লাটসাহেব আঙ্কেল ডিকের সঙ্গে ইউরোপে বেড়াতে গিয়ে ছোট এক রাজ্যের প্রাসাদ-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল মুসা, রবিন ও জিনা পারকার। সঙ্গে ছোট এক লাটসাহেব। বন্দি রয়েছে ওরা দুর্ভেদ্য বোর্কেন দুর্গের টাওয়ারে। বন্ধুদের উদ্ধার করবে বলে সার্কাস পার্টিতে যোগ দিল কিশোর পাশা। তারপর? ঘটনার পর ঘটনা। পাজি বিড়াল ডেথ সিটির রাস্তা থেকে একটা কালো বিড়াল বাড়ি নিয়ে গেল রোডা। তারপর থেকেই ঘটতে শুরু করল রহস্যময় ঘটনা। দিনে দুপুরে হঠাৎ করে গাছ ভেঙে পড়ল, আগুন লাগল বাড়ির বারান্দায়। বিড়ালটাকে সন্দেহ করল তিন গোয়েন্দা। সমাধানের জন্য ডাইনির কাছে ছুটল কিশোর। ভৌতিক দুর্গ মেইলে নেলি আন্টির দুর্গে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। গিয়েই জড়িয়ে পড়ল রহস্যে। রক্তহিম করা চিৎকারটা কোথা থেকে আসে? রাতের বেলা প্লেহাউসের বাইরে ভুতুড়ে আলোটা কীসের? কী ঘটছে এখানে?
পেইন্টিং-রহস্য এক বন্ধু হিরু চাচার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন দামি এক পেইন্টিং। কিন্তু হিরু চাচার বাসা থেকে চুরি গেল ওটা। ফলে, চাচার মান বাঁচাতে তদন্তে নামল কিশোর, মুসা আর রবিন। অভিশপ্ত ক্রুশ কিশোরের বন্ধু সিজারের সুপ্রাচীন পারিবারিক ক্রশটি অভিশপ্ত। অভিশাপ আছে-যে ওটা চুরি করবে এবং যে খোয়াবে দু’জনেই মারা পড়বে। ঘটনাচক্রে, ক্রুশটা বেহাত হয়ে গেল সিজারের। মৃত্যু আশঙ্কায় ভেঙে পড়ল সে। অসহায় বন্ধুর পাশে দাঁড়াল কিশোর। যেভাবে হোক উদ্ধার করবে ক্রুশটা। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা নয়। স্বর্ণ সিন্দুক-রহস্য সিন্দুক ভর্তি সোনা লুকানো আছে কোথাও। একাংশ পুড়ে যাওয়া এক প্রাচীন চিঠিতে ছিল ওটার হাদিস।…চুরি গেল কিশোরের উপহার পাওয়া দামি আংটিটি। ওদিকে, নতুন বান্ধবী জেনির নানা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। সব রহস্য মিলেমিশে একাকার। জট ছাড়াতে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ভীষণ ঠাণ্ডা। ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারল না। তিন গোয়েন্দা ও রোডা। ডেথ সিটির জঙ্গলে অদ্ভুত কিছু বরফের কফিন চোখে পড়ল ওদের। জ্যান্ত হয়ে উঠল হাজার বছরের পুরানো, ভয়ঙ্কর হিমপিশাচেরা। ওদের চোখের বিধ্বংসী নীল আলোয় এ-কোন সর্বনাশের ছায়া! আবারও কি সেই ডক্টর মুন? গোপন ডায়েরি/শামসুদ্দীন নওয়াব রান্নাঘরের ইঁটের নীচে লুকানো বাঘটি বছরের পুরানো গোপন ডায়েরি টেনে বের করল কিশোর। ডায়েরির মালিক ক্যামেলিয়া লিখেছে: ‘সাবধান! গোপনে যে আমার ডায়েরি পড়বে, চিরকালের জন্য চিলেকোঠার ভূত হয়ে যাবে সে। প্রিয় পাঠক, তুমি এ-বই পড়ছ, অতএব তুমিও…!!
