"থৃলার গল্পসঙ্কলন-৩" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে ভাষার সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলাে সেই ভাষার সাহিত্যের বিভিন্ন ধারাকে সমৃদ্ধ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলা সাহিত্যে থৃলার। ছােটগল্পের পরিসর বৃদ্ধি এবং মান। উন্নত করার উদ্দেশ্যে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত। হয়েছে ‘থৃলার গল্পসঙ্কলন’ ও ‘থৃলার। গল্পসঙ্কলন ২। বাংলা সাহিত্যে বিশ্বমানের থৃলার গল্পের ক্ষেত্র বৃদ্ধির সাথে সাথে এই গল্পসঙ্কলনের অন্যতম। আরেকটি উদ্দেশ্য ছিলাে নতুন। মৌলিক থৃলার লেখক সৃষ্টি করা। প্রথমটির সাথে সাথে থৃলার গল্পসঙ্কলন তার দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটিও বেশ চমৎকারভাবেই পূরণ করে চলেছে বলা যেতে পারে। কারণ থৃলার সঙ্কলনের গল্প লেখকদের অনেকেই ইতিমধ্যে মৌলিক থৃলার উপন্যাস লেখক হিসেবে পাঠক সমাদৃত। প্রথম এবং দ্বিতীয় সঙ্কলনের সার্বিক সাফল্যকে ধারণ করে আরাে বড় পরিসরে এবার প্রকাশিত হচ্ছে ‘থৃলার গল্প সংকলন-৩’। যথারীতি সঙ্কলনের সমন্বয় করা হয়েছে একদল নতুন এবং পুরনাে লেখকদের গল্প প্রতিবারের মতাে এবারও ‘থৃলার গল্প সঙ্কলন-৩' এ বিদেশি বিখ্যাত লেখকদের গল্পের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে দেশি প্রেক্ষাপটে লেখা দেশীয় মৌলিক থৃলার গল্প, গল্পের মান এবং লেখনি শক্তিতে যা কোনাে অংশেই বিদেশী প্রতিষ্ঠিত লেখকদের চেয়ে কম নয়।
দ্য দা ভিঞ্চি কোড - জ্ঞানগর্ভ ডিটেকটিভ থ্রিলার এবং হলি গ্র্যাইল আর খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে মেরি ম্যাডালিনের অবস্থান: দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সত্যটি জনাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন ক’রে। সত্যটি লালন ক’রে আসছে একটি গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো ব্যক্তি। ওদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন ওপাস দাই সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই গুপ্তসংঘের গ্র্যান্ডমাস্টার তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে হস্তান্তর ক’রে দেয় আর ঘটনাচক্রে এরকম একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়ে হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর। পাঠকের মনোজগত নাড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বইটি।
গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা শেষ হতে না হতেই বোস্টন শহরে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব হত্যাকাণ্ড-অভিনব আর বীভৎসভাবে হত্যা করা হয় শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে। ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে সবগুলো হত্যাকাণ্ডই মহাকবি দান্তের ইনফার্নো’র অনুপ্রেরণায় করা হয়েছে। মারাত্মক এক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় দান্তের সাহিত্যকর্ম। এ দিকে হারভার্ড কেন্দ্রিক দান্তে ক্লাবের কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং বিখ্যাত কবি লংফেলো এই রহস্যের জট খুলতে নেমে পড়েন এক অভিযানেÑকে খুন করছে, আর কেনই বা করছে, সেই প্রশ্নের জবাব পাবার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারা।
পরাজিত নাৎসিদের গোপন সংগঠন ওডেসার ক্ষমতাশালী কয়েকজন সদস্য বিদেশের মাটিতে বসে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু কাকতালীয়ভাবেই সেই ঘটনায় ঢুকে পড়ে ফৃল্যান্স সাংবাদিক পিটার মিলার। নিজের জীবন বিপন্ন করে ঢুকে পড়ে ওডেসার অভ্যন্তরে। নিতান্তই একটি এক্সক্লুসিভ রিপোটিংয়ের জন্যে মিলার এমনটি করছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওডেসার ভেতরে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো ঘটনা!
দ্য লস্ট সিম্বল - উপন্যাসের আচার-অনুষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক তথ্য, শিল্পকম এবং মনুমেন্ট বাস্তব এবং সত্য: দা ভিঞ্চি কোড-এর পরবর্তী সিকুয়েল দ্য লস্ট সিম্বল, সারা বিশ্বের সারা জাগানো লেখক ড্যান ব্রাউন, ব্রাউনীয় লেখনীতে যিনি বিশ্বের কাছে এনে দিয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় বেস্টসেলার কিছু বই। সাধারণত বিভিন্ন গুপ্ত সংস্থার রহস্যময় ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়েই গল্পের আবয় তৈরি হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই টানা দু'সপ্তাহ নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার (১ নম্বরে) এ ছিলো। বাংলা অনুবাদের দিক দিয়ে বেশ ভালো একটা অনুবাদ বই, লেখনীর ধারা অনুবাদক ঠিক মত রাখতে পেরেছেন। বইটিতে সিক্রেট সোসাইটি ফৃম্যাসন্দের হাজার হাজার বছর ধরে লুকায়িত রাখা সিক্রেটকে আবিষ্কার করা নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হয়। বরাবরের মত মুল চরিত্র সিম্বলজিষ্ট রবার্ট ল্যাংডন, যার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে নারী চরিত্র নোয়েটিক সায়েন্স এর গবেষক ক্যাথরিন সলোমন সাথে গুপ্ত সংস্থাটির মুল তাঁর ভাই পিটার সলোমন এবং বইটির সেরা চরিত্র ভিলেন জাগারি সলোমন (মালাখ)। লেখকের ভাষ্যমতে বইয়ে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান, স্থান সব সত্য ফলে বইটির পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে, সাথে সাসপেন্স বা টুইস্ট এর আছে বিশাল সংগ্রহ। আসলেই কি সেই লুকায়িত তথ্য কি উদ্ধার করা গিয়েছে? ভ্রাতৃসংঘটি কি আসলেই এখনো টিকে আছে? নোয়েটিক সায়েন্স কি আসলেই আমাদের কে আত্মার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে? জানতে হলে এখনই পড়তে হবে বইটি।
“নেমেসিস”বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে। সিটি হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বিস্ময়কর দ্রুততায় ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো লেখকের যুবতী স্ত্রীর ওপর। ওদিকে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে লেখকের আত্মজীবনী মেইল হয়ে গেলো অন্য একজনের কাছে। বেরিয়ে এলো নানান কাহিনী...তারপর ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারলো তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর অচিন্তনীয়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর আলোচিত এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে।