দ্য ওয়ান থিং : দ্য সারপ্রাইজিংলি সিম্পল ট্রুথ বিহাইন্ড এক্সট্রাঅর্ডিনারি রেজাল্টস" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: আজ আমাদের হাতভর্তি কাজ। দিনভর যে কত কাজ করতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। এলোমেলো কাজের ভীড়ে, লম্বা এক রুটিনের ভীড়ে, হাজারটা চিন্তার ভীড়ে কেমন যেন এলোমেলোভাবে ছুটছে মানুষগুলো। সবকিছুতেই এগিয়ে থাকার দৌঁড়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনকে সময় দেয়ার সময় কোথায়? এক ম্যারাথন দৌঁড়ে জীবন আজ অতিষ্ট। কিন্তু আমরা ঠিক যে লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য এতো পরিশ্রম করছি তা কেন যেন অধরাই থেকে যাচ্ছে। আমরা অনেক বেশি পরিশ্রম করছি কিন্তু অল্পই অর্জন করতে পারছি। আচ্ছা, এমন কোন উপায় কী নেই যে উপায় মেনে আমরা কম পরিশ্রম করেই বেশি বেশি অর্জন করতে পারবো? তথ্য-প্রযুক্তির ঘূর্ণিপাকে, সঠিক-বেঠিকের চোরাগলিতে, হাজারটা পথের ভীড়ে আমরা কীভাবে বুঝবো, কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক? যে সফলতা লাভের জন্য এত দৌঁড়াচ্ছি , সেই অধরা সফলতাই বা জীবনে আসবে কী করে? “দ্য ওয়ান থিং : দ্য সারপ্রাইজিংলি সি¤পল ট্রুথ বিহাইন্ড এক্সট্রাঅর্ডিনারি রেজাল্টস” বইটি আপনার জীবন যাপনে এক অধরা সফলতাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার উপায়-উপকরণ বাতলে দেবে। আমাদের জং ধরা চিন্তার জগতকে শাণিত করতে “দ্য ওয়ান থিং” হতে পারে আমাদের পথপ্রদর্শক এক বন্ধু। বইটির লেখক গ্যারি কেলার এবং জে পাপাসন- দুজনই তাদের কর্মজীবনে ভীষণ সফল দুটি মুখ। তারা নিজেদের সফলতার গল্প তুলে ধরেছেন, তারা কীভাবে সফল এবং তাদের অনুসৃত পথটি কী ছিল- বইটির অলিগলিতে সে পথের দেখা মিলবে। এই বইটি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার বই। বেস্টসেলার বই হওয়ার পেছনে বইটির উদ্যমী দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসার দাবিদার। একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন পথ ও অনন্য সুন্দর জীবনের যাত্রায় বইটি আপনাকে কয়েক কদম এগিয়ে রাখতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে অধ্যয়নের বিষয় নির্বাচন করে থাকেন। অনেকেই বেছে নেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ব্যবসায় প্রশাসন। একটা সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে অথবা ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে এ বিষয়টি বেছে নেন তারা। বর্তমান বিশ্বে চাকরির ক্ষেত্রটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ব্যবসায় প্রশাসনে অধ্যয়ন করে ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি- এমন ধারণা অনেকেরই। সুতরাং ক্যারিয়ার গড়ার ভাবনায় বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য ব্যয় করতে হয় কাড়িকাড়ি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশেও এমবিএ প্রোগ্রামের বার্ষিক খরচ (২০১১ সালের হিসাবে) ৪০ হাজার ৯৮৩ থেকে ৫৩ হাজার ২০৮ ইউএস ডলার। এটা শুধু টুইশন ফি। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ তো আছেই। কিন্তু বিপুল অর্থ ব্যয় করে শেষ ফলাফলটা কী দাঁড়ায়? আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারেন না সবাই। জশ কাউফম্যানের ‘দ্য পার্সোনাল এমবিএ’ বইটিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ে সফলতা কিংবা পেশায় উন্নতির জন্য অবশ্যই এমবিএ অধ্যয়ন করবেন, কিন্তু সেজন্য বিজনেস স্কুলে ভর্তি হওয়া আবশ্যক এমন ধারণা ঠিক নয়।
