চোদ্দ বছরের ময়না কেমন যেন অবিক রকমের পাকা হয়ে উঠেছে। বড়দের মতাে তীক্ষ্ণদৃষ্টি, প্রতিশােধপরায়ণ আচরণ। সারাক্ষণ মাথার ভেতর গিজগিজ করছে শয়তানি বুদ্ধি। একদিন সীমান্তবর্তি এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় ময়নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালমিয়া। কোথায় গেল সে? কে ওকে উধাও করলাে? ময়নার মা সারাক্ষণ ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিতে কোনাে সদুত্তর খুঁজে পায় না। কিন্তু মা জানে, তার ছেলের মাথায় সারাক্ষণ একটা পােকা খোঁচাচ্ছে : খুন কর, ময়না! খুন কর!-ছেলেকে নিয়ে তাই কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে সে। এরই মাঝে হঠাৎ এলাকায় শুরু হয় একের পর এক খুন। প্রেক্ষাপটে হাজির হয় ক্ষ্যাপাটে এক পাগল, রহস্যময় কিছু চরিত্র এবং রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে হেঁটেচলে বেড়ানাে রক্তপিশাচ! আঁধারের জানালাটা খােলা একটি শ্বাসরুদ্ধকর মার্ডার মিস্ট্রি নভেলা।
এরিক ভ্যান লুস্টবেডার ১৯৪৭ সালে নিউইয়র্কের প্রসিদ্ধ গ্রিনউইচ ভিলেজে জন্মগ্রহণ করেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশিওলজিতে গ্র্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন তিনি। র্যাকি মাস্টার হিসেবেও বেশ পরিচিত এই লেখক। দ্য নিনজা আর ব্ল্যাক হার্ট-এর মতো বিশটি বেস্টসেলার উপন্যাস লেখার পর প্রয়াত রবার্ট লুডলামের বিখ্যাত বর্ণ সিরিজ পুণরায় শুরু করেন তিনি। এই নতুন বর্ন সিরিজের প্রথম বই বর্ন লিগ্যাসি পাঠকমহলে দারুণ ভাবে সমাদৃত হলে পর পর আরো পাঁচটি বর্ন সিরিজ লিখে ফেলেন। সাম্প্রতিক সময়ে বর্ন লিগ্যাসি নিয়ে হলিউড চলচ্চিত্র নিমার্ণ করলে ব্যাপকভাবে দর্শক নন্দিত হয়।
‘বিজ্ঞানের চেহারা চিরদিনের জন্যে পাল্টে দেবে’--এমন এক যুগান্তকারি ঘোষণার সাক্ষি হতে সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন স্পেনের বিলবাওয়ের অত্যাধুনিক গুগেনহাইম জাদুঘরে উপস্থিত হয়েছে। আর এই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারই এক পুরনো ছাত্র, একচল্লিশ বছর বয়সি ধনকুবের, ফিউচারিস্ট এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব এডমন্ড কিয়ার্শ। তার আবিষ্কার এবং কিছু বক্তব্য আগেও আলোড়ন তুলেছে গোটা দুনিয়া জুড়ে । এমন কিছু উন্মোচন করতে যাচ্ছে সে যা কিনা উত্তর দেবে মানব অস্তিত্ববাদের দুটো প্রধান প্রশ্নের। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই ল্যাংডন বুঝতে পারে ভীষণ বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে এডমন্ডের আবিষ্কার। এসময় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আবিষ্কারের কথাটা মুখেই থেকে যায় কিয়ার্শের। জাদুঘরের পরিচালক অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা একটি গোপন, সংরক্ষিত পাসওয়াডের্র খোঁজে, যেটা কিনা তাদের সাহায্য করবে কিয়ার্শের আবিষ্কার উন্মোচনে। ধর্মিয় ইতিহাসের পথে ল্যাংডন এবং ভিদালের এই অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ, স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত যার ক্ষমতা বিস্তৃত। এডমন্ড কিয়ার্শের আবিষ্কারকে কোনভাবেই প্রকাশ হতে দেবে না তারা। আধুনিক চিত্রকলা এবং কিছু গুপ্ত সংকেতের সহায়তায় ল্যাংডন কি পারবে এই আবিষ্কার উন্মোচন করতে? চরম সত্যের মুখোমুখি হতে? পাঠক, প্রফেসর ল্যাংডনের সাথে ইতিহাসের গলি-ঘুপচিতে ছুটে বেড়াতে আপনি কি প্রস্তুত আছেন?
