তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
এগারােজন মানুষসহ গায়েব হয়ে গেল যাত্রিবাহী একটি প্লেন। বেঁচে গেল ভাগ্যবিড়ম্বিত এক চিত্রশিল্পী আর মিডিয়া-মুঘল পরিবারের শেষ সদস্য চার বছরের এক শিশু। দুর্ঘটনা পরবর্তি ট্র্যাজেডি, মৃতযাত্রি এবং ক্রুদের অতীত সামনে চলে আসতে লাগলাে একে একে-ওয়াল স্ট্রিটের এক ধনকুবের আর তার স্ত্রী, এক মার্কিন সিনেটরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাগ্নে, জীবন নিয়ে দ্বিধান্বিত এক তরুণী এবং একজন পাইলট। এতগুলাে প্রভাবশালী ব্যক্তির মৃত্যু কি নিছকই কোনাে দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনাে রহস্য? নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিডিয়া, চলে কাদা ছােড়াছুঁড়ি। আর এসবের মাঝেই পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে সত্যিকারের ঘটনাটি। টিভি সিরিজ ‘ফাগো’খ্যাত নােয়া হলি’র বিফোর দ্য ফল গতানুগতিক কোনাে থৃলার উপন্যাস নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার এবং এডগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ি এই। থৃলারটি পাঠককে ভাগ্য, মানবপ্রকৃতি আর এক অলঙ্ঘ্য বন্ধন নিয়ে ভাবাবে।
একজন মানুষকে কি দেখে বোঝা যায় যে সে আসলে কে? মানুষের ওপরটা দেখে কি তার ভেতরের রূপটা জানা যায়? মানবমনের ফাঁকফোকড়ে লুকিয়ে থাকে কতশত ব্যাখ্যাতীত অনুভূতি, ত্রুটিবিচ্যুতি আর জটিলতা। আচ্ছা ইতিহাসও কি মানুষের মতো নয়? নিজের ফাঁকফোকড়ে যে ইতিহাস কতশত ব্যাখ্যাতীত ঘটনা লুকিয়ে রেখেছে তা আমরা একটু নজর দিলেই হয়তো দেখতে পাই। আমরা কি আদৌ জানতে পারি যে আসলে কী ঘটেছিলো? বা আমাদের কি জানানো হয়? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণ এসে উঠলো এক পুরোনো বাড়িতে। রাত হলেই পাশের জনশূন্য ঘর থেকে ভেসে আসে রহস্যময় হাসির শব্দ। এই কাহিনির সাথে রাজা অশোকেরই বা কী সম্পর্ক? কিংবা আরেকজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কেন দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে যেতে? আমাদের দৃশ্যমান জগতই কি সব? নাকি অন্তরালে আছে আরো ভিন্ন কোনো ভুবন? ধীরেধীরে যখন উন্মোচিত হয় সব সত্য, তখন জাপ্টে ধরে আরো রহস্য। সবই কি আসলে ভ্রম? এই মানবজীবনের মতো? পাঠক তা আবিষ্কার করবে এই দুই মলাটের পাতায় পাতায়। অলৌকিক আর অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুবনে আপনাদের স্বাগতম।
বর্তমান সময়ে সবচাইতে আলোচিত একটি বই নো ইজি ডে। সাবেক নেভি সিল কমান্ডো ম্যাট বিসোনেট (এই বইয়ের জন্য মাক ওয়েন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন) সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেনের কিলিং মিশনে। সেই অভিযানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বর্ণনার পাশাপাশি এই বইতে উঠে এসেছে আমেরিকান স্পেশাল ফোর্সের অভ্যন্তরের বিশদ চিত্র আর অসংখ্য মিলিটারি অপারেশনের নিখুঁত বিবরণ, সেইসাথে বিন লাদেনকে খুঁজেবের করার সত্যিকারের গল্প। পাঠক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এর আস্বাদ নেবেন।
রিক রিওরড্যানের থার্টি নাইন ক্লুজ সিরিজের প্রথম বই এটি। পাজল আর ধাধার অসাধারণ একটি অ্যাডেভঞ্চার। শুধু শিশু-কিশোরদেরই নয়, বরং সব বয়সী পাঠকের এটি ভাল লাগবে।