ভালোবাসা এক ঐশ্বরিক শক্তি; যার আকর্ষণকে কেউ অতিক্রম করতে পারে না। খরস্রোতা নদীর প্রবহমান ধারার মতই এর প্রবল গতি। মানুষ ভালোবাসার প্রথম পাঠ গ্রহণ করে মায়ের কাছ থেকে। প্রচণ্ড আদর, ভালোবাসার একটি শিশু যখন বেড়ে ওঠে, সেসব কোমল সুকুমার বৃত্তি তার মধ্যেও সৃষ্টি হয়। আর বঞ্চনা তাকে বৈরি করে তোলে। তার বেড়ে উঠার প্রতিটি ধাপে ভালোবাসার অবদানকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। একজন মানুষের কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য কোন না কোনোভাবে ভালোবাসার হাতে বাঁধা। কাজেই একে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই, বরঞ্চ নিয়মিত এর পরিচর্যা করতে হয়। ফসল ফলাতে যেমন পরিমিত সার ও পানির প্রয়োজন হয়, ভালোবাসার গোড়ায়ও ঢালতে হয় অনেক কিছু। পরম উষ্ণতায় তাকে জড়িয়ে ভরিয়ে রাখতে হয়। বৈচিত্রতায় ভরিয়ে তুলতে হয় প্রেমের আঙিনা। পারস্পরিক সুসম্পর্কের জন্য সমঝোতায় আসতে হয়, প্রিয়জনের মানসিকতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। উপহারের আদান-প্রদান ভালোবাসার ভিত্তিকে মজবুত করে তোলে। আত্মকেন্দ্রিকতা ভালোবাসার পথে বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রায়ই দেখা যায় প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা একটি যুক্তি উপস্থান করি যে, সেতো কাছের মানুষ, তাকে ভালোবাসা প্রকাশের প্রয়োজন কি! আমাদের এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সম্পর্ক তথা পরিবারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। আসুন আমরা সেই ভাঙন রোধ করার নিয়মগুলো জেনে নেই। গেরি চ্যাপম্যানের ‘দ্য ফাইভ লাভ ল্যাংগুয়েজস’ পড়ে ভালোবাাসর বন্ধন মজবুত করি।
দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর - বিশ্বসেরা ধনীদের বিস্ময়কর রহস্য: ধনী হতে চান? বিশাল বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ও প্রাচুর্যে গা বাচিয়ে জীবন কাটানোর স্বপ্ন আপনার? সত্যি হাসালেন। একটিবার নিজের চোখ বন্ধ করে মনের গভীরে ডুব দিন আর নিজেকে প্রশ্ন করুন যারা এভাবে বেঁচে থাকে তারা কি আসলেই ধনী? মনের তর্কবাগীশ সত্তাটি হয়তো বলবে বারে ধনী না হলে এত অর্থ ওরা কোথায় পায়? না এই সত্তাকে কখনো তুচ্ছ মনে করবেন না। যুক্তিসহকারে জেনে নিন যে এই অর্থের উতস কি। দুটো অপশন রয়েছে আপনাদের জন্য। হয়তো বাপ দাদার টাকা উড়াচ্ছে, নয়তোবা লোন নিয়ে অপব্যয় করছে। কারণ বিশ বছরের সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রকৃত ধনীদের বৈশিষ্ট্য একেবারেই অন্যরকম। তারা অর্থ আয় থেকে শুরু করে সঞ্চয়ের মাধ্যমে কিভাব কিভাবে ধনী হয়, সে ইতিহাসের আলাদা কিছু গল্প কাহিনি রয়েছে। আমেরিকান ধনীদের সেইসব চমকপ্রদ তথ্য জানতে হলে ‘দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর’ পড়তে দেরি করবেন না। বলাতো যায় না এই বই আপনাকে হয়তো পরবর্তী ধনীদের তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করার কাজে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে।
জীবন যাপনে আমূল পরিবর্তন আনতে কীভাবে সাজাবেন আপনার বাসা, অফিস এবং চারপাশের অন্যান্য অনুষঙ্গ? জীবনে পরিপাট্যতা আনয়নের পুরো প্রক্রিয়াটিই এই বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। আসলেই কী চারপাশ গুছিয়ে রাখার মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব? সোজা সাপটা জবাব হলো, সম্ভব। কিন্তু চারপাশে পরিপাট্যতা ধরে রাখাটাই যে মুশকিল ব্যাপার! সবকিছু সুন্দরভাবে গোছানোর পর পুনরায় অগোছালো হয়ে পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বারবার না হলেও জীবনে অন্তত একবার আমরা এমন জটিলতায় পড়েছি। এবার আপনার কথায় আসি। বলুন তো, কখনো কী এমন হয়নি, আপনি বাসার সবকিছু খুব যতœ সহকারে গুছিয়ে পরিপাটী করে রেখেছেন আর খুব দ্রুতই সেগুলো অগোছালো হয়ে পড়েছে? যদি তেমনটিই হয়ে থাকে, তবে এই বিষয়ে সফলতা লাভের গোপন মন্ত্রটি হলোÑ শুরুতেই চারপাশের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো একত্রিত করে সেগুলোকে আপনার জীবন থেকে বিদেয় করে দিন। তারপর মাত্র একবারের কর্ম প্রচেষ্টায় আপনার চারপাশকে সাজান সুশৃঙ্খলভাবে, সম্পূর্ণ নতুন করে নতুন উদ্যমে।