এই ছােট গ্রন্থটি (গভীর চিন্তা ও অভিজ্ঞতার ফসল) চিন্তাশক্তির বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত সামগ্রিক কোন প্রবন্ধ নয়। এটি বিশ্লেষণধর্মী নয়, বরং ইঙ্গিতমূলক; এর বিষয় হল‘তারা নিজেরাই নিজেদের তৈরি করে’ এই সত্যকে আবিষ্কার ও গ্রহণের জন্য পুরুষ ও নারীদেরকে উজ্জীবিত করা, যাতে তারা উৎসাহিত হয় ও বুঝতে পারে যে মন মানুষের চরিত্র ও পরিস্থিতি দুটোরই নির্মাতা এবং তারা জ্ঞান ও আনন্দের মাধ্যমে অজ্ঞতা ও কষ্টকে দুরে রাখতে পারে।
ইউ আর আ ব্যাডঅ্যাস (হার্ডকভার) - হাউ টু স্টপ ডাউটিং ইয়োর গ্রেটনেস অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং অ্যান অসাম লাইফ: কোনো সহায় সম্বল কিংবা কোনো উপায় থাকলেও তুমি শূন্য থেকেই শুরু করো। পথ একটা হয়েই যাবে। (রেভারেন্ড মাইকেল বের্নার্ড : মাদকাসক্ত থেকে) এসব হয়তো খুব সুন্দর কথা। তবে এসব আপ্তবাক্য, উদ্ধৃতি কিংবা মহাজন বাণীর কোনো মূল্য আমার কাছে কখনোই ছিল না। এধরনের কথাবার্তাকে স্রেফ আবর্জনা মনে হতো। এসব কথাবার্তা দিয়ে আসলে কোন ঘোড়ার ডিমটা বোঝানো হতো, তাও বুঝতে পারতাম না। তবে এর মানে এই নয় যে, আমি এসব কথা শুনে বিরক্ত হতাম। আসলে এসব কথাকে পাত্তাই দিতাম না আমি। আমার মনে কোনোই ভাবান্তর হতো না। নিজেকে নিজে সাহায্য করা/আধ্যাত্মিক জগৎ এসব সম্পর্কে আমার জ্ঞান ছিল শোচনীয়ভাবে কম। মনে হতো নৈরাশ্যবাদী আর হতাশাগ্রস্ত লোকেরাই এসব বিশ্বাস করে। তারা গির্জায় গিয়ে ধরনা দেয়। ভক্তির আতিশয্যে মাত্রাজ্ঞান হারায়। কিন্তু একজন অপরিচিত লোক আপনাকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরলে আপনি যেরকম অস্বস্তিকর অনুভূতিতে আক্রান্ত হতে পারেন, এসব কিছু আমার কাছে সেরকমই মনে হতো। ঈশ্বর নিয়েও আমার তেমন কোনো চিন্তা বা মাথাব্যথা ছিল না। একই সঙ্গে আমি যেভাবে আছি সেটাও ভাল লাগত না। আমি চাইতাম জীবনে পরিবর্তন আসুক। মনে হতো, চারপাশের ভণ্ডামি কিংবা ন্যাকামিগুলোর মূলোচ্ছেদ করতে পারলে সে পরিবর্তনটা হয়তো আসবে। আমি এমনিতে কিছু ভাল কাজ করতে পেরেছি। আমার কিছু প্রকাশিত বই আছে, ভাল কিছু বন্ধু আছে, একটা নিবিড় পরিবার আছে। আমি একটা ভাল অ্যাপার্টমেন্টে থাকি, গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াই। শক্ত দাঁতে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে স্বাদ অনুভব করার ভাল খাবার খাই। পরার জন্য ভাল পোশাক আশাক আছে এবং বিশুদ্ধ পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারি। এ গ্রহের সিংহভাগ মানুষের চেয়ে ভাল অবস্থায় জীবন যাপন করি আমি। আসলে আমার জীবনটা মাখনের মতো স্বচ্ছ আর নরম।
"চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ" বইয়ের ভূমিকা থেকে লেখা: পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা তােমার কাছে নেই, অথচ মানসিকভাবে তুমি স্বীকার করেছ যে তােমার কাছে আছে। -রবার্ট কলিয়ার আপনার সম্পর্কে সত্য যা- আপনি পুরােপুরিই একজন ভালাে মানুষ। সফলতা, সুখ, আনন্দ ও উত্তেজনায় পূর্ণ দারুণ একটি জীবন আপনার প্রাপ্য। সুসম্পর্ক, সুস্বাস্থ্য অর্থপূর্ণ কাজ ও আর্থিক স্বচ্ছলতা আপনার থাকাটা যুক্তিযুক্ত। এসব আপনার জন্মগত অধিকার। জীবন বলতে এমনই বুঝায়। সফলতার জন্যই আপনার জন্ম, আত্মসম্মান ও গর্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় আপন অবস্থান। আপনি সাধারণ, ঠিক আপনার মত আর কেউ কখনাে জন্মায়নি এই বিশ্বে। আপনার প্রতিভা ও যােগ্যতা প্রচুর, যদি ঠিকঠাক মতাে প্রয়ােগ করা যায়। জীবনে যা চাননি, তাও আপনি পেতে পারেন। মানবসভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনি জীবনযাপন করছেন। স্বপ্ন পূরণের অবাধ সুযােগ রয়েছে আপনার চারপাশে। আপনি কি হতে পারেন বা করতে পারেন, তার একমাত্র সীমাবদ্ধতা রয়েছে আপনার ভাবনায়। মূলত: আপনার ভবিষ্যত সীমাহীন। বাস্তব চিত্র উপরের তিনটি প্যারায় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন আপনি? আপনি দু'ধরনের মনােভাব হতে পারে। প্রথমত: যা বলা হয়েছে, আপনি পছন্দ করেছেন আর আপনি মনে প্রাণে চান সেসব সত্য হােক। কিন্তু আপনার দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া সম্ভবত: অবিশ্বাস। যদিও আপনার সুপ্ত ইচ্ছে হল স্বচ্ছল, সুখী ও স্বার্থক একটি জীবন লাভ করা, কিন্তু যখন আপনি বইটি পড়বেন, সন্দেহ ও ভয় আপনাকে কারণগুলাে মনে করিয়ে দেবে যে কেন স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। অনেক বছর আগে আমিও তেমনটি অনুভব করেছিলাম। যদিও জীবনে বড় কিছু করতে চাচ্ছিলাম, আমি ছিলাম অদক্ষ, অশিক্ষিত ও বেকার। পরিস্থিতি কি করে সামলাতে হয়, সে ব্যাপারে আমার কোন ধারণাই ছিল না। একদিকে বড় স্বপ্ন ও অন্যদিকে সীমিত সুযােগের মধ্যে আমি বন্দী ছিলাম। তখন আমি আকর্ষণীয় কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করলাম যার সাহায্যে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায় আর তখনই আমার জীবনটা বদলে গেল। আমাদের জীবনে এই নিয়মকানুনগুলাে প্রমাণিত হওয়ার পর আমি বলতে শুরু করলাম ও অন্যান্যদেরকে একই ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে লাগলাম। এতদিনে আমি ২৪টি দেশে দীর্ঘ চারদিনব্যাপী প্রায় দুই হাজার সেমিনার করে ফেলেছি দুই মিলিয়নেরও বেশী জনতার সামনে। প্রথমবার শােনার পর তাদের বেশিরভাগ মানুষও অবিশ্বাস করেছিলেন এই পদ্ধতিকে। পরবর্তীতে অবশ্য তাদের জীবনে বদলে যায়, যেভাবে আপনার জীবনও বদলাতে পারে। চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ' বইয়ের সূচীপত্র ভাবনা বদলান..........১৫ জীবন বদলান..........