খুন হয়ে গেল ছদ্মনামে লেখালেখি করা জনৈক ‘নাস্তিক’ ব্লগার। হােমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়লাে মাঠে। কল্পনাও করতে পারেনি কাদের বিরুদ্ধে লাগতে যাচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আসিফের পছন্দ নয়, অথচ ভবিতব্য এড়াতে পারলাে কই? প্রাণ বাঁচাতে ট্রিগার চাপতে বাধ্য হলাে। একুশ বছরের এক মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। নিরুপায় বাবা শরণাপন্ন হলেন উঠতি এক প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের। জোহান লস্কর যখন কেসটা নিলাে, ব্যক্তিগত জীবনেও চলছে তার টানপােড়ন। কাঞ্চনপুরে পা রাখতেই শুনতে হলাে হুমকি-‘সময় থাকতে চইলা যান। পরে জান লইয়া ভাগতে পারতেন না’। একাত্তরে অসমসাহসী যুদ্ধ করেছে টাইগারবাহিনী, কিন্তু রাজাকার হায়দারের সাথে মুক্তিযােদ্ধা কিবরিয়ার দহরম মহরম হয় কী করে? পরিস্থিতি আরও ঘােলাটে করতে চিত্রপটে এলাে মুরং ওঝা, রহস্যময় আশ্রয়দাতা হাজীসাহেব, নিটোল সৌন্দর্যের অধিকারিণী সুমি। একাত্তরে কাঞ্চনপুরে কি ঘটেছিলাে যার জের টেনে আজকের দিনেও প্রাণভয়ে ছুটে পালাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাধারণ ছাত্রকে? ক্যামেরা নিয়ে মাঠে নামলাে ছিচকে রিপাের্টার জন, পেছনে লাগলাে নির্মম, চৌকস এক সংগঠন। পড়তে শুরু করলাে লাশ! দেশবাসীর চোখ তখন আটকে আছে মাহেন্দ্রপুরের মহাযুদ্ধে। মাত্র ছয়জন যােদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে স্রেফ প্রখর বুদ্ধিমত্তা সঙ্গি করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আস্ত এক কোম্পানি সৈন্যের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে নামলাে টাইগার। দিনশেষে বুঝতে পারলাে ষড়রিপুর বিরুদ্ধে যুদ্ধটা বন্দুকযুদ্ধের চেয়েও অনেক অনেক বেশি কঠিন। মুষ্টিমেয় কিছু সিভিলিয়ান শক্তভাবে দাঁড়ালাে প্রশিক্ষিত এক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ছারপােকা : দ্য ব্যাটল অভ মাহেন্দ্রপুর বইটি খুলতে যাচ্ছে এমন এক অধ্যায় যা বাংলাদেশে স্মরণ করা নিষিদ্ধ হয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য বানানাের পর থেকে।
গল্পটা মোহাচ্ছন্ন এক আশ্চর্য মায়ানগরীর। যে নগরের বাসিন্দারা অযাচিতই জড়িয়ে আছে একে অন্যের জীবনের জটাজালে। রুপকথার এই গল্পটা নর-নারীর কিছু অনাহুত সম্পর্কের, ক্লেদাক্ত কলুষতার অথবা নিতান্তই মানবিকতার। আদি এবং অন্তে গল্পটা আদতে জাদুর এই শহরের।
সর্বমোট মৃতের সংখ্যা প্রায় এক কোটি তিন লক্ষ একুশ হাজার। ভবিষ্যত প্রজন্মের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপস্থিত বিজ্ঞানীরা। সম্বিৎ ফিরে পেয়ে প্রফেসর আকিরা নাকামুরা খুব সন্তর্পণে সামনে রাখা ভার্চুয়াল ফাইলটি গুটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট পদক্ষেপে দরজার দিকে এগিয়ে যান। হতবাক প্রেসিডেন্ট মৃদুস্বরে বলেন, “মিস্টার নাকামুরা, চলে যাচ্ছেন?” দাঁড়িয়ে পেছনে না তাকিয়েই প্রফেসর নাকামুরা বলেন, “আমি সুস্মিতা ব্যানার্জির থিওরি মেনে নিয়েছি। মানুষ তার জ্ঞানের প্রান্তিক সীমায় পৌঁছে গেছে। এর চেয়ে বেশি জ্ঞান অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়; আর জ্ঞানের প্রান্তিক সীমার কাছাকাছি পৌঁছে মানুষ আত্ম-ধ্বংসে মত্ত হয়ে উঠে। প্রজেক্ট ব্যর্থ হয়েছে।” এতটুকু বলে কিছুক্ষণ দম নেন। তারপর স্পষ্ট করে প্রতিটি শব্দ আলাদা আলাদা করে উচ্চারণ করে বলেন, “মানুষ প্রকৃতি-বিরোধী সৃষ্টি। তার ধ্বংসই প্রকৃতির স্বস্তির একমাত্র পথ।”
এ গল্প এগারো বছরের এক বাচ্চা, জহিরের; ‘চোরের ছেলেও চোর’- এই অপবাদে যাকে গ্রামবাসীরা অচ্ছুত ভেবে তাড়িয়ে দিয়েছে। গল্পটা আংশিক হলেও জাহাঙ্গীরের। এককালের কুখ্যাত চোর, যাকে কি না ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে এমন এক অপরাধে, যা সে করেইনি। গত আট বছর ধরে সৎভাবেই চলছিল মানুষটা। তবে কি ভালোর কোন দাম নেই? গল্পটা তরফদার চেয়ারম্যান আর ওসি ফারুকেরও, যাদের দুর্নীতির লোভ ক্রমশ বাড়ছে। গল্পটা মিঠাপুকুর নামের এক গ্রামের সকল গ্রামবাসীর, যারা জানে না কোন বিপদ ধেয়ে আসছে তাদের দিকে। গল্পটা মানুষরূপী কিছু হায়েনার।
শেষ লড়াইয়ের পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কিন্তু লড়াই আবার হবে। অন্ধ জাদুকরের সাথে দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরছেন মুরশেদ মিয়া, সাথে তার দুই সঙ্গী। কিন্তু ফেরার পথে পদে পদে বাঁধা, বিপত্তি। অন্যদিকে, নিজেকে খুঁজে ফিরছে কিশোর সালাম। আশ্রম থেকে পালানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ডঃ আরেফিন দেখা পেলেন এক অদ্ভুত মানুষের। এই মানুষটাই হয়তো জানে সেই রহস্যের কথা যা তার বাবার মৃত্যুর সাথে সাথে হারিয়ে গেছে। তা জানার জন্য সর্বস্ব বাজি রাখতে রাজি ডঃ আরেফিন। সালামকে খুঁজছে মুরশেদ মিয়া এবং অন্ধ জাদুকর, সালামকে খুঁজছে গওহর জামাল। আর সালাম খুঁজছে নিজের আসল অতীত। সব কিছুর মীমাংসা হবে খুব শিগগিরি। ভালো-মন্দ, আলো-অন্ধকারের লড়াইয়ে তৃতীয় কোন পক্ষের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরা কারা? এ সব কিছু নিয়েই টান টান উত্তেজনা আর জাদুর অদ্ভুত পৃথিবী নিয়ে ‘অন্ধ জাদুকর’ সিরিজের দ্বিতীয় উপাখ্যান ‘অন্ধ জাদুকর : প্রলয় হুঙ্কার’।
রাজধানীর খিলগাঁয়ের তালতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি ক্ষত-বিক্ষত বীভৎস মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাঁচটি মৃতদেহই নগ্ন! জানা যায়, এই পাঁচজন গত বছর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কে বা কারা এমন বীভৎসভাবে খুন করেছে, পুলিশ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই। নিখোঁজ হয়ে যায় আরাে পাঁচজন। তারপর, একইভাবে তাদেরও নগ্ন এবং ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায় পরের বছরের একই দিনে! কী সম্পর্ক ছিল এই নিহতদের মাঝে? ভিন্ন ভিন্ন বয়সের, ভিন্ন ভিন্ন পেশার এবং ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসবাসকারী এই মানুষগুলাের মাঝে যদি কোনাে সম্পর্ক কিংবা যােগাযােগ না-ই থেকে থাকে, তবে তাদের সবার সঙ্গে খুনির কী সম্পর্ক? আর তাদের সবার দেহে খোদাই করে আঁকা ছবিগুলােই বা কী অর্থ বহন করছে? খুনি কি কিছু বলতে চাইছে এই ছবিগুলাের মধ্য দিয়ে? কী বলতে চাইছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে রহস্যের সমাধান করতেই মাঠে নেমেছে ডিবির জাঁদরেল গােয়েন্দা রায়হান সিদ্দিকী। সে কি পারবে এই রহস্যের জট খুলতে? না কি নিজেই জড়িয়ে পড়বে ধূর্ত প্রতিপক্ষের হেঁয়ালির জালে...আর সেই জাল কেটে সে বেরিয়ে আসতে আসতেই লাশ পড়বে আরাে পাঁচজনের?! তানভীর আহমেদ সৃজনের লেখা সাইকোলজিক্যাল থৃলার ‘একটা গল্প শুনবেন?’ রহস্য, জেদ, নৃশংসতা আর রক্তের জাল যেখানে বুনেছে ভিন্নমাত্রার এক গল্প।
অজানা অচেনা নাম্বার থেকে একটা ফোনকল পেয়ে চমকে উঠলেন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ি এবং ধনাঢ্য এক ব্যক্তি। জিরক্স নামে পরিচয় দেয়া সেই কলার তাকে অতীতের এমন একটি অধ্যায়ের মুখােমুখি করলাে যা তিনি এতদিন ধরে ধামাচাপা দিয়ে এসেছেন। সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে ইয়াসির হাসান। স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে মদই তার নিত্যসঙ্গি। রাতের বেলায় যে শিশুদের সঙ্গে তার দেখা হয় তাদের সাথে তার সম্পর্কটা কী? ইউরােপের স্বনামধন্য একটি বিজ্ঞান গবেষণাগারে সময়-পরিভ্রমণের যন্ত্র। আবিষ্কার করতে গিয়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল মশিউর রহমান। অন্য কোন সংস্থায় চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরে বেকার সে। তার সময়-পরিভ্রমণের যন্ত্রটা কি কোন পরিবর্তন নিয়ে আসবে মানুষের জীবনে? সময়ের সিড়ি বেয়ে একটি বুলেট সায়েন্স-ফিকশন থৃলার...পাঠককে নিয়ে যাবে উত্তেজনায় পরিপূর্ণ এক সময়ে, যেখানে বিজ্ঞান নয়, গল্পটাই মুখ্য।
তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একজন খুন হয়ে গেছে, একজন আছে জেলে, আর অন্যজন সত্য সন্ধানে মরিয়া হয়ে খুঁজছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। চৌদ্দ বছর পর অ্যাঞ্জেলা ওয়াংয়ের দেহাবশেষ পাওয়া যায় জিওদের বাড়ির কাছের জঙ্গলে, মাটির নিচে। কাইজার এখন সিয়াটল পুলিশের গোয়েন্দা, শেষ পর্যন্ত সত্যটা বের করতে পারে সে-অ্যাঞ্জেলা ওয়াং ছিলো কেলভিন জেমসের শিকার। এই কেলভিন জেমস আরও তিনটি মেয়েকে হত্যা করে সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে ধরা যাচ্ছে না। নিজের প্রথম ভালোবাসা ত্যাগ করে এগিয়ে আসে জিও-ধরিয়ে দেয় তাকে, বের হয়ে পড়ে এক রোমহর্ষক ঘটনা। সবাই যখন মনে করে অবশেষে সত্যিটা জানা গেছে; তখনই বেরিয়ে আসে আরও গভীর ষড়যন্ত্র-ভয়ঙ্কর এক সত্য চাপা পড়ে আছে তখনও। সেই দুর্ভাগ্যজনক রাতের ঘটনা ফিরে এসেছে ভয়ঙ্কর আর রোমহর্ষক হয়ে। ঘুমন্ত দানব আবির্ভূত হয়েছে, একের পর এক খুন করা হতে থাকে নির্দিষ্ট শ্রেণির কিছু মানুষকে। কেন? কেন নির্দোষ-নিঃষ্পাপ বাচ্চাদেরও খুন করা হচ্ছে?.কতটা নির্মম হলে মা তার সন্তানকে ঊনিশ বছর পর প্রথমবার দেখা হওয়ার পরেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা চিন্তা করতে পারে? কতটা নির্মম হলে একটা মানুষ চৌদ্দ বছর নিজের যন্ত্রণা লুকিয়ে রাখতে পারে?. মানুষের বাঁচার লড়াই, উত্থান-পতন, চাহিদা, ভালোবাসা-রোমান্স-যৌনতা, হিংস্রতা, ভয়ঙ্কর সব দিকই তুলে এনেছেন লেখিকা।. জেনিফার হিলিয়ার তার সাইকোলজিক্যাল ক্রাইম থৃলার জার অব হার্টস-এ দেখিয়েছেন, আমরা যা দেখতে চাই, তাই দেখি। কিন্তু যা দেখি তা-ই সব নয়!
সেই অসহনীয় আর্তনাদ...সেই অপার্থিব কি কি শব্দ...এখনাে দুঃস্বপ্নের মাঝে তাড়া করে ফেরে আমায়। যে ভয়াল অস্তিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিল আমার ভালােবাসাকে, সেই অস্তিত্বের জন্ম পৃথিবীতে হয়নি। সত্যটা আমি জানতাম। কিন্তু আমার হাতে প্রমাণ ছিল না। তাই স্মৃতির শৃঙ্খল থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছি পনেরােটি বছর। কিন্তু ড. এডওয়ার্ড খান হাল ছাড়েননি। তাই তাে আজ এতগুলাে বছর পর, কিলিমানজারাের একটি গুহায় অসম্ভব এক সত্যের মুখােমুখি হয়েছি, সাক্ষি হয়েছি লক্ষ বছরের পুরনাে ইতিহাসের। এক লক্ষ বছর আগে ওরা এসেছিল পৃথিবীতে। স্বজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল সেই প্রজাতির তিনজন প্রতিনিধি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল কিছু প্রাচীন মানুষ। আদিম প্রবৃত্তিকে পুঁজি করে অবতীর্ণ হয়েছিল অসম এক যুদ্ধে। এই গল্প মানুষের গল্প। পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার এক রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের আখ্যান। আমের আহমেদ আদিম পৃথিবী নিয়ে লিখেছেন ভিন্নধর্মি এই সায়েন্স-ফিকশনটি।
রাতদুপুরে পলাশবাড়ি পৌছে বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে যায় অরিন্দম। জনবিরল বাজারে এমন কোনাে জায়গা নেই যেখানে রাতটা কাটানাে যায়। এদিকে তাপমাত্রা পারদের হিসেবে চড় চড় করে নামছে, ঘনীভূত হচ্ছে কুয়াশা, বুকে কাঁপন ধরাচ্ছে। রাতচরা পাখির ডাক। উদভ্রান্ত অরিন্দমকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে এক রহস্যময় বেটে মানুষ। অনেকগুলাে গলি-ঘুপচি পেরিয়ে লােকটা তাকে নিয়ে যায় আওলাদ মিয়ার হােটেলে, যেখানে অরিন্দমের মতাে আটকেপড়া আরাে পাঁচজন মানুষকে একাট্টা করা হয়েছে। হােটেলের মালিক আওলাদ মিয়ার চাওয়া খুব সামান্য প্রত্যেককে নিজের জীবনের এমন একটা গল্প বলতে হবে যেটা মােটাদাগে অদ্ভুত আর অস্বাভাবিক। গল্পে গল্পে সারা রাত উঠে আসে এমন সব ঘটনা, যেগুলাে মানুষ হিসেবে আমাদের অস্তিত্বকেই নাড়িয়ে দেয়। আওলাদ মিয়ার ভাতের হােটেল-এ পাঠককে স্বাগতম!
তরুণ স্পাই আহাদ উত্তরাখন্ড না গিয়ে দার্জিলিং গেল কেন? কী করবে সে ওখানে, যেটা বদলে দেবে সবকিছু? অনেকগুলাে পক্ষ নেমে পড়েছে নাটকের শেষ অঙ্কে। দ্য অক্টোপাস জাল গুটিয়ে আনছে বাংলাদেশে। কার্ল সেভার্স উধাও নিখোঁজ মাস্টার সিফাতও সিরিয়া থেকে ফিরছে। আইএসে যােগ দেওয়া সাবেক বাজিকর সমশের সাবেক এজেন্ট রােখসানার শান্তি তছনছ। কাপ্তান গৌতম ফিরতে চায়, জানে না কিভাবে ফিরবে। ট্রাভিস নেমে পড়েছে জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধে। আহাদ দেখছে কিভাবে সব ভেঙে পড়ছে, আর তার মাঝেই খুঁজে ফিরছে নিজের রহস্যময়ী মা’কে। তুরুপের তাস অনেকের হাতেই, অনেকের আস্তিনেই রুমাল লুকানাে, কিন্তু বাজিমাত করবে শুধু একজনই। আর এসবের রঙ্গমঞ্চটা কোথায়, জানেন? নিউক্লিয়ার। ওয়্যারহেডবাহী এক বিশাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারে!। নাবিল মুহতাসিমের বাজিকর ট্রিলােজির শেষ খন্ড বাজিমাত পাঠককে হাজির করবে। বহুদিন ধরে লুকোনাে এক সত্যের সামনে।
আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে ।বেস্টসেলার ১১টি থৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। ব্যাপারটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনের অংশেই পরিণত হয়ে গেছে বলতে গেলে। মাঝে মাঝে শুধু নজর বুলাই, কিন্তু প্রায়ই খোলার উদ্দেশ্যে হাতে নিয়ে বসে থাকি। এভাবেই দুই তিন মিনিট চলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার জন্যে ঐ দুই তিন মিনিটই বিশাল ব্যাপার। কারণটা জানেন বোধহয়, প্রতিদিন আমার জন্যে মাত্র ষাট মিনিট বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা হয়ত আমি ইনগ্রিডের সাথে কাটাতে পারতাম কিংবা ল্যাসির পেটে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম। বাবার সাথে কার্ড খেলেও পার করা যেত সময়টা। মোটকথা আমার দৈনন্দিন জীবন থেকে মহামূল্যবান দুই-তিন মিনিট নষ্ট করছি প্রতিদিন। কিন্তু খামটা খোলার সাহস হয় না। তাই এমুহূর্তে ভেতরের লেখা আর ছবিগুলো কল্পনা করা ছাড়া আর উপায় নেই কোন। “আমাদের বেরুতে হবে এখন। এয়ারপোর্টে যেতে বিশ মিনিট লাগবে,” ইনগ্রিডের গলার আওয়াজ ভেসে এলো লিভিং রুম থেকে। পটোম্যাক এয়ারফিল্ড এখান থেকে দশ মাইলের মতন দূরে হবে, নদীর ওপারে। আমরা যদি চারটা বাজার আগেই ওখানে পৌছাই, তাহলে সবার জন্যেই সুবিধা। যদিও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত, ইনগ্রিড আগে থেকেই একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি দরকার পড়ে।
বাংলাদেশের ছেলে প্রলয়, বয়স তার চৌদ্দ বছর। বাবা-মা ছােটবেলায় মারা যাওয়ায় লন্ডনে চাচার সাথে থাকে। সেখানে আর দশজন সমবয়সির মতই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু একদিন মাথার ওপর থেকে সরে যায় শেষ আশ্রয়টুকুও। চাচার মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয় তাকে, সেই সাথে জানতে পারে তার চাচা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে চৌকশ গুপ্তচরদের একজন। ঘটনার পরিক্রমায় প্রলয় জড়িয়ে পড়ে সেই গুপ্তচর সংস্থার সাথে, যেতে হয় রহস্যময় অ্যাকাডেমি ব্যাক এলিটসের অভ্যন্তরে। পড়াশােনার নামে কী চলছে সেখানে? যা চলছে তা কি বদলে দিতে পারে পুরাে পৃথিবীর চেহারা?
এগারােজন মানুষসহ গায়েব হয়ে গেল যাত্রিবাহী একটি প্লেন। বেঁচে গেল ভাগ্যবিড়ম্বিত এক চিত্রশিল্পী আর মিডিয়া-মুঘল পরিবারের শেষ সদস্য চার বছরের এক শিশু। দুর্ঘটনা পরবর্তি ট্র্যাজেডি, মৃতযাত্রি এবং ক্রুদের অতীত সামনে চলে আসতে লাগলাে একে একে-ওয়াল স্ট্রিটের এক ধনকুবের আর তার স্ত্রী, এক মার্কিন সিনেটরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাগ্নে, জীবন নিয়ে দ্বিধান্বিত এক তরুণী এবং একজন পাইলট। এতগুলাে প্রভাবশালী ব্যক্তির মৃত্যু কি নিছকই কোনাে দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনাে রহস্য? নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিডিয়া, চলে কাদা ছােড়াছুঁড়ি। আর এসবের মাঝেই পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে সত্যিকারের ঘটনাটি। টিভি সিরিজ ‘ফাগো’খ্যাত নােয়া হলি’র বিফোর দ্য ফল গতানুগতিক কোনাে থৃলার উপন্যাস নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার এবং এডগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ি এই। থৃলারটি পাঠককে ভাগ্য, মানবপ্রকৃতি আর এক অলঙ্ঘ্য বন্ধন নিয়ে ভাবাবে।
২০১৬ রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ। গোটা শহর চরম উত্তেজনায় কাঁপছে। অথচ এমন সময় নামকরা এক অ্যাথলেট খেলা শুরুর পূর্বেই নিরুদ্দেশ হলো। এদিকে ডিটেকটিভ রাফায়েল কার্ভালিও, সপ্তাহ খানেক বাদেই যিনি অবসরে যাচ্ছেন, কেস এসে চাপলো তার ঘাড়েই। লাপাত্তা অ্যাথলেট আচমকা অনুষ্ঠানে আবির্ভূত হলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হলো কেসের একটা সুরাহা হয়েই গেলো। কিন্তু শীঘ্রই কার্ভালিও টের পেলো ছেলেটা মরণপণ উদ্দেশ্য নিয়েই মাঠে ফিরেছে। ডিটেকটিভ কার্ভালিওর সাথে সব সমস্যা সামলে চলেছে তার সুন্দরী সহকর্মী ডিটেকটিভ ভিটোরিয়া পাজ। কি হয়েছিলো সেদিন তরুণ সেই অ্যাথলেটের? পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে অংশ নেওয়া অ্যাথলেটরা সব কেন আত্মঘাতী হয়ে উঠছে? অলিম্পিকের শেষ পরিণতিই বা কি হয়েছিলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে ছুটতে হবে ডিটেকটিভ কার্ভালিওর সাথে, রোমাঞ্চকর এক অভিযানে। শ্বাসরুদ্ধকর এই অভিযানে আপনাকে স্বাগতম। প্যাটারসনের আরেকটি দুর্দান্ত থৃলার।
শহরের উপর দিয়ে কালবােশেখি বয়ে যাবার পর বৃষ্টি নেমেছে। হালকা বৃষ্টির সাথে বইছে চমৎকার বাতাস। প্রথমবারের মতাে গাড়ির ওয়াইপারটা কাজ করতে শুরু করলাে ডানে-বামে হেলেদুলে। ড্রাইভিং সিটের খােলা জানালা দিয়ে চোখেমুখে বাতাসের ঝাপটা এসে লাগতেই শিশ দিয়ে প্রিয় একটি গানের সুর তােলার চেষ্টা করলাে কিন্তু পারলাে না। আপন মনে হেসে ফেললাে। আজ মন মেজাজ খুবই ভালাে। ভালাের যদি কোনাে পরিমাপ থাকতাে এটা হতাে সর্বোচ্চ পরিমাণের! কতােদিন এই স্বপ্নটা দেখেছে, কতাে প্রতীক্ষার পরই না আজ এটা পূরণ হয়েছে! গাড়ির প্রতি তার এই পাগলামিটা অন্য কেউ হয়তাে পুরােপুরি বুঝতে পারবে না। পাগলামিটা সে মনেপ্রাণে লালন করে এসেছে শৈশব থেকেই। এতােদিন শুধু অন্যের গাড়ি দেখেছে, কিছুক্ষণের জন্য চালিয়ে উপভােগ করেছে। আর মনে মনে ভেবেছে একদিন তারও গাড়ি হবে। গাড়ি কেনার অনেক আগে থেকেই বিদেশী কার-ম্যাগাজিনগুলাে নিয়মিত পড়তাে সে। নতুন কোন্ মডেল বাজারে এসেছে, কোন্ কোম্পানির গাড়ির কি কি নতুন বৈশিষ্ট, ইঞ্জিন, গিয়ার, অ্যাকসেসরিতে নতুন নতুন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সব খবরই রাখতাে; স্বপ্ন দেখতাে একদিন এমন সময় আসবে যখন দু’হাত ধরে থাকা স্টিয়ারিংটা হবে একান্তই নিজের! গাড়ি কেনার অনেক আগে থেকেই বিদেশী কার-ম্যাগাজিনগুলাে নিয়মিত পড়তাে সে। নতুন কোন্ মডেল বাজারে এসেছে, কোন্ কোম্পানির গাড়ির কি কি নতুন বৈশিষ্ট, ইঞ্জিন, গিয়ার, অ্যাকসেসরিতে নতুন নতুন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সব খবরই রাখতাে; স্বপ্ন দেখতাে একদিন এমন সময় আসবে যখন দু’হাত ধরে থাকা স্টিয়ারিংটা হবে একান্তই নিজের!