ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডি কারা কেনসিংটন, সুন্দরী এবং বিদূষী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে, যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। ওদের উদ্দেশ্য—সারা দুনিয়া জড়ে বয়ে আনবে বিশৃঙ্খলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক—এমন এক ক্ষমতাকে খুঁজে বের করা যেটা দুনিয়াকে পরিণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত?
পপ আইডল হিসেবে তিন বছর কাটাবার পর, কিরিগোয়ে মিমা চায় নিজেকে বদলে ফেলতে। এতদিনের নির্মল, পবিত্র ইমেজ ঝেড়ে ফেলে, নতুন এক আকর্ষণীয় মিমায় পরিণত হবার সিদ্ধান্ত নিল মেয়েটা। কিন্তু নতুন এই মিমা যখন চোখ কপালে তোলার মতো কস্টিউম পরে উপস্থিত হলো মানুষের সামনে, তখন ওর সবচাইতে মোহগ্রস্ত ভক্তদের একজন তা কোনোমতেই মেনে নিতে পারল না। উত্তেজক এক ফটোবুক প্রকাশ করে আগুনে আরও ঘি ঢালল মিমা। আত্মপ্রকাশের দিনগুলোর সেই মিষ্টি মেয়ে মিমায় ওকে ফিরিয়ে নিতে, ভয়ংকর এক পরিকল্পনা সাজালো সেই লোক...যার শেষ ধাপ: মিমার জীবনের ইতি টানা। কিন্তু মধ্যবর্তী ধাপ? যেমন গা শিউরানো, তেমনি বীভৎস!
সময় এখন... ...থমকে যাবার পথিক বেছে নেয় পথ... ...নাকি পথই বেছে নেয় পথিককে? রাশেদের কথা ভাবলে অবশ্য প্রথমটাই সত্যি বলে ধরে নিতে হয়। নিজের হাতে খোঁড়া কবরে শুয়ে যে স্বপ্ন দেখে শ্বশুরের মৃত্যুর। আবার যদি ভাবি আরিয়ানের কথা তাহলে মনে হবে, ওর ভাগ্যের পথ যেন পুতুল বানিয়ে ছেলে-খেলা করে বেচারাকে নিয়ে। চাচার রহস্যময় খুন যার সামনে খুলে দিয়েছে অমিত সম্ভাবনার দ্বার। কিন্তু কে এই এস.আই. সাব্বির? কেন দু’পাশে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে সে পথ আটকে? কেন বলছে উচ্চস্বরে: সময় এখন... ...থমকে যাবার!
আত্মসমর্পণ করতে এসে হঠাৎ করে মারা গেল বিখ্যাত গুণ্ডা নাহিদ হাসান। আণ্ডারগ্রাউণ্ড ডন ওয়াসির বিরুদ্ধে রাজসাক্ষ্মী হতে চেয়েছিল বলেই কি বেঘোরে প্রাণ হারাতে হলো তাকে? কিন্তু মরল কীভাবে? রক্তে তো প্রাণঘাতী কোনও ধরনের রাসায়নিক নেই! রহস্য জটিল রুপ ধারণ করল, দৃশ্যপটে ডন ওয়াসির প্রধান আততায়ী খন্দকার শুভ'র আগমনে। তাহলে কী কোনও উপায়ে এই দয়া-মায়াহীন পাষণ্ড খুনটা সেরেছে? এদিকে মৃত্যুর মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে রহস্যময় এক নারীর সাথে নাস্তা করতে দেখা গিয়েছে নাহিদ হাসান ওরফে নাদু গুণ্ডাকে। কে এই রমণী? মাফিয়ার লোকজনের সাথে তার কী সম্পর্ক! রহস্য সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়ল ডাক্তার থেকে পুলিশ বনে যাওয়া রাফসান ইবনে রেজার ঘাড়ে। জুনিয়র এসআই আদনান আহমেদকে সাথে নিয়ে ঢাকা শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে চলছে বেচারা। জলদি রহস্য সমাধান করতে না পারলে জেলে যেতে হতে পারে ওদের বস, সৈয়দ মারুফকে, নাদু গুণ্ডার খুনের দায় নিয়ে। ঘড়ির কাঁটাকে হার মানাতে পারবে তো ওরা? সমাধান হবে তো রহস্যের?
দ্য গুড সান পৃথিবীতে যদি মাত্র একজনকে বিশ্বাস করা যায়...তাহলে সে মানুষটি নিজে ছাড়া আর কে হতে পারে! অথচ নিজের ওপরেই যদি কেউ খুইয়ে ফেলে বিশ্বাস? ধাতব গন্ধের ধাক্কা নাকে নিয়ে ঘুম ভাঙল ইউ-জিনের। সিউলের জাঁকাল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মা আর পালক ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সে। নিজ কামরা থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির গোড়ায় আসতেই আবিষ্কার করে-রক্তের ডোবায় শুয়ে আছে ওদের মা! রাতের স্মৃতি যেন নাগালের ঠিক বাইরে ঘোরা-ফেরা করছে! খিঁচুনির রোগী হওয়ায় প্রায়শই এমনটা হয় ইউ-জিনের। তবে একটা কথা মনে আছে পরিষ্কার-রাতে মা ডাকছিল ওকে। সাহায্যের আশায়, বাঁচার আকুতি নিয়েই কী? কার কাছ থেকে বাঁচতে চাচ্ছিল মা? খুনি কি অন্য কেউ? নাকি ইউ-জিন নিজেই? পরবর্তী তিনটি দিনের গল্প, ভয়াল সেই রাতের রহস্য উন্মোচনের আখ্যান। কিন্তু পেঁয়াজের খোসার মতো ক্রমেই ওদের পারিবারিক জীবন খুলে খুলে প্রকাশিত হচ্ছে অজানা অনেক গোপনীয়তা। মর্মন্তুদ ও মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারের পাশাপাশি, দ্য গুড সান-এর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে--স্মৃতির রহস্য, মা ও ছেলের সম্পর্কের টানাপড়েন। সেই সঙ্গে অবাক করে দেয়া এক সত্যও!