষের ভয়ঙ্করতম খুনিটা।
সোহানাকে কথা দিয়েছিল রানা, পেনাং দ্বীপের ‘পেস্তা পুলাউ’ উৎসবে দেখা হবে দু’জনের। দিনে ডুব দেবে ওরা বাটু ফারেঙ্গী সৈকতের সমুদ্র গভীরে-ড্রাগনস্পটে, রাতে ডুব দেবে একে অপরের মনের গহীন গভীরে; তুলে আনবে মণি-মুক্তো যে যা পায়। ড্রাগনস্পটে ডুব দিয়ে সোহানা তুলে আনল ছুরি, কাঁটা চামচ-ঘর-সংসারের সামগ্রী। আর রানা? রানা তুলে আনল ছোট্ট একটি অ্যাম্পুল। কীসের অ্যাম্পুল ওটা? ভয় দেখাতে চাইছে কেন ওদের দুর্ধর্ষ বুকিত নাসেরী?
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড নাশকতামূলক তৎপরতা চালাচ্ছে। মনাদিল দাউদের অ্যাকশন পার্টি। মনে হচ্ছে এরা সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধাই বটে! কিন্তু রানা লক্ষ করছে। এদের অ্যাকশনের ফলে ইসরায়েলিদের কারও কোন ক্ষতি হচ্ছে না, মারা পড়ছে নিরীহ আরব শিশু, নারী,বৃদ্ধ। এই মনাদিল দাউদই কেড়ে নিতে যায় ফ্রিডম পার্টির জন্যে আনা অস্ত্র। চায় বশির জামায়োলের লুট করা। বাংলাদেশের সম্পত্তি এক টন সোনার সন্ধান, তার ভাইঝির প্রেম!
নিউ অর্লিন্স এয়ারপোর্টে পৌঁছে রানা জানল, কাছেই ছোট্ট এক শহরে বাঁশি বাজাবেন দুনিয়া-সেরা বংশীবাদক পন্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া। তখনই স্থির করে ফেলল ও, থেকে যাবে আর দুটো দিন, কিংবদন্তি মানুষটির বাঁশি শুনে তারপর ফিরবে দেশে। জানত না, সিদ্ধান্তটা ছিল কতবড় ভুল। জড়িয়ে পড়ল ও ভয়ঙ্কর এক বিপদে! গেস্টহাউসে উঠে যে হাসিখুশি কৃষ্ণাঙ্গিনী মহিলাকে বড়বোনের মত লেগেছিল, তারই খুনের দায়ে ফেঁসে গিয়ে পালাচ্ছে এখন রানা। কিন্তু পালিয়ে যাবে কোথায়? শুরু হয়েছে লুইযিয়ানার সবচেয়ে বড় ম্যান-হাণ্ট! একদিকে রক্তলিপ্সু কিছু লোক ও শত শত পুলিশ, অন্যদিকে রানা একা! যারা চরম অন্যায় করল লিযের ওপর, তাদেরকে ছেড়ে দেবে রানা? শুরু হয়েছে ওর প্রাণান্ত সংগ্রাম! শপথ নিয়েছে: প্রাণ থাকতে ছাড়বে না ওই বর্ণবাদী খুনি জানোয়ারগুলোকে!
মেয়েটাকে দেখে চমকে উঠল রানা। ঠিক যেন লুবনা… লুবনা আভান্তি! ইটালিয়ান সেই মিষ্টি কিশোরী, যে রানার মন জয় করে নিয়েছিল… যে ওকে একটা গান উপহার দিয়েছিল… যাকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল রানা। সেই কষ্ট আজও তাড়া করে ফেরে ওকে। লুবনার মত এ-মেয়েটিও বিপন্ন। নিষ্ঠুর একদল খুনি তাড়া করছে তাকে, ছুটতে ছুটতে রাতদুপুরে রানার বুকে আছড়ে পড়েছে সে। এরপর কি আর চুপ করে থাকা যায়? সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রানা। জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়