"গ্রামের সাধারণ ছেলে মুনির ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসেছিল একবুক স্বপ্ন নিয়ে। সৌভাগ্যক্রমে হলেও জায়গা পেয়ে যায়। আর এই হল জীবনটাই কিভাবে যেন সাদাসিধে, আবেগী তরুণটার সবকিছু বদলে দিলো। উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে পার্থকে হলে রুমমেট হিসেবে পেল সে, যে কি না স্বভাবে একদমই তার বিপরীত। সাহসী, জেদি ছেলেটার মনের ভেতর কী যেন একটা ক্ষোভ আছে। আছে অভিমান। এছাড়াও আছে, অন্ধকার এক দিক। যে অন্ধকার মনের গোপন কথাটা মুনির জানার চেষ্টা করেও তল পায় না। একদিন মুনির ঠিকই জানতে পারে সে সত্য। ভয়ানক সত্যটার মুখোমুখি হয়ে সে ভাবে, এভাবে সব না জানলেও হতো। সব সত্য না জানলেও বোধহয় ক্ষতি নেই। কিছু সত্য অন্ধকারেই থাকা উচিত। কিন্তু, ছাত্র বয়সের সে অন্ধকার অতীত যে এতবছর পরেও মুনিরকে তাড়া করবে, তা সে জানতো না। সব জেনেও মুনির নিশ্চুপ থাকে। সব প্রশ্নের উত্তর জেনেও হিসেব মেলে না, পুরনো রহস্য ফিরে আসে বর্তমানে। হয়তো সব কথা সবাইকে বলা যায় না। বলা হয় না..."
একজন মানুষকে কি দেখে বোঝা যায় যে সে আসলে কে? মানুষের ওপরটা দেখে কি তার ভেতরের রূপটা জানা যায়? মানবমনের ফাঁকফোকড়ে লুকিয়ে থাকে কতশত ব্যাখ্যাতীত অনুভূতি, ত্রুটিবিচ্যুতি আর জটিলতা। আচ্ছা ইতিহাসও কি মানুষের মতো নয়? নিজের ফাঁকফোকড়ে যে ইতিহাস কতশত ব্যাখ্যাতীত ঘটনা লুকিয়ে রেখেছে তা আমরা একটু নজর দিলেই হয়তো দেখতে পাই। আমরা কি আদৌ জানতে পারি যে আসলে কী ঘটেছিলো? বা আমাদের কি জানানো হয়? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণ এসে উঠলো এক পুরোনো বাড়িতে। রাত হলেই পাশের জনশূন্য ঘর থেকে ভেসে আসে রহস্যময় হাসির শব্দ। এই কাহিনির সাথে রাজা অশোকেরই বা কী সম্পর্ক? কিংবা আরেকজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কেন দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে যেতে? আমাদের দৃশ্যমান জগতই কি সব? নাকি অন্তরালে আছে আরো ভিন্ন কোনো ভুবন? ধীরেধীরে যখন উন্মোচিত হয় সব সত্য, তখন জাপ্টে ধরে আরো রহস্য। সবই কি আসলে ভ্রম? এই মানবজীবনের মতো? পাঠক তা আবিষ্কার করবে এই দুই মলাটের পাতায় পাতায়। অলৌকিক আর অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুবনে আপনাদের স্বাগতম।
একের পর এক রোগী অপারেশন থিয়েটারে কোমায় আক্রান্ত হচ্ছে। সুজান হুইলার হাসপাতালে তার প্রথম কর্মদিবসেই জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে। কিন্তু অদৃশ্য একদল লোক তার জীবননাশের জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে চায় তারা। অদম্য সুজান যখন সেই রহস্য উদঘাটনে সফল হলো তখন দেখা গেলো তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হতে বসেছে। কিন্তু অন্য আরেকজন শেষ মুহূর্তে সমস্ত হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয়। মেডিকেল থৃলারের জনক রবিন কুকের এই উপন্যাসটি বর্তমানে একটি ক্লাসিক হিসেবে স্বীকৃত।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধুদের, দুই বন্ধু নৃতাত্ত্বিক মারুফ এবং পত্রিকার ফিচার এডিটর রুমি কথা প্রসঙ্গে জানতে পারে তাদেরই আরেক বন্ধু পেশা হিসেবে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। কৌতূহলী হয়ে সেটার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওরা জড়িয়ে পড়ে দারুণ রহস্যময় এক অনুসন্ধানে, বেরিয়ে আসে ভয়ংকর আর শিউরে উঠবার মত সব সত্য, সাধারণ মানুষকে কখনোই জানতে দেয়া হয় না এমন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা। যার পদে পদে ওদের জন্য ওৎ পেতে আছে মৃত্যুগামী বিপদ, অভাবনীয় বিস্ময়, জড়িত আছে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের জীবন, এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুধু একটি উপন্যাসই নয়, পাঠকদের জন্য ইতিহাস, স্থাপত্য, গণিত, ধর্মতত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব যাত্রা।
