কিপ্টে আর বোকাসোকা চেহারার একেন বাবু যে গোয়েন্দা এটা ভাবাই মুশকিল। একটু ন্যালা ক্যাবলাটাইপের ভদ্রলোক। সেই তিনি আবার কলকাতা পুলিশ থেকে আমেরিকায় ট্রেইনিং নিতে গিয়ে, ওখানেও গোয়েন্দাগিরি করে টু-পাইস কামান। একেন বাবু থাকেন বাপি এবং প্রমথর সঙ্গে। বাপি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে পড়ান, প্রমথ পিএইচ.ডি করছেন। যোগ্য ব্যাচেলর কিন্তু বিয়ে করার জন্য কোনো তাড়া নেই। বাপি বাবু লিখে রাখেন একেন বাবুর কীর্তি-কলাপ। একেন বাবু বিবাহিত কিন্তু ‘পরিবার’ কলকাতায় থাকেন। কবে কোলকাতা থেকে আমেরিকা নিয়ে আসবেন--এই প্রশ্নের উত্তরে একেন বাবু ভদ্রলোকের এক কথার মত বলেন, নেক্সট ইয়ার। যদিও সেই নেক্সট ইয়ার কবে আসবে, কেউ জানে না। যাই হোক--একেন বাবু সকলকেই স্যার বা ম্যাডাম বলেন আর আপনি ছাড়া কথা বলেন না। অবশ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে কী বলে সম্বোধন করেন, সেটা কেউ জানে না। ও! একটা কথা বলা হয়নি, একেন গিন্নি উবাচ, একেন বাবু ঘোড়ার ডিমের রিসার্চ করেন। খ্যাতিমান লেখক সুজন দাশগুপ্তের ‘একেন বাবু’ হালের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় একটি গোয়েন্দা চরিত্র, হইচই প্ল্যাটফর্ম থেকে পর পর তিন সিজন ওয়েব-ফিল্ম হিসেবে প্রচারিত হয়েছে একেন বাবু সিরিজটি। কিছুদিন একই প্ল্যাটফর্ম থেকে আগে মুক্তি পেয়েছে এর পূর্ণদৈর্ঘ সিনেমাটিও। সেই একেন বাবুর সেরা সব গোয়েন্দা গল্প নিয়ে এই বই।
শাফায়েত জেনেটিক্সের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। এমন সময় তার সামনে এলাে অনাকাঙ্খিত এক সুযােগ। কিন্তু সে কি ধারণা করেছিল সুযােগটার সাথে জড়িয়ে থাকবে তার জীবনের ভয়াবহ এক অধ্যায়?। ড. নাওয়াজ রহমান বিশ্বখ্যাত এক জীববিজ্ঞানী। খ্যাতি আর প্রতিপত্তির নেশায় সে কি বিসর্জন দিয়েছে নিজের মূল্যবােধ? তার মতাে একজন সম্মানীত বিজ্ঞানী কি নামতে পারে এতটা নিচে?। মােহাম্মদপুরের এক কবরস্থানের কাছ থেকে অপহৃত হলাে এক পথশিশু। কেন? কী পরিণতি তার? গভীর রাতে গােরস্থানে সদ্যমৃত কিশােরির লাশ তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো ‘খুচরা আফসার। পুলিশ তার কাছে যা শুনলাে, তা শুনে যারপরনাই বিস্মিত। কী করবে তারা। এখন? সাবের বুকের ভেতরে বয়ে বেড়ায় বিষন্নতার সমুদ্র। কিন্তু কেন? ঘটনাক্রমে শাফায়েত পড়ে যায় ভয়াবহ বিপদে। কী করে পরিত্রাণ মিলবে ওর? প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায়-এর পর তানজিরুল ইসলাম এবার হাজির হয়েছেন টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এক সায়েন্স-ফ্যান্টাসি উপন্যাসিকা নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মেয়ে জেবুন্নেসা এই উপন্যাসে পাঠকের সামনে মেলে ধরে তার জীবনের একটা দিন স্মৃতি, স্বপ্ন, অনুভ‚তি, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং চারপাশের ছবি বুনতে বুনতে সে কথা বলে। গল্পের মঞ্চ মেলবোর্ন শহর ও সন্নিহিত সাবআরবান এলাকা জুড়ে। মেলবোর্নে এসে হোঁচট খাওয়া, বন্ধুত্ব, চাকরি ইত্যাদির পাশাপাশি সাহিত্যপাঠ তাকে সন্ধান দেয় নতুন এক দুনিয়ার। তার তীব্র প্রেম, শূন্যতা, অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির গল্প শোনায় সে। বইবাহিক মূলত পথচলার কাহিনি চলার পথে খুঁজে পাওয়া এবং চলতে চলতে হারিয়ে ফেলার গল্প।
গ্যালাক্সির এক বর্বর সভ্যতা আউরেউরগথদের মহাকাশযান অনুসরণ করছে আন্তারেস জাহাজকে। আউরেউরগথ আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবে কি আন্তারেসের মহাকাশ-নাবিকেরা, যাদের মধ্যে রয়েছে বহু কিশোরী ও কিশোর? এই অল্পবয়স্ক অভিযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে অপ্রত্যাশিত সব আবিষ্কার যা আন্তারেসকে নিয়ে যাবে এক নতুন পথে। রোমাঞ্চকর এই আন্তঃনাক্ষত্রিক অভিযানে পাঠককে আমন্ত্রণ।
স্কুল শেষে বাসায় ফিরতেই ছোট্ট ব্রুনো দেখল সবাই গোছগাছ করছে, বাবার বদলি হয়ে গেছে, অন্য কোথাও যেতে হবে তাদেরকে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো সে। খেলার কোন সঙ্গি নেই। যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। ওপাশের সবকিছুকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু চুপ করে বসে রইল না ব্রুনো। অজানাকে জানার জন্যে খুঁজতে থাকলো উপায়। ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে দেখা হলো তার, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে গেল বন্ধুত্ব। কিন্তু এর পরিণতি কি হবে তা তার জানা নেই।