বাংলাদেশ থেকে হাতে গোনা কয়েকজন এ পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে পা রেখেছেন। তাঁদেরই একজন মহুয়া রউফের অ্যান্টার্কটিকা অভিযাত্রার গল্প নিয়ে এ বই দখিন দুয়ার খোলা। নারী হিসেবে তাঁর এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। নানা দেশ ঘুরে, অনেক ঝামেলা অতিক্রম করে পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের মহাদেশে পা রাখেন তিনি। অর্ধশতাব্দী আগেও যেখানে নারীর প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। পুরুষেরা একে নারীদেহের সঙ্গে তুলনা করতেন, যা জয় করার অধিকার শুধু তাঁদের! বিগত শতকে ঘটে যাওয়া নানান দুঃসাহসিক ও ঐতিহাসিক অভিযানের বর্ণনা, ভূরাজনীতি ও আধিপত্য বিস্তারের লড়াই, উষ্ণায়নের প্রভাব, প্রাণী ও প্রাণবৈচিত্র্য আর ভৌগোলিক বৃত্তান্তের বিবরণ রয়েছে বইটিতে। তা ছাড়া নৌকা থেকে মাত্র এক হাত ব্যবধানে তিমি দেখার মতো দুঃসাহসিক আর রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতার কথা পাঠক জানতে পারবেন বইটি পাঠে।
"নিরীহ একটা পাখিকে কে যে বিষ খাওয়াল! কেনই-বা খাওয়াল? গ্রিজলি হিলে কি সত্যি সত্যি দানব ভালুক বিচরণ করে? এখানে-ওখানে ছড়িয়ে আছে ওগুলো কার পায়ের ছাপ? মিউজিয়াম থেকে কে সরাল পাবলো পিকাসোর মহামূল্যবান পেইন্টিং? জায়ান্টস রিজের বরফ-দানব কি সত্যিই তার কয়েক হাজার বছরের ঘুম থেকে জেগে উঠেছে? কেনই-বা এমন তাণ্ডব বাধিয়েছে ওটা? মাথা ঘোরানো প্রশ্ন, দমবন্ধ উত্তেজনা আর দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চারে ভরা এমনই চারটি রহস্যের সমাধানে নেমেছে অয়ন-জিমি। তাদের বুদ্ধিমত্তা, সাহস ও কর্মনৈপুণ্যের পরিচয় গল্পগুলো। "
"রালফ, জ্যাক ও পিটারকিন আবিষ্কার করে এক লোকের কঙ্কাল। পাশে পড়ে আছে একটি কুড়াল। এই অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় তারা। এই প্রবাল দ্বীপে তাদেরও কি লোকটার মতো অবস্থা হবে? রালফের বংশের প্রায় সবাই নাবিক। রালফও জাহাজে যেতে চায়। শেষ পর্যন্ত রাজি হয় বাবা-মা। জাহাজে পরিচয় হয় জ্যাক ও পিটারকিনের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। প্রবাল দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাদের জাহাজ প্রচণ্ড ঝড়ের সম্মুখীন হয়। তছনছ হয়ে যায় নিমেষেই। ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য লোকজনের কোনো চিহ্ন পায় না রালফরা। তিনজন আশ্রয় নেয় প্রবাল দ্বীপে। শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। তারা কি প্রবাল দ্বীপে টিকে থাকতে পারবে? নাকি মারা পড়বে না খেয়ে বা মানুষখেকোদের কবলে পড়ে? জানতে হলে পড়তে হবে বিখ্যাত এই উপন্যাস। "
প্রফেসর তিবুতি লামা। অংশ না নেওয়ার পরও কোনো একটি আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি খেলায় আন-অফিশিয়ালি চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল তাকে। সত্যি কি ঘটেছিল ঘটনাটি? নইলে অদ্ভুতদর্শন এই মানুষটিকে ‘থিঙ্কিং মেশিন’ কেন বলা হবে? ঘটনাচক্রে থিঙ্কিং মেশিন প্রফেসর তিবুতি লামাকে এমন এক জেলখানায় আটক করা হয়েছে, যেখানে আসামিরা সবাই মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত। সেখান থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে পালিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি। এখন? এতগুলো সতর্ক চোখ এড়িয়ে ‘কুখ্যাত’ ১৩ নম্বর সেল থেকে কীভাবে পালাবেন প্রফেসর? ...দেশের খবরের কাগজগুলো মেতে উঠল এক ভুতুড়ে গাড়ি নিয়ে। গাড়িটাকে ‘ফাঁদ’-এর এ প্রান্ত থেকে শুধু ঢুকতেইদেখা যায়, ও প্রান্ত থেকে আর বেরোতে দেখা যায় না। সমস্যা কোথায়—রাস্তায়, না গাড়িতে? রহস্যভেদের দায়িত্ব নিলেন প্রফেসর।পাঠক, এক মলাটে দুটি আশ্চর্য কাহিনি। যাত্রা শুরু করুন প্রফেসর তিবুতিলামার সঙ্গে।
আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অলক্ষ্যে যুক্ত হয়ে পড়ল কয়েকজন মানুষ। লোকলজ্জায় গুটিয়ে গেছে হামলাকারীদের পরিবার। যার লাশ আনতে যাবে তারা সে আত্মীয়, নাকি জঙ্গি? শাহরিয়ারকে দাফন করার ইচ্ছায় সাফা ছুটে মরছে। ভাইবোনের আবেগের বন্ধন তাদের। শাহরিয়ারের সঙ্গে আরেক সুতোয় বাঁধা দিলরুবা, দিলরুবার সঙ্গে শফি। বিপরীত এ বন্ধন আবেগের, উপলব্ধির, দায়ের। শফি গৃহশিক্ষক। নিত্য সে তরুণদের উন্মোচিত মন দেখতে পায়। শফি কল্পনাজীবীও। দেখতে পায়, ভূগোল আর ইতিহাস পেরিয়ে কার কার যে আশনাই জীবন্ত হয়ে আছে তার চারপাশের মানুষের মনের গভীরে। দুনিয়াজুড়ে ছড়ানো সেই মাকড়সার জালে একেকটা মানুষ আটকে আছে পোকার মতো। কার দায়ই-বা নিতে পারে সে, নিছক তার কল্পিত চরিত্র আবু ইসহাককে মুক্তির অস্পষ্ট এক পথ দেখিয়ে দেওয়া ছাড়া?
রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত লেখা ছিল এলিয়েনদের নিয়ে। কয়েকজন বিজ্ঞানী ১৯৫০ সালে দুপুরের খাবার খেতে বসে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তারা কোথায়? স্টিফেন হকিং স্পষ্ট মানা করে দিয়েছেন এলিয়েনদের সঙ্গে যেকোনো যোগাযোগের প্রচেষ্টাকে। কেন? আমাদের ছায়াপথে তারা আদৌ আছে কি? ড্রেক ইকুয়েশন কী বলে? আমরা কি একা? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য।