ব্যালকনি থেকে আছড়ে পড়ে মারা গেলেন রিয়েল স্টেট মােঘল ম্যাথু স্টার। খুন নাকি আত্মহত্যা—প্রশ্নটার জবাব পাওয়ার আগেই ঘটতে শুরু করল একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। তদন্তের দায়িত্ব পড়ল ডেটেক্টিভ নিকি হিটের ওপর। পেছনে ছায়ার মত লেগে রইল বিখ্যাত সাংবাদিক জেমসন রুক। পুরােদমে তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। পরিপূর্ণ পুলিশওয়ার্ক বলতে যা বােঝায়, তাই করে চলল ডিটেক্টিভ হিট। ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকল সত্য আর মিথ্যের ফারাক। পার্সন অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলাে মিথ্যে বলছে কেন? ম্যাথু স্টারের প্রকৃত পরিচয় কি? ব্যবসায়িক কারণে খুন হয়ে গেলেন, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে? পার্সন অব ইন্টারেস্টদের সাথে ভিক্টিমের সম্পর্ক কি ছিল? এক্ষেত্রেও প্রশ্নগুলাের উত্তর পাওয়ার আগেই ডিটেক্টিভ হিট এবং জার্নালিস্ট রুকের সম্পর্কে এল নাটকীয় পরিবর্তন। সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রেইড চলছে, চলছে একের পর এক ইন্টারভিউ, হাতকড়া উঠছে একের পর এক অপরাধীর হাতে, বাতাসে শিস কাটছে বুলেট, কিন্তু প্রমাণ জুটছে না। নাগালের বাইরেই রয়ে যাচ্ছে খুনি। নিকি হিট কি পারবে সত্যিকারের খুনিকে ধরতে?
এক রাতে আমেরিকার সুপৃমকোর্টের দু’জন বিচারক খুন হলে তদন্ত কাজ শুরু হয়। আইনের এক ছাত্রি নিতান্তই কৌতুহল আর একাডেমিক কারণে জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনায়। তার পিছু নেয় ভয়ঙ্কর এক খুনি। নিজের জীবন বিপন্ন দেখে আত্মগোপনে চলে যায় সে। আরো অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। কিন্তু শেষে পাঠক যা জানতে পারবে তা একেবারেই ভিন্ন একটি ঘটনা।
ব্যাপারটা কাকতাল বা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। এই ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো আমেরিকা থেকে আফ্রিকা হয়ে সুদূর বাংলাদেশ পর্যন্ত। আর এই জালে ফেঁসে গেল আটপৌড়ে এক বাঙালি যুবক। বাধ্য হয়ে পা বাড়াতে হলো অসম্ভবের পথে। শ্বাপদসংকুল দুর্গম জঙ্গলে প্রাণটা হাতে নিয়ে শুরু হল পথচলা। অচেনা দেশ, অজানা জনপদে চারপাশে কেউ নেই যার কাছ থেকে মিলতে পারে বিন্দুমাত্র সাহায্য, সহানুভূতি। শত্রুপুরীতে একেবারেই একা। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বলির পাঠা হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। আন্তর্জাতিক এই চক্রের হাতের পুতুল হয়েই কি তাকে অংশ নিতে হবে ইতিহাসের জঘন্যতম প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে? প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর তপ্ত নিশ্বাস অনুভব করছে ঘাড়ের উপর। সীমাহীন লালসা, ক্ষমতা দখলের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর বিশ্বাসঘাতকতার কুৎসিত রূপটাও প্রত্যক্ষ করতে হল খুব কাছে থেকে। অক্টোপাসের মতো চারদিক থেকে জড়িয়ে থাকা চক্রান্তের হাত থেকে মুক্তির কোনো পথই কি খোলা নেই!
