এই কাহিনীর শুরু কয়েক হাজার বছর আগে। প্রখ্যাত শিল্পপতি আজমত উল্ল্যাহ’র একমাত্র ছেলে ওয়াসিফ উল্লাহকে নৃশংসভাবে খুন করা হলাে। লাশ ঘিরে বিচিত্র সব আঁকিবুকি, একপাশে রাখা সুদৃশ্য চেয়ার,সামনে গামলা ভর্তি মানবরক্ত! কেসটার দায়িত্ব পড়ে সিআইডি’র ডিপার্টমেন্ট অব এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-এর উপরে। আড়ালে আবডালে সবাই আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলে নাক সিঁটকায়। এই ডিপার্টমেন্টেরই একরােখা গােয়েন্দা রহমান জুলফিকার খুনির খোঁজে গলিঘুপচি খোঁজে বেড়ায়, তার সঙ্গি ক্ষ্যাপাটে কনসালটেন্ট শাহজাহান ভূঁইয়া। এ আখ্যানের আরেক চরিত্র বিলুপ্তপ্রায় ধর্মীয় সংঘটন অ্যানশিয়েন্ট অর্ডার অব দ্য সেক্রেড মাউন্টেনের প্রধান ধর্মগুরু হাইঞ্জ বেকারের উপর কালাে আলখাল্লাধারীরা হামলা চালায়, রক্তবন্যা বয় আশুগঞ্জের এক হােটেলে। হােটেলের দেয়ালে আঁকা দুর্বোধ্য সিম্বল আর তারচেয়েও দুর্বোধ্য কিছু কথা। সুপ্রাচীন এক বইয়ের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরছে এক গােলাপি টাইধারি। পরনে স্যুটকোট, কাঁধে গলফ ব্যাগ। যেখানেই যাচ্ছে বইয়ে দিচ্ছে রক্তের নহর। এদিকে একের পর এক খুন করে যাচ্ছে ম্যাড উগ নামের এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার। হাজার বছর আগে যে কাহিনীর গুরু তার সফল সমাপ্তি কী করা ঘটবে? নাকি আঁধারে ছেয়ে যাবে ধরণী?
নিয়তিতে বিশ্বাস করেন!? বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, দেশখ্যাত থৃলার লেখক নওরোজ মোস্তফা ঠিকই নিয়তিতে বিশ্বাস করেন। আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে এক পৃষ্ঠাও এগোতে পারছেন না সে। বন্ধুর জিতুর রহস্যময় মৃত্যুকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবে সেখানে? পঁয়ত্রিশ বছর আগে স্মৃতির আতলে হারিয়ে যাওয়া এই মৃত্যু-রহস্য ভেদ করতে মোহনগঞ্জে ফিরে আসে সে। ওটা কি খুন নাকি আত্নহত্যা-তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে। ধর্ষণ মামলায় জড়িত থাকা মোল্লা, সাদেক, কাদের, শুভাশিসের সাথে জিতুর কী সম্পর্ক ছিল ? ভুমিদস্যু, রাজাকার জুম্মন বেপারি কি তবে সত্যিই প্রতিশোধ নিয়েছিল? লাশের পর লাশ আর রক্তের নদী পেরিয়ে কতদূর গেলে পাওয়ায যাবে এসব প্রশ্নের উত্তর -জানা নেই তার। নওরোজ মোস্তফা ডুবে যেতে থাকে পঁয়ত্রিশ বছর ধরে জমে থাকা রহস্যের স্তুপে...গভীর থেকে আরও গভীরে-যেখানে সত্যি মিথ্যা হয়ে যায়, আর মিথ্যা হয়ে যায় সত্যি
আট বছর ধরে ড. ডেভিড বেক জানে তার স্ত্রী মৃত অসহ্য যন্ত্রণা, হাহাকার আর সংশয় তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বেদনার্ত বেক চেষ্টা করছে নিজেকে মানিয়ে নেবার কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু রহস্যজনক ইমেইলের আগমনে তার পৃথিবীটা আবারও এলােমেলাে হয়ে গেল। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া দুটো লাশ আর নিজের স্ত্রীর খুনের দায়ভার-সবকিছুই এসে চাপলাে তার ওপর। তাকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল পুলিশ, কিন্তু অসহায় বেক পালিয়ে বেড়ালাে সম্পূর্ণ অন্য একটা কারণে। ঘটনাক্রমে ধীরে ধীরে সামনে এলাে অসম্ভব এক রহস্য, নিখুঁত একটি পরিকল্পনা, এবং অবশ্যই অজানা কিছু সত্য।
এক রাতে আমেরিকার সুপৃমকোর্টের দু’জন বিচারক খুন হলে তদন্ত কাজ শুরু হয়। আইনের এক ছাত্রি নিতান্তই কৌতুহল আর একাডেমিক কারণে জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনায়। তার পিছু নেয় ভয়ঙ্কর এক খুনি। নিজের জীবন বিপন্ন দেখে আত্মগোপনে চলে যায় সে। আরো অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। কিন্তু শেষে পাঠক যা জানতে পারবে তা একেবারেই ভিন্ন একটি ঘটনা।