এক ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক যখন মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিতভাবে অভিনব একটি প্রস্তাব আসে তার কাছে-ত্রিশ বছর আগের এক তরুণীর নিখোঁজ কেসটি তদন্ত করতে হবে। এক পর্যায়ে সমাজচ্যুত অদ্ভুত এক মেয়ে লিসবেথ সালান্ডারের সাথে পরিচয় ঘটে সাংবাদিকের। শুরু হয় দু’জনের তিন তিনটি ভিন্ন মিশন। টান টান উত্তেজনার অসাধারণ এই থৃলারটি বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে বেশি বিক্রি হওয়া উপন্যাস।
পলাতক এক নাৎসি যুদ্ধাপরাধী ধরা পড়লো সিআইএ’র অপারেটিভ এবং ভ্যাটিকানের সিক্রেট সার্ভিস সদস্য ফাদার অ্যান্থনি ফাউলারের হাতে। সাবেক নাৎসির কাছে তিনি একটি জিনিস চান- বহুদিন আগে এক ইহুদি পরিবারের কাছ থেকে চুরি হওয়া সোনার পাতে মোড়ানো একটি মোমবাতি। কিন্তু ফাদারের আসল উদ্দেশ্য এই মোমবাতিটা নয়- একটি সিক্রেট মানচিত্র। সেই প্রাচীন মানচিত্রের একটি অংশ আবিস্কারের পর পরই ধনী এক লোকের সহায়তায় ফাউলার নেমে পড়ে এ বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী আর প্রাচীন একটি সম্পদের খোঁজে। সুদূর জর্ডানে গিয়ে অনুসন্ধান করতেই দলের মধ্যে বিশ্বাসঘতকতার শিকার হয় যাজক। ঘটনা মোড় নিতে থাকে
ভারতের মাটিতে ধরা পড়লাে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সন্দেহের তীর এসে পড়লাে বাংলাদেশের দিকে। তােলপাড় পড়ে গেলাে দেশের গােয়েন্দা সংস্থাগুলােতে। ডিজিএফআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল শওকত হামিদ তার অধিনস্তদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন। অসংখ্য প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলেন ব্রিগেডিয়ার আমিন চৌধুরী। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে লাগলাে, অজানা সব তথ্য। এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করলাে। কি ঘটতে যাচ্ছে দুই দেশের মানুষের ভাগ্যে? ‘ব্ল্যাকগেট’ এক মিলিটারি অ্যাসেটের কর্তব্য, আবেগ এবং ভালােবাসার গল্প। ঘটনার বিস্তৃতি কসােভাে, ভারত, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরতে হলো তুষারকে, অচেনা একটা ফোন কল পেয়ে, দেখা হলো পুরানো বন্ধুদের সাথে, জানা গেল অচেনা নাম্বার থেকে ফোন কল তারাও পেয়েছে। তারপর এক এক করে খুন হতে লাগল বন্ধুরা। কোথাও কোন ক্লু নেই, নেই কোন মোটিভ।দূর্ঘটনায় মারা গেল দেশ সেরা এক লেখক। দিশেহারা হয়ে পড়ল হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। আবু জামশেদ তার নতুন যোগ দেয়া সহকারিদের নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। হার না মানা আবু জামশেদ দিশেহারা, এই কেসের উপর নির্ভর করছে পুরো ডিপার্টমেন্টের ভবিষ্যত, তার দীর্ঘদিনের সুনাম।
