কথা ছিল, চিরশত্রু ফাংদের কবল থেকে আমার অপহৃত ছেলেকে উদ্ধার করবেন আবাটিদের রানি, তবে তার আগে ফাংদের সিংহ-মাথার দেবতার বিশাল মূর্তিটা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ফিরে এলাম লণ্ডনে। খুঁজে বের করলাম পুরনো এক বন্ধুকে, সঙ্গে জুটে গেল আরও দুজন। রাইফেল আর ডিনামাইটের বহর নিয়ে আমরা চারজন রওয়ানা হয়ে গেলাম মিশরের উদ্দেশে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল পথপ্রদর্শক শ্যাডর্যাক, ধরা পড়ল আমার বন্ধু, সিংহের মুখে ছুঁড়ে দেয়া হলো ওকে। ওদিকে রানির প্রেমে বুঁদ হয়ে গেল আমাদের দলনেতা অলিভার, শোধ নিতে প্রস্তুত হলো রানির হবু স্বামী সেনাপতি যশুয়া, গভীর রাতে অলিভারের ঘরে ছুরি নিয়ে ঢুকল আততায়ী। মাহেন্দ্রক্ষণে ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র: সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রহরীদের, এবার অপহৃত হয়ে যেতে পারেন রানি নিজেই। শুরু হয়ে গেল আবাটিদের গৃহযুদ্ধ, রানির প্রাসাদে লাগল আগুন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভি্যোগে বিচারের সম্মুখীন হলাম আমরা, যার রায় হতে পারে একটি-মৃত্যুদণ্ড। বজ্রাহতের মতো প্রত্যক্ষ করলাম আমরা রানীর ছলনাময়ী রূপ। তারপর?