ক্রাইম রিপাের্টার জন ম্যাকেভয়ের কাজ আবর্তিত হয় মৃত্যুকে ঘিরে। কিন্তু তার পুলিশ অফিসার যমজ ভাই যখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন অবসাদ থেকে মুক্তি পাবার জন্যই ভাইয়ের মৃত্যু আর পুলিশ অফিসারদের আত্মহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে সে। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর একটি সত্য আবিস্কৃত হয়-তার ভাইয়ের মৃত্যুর ধরণের সাথে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনার মিল রয়েছে-সবগুলাে কেসেই সুইসাইড নােট হিসেবে এডগার অ্যালান পােয়ের কবিতার পংক্তি লেখা! তাহলে কি কোন এক সিরিয়াল কিলার বেছে বেছে পুলিশ অফিসারদের খুন করে যাচ্ছে? খুনির শিকারে পরিণত না হলে এ রকম একটি রহস্যের সমাধান বদলে দিতে পারে তার সাংবাদিক জীবনকে। কিন্তু কাজটা মােটেও সহজ নয়। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারের গল্প। ‘কনেলি তার গ্লারে আসল সারপ্রাইজটা সমাপ্তির আগপর্যন্ত জামার আস্তিনের নীচে লুকিয়ে রাখেন। ‘আগ্রহােদ্দীপক একটি প্রােটাগনিস্ট...কনেলি শুধুমাত্র পােয়েট-এর গল্পটা বলেননি, তিনি লিখেছেনও বেশ কাব্যিকভাবে।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমেরিকার মিশিগানে জন্ম হলেও ড্যানিয়েল সিলভা বেড়ে উঠেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর মাস্টার্স সম্পন্ন করলেও ঢুকে পড়েন সাংবাদিকতায়, সেই সুবাদে দীর্ঘ দিন কেটেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। বেশ কয়েক বছর সিএনএন-এ কাজ করেছেন তিনি, সেই সময়ই তার প্রথম উপন্যাস দ্য আনলাইকলি স্পাই বের হলে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় ফলে সিএনএন ছেড়ে মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে। কিন্তু তার সৃষ্ট গ্যাব্রিয়েল আলোনকে নিয়ে জীবনের মোড় ঘুরে যায়। একে একে নয়টি বই লিখতে হয় গ্যাব্রিয়েল আলোনকে নিয়ে । দ্য কনফেসর তার অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস। সাম্প্রতিক কালের সবচাইতে নিখুঁত এবং দক্ষ আমেরিকান স্পাই নভেলিস্ট ড্যানিয়েল সিলভাকে জন লেকার এবং গ্রাহাম গ্রিনের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মোট ২৫ টি ভাষায় সিলভার উপন্যাস অনুবাদিত হয়েছে আর সব কটিই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। বর্তমান তিনি স্ত্রী জেমি গ্যাঞ্জেলের সাথে ওয়াশিংটনে বাস করেছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন পরবর্তী গ্যাব্রিয়েল আলোন সিরিজের । গ্যাব্রিয়েল আলোন দ্বৈতজীবন যাপন করে। তার রয়েছে বিতর্কিত আর যন্ত্রণাদায়ক এক অতীত। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হত্যারহস্য উদঘাটনে নামতেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। ভ্যাটিকানের বহু পুরনো আর গোপন এক সিক্রেট ফাঁস হয়ে যায়; শুরু হয় নতুন এক ষড়যন্ত্রের। মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যান স্বয়ং মহামান্য পোপ। এক ভয়ঙ্কর খুনি পিছু নেয় তার। তারপর? আমেরিকার জনপ্রিয় স্পাই নভেলিস্ট ড্যানিয়েল সিলভার টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠককে ভিন্নধর্মী স্বাদ দেবে।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা বর্তমানে সময়ের আলোচিত ও বহুল বিক্রিত উপন্যাস দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু’র লেখক স্টিগ লারসন উত্তর সুইডেনের ফাস্টরবোথেন এলাকায় ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াকালীন ইভা গ্যাব্রিয়েলসনের সাথে তার পরিচয় ঘটে, সেই সম্পর্ক টিকে ছিলো ২০০৪ সালে লারসনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মিলিটারি সার্ভিস শেষ করে যাযা্বরের মতো বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরপর কর্মজীবনে ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক হিসেবে। এজন্যে কর্পোরেট জগতের অনেকের বিরাগভাজনও ছিলেন। বেশ কয়েক বার তার প্রাণনাশর হুমকি দেয়া হয়। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হলেও তার এই রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। মৃত্যুর পরই জানা যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে ৩ টি থৃলার উপন্যাস লিখে গেছেন। মিলেনিয়াম সিরিজ হিসেবে পরিচিতি িএই তিনিটি উপন্যাসের প্রথমটি দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু-প্রকাশ হয় লেখকের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে। সারা ইউরোপে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে পরের বছর এ্রর ইংরেজি অনুবাদ যখন প্রকাশিত হয় তখন সেটা পরিণত হয় ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশনে । এখন পর্যন্ত ৪০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হওয়া এই উপন্যাসটি এ সময়ে বিশ্ব সাহিত্যের আলোচিত একটি নাম। মোট ৪২ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে লারসনের এই অসাধারণ থৃলারটি। সালান্ডার ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছে-জড়িয়ে পড়েছে হত্যার অভিযোগে। ঠিক এমন সময় এগিয়ে আসে তার পুরনো বন্ধু ব্লমকোভিস্ট। ঘটনার গভীরে যেতেই বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব কাহিনী আর বিপজ্জনক সব চরিত্র। সালান্ডারের জীবন হুমকির মুখে। শেষ পর্যন্ত যা ঘটে তা একেবারেই লোমহর্ষক। স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজের এই দ্বিতীয় উপন্যাসটি আগের মতোই টান টান উত্তেজনার। সাম্প্রতিক সময়ের সেনসেশন এই উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠ্য।
অজ্ঞাত এক সিরিয়াল কিলার একের পর এক তরুণীকে বীভৎসভাবে হত্যা ক’রে চলেছে। দিশেহারা এফবিআই সেই খুনির পরিচয় জানতে তাদের এক এজেন্টকে পাঠায় নয়টি নরহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মানুষখেকো ডক্টর হ্যানিবাল লেকটারের কাছে। দূর্বোধ্য আর ধূর্ত লেকটার তার অসাধারণ মেধার সাহায্যে সেই খুনিকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করবে নাকি চরিতার্থ করবে নিজের উদ্দেশ্য-সেই প্রশ্নের উত্তর পাঠক খুঁজে পাবেন কিছুদিন আগে নির্বাচিত হওয়া শতাব্দীর সেরা এই থৃলারে।
ডেভ এলিয়ট এক সকালে নিজের অফিসে ঢুকেই আবিষ্কার করে তাকে সবাই খুন করতে চাচ্ছে। নিজের বস, সহকর্মী এমনকি তার স্ত্রীও। কিন্তু কেন? জোসেফ গারবার-এর অনবদ্য আর টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠক দারুণ উপভোগ করবেন।
অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
মাইনুল, সাদাসিধে একজন মানুষ। এক পা খোঁড়া, স্ত্রী আর এক মেয়ে নিয়ে নিঝঞ্জাট পরিবার। মাঝরাতে জড়িয়ে পড়ল এক ঝামেলায়। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান কবির খানকে পাওয়া গেল মৃত অবস্থায়। খুনিকে ধরার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলাে স্থানীয় থানা। উপর মহল থেকে চাপ আসছে ক্রমাগত। থানার দুই অফিসার আরিফুল হক এবং হাফিজ সরকার উঠে পড়ে লাগল খুনিকে খুঁজে বের করতে। এক খুনের সমাধান না হতেই দ্বিতীয় খুন। তারপর... সাম্ভালা-ট্রিলজিখ্যাত শরীফুল হাসানের ভিন্নধর্মি এই থৃলারটি সকলের ভালাে লাগবে।
থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন। বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১ বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ৩:০১। শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে। আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা। কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে। ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম। আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। আর্চি। কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে। এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে। “ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে। “খবরদার, আর্চি!” অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার । নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয় অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।