রহস্যময় এক ডক্টর, নিজের চারপাশে রহস্য তৈরি করে রাখেন সব সময়। জাতীয় দৈনিকে অদ্ভুত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেন তিনি, প্রার্থি হিসেবে হাজির হলো মাত্র দু-জন। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির সেই দুই তরুণ-তরুণীকে হতবুদ্ধিকর একটি রহস্য সমাধান করার ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেয়া হলো। তদন্তে নামতেই বোঝা তারা বুঝে গেলো ঘটনাটি যেমন প্রহেলিকাময় তেমনি অব্যাখ্যাত। বিজ্ঞান আর অতিপ্রাকৃতের দোলাচলে দুলতে লাগলো তাদের সমস্ত হিসেব-নিকেশ। সব কিছুর কি ব্যাখ্যা আছে? নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের মৌলিক-থৃলার উপন্যাস পেন্ডুলাম পাঠককেও দোলাচলে দুলতে দুলতে নিয়ে যাবে সেই রহস্যময়তার গভীরে।
হার্ট প্রতিস্থাপনের পর নিজের বোটে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন সাবেক এফবিআই এজেন্ট টেরি ম্যাকেলেব। একদিন একজন মহিলা বোটে এলো বোনের হত্যা রহস্য সমাধানের কেস নিয়ে। খুন হওয়ার পর মহিলার বোনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ম্যাকেলেবের দেহে। বাধ্য হয়েই ম্যাকেলেবকে কেসটা নিতে হল। কেস সমাধানে নেমে ম্যাকেলেব আবিষ্কার করল অদ্ভুত ভয়ঙ্কর এক খুনি বেছে বেছে মানুষ খুন করছে লস অ্যাঞ্জেলস শহরের বুকে। খুনিকে ধরার মত কোনো ক্লু নেই ম্যাকেলেবের হাতে। এছাড়াও কেস সমাধানের পথে ওকে মুখোমুখি হতে হল প্রশাসনিক বাধা-বিপত্তির। এত কিছু সামলে ম্যাকেলেব কি পারবে এই উন্মাদ খুনিকে ধরতে নাকি বিলীন হয়ে যাবে অন্ধকার জগতে?
বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধুদের, দুই বন্ধু নৃতাত্ত্বিক মারুফ এবং পত্রিকার ফিচার এডিটর রুমি কথা প্রসঙ্গে জানতে পারে তাদেরই আরেক বন্ধু পেশা হিসেবে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। কৌতূহলী হয়ে সেটার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওরা জড়িয়ে পড়ে দারুণ রহস্যময় এক অনুসন্ধানে, বেরিয়ে আসে ভয়ংকর আর শিউরে উঠবার মত সব সত্য, সাধারণ মানুষকে কখনোই জানতে দেয়া হয় না এমন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা। যার পদে পদে ওদের জন্য ওৎ পেতে আছে মৃত্যুগামী বিপদ, অভাবনীয় বিস্ময়, জড়িত আছে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের জীবন, এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুধু একটি উপন্যাসই নয়, পাঠকদের জন্য ইতিহাস, স্থাপত্য, গণিত, ধর্মতত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব যাত্রা।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।