জানা-অজানা প্রাণবৈচিত্রে্যর এক সমৃদ্ধ ভান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রাম। এর কোনো বিস্তারিত জরিপ আজও হয়নি। লেখক সেই প্রাণবৈচিত্রে্যর সন্ধানে চষে বেড়িয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়শ্রেণি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণ, তুলেছেন বহু ছবি। পেয়েছেন বাংলাদেশের জন্য নতুন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর সন্ধান। আবার চোখের সামনেই প্রাণবৈচিত্রে্যসমৃদ্ধ অনেক প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হতেও দেখেছেন তিনি। দেখেছেন কীভাবে সেখানকার বন্য প্রাণীরা ক্রমে তাদের আশ্রয় হারাচ্ছে। লেখকের সে অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ বই। প্রকৃতি আর তার মাঝে বাস করা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য মমতায় সিক্ত রচনাগুলো পাঠককে শখের ভ্রমণের গণ্ডি পেরিয়ে অভিজ্ঞতার এক নতুন জগতে নিয়ে যাবে। সে আগ্রহ ও সচেতনতা দেশের প্রাণবৈচিত্রে্যকে ধ্বংস থেকে রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের জন্য নতুন বেশ কয়েক প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই দুর্গম অরণ্য-পাহাড়ে লেখকের দুঃসাহসিক অভিযানের কাহিনি নিয়ে এ বই।
"আমাদের পাখির রাজ্য" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
‘আমাদের পাখির রাজ্য’ বইটি মূলত দেশের কিশাের ও নবীনদের জন্য।
এতে আছে পাখি সম্পর্কে সাধারণ ধারনা, পাখির পরিযায়ন এবং দেশের স্থানীয় ও পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে তথ্য।
বিভিন্ন দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বা ইন্টারনেটে ছাত্রছাত্রীরা যেসব তথ্য পায় তার প্রায় সবই ভিনদেশি পােখাপাখালি বিষয়ক।
ফলে, দেশের শিক্ষাঙ্গনে দেশি পাখি বিষয়ক তথ্যের বেশ ঘাটতি আছে।
সেদিক চিন্তা করে লেখক তার তিন যুগের বেশি সময় ধরে দেশের পাখি ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক মাঠগবেষণা এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে বইটি রচনা করেছেন।
বইটি ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ পাঠসহায়ক হবে। বাংলাদেশে সচরাসচর দেখা যায় এমন প্রায় ২০০ ???
প্রজাতির পাখির উপর নানাবিধ তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে যা অনেক স্তরের পাঠ্যসূচির আওতায় আসবে।
তাতে তরুণতরুণীরা সহায়ক পুস্তক হিসেবে এ বইটিকে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি পাখি বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞানার্জনেও সাহায্য করবে।
বইটি প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত। অসংখ্য ছবির সাহায্যে পাখিবিষয়ক পঠন সহজ করা হয়েছে। আর দেশের পাখির সাথে ছবির মাধ্যমেও বেশ একটি পরিচিতি ঘটবে বলে আমরা আশা করছি।
আমরা মনে করি, বড়রাও অনেক তথ্য ব্যবহার করতে ও দেশি পাখি চিনতে এ বইয়ের সহযােগিতা নিতে পারবেন।
মানুষ ভিনড়ব অন্যান্য প্রাণীরও আছে ভাষা। তারা ভাব বিনিময় করে নানা উপায়ে। শব্দ করে, নানা অঙ্গভঙ্গি করে। সেসব নিয়েই ওরাও কথা বলে। কিশোরদের জন্য চমৎকার এ বইতে বড়দেরও আছে জানার নানা বিষয়।
আঠার শিশিতে একটা তেলাপোকা পড়েছে। কী করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছেন গোপালচন্দ্র। রাজ্যের কীটপতঙ্গ নিয়ে তাঁর কারবার। ঘরে যিনি পোকামাকড় পোষেন, তাঁর ঘরে তেলাপোকার বাড়বাড়ন্ত থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।বৈজ্ঞানিক গোপালচন্দ্র তেলাপোকাসহ আঠাগুলো ফেলে দিলেন ঘরের এক কোণে। কিছুক্ষণ পরে দেখেন একদল লাল বিষপিঁপড়া ভিড় জমিয়েছে আঠার চারপাশে। গোপালচন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করল ব্যাপারটা। দেখলেন, কয়েকটা পিঁপড়া আঠার ভেতর হাবুডুবু খাচ্ছে।আর কয়েকটা আবার দোনামোনা করছে কী করবে না করবে। বিজ্ঞানী মুচকি হাসলেন পিঁপড়াদের দুর্দশা দেখে। এরপর ভুলে গেলেন তেলাপোকা আর পিঁপড়ার কথা। আধাঘণ্টা পর আবার মনে পড়ল সে কথা।
এ ধরনের ঘটনা কি আমাদের চোখে পড়ে? অথচ সারা বছর চারপাশে পোকামাকড়ের জগতে ঘটে চলেছে বিচিত্র সব ঘটনা। সেসব ঘটনা পাক্কা গবেষকের চোখে সারা জীবন দেখে গেছেন গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য। সেসব কীর্তি কাহিনি লিখে গেছেন তাঁর বিখ্যাত বই বাংলার কীটপতঙ্গতে। বিজন পল্লিতে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন পিঁপড়াদের কীর্তিকলাপ, পোকামাকড়ের লড়াই দেখতে। প্রজাপতির ডিম থেকে কিভাবে শুঁয়াপোকা হয়, সেই শুঁয়াপোকা কিভাবে খেয়ে খেয়ে নধর হয়, তারপর একসময় ঘুমিয়ে পড়ে পরিণত হয় মূককীটে, কিভাবে রেশম পোকা তন্তু বোনে—বনেবাদাড়ে, মাঠে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে সেসব দেখেছেন গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য।
ছোটদের বিজ্ঞানপিডিয়া' মজার মজার তথ্য, রঙিন চিত্র, মজার মজার গল্প এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ঠাসা। এসব কিছুই তোমাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনন্দে ডুবিয়ে রাখবে। বইয়ের ভেতরের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কলাকৌশলে বেশ কিছু কার্টুন চরিত্র বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। আনা হয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত বেশ কিছু গল্পের চরিত্রও। আদিম পৃথিবীর ভয়ঙ্কর ডাইনোসর সম্পর্কে জানতে চায় প্রতিটি শিশু। যেমন জানার ইচ্ছে আছে তোমারও। কীভাবে পৃথিবীতে ডাইনোসরের আবির্ভাব হয়েছিল, তাদের চালচলন কেমন ছিল এবং তারা কীভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেল তার সব কাহিনী আছে এই বইটিতে। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
পোষা পাখি সম্বন্ধে বিদেশি বইগুলি আজ অবধি শুধু হিমমণ্ডলের (Temparate) আবহাওয়ার ভিত্তিতে পাখির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কথা বলে এসেছে। লেখক তাঁর দুই যুগাধিক কালের পাখি পোষার অভিজ্ঞতা ও তৎসম্বন্ধীয় পড়াশুনাকে ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করে, গ্রীষ্মমণ্ডলের আবহাওয়ায় পোষাপাখির রক্ষণাবেক্ষণ সম্বন্ধে এক কার্যকরী এবং সময়োপযোগী সচিত্র গাইড বুক উপহার দিয়েছেন। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত এই বিষয়ের উপর লেখা প্রথম বইটি নবীন ও জিজ্ঞাসুদের প্রয়োজন মেটাবে।