রেডিয়ো স্টেশন কে বা কারা চুরি করল চাচার ভ্যান থেকে গানের ওই দুর্লভ ক্যাসেট? হাজারো মানুষের ভিড়ে কী করে চোরকে ধরবে তিন বন্ধু! তবুও অদ্ভুত রহস্যে জড়িয়ে শেষে কিডন্যাপ হলো ওরা! তা হলে কি পার পেয়ে গেল নাটের সেই গুরু? কিশোর দ্য গ্রেট সুন্দরী এক তরুণীকে গুণ্ডাদের কবল থেকে বাঁচাল কিশোর। জানতে পারল দাদুর লেখা দুষ্প্রাপ্য এক জার্নাল আছে মেয়েটির কাছে। তাতে আছে গুপ্তধনের সঙ্কেত। কিন্তু অসহায়, গরীব মেয়েটির পক্ষে একা গুপ্তধন উদ্ধার অসম্ভব। ফলে, ওর পাশে দাঁড়াল কিশোর পাশা, নিল। মৃত্যুর ঝুঁকি। হাঙুরে পিশাচ! অসহায় এক বয়স্কা মহিলাকে গেঁথে ফেলতে চাইল ধারাল হার্পুনওয়ালা হাঙুরে পিশাচ! অতীতে পাপ ছিল মহিলার পরিবারে? এখন প্রমাণ চাই বাস্তবে নেই পিশাচ! ওই প্রমাণ খুঁজতে গিয়েই শয়তান সাধকের কবলে পড়ল তিন গোয়েন্দা!
সূত্রের সন্ধানে কারাতে ক্লাসে ভর্তি হয়েছে তিন গোয়েন্দা। বিল লারা নামে একটি ছেলে বিখ্যাত সিনেমাস্টার ব্রুস ল্যাঙের উপহার দেয়া একটি ব্ল্যাক বেল্ট নিয়ে এল । কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই জানা গেল বেল্টটি চুরি গেছে। কথা ছিল বিল ব্রুস ল্যাংকে কারাতে ক্লাসে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন বলছে চোরদের মাঝে সে অ্যাকশন হিরোকে আনবে না। সবাই হতাশ। অগত্যা তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। অমঙ্গলের পূর্বাভাস বিডনের রক্ষক মুমূর্ষু, তিনি আশঙ্কা করছেন ভয়ঙ্কর অশুভ কোন শক্তি বিডন গ্রহটিকে গ্রাস করতে চাইছে। হিরু চাচার সাহায্য চাইলেন রক্ষক। বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়ানক এক বিভীষিকার মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। রুখে দাঁড়ানো ছাড়া গতি রইল না হিরু চাচা আর কিশোরের। ভুতুড়ে পুতুল মেরি চাচীর বোনের ছেলে কিন কিছুদিন থাকবে বলে খালার বাসায় এসেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক পুতুল। ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা করে কিশোরকে তটস্থ করে রেখেছে ওটা। কিশোরের ধারণা পুতুলটা জ্যান্ত । আসলেই কি তাই?
দেবদূত গ্রীনহিলসের নতুন কারাতে শিক্ষিকা কি তিন গোয়েন্দাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করছে? সে কি ওদের ইচ্ছেগুলো পূরণ করছে? দেবদূত নয় তো মহিলা? প্রশ্নগুলোর জবাব জানতে চায় কিশোর, মুসা, রবিন। হারানো গাঁয়ের রহস্য নাভাজো ইণ্ডিয়ানদের রিজার্ভেশনে বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর জিনা। জানতে পারল, ওদের প্রাচীন এক গাঁ হারিয়ে গেছে মাটির তলায়। ওটা খুঁজতে শুরু করল ওরা। এক পর্যায়ে উদয় হলো সন্দেহজনক কিছু চরিত্র। ফলে, রহস্যে জড়িয়ে পড়ল ছেলে-মেয়েরা। জিন্দালাশের আস্তানা গাড়ি নষ্ট হওয়ায় এক সামার ক্যাম্পে আটকা পড়েছে তিন গোয়েন্দা। জায়গাটা জিন্দালাশের আস্তানা। নরমাংস খায় তারা। তিন বন্ধুর মধ্যে কাকে ধরল জিন্দালাশেরা?
হারানো সুর: শহরে অর্কেস্ট্রা এসেছে। তারা সঙ্গে করে এনেছে মহান সঙ্গীতজ্ঞ মোযার্টের নিজ হাতে লেখা এক দুষ্প্রাপ্য স্বরগ্রাম। চুরি গেল ওটা। স্বরগ্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল তিন গোয়েন্দা। জড়াল রহস্যজালে। দুঃস্বপ্নভূমি: ভয়ঙ্কর এক পার্ক–ঠিক যেন দুঃস্বপ্নভূমি। অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আটকে পড়েছে ওখানে। ওদেরকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও বন্দি হলো কিশোর, মুসা আর রবিন। এদিকে, একের পর এক উদয় হচ্ছে অশুভ সব চরিত্র। পালাবার পথ বন্ধ। দেখা যাক, তিন গোয়েন্দা এবার কী করে। হীরক-রহস্য: রাতের বেলায় মনুমেণ্টের ভেতরে রহস্যময় আলো। খুদে এক বানর। বহু বছর আগে চুরি যাওয়া হীরে। ভাঙা প্লাস্টার। এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র কী? সূত্রগুলো জুড়তে পারলেই রহস্যভেদ হবে। কিশোরের আর কী চাই?