‘ থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
দ্য লস্ট সিম্বল - উপন্যাসের আচার-অনুষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক তথ্য, শিল্পকম এবং মনুমেন্ট বাস্তব এবং সত্য: দা ভিঞ্চি কোড-এর পরবর্তী সিকুয়েল দ্য লস্ট সিম্বল, সারা বিশ্বের সারা জাগানো লেখক ড্যান ব্রাউন, ব্রাউনীয় লেখনীতে যিনি বিশ্বের কাছে এনে দিয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় বেস্টসেলার কিছু বই। সাধারণত বিভিন্ন গুপ্ত সংস্থার রহস্যময় ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়েই গল্পের আবয় তৈরি হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই টানা দু'সপ্তাহ নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার (১ নম্বরে) এ ছিলো। বাংলা অনুবাদের দিক দিয়ে বেশ ভালো একটা অনুবাদ বই, লেখনীর ধারা অনুবাদক ঠিক মত রাখতে পেরেছেন। বইটিতে সিক্রেট সোসাইটি ফৃম্যাসন্দের হাজার হাজার বছর ধরে লুকায়িত রাখা সিক্রেটকে আবিষ্কার করা নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হয়। বরাবরের মত মুল চরিত্র সিম্বলজিষ্ট রবার্ট ল্যাংডন, যার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে নারী চরিত্র নোয়েটিক সায়েন্স এর গবেষক ক্যাথরিন সলোমন সাথে গুপ্ত সংস্থাটির মুল তাঁর ভাই পিটার সলোমন এবং বইটির সেরা চরিত্র ভিলেন জাগারি সলোমন (মালাখ)। লেখকের ভাষ্যমতে বইয়ে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান, স্থান সব সত্য ফলে বইটির পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে, সাথে সাসপেন্স বা টুইস্ট এর আছে বিশাল সংগ্রহ। আসলেই কি সেই লুকায়িত তথ্য কি উদ্ধার করা গিয়েছে? ভ্রাতৃসংঘটি কি আসলেই এখনো টিকে আছে? নোয়েটিক সায়েন্স কি আসলেই আমাদের কে আত্মার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে? জানতে হলে এখনই পড়তে হবে বইটি।
সমাজের উঁচু স্তরের প্রভাবশালী কিছু মানুষ একে একে মারা যাচ্ছে। দূর্ঘটনা, হত্যা না কি অন্য কোনো রহস্য? মৃত্যুর কারণ জানতে পেরে ফরেনসিক ইনচার্জ আদনান বিস্মিত। হোমিসাইডের ক্যাপ্টেন কায়সার জীবনে প্রথমবার টের পেল ভয় কাকে বলে। চোখের সামনে আততায়ী অদৃশ্য হয়ে গেল। মৃত্যুর নীল ছোবল এরপর কার দিকে ধেঁয়ে আসবে, সেটাও অজানা। সত্য? না কি পুরোটাই গুজব? প্রাচীন কুসংস্কার যখন ঘুরে ফিরে আসে তদন্তে, তখন থমকে যেতেই হয়। রাজনীতি, লৌকিক বিশ্বাস আর নেশার রাজ্যের অন্তরালে লুকিয়ে আছে কোন সত্য? কোন অতীতের সুরে গর্জে প্রতিশোধের হুঙ্কার? অন্ধকার ট্রিলজি, ক্ষ্যাপা, নিশাচরের পর বাপ্পী খান-এর লেখা ‘হিমঘুম’ পড়ে পাঠক বিস্মিত হবেন আরেকবার।
“রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি” বইটির ফ্ল্যাপের কথা : মফশ্বল শহর সুন্দরপুর ছবির মতোই সুন্দর। প্রকৃতির শোভা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু নেই বললেই চলে কিন্তু সবাই জানে রবীন্দ্র এখানে কখনও খেতে আসেন নি! কেন আসেন নি তারচেয়েও বড় কথা কেন অনেকেই সেখানে ছুটে আসে! এক আগন্তুক এসে হাজির হলো সেই সুন্দরপুরে। তার গতিবিধি অস্পষ্ট আর রহস্যময়। সে যেটা জানতে চায় সেটা ওখানকার খুব কম লোকেই জানে। আর যখন সেটা জানা গেলো তখন বেরিয়ে এলো রোমহর্ষক এক কাহিনী! পরিহাসের ব্যাপার হলো সেই রোমহর্ষক কাহিনী বলার মতো সুযোগ সত্যি কঠিন!