বাংলাদেশের অনিয়ম আর অবিচারের সমাজ বদলে দেওয়ার জন্য নানা মুনির আছে নানা মত। কেউ মনে করেন গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ জনগণকে এ থেকে মুক্তি দেবে, কেউ ভাবেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রই একমাত্র সমাধান। বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দুই ছাত্র মনে করলো ভিন্ন কিছু। তাদের বিশ্বাস, নষ্ট হয়ে যাওয়া সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস করেই গড়ে তুলতে হয় নতুন কিছু। দেশ যখন উত্তাল নানা চেতনার ফেরিওয়ালাদের তর্জনীর ইশারায় অথবা বিশ্বাসে অন্ধ মেজরিটির অঙুলিহেলনে, ওরা বেছে নিলো স¤পূর্ণ নতুন পথ। গড়ে তুললো গুপ্তসঙ্ঘ জাদুঘর। সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য হাত নোংরা করতে হয়। হাত ওরা নোংরা করলোও। রক্ত ঝরলো। অপবিত্র রক্ত! রাজধানীর দেওয়ালে লেখা হলো বিখ্যাত শিশুতোষ ছড়ার বিকৃতরূপ। জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে রক্তের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে...!
নতুন চাকরির সুবাদে ডা. লুইস ক্রিড সপরিবারে চলে আসে মেইনের ছোট্ট এক মফশ্বলে। নির্জনতা আর শান্ত এই শহরে ভয়ঙ্কর এক বিপদ লুকিয়ে আছে। শহরের সন্নিকটে রয়েছে একটি গোরস্থান--যুগ যুগ ধরে শিশুরা তাদের প্রিয় পোষাপ্রাণীকে এখানেই কবর দিয়ে থাকে। দুঃস্বপ্নে এবং বাস্তবিক জগতে লুইসকে সতর্ক করে দেয়া হয়, এই গোরস্থানের সীমানায় যেন সে প্রবেশ না করে--ওখানে লুকিয়ে আছে রক্তহিম করা একটি সত্য--মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর সেটা। অচিরেই লুইস বুঝতে পারে, কখনও কখনও বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুও ভালো...
ফ্র্যাংক অদ্ভুত এক মানুষ। নতুন উত্তেজনা, নতুন সুখের আশা যাকে করে তুলেছে প্রায় উন্মত্ত। সুন্দরী জুলিয়া, স্বামীর প্রতি মন উঠে যাচ্ছে তার ধীরে ধীরে। দিন কাটে নতুন পুরুষের কল্পনায়। ক্রিস্টি, বুদ্ধিমতী কিন্তু লাজুক। জুলিয়ার স্বামীর প্রতি আকর্ষণটা কাটিয়ে উঠতে পারছে না কিছুতেই। এই সবগুলো মানুষকে একসাথে নিয়ে আসবে এক রহস্য। এক ধাঁধা। একটা বাক্স। যে বাক্সের ভেতর লুকিয়ে আছে অনন্ত সুখের চাবি। স্বর্গের দরজা খোলা যাবে এই চাবি দিয়ে। নাকি নরকের? হররপ্রেমীদের বিশ্বে ক্লাইভ বার্কার এক শিহরণ জাগানো নাম...দ্য হেলবাউন্ড হার্ট তার অনবদ্য সৃষ্টি। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে ভালোবাসা, আকর্ষণ এবং ভালোবাসার নামে মানুষের বীভৎসতার অসাধারণ সব উদাহরণ। সাথে পাবেন অতিপ্রাকৃত, অন্ধকার জগতের অন্যরকম এক চিত্র। নেভারহোয়্যার বইয়ের ভূমিকাতে গেইম্যানের একটি ছোটগল্প অনুবাদ করে লুকিয়ে রেখেছিলাম। ধারণা ছিল ভূমিকা কেউ পড়ে না (আমি নিজেও পড়ি না)। বই প্রকাশ পাবার এক বছরের বেশি হয়ে গেল, এখন আমি নিশ্চিত, ধারণাটা সত্যি।
শিকাগোতে খুন হচ্ছে নারীরা - একটার পর একটা তাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে উন্মুক্ত স্থানে। গলায় ফাঁস দেয়া। কেমিক্যাল দিয়ে সংরক্ষিত লাশ। দেখে মনে হবে এখনও বেঁচে আছে। একেকজনকে পাওয়া যাচ্ছে একেক ভঙ্গিমায়। কেউবা নদীর ধারে দাঁড়িয়ে, কেউ সমুদ্রের তীরে বসে কাঁদছে। শিকাগো পুলিশ করতে পারছে না কিছুই। এফবিআই থেকে সেখানে পাঠানো হলো এজেন্ট ট্যাটাম গ্রেকে, যে কিনা নিয়ম ভাঙার ওস্তাদ। ট্যাটাম এসে তালগোল পাকিয়ে ডেকে পাঠাল এফবিআই-এ সদ্য যোগ দেয়া প্রোফাইলার জো বেন্টলিকে। জো সুনির্দিষ্ট প্রোফাইল দিতে পারল না। তাকে তাড়া করে ফিরছে এক দুঃসহ শৈশব স্মৃতি। তদন্ত করতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হলো। এফবিআই দুজনকেই তুলে নিলো এই কেস থেকে।
একদল খুনি। ওদের কেউ প্রথমবারের মতো খুন করতে যাচ্ছে, কেউ আগে দুর্ঘটনাবশত খুন করেছে, কারও আবার খুন করাটাই পেশা। ওদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে মাটির গভীরে এক রহস্যময় গোলকধাঁধায়। ওরা জানতে পারলো এখানে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর, অপার্থিব এক প্রাণী। পালাতে চাইলে ওদের যেভাবেই হোক এই প্রাণীকে খুন করতে হবে। শুরু হলো বেঁচে থাকার এক রোমহর্ষক অভিযান। বেরিয়ে আসতে শুরু করলো একের পর এক রহস্যের জাল। গোলকধাঁধার অজানা বিপদ, শিকারী প্রাণীটার নারকীয় থাবা আর একে অপরের ষড়যন্ত্র থেকে কী ওরা কেউ শেষ পর্যন্ত বাঁচবে? তানজীম রহমানের ‘আর্কন’ এক অনবদ্য হরর-থৃলার, যা পাঠককে নিয়ে যাবে শ্বাসরুদ্ধকর, অজানা বিপদে ঘেরা অচেনা এক জগতে।
শাফায়েত জেনেটিক্সের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। এমন সময় তার সামনে এলাে অনাকাঙ্খিত এক সুযােগ। কিন্তু সে কি ধারণা করেছিল সুযােগটার সাথে জড়িয়ে থাকবে তার জীবনের ভয়াবহ এক অধ্যায়?। ড. নাওয়াজ রহমান বিশ্বখ্যাত এক জীববিজ্ঞানী। খ্যাতি আর প্রতিপত্তির নেশায় সে কি বিসর্জন দিয়েছে নিজের মূল্যবােধ? তার মতাে একজন সম্মানীত বিজ্ঞানী কি নামতে পারে এতটা নিচে?। মােহাম্মদপুরের এক কবরস্থানের কাছ থেকে অপহৃত হলাে এক পথশিশু। কেন? কী পরিণতি তার? গভীর রাতে গােরস্থানে সদ্যমৃত কিশােরির লাশ তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো ‘খুচরা আফসার। পুলিশ তার কাছে যা শুনলাে, তা শুনে যারপরনাই বিস্মিত। কী করবে তারা। এখন? সাবের বুকের ভেতরে বয়ে বেড়ায় বিষন্নতার সমুদ্র। কিন্তু কেন? ঘটনাক্রমে শাফায়েত পড়ে যায় ভয়াবহ বিপদে। কী করে পরিত্রাণ মিলবে ওর? প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায়-এর পর তানজিরুল ইসলাম এবার হাজির হয়েছেন টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এক সায়েন্স-ফ্যান্টাসি উপন্যাসিকা নিয়ে।
এক ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক যখন মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিতভাবে অভিনব একটি প্রস্তাব আসে তার কাছে-ত্রিশ বছর আগের এক তরুণীর নিখোঁজ কেসটি তদন্ত করতে হবে। এক পর্যায়ে সমাজচ্যুত অদ্ভুত এক মেয়ে লিসবেথ সালান্ডারের সাথে পরিচয় ঘটে সাংবাদিকের। শুরু হয় দু’জনের তিন তিনটি ভিন্ন মিশন। টান টান উত্তেজনার অসাধারণ এই থৃলারটি বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে বেশি বিক্রি হওয়া উপন্যাস।
পলাতক এক নাৎসি যুদ্ধাপরাধী ধরা পড়লো সিআইএ’র অপারেটিভ এবং ভ্যাটিকানের সিক্রেট সার্ভিস সদস্য ফাদার অ্যান্থনি ফাউলারের হাতে। সাবেক নাৎসির কাছে তিনি একটি জিনিস চান- বহুদিন আগে এক ইহুদি পরিবারের কাছ থেকে চুরি হওয়া সোনার পাতে মোড়ানো একটি মোমবাতি। কিন্তু ফাদারের আসল উদ্দেশ্য এই মোমবাতিটা নয়- একটি সিক্রেট মানচিত্র। সেই প্রাচীন মানচিত্রের একটি অংশ আবিস্কারের পর পরই ধনী এক লোকের সহায়তায় ফাউলার নেমে পড়ে এ বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী আর প্রাচীন একটি সম্পদের খোঁজে। সুদূর জর্ডানে গিয়ে অনুসন্ধান করতেই দলের মধ্যে বিশ্বাসঘতকতার শিকার হয় যাজক। ঘটনা মোড় নিতে থাকে
ভারতের মাটিতে ধরা পড়লাে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সন্দেহের তীর এসে পড়লাে বাংলাদেশের দিকে। তােলপাড় পড়ে গেলাে দেশের গােয়েন্দা সংস্থাগুলােতে। ডিজিএফআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল শওকত হামিদ তার অধিনস্তদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন। অসংখ্য প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলেন ব্রিগেডিয়ার আমিন চৌধুরী। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে লাগলাে, অজানা সব তথ্য। এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করলাে। কি ঘটতে যাচ্ছে দুই দেশের মানুষের ভাগ্যে? ‘ব্ল্যাকগেট’ এক মিলিটারি অ্যাসেটের কর্তব্য, আবেগ এবং ভালােবাসার গল্প। ঘটনার বিস্তৃতি কসােভাে, ভারত, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরতে হলো তুষারকে, অচেনা একটা ফোন কল পেয়ে, দেখা হলো পুরানো বন্ধুদের সাথে, জানা গেল অচেনা নাম্বার থেকে ফোন কল তারাও পেয়েছে। তারপর এক এক করে খুন হতে লাগল বন্ধুরা। কোথাও কোন ক্লু নেই, নেই কোন মোটিভ।দূর্ঘটনায় মারা গেল দেশ সেরা এক লেখক। দিশেহারা হয়ে পড়ল হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। আবু জামশেদ তার নতুন যোগ দেয়া সহকারিদের নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। হার না মানা আবু জামশেদ দিশেহারা, এই কেসের উপর নির্ভর করছে পুরো ডিপার্টমেন্টের ভবিষ্যত, তার দীর্ঘদিনের সুনাম।
শুভপুর গ্রামে অদ্ভুতভাবে খুন হল একজন । গ্রামের চেয়ারম্যানের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল অস্বাভাবিকভাবে। তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে আসলাে একজন তরুন ডাক্তার। প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে শুরু হল চিকিৎসা। এর মাঝে গ্রাম থেকে কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন এক লােক। তার অন্তর্ধানের মাঝেই খুন হল আরও একজন। খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের শরীরে মিলল বিশেষ এক চিহ্ন, আর তা তদন্ত করতেই শুভপুর এলাে ডিবি’র অফিসার। নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ব্যাক্তিটি গ্রামে ফিরে এলেন নতুন এক কাজের দায়িত্ব নিয়ে, যা শেষ করতে পারলেই তিনি লাভ করবেন অসীম ক্ষমতা। সময়ের সাথে উন্মােচিত হতে লাগলাে, চেয়ারম্যানের মেয়ের অসুস্থ হওয়া এবং খুনগুলাের সাথে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ের সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের সূচনা আরও গভীরে, এক অন্ধকারময় জগতে।
রহস্যময় এক ডক্টর, নিজের চারপাশে রহস্য তৈরি করে রাখেন সব সময়। জাতীয় দৈনিকে অদ্ভুত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেন তিনি, প্রার্থি হিসেবে হাজির হলো মাত্র দু-জন। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির সেই দুই তরুণ-তরুণীকে হতবুদ্ধিকর একটি রহস্য সমাধান করার ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেয়া হলো। তদন্তে নামতেই বোঝা তারা বুঝে গেলো ঘটনাটি যেমন প্রহেলিকাময় তেমনি অব্যাখ্যাত। বিজ্ঞান আর অতিপ্রাকৃতের দোলাচলে দুলতে লাগলো তাদের সমস্ত হিসেব-নিকেশ। সব কিছুর কি ব্যাখ্যা আছে? নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের মৌলিক-থৃলার উপন্যাস পেন্ডুলাম পাঠককেও দোলাচলে দুলতে দুলতে নিয়ে যাবে সেই রহস্যময়তার গভীরে।