নেকড়ে মানুষ লোন উলফ রানশের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে গেছে তিন গোয়েন্দা, জিনা আর রাফি। কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ উঠতেই শুরু হলো গোলমাল। রানশের সোনার হর্সশুগুলো চুরি করল এক নেকড়েমানুষ। ফলে রহস্যের সমাধানে তদন্তে নামতে হলো ছেলে-মেয়েদের। মারণাস্ত্র ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ যদি সুপার নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে ফেলে তবে কী ঘটবে? যে করে হোক ঠেকাতে হবে ভিজিলের বোমা তৈরির পরিকল্পনা, ধ্বংস করতে হবে তার ফর্মুলার সব ক’টা কপি। নিজের জীবন বাজি রেখে শক্রশিবিরে হানা দেয়ার ক্ষমতা কার আছে? মাসুদ রানার? ও কি পারবে মানব জাতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে?…হিরু চাচার রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার। ভ্যাম্পায়ারের পদধ্বনি পুরানো, ভুতুড়ে স্টোরেজ বিল্ডিঙে ঘটনাচক্রে জ্যামিতি নোট বইটা ফেলে এসেছে মুসা। ওটা আনতে ওখানে ফিরে গেল ও। কিন্তু অদ্ভুত আলোটা কীসের? কফিনের ঢাকনা খোলা কেন? ভিতরের দেহটা কার? এসব কী ঘটছে প্রাচীন বাড়িটাতে?
মৎস্যকন্যা ট্র্যাক মিটে অংশ নিতে ক্যাম্প লোন উলফে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডানা। জানতে পারল সুন্দরী, রহস্যময়ী কোচ ওয়াটারপুল ওদেরকে ট্রেনিং দেবেন। ডানার ধারণা মহিলা মৎস্যকন্যা এবং গভীর ষড়যন্ত্র করছেন তিনি ক্যাম্প ডিরেক্টর মি. উলফারের বিরুদ্ধে। ঘনিয়ে উঠল রহস্য। এবং তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা । মৃত্যুমন্দির কিশোর পাশার মনে কটা প্রশ্ন জেগেছে: অমূল্য সোনার আংটিটা ওর বন্ধু হানি পেল কোথায়? এক জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক কেন বলছেন ফেরাউনের সমাধিমন্দিরে কিছু নেই? রাজাদের উপত্যকার ট্র্যাপডোরটার নিচে কী আছে? উত্তরগুলো পাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে হলো কিশোরকে। দমকলবাড়ি-রহস্য শহরের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন দমকলবাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাউন কাউন্সিল। প্রতিবাদ করল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাজে নেমে বুঝল প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী। ওদিকে, দমকলবাড়ির ঐতিহাসিক ট্রফিগুলো চুরি হয়ে গেল। ফলে অনিবার্যভাবেই নতুন রহস্যে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা।
সার্কাস-রহস্য গ্রীন হিলসে সার্কাস পার্টি এসেছে। মহা উৎসাহে সার্কাস দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু পারফর্মারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রপগুলো নেই কেন? ব্যাপারটা রহস্যময় ঠেকল ওদের কাছে। ফলে, তদন্তে জড়িয়ে গেল। ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য নিউ ইংল্যান্ডের এক জেলে পল্লীতে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল, ফ্লাইং ক্লাউড নামে এক জাহাজ বহু বছর আগে ডুবে গিয়েছিল। কেউ জানে না কী ঘটেছিল ডোবার আগে। লোকে বলে, অন্ধকার, ঝড়ো রাতে নাকি উদয় হয় ওটা। তিন গোয়েন্দা কি পারবে ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য উদঘাটন করতে? আশ্চর্জন্তু অন্ধকার চিলেকোঠায় প্রকাণ্ড এক ডিম। ক্লাস টিচার মিসেস এগসকে ওটায় তা দিতে দেখল তিন গোয়েন্দা। ডিম ফুটে কী বেরোবে? মতলবটা কী মিসেস এগসের? তিনি কি মানবজাতির জন্য মস্ত বড় কোন বিপদ ডেকে আনছেন? …নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল ছেলেরা।