"পৃথিবীর কোনো মানুষ কখনো ডাইনোসর নামের প্রাণীটিকে দেখেনি। প্রাগৈতিহাসিক এই প্রাণী সম্পর্কে আমরা যা জানি তার পুরোটাই বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ডাইনোসরের জীবাশ্মে পরিণত হওয়া ফসিল থেকে। আনুমানিক ২৩০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরের বিচরণ শুরু, আর ডাইনোসরের সর্বশেষ সদস্যের বিলুপ্তি ঘটেছে আনুমানিক ৬০ মিলিয়ন বছর আগে। পৃথিবীর বুকে বিশালাকৃতির ডাইনোসরের অনেক প্রজাতিই বন্ধুসুলভ দানব হিসেবে বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ৩৫০ প্রজাতির ডাইনোসরের কথা বলেছেন। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, ডাইনোসর খুব একটা চালাক প্রাণী ছিল না। কিন্তু তারপরও তারা বছরের পর বছর পৃথিবীতে টিকে ছিল। সম্ভবত ডাইনোসররা পৃথিবীর ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, অতিরিক্ত ঠাণ্ডাসহ প্রতিকূল আবহাওয়ার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি। আর সে কারণেই পৃথিবী কাঁপিয়ে বেড়ানো ডাইনোসরদের একসময় বিদায় নিতে হয়েছে। মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে ডাইনোসর একটি রহস্যময় প্রাণীর নাম। বিজ্ঞানীরা সে রহস্যের সমাধানে হয়তো কোনোদিনই পৌঁছাতে পারবে না। তবুও ডাইনোসর নামটি বোধকরি বর্তমান পৃথিবীর কোনো মানুষেরই অজানা নয়।
আমাদের পৃথিবী কত বিচিত্র। পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর, মরুভূমি, বনভূমি, অদ্ভুত জীবজন্তু ইত্যাদির সমাহার। পৃথিবীকে জানতে হলে আমার পৃথিবী' সিরিজের বইগুলো পড়া দরকার। বইগুলো হতে পারে শিশুদের জন্য সেরা উপহার। ৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য উপযোগী। যারা সবেমাত্র পড়তে শিখেছে এবং যারা পড়ে বুঝতে শিখেছে। বইগুলোর উদ্দেশ্য দেখে ও পড়ে পৃথিবী সম্পর্কে জানা। বইগুলো পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাহায্য প্রয়োজন। বেশ কিছু শব্দ ও স্থাননাম শিশুরা নাও বুঝতে পারে। তবে দৃষ্টিনন্দন আজব স্থান ও জীবজন্তুর ছবি শিশুদের কৌতূহল অবশ্যই বাড়িয়ে তুলবে। যা ভবিষ্যতে তাদের মনন বিকাশে সহায়ক হবে।"
"এই সুন্দর পৃথিবীতে নানান রঙের প্রায় ৩৯৩ প্রজাতির টিয়া পাখির বসবাস। তন্মধ্যে হলুদ, নীল, সাদা, বেগুনী ও জলপাই রঙের টিয়া পাখি বাসা-বাড়িতে পোষা পাখি হিসেবে লালিত-পালিত হয়। বুদ্ধিমান এই টিয়া পাখি বছরের পর বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ ক্রীড়া-প্রদর্শনীতে (circuses) তাদের সক্রিয় সঙ (active antics), নৈপুণ্যপূর্ণ খেলাধূলা ও নিপুণ কৌশল দেখিয়ে এবং মানুষের স্বরকে নকলকরত বিচক্ষণ কথাবার্তা বলে আমাদেরকে নিয়ত আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে ইতোমধ্যে অনেকেই সখের পাশাপাশি ব্যবসা হিসেবে এভিয়ারী (aviary) শিল্পকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো বাজারে বাংলা ভাষায় এ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য বই নাই বলা না গেলেও আছে বলাও মুশকিল। এহেন অভাবে ক্লিষ্ট পোষাপাখিপ্রেমী ও খামারীদের কথা বিবেচনায় রেখে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল এনিম্যাল সাইন্স এন্ড এনিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির সচিত্র তেরটি অধ্যায়ে বাহারি টিয়া পাখি পালন বইটিতে টিয়া পাখির বাসস্হান ও ব্যবস্থাপনা, খাদ্য খাওয়ানো কর্মসূচি, প্রাত্যহিক যত্নাদি, টিয়া পাখি প্রজননের মৌলিক বিষয়াদি, টিয়া পাখিকে পোষ মানানো ও প্রশিক্ষণ দেয়া, ঋতুভিত্তিক টিয়া পাখির ব্যবস্থাপনা, টিয়া পাখির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (রোগ-ব্যাধি) ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, খামারী এবং সাধারণ শিক্ষাসম্পন্ন যেকোনো মানুষই বইটি পড়ে উপকৃত হবেন বলে আমি মনে করি। সবাইকে বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । সবার জন্য শুভ কামনা।"