ডেভ এলিয়ট এক সকালে নিজের অফিসে ঢুকেই আবিষ্কার করে তাকে সবাই খুন করতে চাচ্ছে। নিজের বস, সহকর্মী এমনকি তার স্ত্রীও। কিন্তু কেন? জোসেফ গারবার-এর অনবদ্য আর টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠক দারুণ উপভোগ করবেন।
আট বছর ধরে ড. ডেভিড বেক জানে তার স্ত্রী মৃত অসহ্য যন্ত্রণা, হাহাকার আর সংশয় তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বেদনার্ত বেক চেষ্টা করছে নিজেকে মানিয়ে নেবার কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু রহস্যজনক ইমেইলের আগমনে তার পৃথিবীটা আবারও এলােমেলাে হয়ে গেল। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া দুটো লাশ আর নিজের স্ত্রীর খুনের দায়ভার-সবকিছুই এসে চাপলাে তার ওপর। তাকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল পুলিশ, কিন্তু অসহায় বেক পালিয়ে বেড়ালাে সম্পূর্ণ অন্য একটা কারণে। ঘটনাক্রমে ধীরে ধীরে সামনে এলাে অসম্ভব এক রহস্য, নিখুঁত একটি পরিকল্পনা, এবং অবশ্যই অজানা কিছু সত্য।
চেতন ভগতের এই ভিন্নধর্মী উপন্যাসটি ভারতে রেকর্ড সংখ্যক ৮০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে। তিন যুবকের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা-ক্রিকেট, গণিত আর ব্যবসা। সেই সাথে যোগ হয় প্রেম আর রাজনীতি। জটিলতার মধ্যে পড়ে যায় সম্পর্কগুলো। অসাধারণ এই উপন্যাসটি খুব শীঘ্রই চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে।
অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
মাইনুল, সাদাসিধে একজন মানুষ। এক পা খোঁড়া, স্ত্রী আর এক মেয়ে নিয়ে নিঝঞ্জাট পরিবার। মাঝরাতে জড়িয়ে পড়ল এক ঝামেলায়। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান কবির খানকে পাওয়া গেল মৃত অবস্থায়। খুনিকে ধরার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলাে স্থানীয় থানা। উপর মহল থেকে চাপ আসছে ক্রমাগত। থানার দুই অফিসার আরিফুল হক এবং হাফিজ সরকার উঠে পড়ে লাগল খুনিকে খুঁজে বের করতে। এক খুনের সমাধান না হতেই দ্বিতীয় খুন। তারপর... সাম্ভালা-ট্রিলজিখ্যাত শরীফুল হাসানের ভিন্নধর্মি এই থৃলারটি সকলের ভালাে লাগবে।
থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন। বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১ বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ৩:০১। শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে। আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা। কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে। ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম। আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। আর্চি। কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে। এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে। “ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে। “খবরদার, আর্চি!” অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার । নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয় অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।