আবারও রহস্যের আড়ালে রহস্য। আবারও একই মলাটের ভিতরে দুটো উপন্যাস। এবং আরও একবার সুয্যান রাইল্যান্ড আর অ্যাটিকাস পান্ডের দ্বৈরথ। ম্যাগপাই মার্ডার্সের সুয্যান রাইল্যান্ড এখন থাকে গ্রীসের ক্রীটে। ভালোমন্দ মিলিয়ে ওর দিন কেটে যাচ্ছে পলিডোরাস হোটেলে। কিন্তু হুট করেই যেন দিক বদল করল ঘটনাপ্রবাহ। ধনী এক ইংরেজ দম্পতি হাজির হলেন পলিডোরাসে। সুয্যানকে শোনালেন অদ্ভুত এক গল্প... অ্যালান কনওয়ের লেখা “অ্যাটিকাস পান্ড টেকস দ্য কেস” বইটি পড়ে গায়েব হয়ে গেছে তাঁদের মেয়ে সিসিলি ট্রেহার্ন। তবে তার আগে বলেছে, আজ থেকে আট বছর আগে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের দায়ে জেল খাটছে যে-লোক, সে আসল খুনি না। নিজের ভিতরে এমন এক আহ্বান টের পেল সুয্যান, যা অগ্রাহ্য করা অসম্ভব ওর পক্ষে। চলে এল ইংল্যান্ডে। শুরু করল তদন্ত। কিন্তু পদে পদে হাজারটা বাধা। ভালোমানুষির মুখোশ যারা পরে আছে, লেজে পা পড়লে তারাই ফণা-তোলা বিষধর সাপ! শুধু তা-ই না, সে যদি পুলিশের কাজে বাধার কারণ হয়, তা হলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়া হলো ওকে। এবং, সে যখন রহস্য-সমাধানের দ্বারপ্রান্তে, তখন আরও একবার ওর জন্য পাতা হলো মৃত্যুফাঁদ। সে-ফাঁদ কি এড়াতে পারবে সুয্যান? সে কি সমাধান করতে পারবে জটিলতম এক রহস্যের... তা-ও আবার শুধু একটি বই সম্বল করে? চলুন, পাঠক, আরও একবার আমরা সঙ্গী হই সুয্যান রাইল্যান্ডের। “অ্যাটিকাস পান্ড টেকস দ্য কেস” ঘেঁটে ক্লু বের করে আমরাও সমাধান করার চেষ্টা করি “মুনফ্লাওয়ার মার্ডার্সের”।
সায়েম সোলায়মান ভুল: আনিকাকে পাওয়ার জন্য আপন চাচাকে খুন করার প্ল্যান করেছে সোহেল। কিন্তু… ওয়াস্পস নেস্ট: ‘আমি আসলে এমন একটা অপরাধের তদন্ত করছি, যা এখনও সংঘটিত হয়নি, বলল এরকুল পোয়ারো ঈর্ষা: শিরিনকে খুন করেছে কবির। কেউ কিছু টের পায়নি। কিন্তু শিরিনের লেখা প্রেমপত্রটাই এলোমেলো করে দিল সব। ডেথ বাই ড্রাউনিংঃ রোয এমটের মৃত্যু কি আত্মহত্যা, না খুন? চিরকুটে কী লিখেছেন মিস মার্পল? নেকলেস রহস্যঃ আলমারি অক্ষত , চোরের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি নেই। তালা লাগাতেও ভুল হয়নি। তা হলে কীভাবে গায়েব হলো নেকলেসটা? দি আইডল হাউয অভ অ্যাস্টার্টে: চন্দ্রদেবীর মূর্তি প্রাণ পেয়ে হত্যা করেছে রিচার্ড হেইডনকে? মিস মার্পল মানতে নারাজ। সৈকতে সাবধান: পড়ে থাকা কিছু কাপড় অভিনব এক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলল ক্রাইম রিপোর্টার রাশেদ হায়দারকে। স্যাংচুয়ারিঃ আশ্চর্য, ভাই মরেছে, কিন্তু লাশের চেয়ে কোটের প্রতি আগ্রহ বেশি ভদ্রমহিলার। কারণ কী? ভালোবাসা ভালো নয়ঃ কবিতার স্বামী ফয়সল নিখোঁজ। তদন্ত করতে গিয়ে উঠতে হলো রাশেদ হায়দারকে। দ্য থাম্ব অভ সেইন্ট পিটারঃ স্বামীকে নাকি বিষ খাইয়ে মেরেছে মেবল। রহস্যটার সমাধান করে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন মিস মার্পল। নিশির ডাকঃ ছেলে হারানো আফরোজা ঘুমের ঘোরে মা শোনেন। মানসিক সমস্যা? তদন্ত শুরু করল রাশেন হায়দার। টেপ-মেজার মার্ডার। নিজঘরে মরে পড়ে আছেন মিসেস স্পেনলো। গ্রামবাসীর ধারণা, নির্বিকার স্বামীই খুনি। আসলেই?
লোভের ফাঁদে/কাজী শাহনূর হোসেন হ্যাজেন ক্যারী আর তার স্ত্রী স্যালীর নির্বিঘ্ন ট্রেনযাত্রা বিঘ্নিত হলো ডাকাতদের হামলায়। বেঘোরে প্রাণ হারাল হ্যাজেন ক্যারি। লুট হয়ে গেল ট্রেনের কার্গো-সোনা। ব্ল্যাক ডায়মণ্ড মাইনিং অ্যাণ্ড মিলিং কোম্পানী তাদের হারানো সম্পদ ফিরে পেতে পুরস্কার ঘোষণা করল। ফলে শহরে এসে ভিড় জমাল প্রতিটা শকুন। সবাই-এমনকি স্যালী ক্যারিও তার স্বামীর মৃত্যুর ফায়দা লুটতে উঠে পড়ে লাগল । লোভের ফাদে জড়িয়ে পড়ছে ওরা। সামনে বিপদ/গোলাম মাওলা নঈম কার্ল রিকটারের মত চালু পিস্তলবাজের গুলি মাথায় লাগার পরও বেঁচে যাওয়া লোকটা কে? কী নাম ওর? পরিচয় কী? কেনই বা একদল লোক খুন করার জন্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে ওকে? কে শত্রু? কেই বা বন্ধু? জানা নেই। কিছুই জানা নেই ওর। শুধু জানে পালাতে হবে, বাঁচতে হলে অনেক দূরে চলে যেতে হবে। অচেনা শত্রুর হাতে খুন হওয়ার আগেই নিজের পরিচয় জানতে হবে…স্মৃতি ফিরে পেতে হবে… কিন্তু যাওয়া হলো না ওর। একদল আউট-লর মাঝখানে অসহায় অ্যাঞ্জেলা জ্যাকসনকে কীভাবে ফেলে যায়? জেনে-শুনেই বিপদ মাথায় নিল । ক’জন আসবে শত্রুরা? আসুক না! একটা কোল্ট আছে ওর, আর আছে অসংখ্য বুলেট… ষড়যন্ত্রের জাল/সায়েম সোলায়মান বয়েডের দোষ দুটো-মেজাজটা চড়া এবং পিস্তলে দারুণ চালু হাত। ফলাফল: আট বছরের কারাদণ্ড। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে দেখল, বলতে গেলে কিছুই নেই ওর। হঠাৎ করেই ওকে পরপারে পাঠানোর জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারা যেন। শেরিফ কলিন্স নির্বিকার, বন্ধু স্টিভ ছাড়া পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই। ভেবেছিল নিরীহ গরু-ব্যবসায়ী হিসেবে বাকি জীবন কাটাবে, ভুলেও হাত দেবেন না পিস্তলে। হলো না!
প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনিÑ‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি। তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকে–মেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে সবাই।’ কে এই মেরি? কী তার কাহিনি? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন? এই উপন্যাসে আছে কেপকলোনির সংঘাতময় ইতিহাসের কথা। ইংরেজ, বোয়া আর আফ্রিকান আদিবাসীদের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মাঝে জন্ম-নেয়া নিখাদ ও পবিত্র এক প্রেমের বর্ণনা দিচ্ছে এই উপন্যাস। আত্মত্যাগ যদি হয় ভালোবাসার অন্যতম প্রতিশব্দ তা হলে স্যর হ্যাগার্ডের এ-উপন্যাস সেই শব্দের সার্থক প্রতিরূপ। অ্যাডভেঞ্চার আর অ্যাকশনে ভরপুর এই প্রেমকাহিনিটি সত্যিই সংগ্রহে রাখার মতো।
ক্যাসল হাউসের খুনি: দুর্ঘটনায় পড়েছে গাড়ি, সাহায্যের আশায় ক্যাসল হাউসে গিয়ে ঢুকল স্টার্কওয়েডার। চমকে উঠতে হলো ওকে। স্টাডিরুমে একটা লাশ, পেছনে রিভলভার হাতে দাঁড়িয়ে নিহতের স্ত্রী। খুনের দায় স্বীকার করল মেয়েটা। কিন্তু স্টার্কওয়েডার তা মানতে নারাজ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সে। কিন্তু… আরও কিছু চমক অপেক্ষা করছিল ও-বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য। দি আণ্ডারডগ: এবার বোধহয় হার স্বীকার করতেই হবে দুঁদে গোয়েন্দা এরকুল পয়রোকে। নিজের ম্যানসনে, নিজের ঘরে খুন হয়েছেন স্যর রুবেন অ্যাস্টওয়েল, অথচ খুনিকে ধরতে পারছেন না তিনি। পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তার দৃষ্টিতে সে-লোক নির্দোষ। শেষপর্যন্ত সবাইকে জড়ো করলেন তিনি টাওয়ার রুমে, নিষ্পত্তির জন্য। দ্য কম্প্যানিয়ন: ‘এবার ডক্টর লয়েড, বলল মিস হেলিয়ার, এমন কোনো গল্প বলুন আমাদেরকে, যা শুনলে গা ছমছম করবে। গল্পটা বললেন লয়েড, শুনে সমাধানও বাতলে দিলেন মিস মার্পল, আর হেলিয়ার বলতে বাধ্য হলো, আমি যদি গ্রামে থাকতাম তা হলে আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে যেত বোধহয়।
ফার্মিং করবে বলে ট্রান্সভালে এল জন নেইল । ওর জন্যই যেন অপেক্ষা করছিল সময়, দ্রুত ঘটনা ঘটতে লাগল এরপর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরমা-সুন্দরী বেসিকে বাঁচাল সে। পরে পরিচিত হলো বেসির বোন জেসের সঙ্গে। দু’বোন একই সঙ্গে ভালবেসে ফেলল জনকে। প্রতাপশালী ফার্মার ফ্র্যাঙ্ক মুলারের ভালমানুষির মুখোশ পুড়ে ছাই হলো ঈর্ষার আগুনে। এমনি সময়ে শুরু হলো ইংরেজ-বোয়া যুদ্ধ। এখন জন ছাড়া অন্য কেউ পারবে না জেসকে বাঁচাতে। কিন্তু “জোছনা-সুন্দরী হঠাৎ দেখা দিয়ে এলোমেলো করে দিল সব… ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছে মুলার, জনকে খুন করবেই এবার… ত্রিভুজ-প্রেমের এক অনবদ্য কাহিনি।