শুভপুর গ্রামে অদ্ভুতভাবে খুন হল একজন । গ্রামের চেয়ারম্যানের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল অস্বাভাবিকভাবে। তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে আসলাে একজন তরুন ডাক্তার। প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে শুরু হল চিকিৎসা। এর মাঝে গ্রাম থেকে কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন এক লােক। তার অন্তর্ধানের মাঝেই খুন হল আরও একজন। খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের শরীরে মিলল বিশেষ এক চিহ্ন, আর তা তদন্ত করতেই শুভপুর এলাে ডিবি’র অফিসার। নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ব্যাক্তিটি গ্রামে ফিরে এলেন নতুন এক কাজের দায়িত্ব নিয়ে, যা শেষ করতে পারলেই তিনি লাভ করবেন অসীম ক্ষমতা। সময়ের সাথে উন্মােচিত হতে লাগলাে, চেয়ারম্যানের মেয়ের অসুস্থ হওয়া এবং খুনগুলাের সাথে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ের সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের সূচনা আরও গভীরে, এক অন্ধকারময় জগতে।
রহস্যময় এক ডক্টর, নিজের চারপাশে রহস্য তৈরি করে রাখেন সব সময়। জাতীয় দৈনিকে অদ্ভুত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেন তিনি, প্রার্থি হিসেবে হাজির হলো মাত্র দু-জন। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির সেই দুই তরুণ-তরুণীকে হতবুদ্ধিকর একটি রহস্য সমাধান করার ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেয়া হলো। তদন্তে নামতেই বোঝা তারা বুঝে গেলো ঘটনাটি যেমন প্রহেলিকাময় তেমনি অব্যাখ্যাত। বিজ্ঞান আর অতিপ্রাকৃতের দোলাচলে দুলতে লাগলো তাদের সমস্ত হিসেব-নিকেশ। সব কিছুর কি ব্যাখ্যা আছে? নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের মৌলিক-থৃলার উপন্যাস পেন্ডুলাম পাঠককেও দোলাচলে দুলতে দুলতে নিয়ে যাবে সেই রহস্যময়তার গভীরে।
গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ছুটে চলছে মেয়েটা। চারদিক অন্ধকার। গভীর রাত, পুরাে জঙ্গল ঘন কুয়াশায় আবৃত। এক হাত দূরের কোন কিছুও দেখা যাচ্ছে না ঠিকমতাে। খুব শীত লাগছে তার, পরনে শুধু নীল রঙের পাতলা সুতি কাপড়ের ফ্রক। খালি পা। জঙ্গলে গাছের সারির মাঝ দিয়ে জোরে ছুটে চলছে সে। মেয়েটার হাতে একটা ছােট পুতুল। খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছে সেটা, যেন খুব মূল্যবান কোন বস্তু। দৌড়াতে গিয়ে পায়ের কয়েক জায়গায় ছিলে গেছে, রক্ত ঝরছে সেখান থেকে। কিন্তু মেয়েটার সেদিকে খেয়াল নেই, সে দৌড়াচ্ছে প্রাণপণে.....
অত্যন্ত সাধারণ জীপনযাপনে অভ্যস্ত ইফতির জীবনটা আকস্মিক বদলে যায় একটি ঘটনায়। সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাবার পথে সাক্ষি হয়ে যায় ভয়ঙ্কর এক অপরাধের। কী করবে সেটা ঠিক করার আগেই জড়িয়ে পড়ে সে। একদিকে নষ্ট রাজনীতির ক্ষমতায় মদদপুষ্ট ক্ষমতাবান প্রতিপক্ষ, অন্যদিকে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার দুশ্চিন্তা-এমন অবস্থায় সবকিছু নির্ভর করছে একজন সাধারণ সাইকেল আরােহীর ব্রেক, পেডাল আর গতির ওপরে। আরােহীর আসনে আপনাকে স্বাগতম। দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে দুই যুবক। ঘটনার ধারবাহিকতায় তাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে আরাে অনেকেই। একটি অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় আরাে অপরাধ। কিছু মানুষের ভুল-ভ্রান্তি, লােভ-লালসা আর অপরাধের বিস্তৃত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় এক জটিল সমীকরণের-যে-সমীকরণের সমাধান নিহিত আছে অন্ধ প্রহর-এ।
এই কাহিনীর শুরু কয়েক হাজার বছর আগে। প্রখ্যাত শিল্পপতি আজমত উল্ল্যাহ’র একমাত্র ছেলে ওয়াসিফ উল্লাহকে নৃশংসভাবে খুন করা হলাে। লাশ ঘিরে বিচিত্র সব আঁকিবুকি, একপাশে রাখা সুদৃশ্য চেয়ার,সামনে গামলা ভর্তি মানবরক্ত! কেসটার দায়িত্ব পড়ে সিআইডি’র ডিপার্টমেন্ট অব এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-এর উপরে। আড়ালে আবডালে সবাই আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলে নাক সিঁটকায়। এই ডিপার্টমেন্টেরই একরােখা গােয়েন্দা রহমান জুলফিকার খুনির খোঁজে গলিঘুপচি খোঁজে বেড়ায়, তার সঙ্গি ক্ষ্যাপাটে কনসালটেন্ট শাহজাহান ভূঁইয়া। এ আখ্যানের আরেক চরিত্র বিলুপ্তপ্রায় ধর্মীয় সংঘটন অ্যানশিয়েন্ট অর্ডার অব দ্য সেক্রেড মাউন্টেনের প্রধান ধর্মগুরু হাইঞ্জ বেকারের উপর কালাে আলখাল্লাধারীরা হামলা চালায়, রক্তবন্যা বয় আশুগঞ্জের এক হােটেলে। হােটেলের দেয়ালে আঁকা দুর্বোধ্য সিম্বল আর তারচেয়েও দুর্বোধ্য কিছু কথা। সুপ্রাচীন এক বইয়ের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরছে এক গােলাপি টাইধারি। পরনে স্যুটকোট, কাঁধে গলফ ব্যাগ। যেখানেই যাচ্ছে বইয়ে দিচ্ছে রক্তের নহর। এদিকে একের পর এক খুন করে যাচ্ছে ম্যাড উগ নামের এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার। হাজার বছর আগে যে কাহিনীর গুরু তার সফল সমাপ্তি কী করা ঘটবে? নাকি আঁধারে ছেয়ে যাবে ধরণী?
এ এক অদ্ভুত দ্বীপ। এখানে যারা আসে তারা জানে না কিভাবে চলে এলাে, কেন চলে এলাে। এই দ্বীপের সব বাসিন্দাই বন্দি এক অদ্ভুত দানবের কাছে! এক আবর্তের মধ্যে পড়ে মানুষগুলাে ঘুরপাক খায়, নিঃশেষিত হয়। কিন্তু এখান থেকে বের হবার পথ কারােরই জানা নেই। তারপরেও কেউ কেউ চেষ্টা করে, মুক্তি পেতে চায় এই বন্দিদশা থেকে। কিন্তু মুক্তি কি এতই সহজ? তার দেখা কি মেলে?