দীর্ঘদিন পর ফিনিক্স পাখির মতো ভষ্ম থেকে পুণরুত্থিত হয়েছে ব্ল্যাক রঞ্জু। আবারো সৃষ্টি করেছে ত্রাসের রাজত্ব। এবার অনেক বেশি শক্তিশালি এবং ভয়ঙ্কর। আর অপ্রতিরোধ্য তার সন্ত্রাসী চক্র। আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সাধ্য নেই তার নাগাল পাবার। ওদিকে ঢাকার এক আবাসিক এলাকা ঘটে গেল তিনটি হত্যাকাণ্ড। তদন্তে নেমেই অপ্রত্যাশিত কিছুর হদিস পেয়ে গেল হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। হয়তো ব্ল্যাক রঞ্জুর নাগাল পেয়ে যাবে। কিন্তু পর্দার অন্তরালে আছে আরেকজন, তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব। সে কী চায়? কে সে? বাস্টার্ডই বা কেন আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে হন্যে হয়ে খুঁজছে সেই লোককে? বাস্টার্ডের জন্য পাঠকের অপেক্ষার প্রহর শেষ, সেই সাথে সব প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যাবে ‘বেগ-বাস্টার্ড’ সিরিজের ষষ্ঠ বই ‘নেক্সট’-এ।
যোজনগন্ধার দিনটা সাধারণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই গতিপথ পালটে গেল পত্রিকায় ছাপা একটা ছোট খবরে। একটা মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাচীন ঐ বৌদ্ধ মূর্তির পাশে পাওয়া গেছে একটা লাশ। নিহত ব্যক্তি আর কেউ না, নৃশংস সন্ত্রাসী ডন ছেত্রীর ছেলে। প্রাচীন ভাষা ও লিপি বিশেষজ্ঞ যোজনগন্ধা তাৎক্ষণিক ছুটে যায় সেখানে। এদিকে যোজনগন্ধা ক্যান্সারের সাথে লড়ছে, পরিস্থিতি সুবিধার না। তবুও কৌতূহল বলে কথা। সেই প্রাচীন বৌদ্ধমুর্তি অবলোকিতেশ্বরের গায়ে সিদ্ধম ভাষায় লেখাটির পাঠোদ্ধার করাতেই যেন তার জীবনের সফলতা। তবে চাইলেই কী সব সহজে ঘটে? তাহলে আর গল্প কী করে হবে? প্রেক্ষাপটে হাজির নিষ্ঠুর ছেত্রী, চলে আসলো আরেক ভিলেন মামাজী। সাথে আছে প্রাচীন একটা পুঁথি, যেটার লেখিকা স্বয়ং জ্ঞানডাকিনী গন্ধকালী। এই গন্ধকালীকে খুঁজতে চৌথুপীতে অতীতেও রক্ত বন্যা বয়েছে। কেন? পুঁথিতে লুকিয়ে আছে সব প্রশ্নের উত্তর। অনিচ্ছাকৃতভাবে সঙ্গী হিসেবে হাফি হাবিলদারকে সাথে নিয়ে শুরু হলো যোজনগন্ধার অদ্ভুত এক অ্যাডভেঞ্চার। প্রাচীন বাংলা, প্রাচীন বাংলা ভাষার লিপি, তখনকার বৌদ্ধতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, সেই সাথে প্রাচীন বাংলার লিপি, ইতিহাস, ভাষা এবং সেইসাথে ‘চর্যাপদ’-কীভাবে হবে এসব রহস্যের সমাধান? বর্তমান সময়ের অন্যতম থ্রিলার লেখক প্রীতম বসুর অত্যাশ্চর্য উপন্যাস চৌথুপীর চর্যাপদ পাঠককে তার নিজের প্রাচীন গৌরবের উজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে।