বর্তমান সময়ে সবচাইতে আলোচিত একটি বই নো ইজি ডে। সাবেক নেভি সিল কমান্ডো ম্যাট বিসোনেট (এই বইয়ের জন্য মাক ওয়েন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন) সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেনের কিলিং মিশনে। সেই অভিযানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বর্ণনার পাশাপাশি এই বইতে উঠে এসেছে আমেরিকান স্পেশাল ফোর্সের অভ্যন্তরের বিশদ চিত্র আর অসংখ্য মিলিটারি অপারেশনের নিখুঁত বিবরণ, সেইসাথে বিন লাদেনকে খুঁজেবের করার সত্যিকারের গল্প। পাঠক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এর আস্বাদ নেবেন।
রিক রিওরড্যানের থার্টি নাইন ক্লুজ সিরিজের প্রথম বই এটি। পাজল আর ধাধার অসাধারণ একটি অ্যাডেভঞ্চার। শুধু শিশু-কিশোরদেরই নয়, বরং সব বয়সী পাঠকের এটি ভাল লাগবে।
যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল - সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন: মুহিব ভেবেছিলাে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। প্রেমিকা, পরিবার, বন্ধু এবং বান্ধবিদের নিয়ে উনিশ বছরের সুখি জীবন। প্রশাসনের দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যেও জীবনটা মানিয়ে নিতে শুরু করেছিলাে যখন, ক্যাম্পাসের একটি খুন পাল্টে দিলাে সবকিছু। পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলতেই যেন যােগ দিলেন একজন ক্যালটেক ফেরত শিক্ষক, ভদ্রলােকের বাম-হাতটা কনুইয়ের নিচ থেকে কাটা কেন? ছাত্রনেতারা রাজনীতির নামে কোন অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছে? এই কেসে কমিউনিস্ট পাটির আগ্রহটা ঠিক কোথায়? পুলিশ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কি? আন্দোলনরত শিক্ষার্থিদের ক্ষোভের উৎপত্তিস্থল কোনটি? মুহিব জানে সে আর পিছিয়ে আসতে পারবে না। পড়াশােনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে -আসা ছেলেমেয়েগুলাে কোন পরিস্থিতিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় টের পেলাে হাড়ে হাড়ে। যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন। কৌতুহলের কাছে সতকর্তার হার মেনে যাওয়া মানব-চরিত্রের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এ এক হার মেনে নেওয়া উপাখ্যান। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সাধারণদের না পেরে ওঠার গল্প। তারুণ্যের শক্তি-আদর্শের লড়াই আর মতবাদের সংঘর্ষ। অধিকার আদায়ে বেপরােয়া চিরায়ত বাঙালি ছাত্রদের স্তবগান। সাধারণ এক ছাত্রের জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঁধারস্পর্শে ধীরে ধীরে পাল্টে যাওয়ার উপাখ্যান। এক মিথস্ক্রিয়ার পর মৃগতৃষায় যে কিশাের পাশা ইমনকে পেয়েছিল পাঠক, এবারও তাকে পাবে বৃহৎ কলেবরের যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল উপন্যাসে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বমানের অসংখ্য জনপ্রিয় থৃলার অনুবাদ করার পর অবশেষে তার পর পর আটটি মৌলিক থৃলার নেমেসিস, কন্ট্রাক্ট, নেক্সাস, কনফেশন, করাচি, জাল, ১৯৫২ এবং রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি প্রকাশিত হলে বিপুল পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। সেই অনুপ্রেরণা থেকে বর্তমানে তিনি বেশ কয়েকটি মৌলিক থৃলার লেখার কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরবর্তী গৃলার উপন্যাস নেক্সট, কজিতো, পেন্ডুলাম, দেওয়াল, পহেলা বৈশাখ, এলিভেটর, ঘুমি সানডে এবং ম্যাজিশিয়ান প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুবাদ করলেও বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে মূলত মৌলিক গল্পউপন্যাসই লিখে যাচ্ছি, যদিও পাঠক নিয়মিত তাগাদা দিয়ে থাকে অনুবাদের জন্য। তারা যে আমার অনুবাদের অভাব বোধ করে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাই গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভিন্নধর্মি কিছু অনুবাদ করবো। অনেক আগেই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান আর স্প্যানিশ খৃলার অনুবাদ করেছি, অন্যকে দিয়ে করিয়েওছি। আমার নিজের কাছে গল্পের গভীরতা আর ভিন্নধর্মি কনটেক্সটের কারণে নন-ইংলিশ ক্রাইম-খৃলারগুলো বেশি ভালো লাগে। ছাত্রজীবন থেকে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের খোঁজ-খবর রাখলেও ওখানকার ক্রাইম-থ্রলারগুলো খুব একটা পড়া ছিলো না। কয়েক বছর আগে কিছু লাতিন ক্রাইম-থ্রলার পড়তে শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক এদুয়ার্দো সাচেরির লা প্রেহু দে সুস ওহোস-এর (La pregunta de sus ojos) ইংরেজি অনুবাদটি পড়ে ফেলি। বইটি আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে। সিদ্ধান্ত নেই অনুবাদ করার জন্য, কিন্তু কাজ শুরু করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে-মৌলিক লিখতে লিখতে অনুবাদ করা ভুলে গেছি। মূল কাহিনী আর চরিত্রগুলো পাশ কাটিয়ে নিজের মতো করে লিখতে শুরু করে দিয়েছি! সম্ভবত এর কারণ, ঐ সময় আমার মাথায় সাচেরির গল্পটির মতোই একটি পিরিওডিক্যাল মার্ডার মিস্ট্রি ঘুরপাক খাচ্ছিলো। অন্যদিকে, মূল উপন্যাসের সময়কাল আর রাজনৈতিক আবহের সাথে আমাদের দেশের একটি সময়ের আশ্চর্য রকমের সাযুজ্যও খুঁজে পেয়েছিলাম।
"ড্রেসডেন ফাইলস: সামার নাইট" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: আকাশ থেকে বৃষ্টির মতাে একের পর এক ঝরে পড়ছে ব্যাঙ। পুরােদমে যুদ্ধ শুরু। হয়ে গেছে জাদুকর আর ভ্যাম্পায়ারদের মধ্যে। হ্যারিকে খুন করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে ভ্যাম্পায়াররা। শহরে এসেছে জাদুকরদের সবচেয়ে বড় সংগঠন দ্য হােয়াইট কাউন্সিল। শুধু তারাই নয়, নেভারনেভার ছেড়ে শহরে চলে এসেছে ফেইরিদের রাণীরাও। খুন হয়েছে ফেইরিদের সামার নাইট। এই খুনকে ঘিরে যুদ্ধে জড়াতে। যাচ্ছে সামার কোর্ট আর উইন্টার কোর্ট। স্বয়ং উইন্টার কোর্টের রাণী এসেছে হ্যারির কাছে এই খুনের তদন্ত ভার অর্পণ করতে। যদি এ যুদ্ধ থামানাে না যায় তাহলে। হয়তাে পৃথিবীতে আবারও নেমে আসবে তুষার যুগ। হােয়াইট কাউন্সিল, সামার কোর্ট, উইন্টার কোর্ট, রেড কোর্ট সবার দৃষ্টি এখন একজন মানুষের ওপর-জাদুকর হ্যারি ব্ল্যাকস্টোন কপারফিল্ড ড্রেসডেন। প্রতিটি ক্ষণে কেবল বিপদ বেড়ে চলেছে, ঘনিয়ে আসছে সময়। হ্যারি কি পারবে এই বিপদ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে? জিম বুচারের জনপ্রিয় সিরিজ ড্রেসডেন ফাইন্স-এর চতুর্থ আখ্যান সামার নাইট পাঠককে আবারাে নিয়ে যাবে হ্যারি ড্রেসডেনের জাদুময় অদ্ভুত এক জগতে।
দীর্ঘ চার বৎসর পর আবার রুমি এবং মারুফ একসাথে। জড়িয়ে গেল এক অদ্ভুত রহস্য মিমাংসায়, এক সুদীর্ঘ অনুসন্ধানে। যে অনুসন্ধানে মিশে আছে সহস্রবছর ব্যাপী গােপনে উচ্চারিত প্রশ্ন, মূল্যবান শত শত জীবন এবং অবিশ্বাস্য ঐতিহাসিক সব স্মারক। এর সুবিস্তৃত পটভূমিতে ওরা খুঁজে ফেরে এমন এক সত্য যা ধামা চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মিথ্যা আর ছলনায় মােড়া দৈত্যাকার মহীরুহ। মিনিমালিস্ট একটি রহস্য উপন্যাস, নানা ঘটনা উপঘটনার সুদীর্ঘ যাত্রা। কিন্তু এ এক উপলক্ষ্যও, বৃহৎ ও মহতী এক বােধের। সবকালে সব যুগে মহামানবেরা যে পথে হেঁটেছেন, তাঁদের দর্শনকে নতুন করে ধারণের প্রচেষ্টা। সে জীবনবােধে আপনাকে স্বাগতম!