সাড়ে চার বছর ধরে কোমায় পড়ে থাকা এজেন্ট বাবুকে জাগানাের মানে একটাই-আকাশ ভেঙে পড়েছে দেশের মাথায়। ফেল মেরে গেছে বাকি সব এজেন্ট। আসলেই তাই। বাংলাদেশের বুকে বসে একটা ওয়েবসাইট খুলে গােপন নথি ফাস করতে শুরু করেছে সিআইএ’র হুইসলব্লোয়ার এজেন্ট কার্ল সেভার্স, আর তাকে থামাতে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গােপন সংস্থা দ্য অক্টোপাস। নানান দেশের সেরা এজেন্টদের একের পর এক পাঠিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে, তাদেরকে ঠেকানাের দায়িত্ব বাজিকর বাবুর। টেক্কা দিতে হবে ভারত আর পাকিস্তানের বাজিকরদের সাথেও। এর ওপরে আছে কার্ল আর সাব্বিরকে খুঁজে বের করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবার ঝক্কি, প্রধানমন্ত্রির ওপরে দিনে দুপুরে করা হামলা ঠেকানাে। রহস্যময় এক পঙ্গু সুপার জিনিয়াস মাস্টার সিফাতের বুদ্ধিতে কাজ করতে হবে ওকে, যার স্ট্র্যাটেজিতে করা ইউক্রেন মিশন ব্যর্থ হয়েছিলাে ভয়ানকভাবে। আসলে কি চায় মাস্টার সিফাত? একের পর এক বিপদে ঠেলছে কেন সে বাবুকে? এমন কোনাে গােপন প্ল্যান কি তার আছে যেটার কথা শুধ সে-ই জানে? এদিকে একা গােটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্রুসেডে নেমেছে সিআইএ'র সেরা এজেন্ট ট্রাভিস আরভাইন। কেন? এমন কি হয়েছে যে, তার মত দেশপ্রেমিক পাল্টে গেছে। সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহিতে? আর সত্যিই কি ইউক্রেন মিশনের সবাই মরে গেছে? তাদের কেউ ফিরে আসবে না। অতীতের সব হিসেব চুকিয়ে নিতে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা কি? নাবিল মুহতাসিমের জনপ্রিয় ‘বাজিকর ট্রিলজি’র দ্বিতীয় আখ্যান বাজি পাঠককে রুদ্ধশ্বাস একটি গল্প উপহার দেবে।
‘সাম্ভালা’ একটি রহস্য-যে রহস্যের খোঁজে হন্যে হয়ে উঠেছে কিছু মানুষ। সত্যি কি এর অস্তিত্ব আছে? কেউ কি এর খোঁজ পেয়েছে শেষপর্যন্ত? ছােট একটি গ্রামে কাহিনীর সূত্রপাত। ইতিহাস এবং বর্তমান হাত ধরাধরি করে এগিয়ে গেছে সহস্রাব্দ প্রাচীন এক রহস্যময় পরিব্রাজকের সঙ্গি হয়ে। ইউরােপ, মিশর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ হয়ে সুদূর তিব্বতে বিস্তৃত এর প্লট। অবশেষে রহস্যময় অভিযাত্রীর সাথে যােগ হয় বর্তমানকালের এক যুবকের ছুটে চলা, যার পেছনে ধাওয়া করছে তার বন্ধুর হত্যাকারী শয়তান-উপাসকের দল। প্রাচীন সেই পথিক কি দেখা পেয়েছে ‘সাম্ভালা’র?
প্রতিদিন কত জনের লাশই তাে পাওয়া যায় ঢাকা শহরে, তাদের প্রত্যেকেই দুর্ঘটনার শিকার-ইচ্ছেকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত। ইন্সপেক্টর রাহাত আজিমের কাজই হলাে এ ধরণের দুর্ঘটনাগুলাের সুরাহা করা। অপরাধিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু এবারের লাশটা একটু ভিন্ন, কপালে তিনটা পাখির ছবি আঁকা। তদন্তে নেমে গােলকধাঁধায় ঘুরতে লাগলাে সে, মিলছে না কোনাে সূত্র। এদিকে নিয়মিত বিরতিতে সেই অদ্ভুত চিহ্নসম্বলিত লাশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে কি সবার মাঝে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর কোনাে সিরিয়াল কিলার? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে যেতে হবে সুদূর অতীতে। পাঠক, কিছু ভয়ঙ্কর সত্য জানতে আপনি তৈরি তাে?
সিলিঙের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল একটি লাশ। সবাই আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও মানতে রাজি নয় তরুণ সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ। তদন্তে বেরিয়ে এল বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। আট বছর আগের এক খুনের সাথে যােগসূত্র খুঁজে পেল সে, কিন্তু আড়াল থেকে কেউ একজন নাটাইয়ের সুতাে টেনে ধরেছে। অবসরপ্রাপ্ত হােমিসাইড ডিটেক্টিভ ফারুক আবদুল্লাহর দিন কেটে যাচ্ছিল কোনােমতে কিন্তু যেদিন সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ তার দরজায় কড়া নাড়ল সেদিন থেকে অপরাধবােধ কুঁড়েকুড়ে খেতে শুরু করলাে তাকে। বৃদ্ধ বয়সে আবার নতুন করে নামল আট বছর আগের একটি অমীমাংসিত কেস সমাধানে। কিন্তু সবকিছু যেন একটা লুপের ভেতরে পড়ে গেছে। কোনাে উত্তর মিলছে না। আবির আহমেদ, রিয়ান খান, লাবনী শারমিন, ফারজানা আলম-সবাইকে একই চক্রে নিয়ে এসেছে আট বছর আগের সেই খুনটি, যেখানে এদের যেকোন একজন ছাড়া চক্রটি অসম্পূর্ণ। সবার কাছে এ যেন এক অস্পৃশ্যতা...যা শুধু অনুভব করা যায় কিন্তু ধরা যায়। কিভাবে শেষ হবে এই চক্র? তরুণ বয়সে যা পারেননি বৃদ্ধ বয়সে কি তা পারবেন প্রাক্তন হােমিসাইড ডিটেক্টিভ ফারুক আবদুল্লাহ?
সার্কাস-রহস্য গ্রীন হিলসে সার্কাস পার্টি এসেছে। মহা উৎসাহে সার্কাস দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু পারফর্মারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রপগুলো নেই কেন? ব্যাপারটা রহস্যময় ঠেকল ওদের কাছে। ফলে, তদন্তে জড়িয়ে গেল। ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য নিউ ইংল্যান্ডের এক জেলে পল্লীতে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল, ফ্লাইং ক্লাউড নামে এক জাহাজ বহু বছর আগে ডুবে গিয়েছিল। কেউ জানে না কী ঘটেছিল ডোবার আগে। লোকে বলে, অন্ধকার, ঝড়ো রাতে নাকি উদয় হয় ওটা। তিন গোয়েন্দা কি পারবে ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য উদঘাটন করতে? আশ্চর্জন্তু অন্ধকার চিলেকোঠায় প্রকাণ্ড এক ডিম। ক্লাস টিচার মিসেস এগসকে ওটায় তা দিতে দেখল তিন গোয়েন্দা। ডিম ফুটে কী বেরোবে? মতলবটা কী মিসেস এগসের? তিনি কি মানবজাতির জন্য মস্ত বড় কোন বিপদ ডেকে আনছেন? …নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল ছেলেরা।
লটারি-রহস্য তিন গোয়েন্দার, বন্ধু ম্যাক্স ও কোনর। বড়দিনে দাদুর কাছ থেকে একটা লটারি টিকিট উপহার পেল ও। সৌভাগ্যক্রমে, লটারিতে সাত মিলিয়ন ডলার পুরস্কার জিতল ছেলেটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, চুরি গেল লটারি টিকিটটা। ফলে, বন্ধুর সাহায্যের ডাকে সাড়া দিয়ে চোরের খোঁজে মাঠে নামতে হলো তিন গোয়েন্দাকে। ইউনিকর্নের খোঁজে জাদুকর মার্লিন কিশোর আর জিনাকে নিউ ইয়র্কে পাঠিয়েছে মিশন দিয়ে। একটা ইউনিকর্নকে উদ্ধার করতে হবে। প্রবল তুষারঝড়ের মধ্যে কাজে নামল ওরা। জানে না, কালো জাদুকর ইউনিকর্ন টার দখল পেতে তার দল পাঠিয়েছে। এক পর্যায়ে মুখোমুখি হলো দুপক্ষের। জলদস্যুর নকশা সাগরসৈকতে প্রাচীন এক বোতল খুঁজে পেল ডন। বোতলটার ভিতরে এক টুকরো কাগজ। জানা গেল ওটা কুখ্যাত এক জলদস্যুর গুপ্তধনের নকশার চারটি টুকরোর একটি। টুকরো চারটি জোড়া দিলেই মিলবে বিপুল গুপ্তধনের হদিস। নকশার টুকরোটা হাতাতে লোক লেগে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডনের পিছনে। ফলাফল: নতুন রহস্য।