২৯ বড় স্বপ্ন দেখুন..........৪৮ ধনী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিন..........৫৮ নিজস্ব জীবনের দায়িত্ব গ্রহণ করুন..........৭৯ উৎকর্ষ সাধনের প্রতিজ্ঞা করুন..........৯০ মানুষকে প্রাধান্য দিন..........১১৪ প্রতিভাবানদের মতাে ভাবুন..........১৩১ মানসিক শক্তিকে মুক্ত করুন..........১৪৬ চিন্তাকে শক্তিশালী করুন..........১৬৮ নিজের ভবিষ্যত নিজে তৈরি করুন..........১৮৭ একটি চমৎকার জীবন-যাপন করুন..........২০৫
টাইম ম্যানেজমেন্ট - কার্যকরভাবে ব্যবসা করার জন্যে সময় ব্যবস্থাপনার পরামর্শক গাইড: এই বইটা আপনার সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারে আপনাকে সাহায্য করবে, এবং এর মধ্যে দিয়ে আপনার উৎপাদনশীলতা আর কার্যকারিতাও বাড়িয়ে তুলবে। এ বই পড়লে আপনি চিনে নিতে পারবেন কোন্ কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোন্টা কম, এবং অগ্রগণ্যতা বিবেচনায় কোন্ কাজটা আগে আর কোন্টা পরে করতে হবে। দক্ষ হয়ে ওঠা আর কার্যকর হয়ে ওঠার মধ্যেকার পার্থক্যের মূল্যায়ন করতে শিখবেন আপনি। আর সময় নষ্টকারী বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে কিভাবে সবচেয়ে জটিল কাজগুলোতে আপনার সময়কে নিবদ্ধ করা যায়, তার উপায়ও আপনি বের করে নিতে পারবেন এ বইয়ে অধীত জ্ঞানের মাধ্যমে। সূচিপত্র: লক্ষ্যকে দিকনির্দেশক বানাও তোমার ব্যক্তিগত কার্যকারিতার কম্পাস লক্ষ্য নির্ধারণ লক্ষ্যের শ্রেণীবিন্যাস লক্ষ্য বাছাই জরুরি-বনাম-গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে উভয়সঙ্কট লক্ষ্যকে কাজে রূপ দেয়া একক লক্ষ্যগুলো সারসংক্ষেপ ২. তোমার সময় কীভাবে কাটাও ওটা কোথায় যায়? একটা কার্যসারণী বানাও এবং ব্যবহার করো কার্যসারণী বিচার-বিশ্লেষণ করো বিচার-বিশ্লেষণ থেকে পরিবর্তনে সারসংক্ষেপ ৩. সময় নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা কোন্টা আগে করা দরকার ভেবে শুরু করো হাতিয়ারের পূর্বপরিকল্পনা পূর্বপরিকল্পনা তৈরি করা করণীয়ের তালিকা বানিয়ে কাজ করা পূর্বপরিকল্পনা পদ্ধতিগুলোর দুর্বলতা সারসংক্ষেপ
থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো - মনের সাথে অন্তর্জ্ঞান সম্পর্কিত মাস্টারপিস আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার বই - বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: যদি প্রশ্ন করি কি ভাবছেন আপনি, সহজেই উত্তর দিতে পারবেন। কারণ আপনার বিশ্বাস মনের মধ্যে কি আছে, আপনি তা জানেন। অথচ সেটাই একমাত্র সত্য নয়। মনের মধ্যে হাজারো পথ ধরে বিচিত্র চিন্তা ঘুরে বেড়ায়। আর সেসব বুঝতে হলে আপনার জানার পরিধি আরেকটু বাড়িয়ে নিতে হবে। কেবল সেটাই বা বলবো কেন, চোখের সামনে আমরা যা দেখি, চট করে নিজের মতো বিচার করে ফেলি। অথচ আমরা বুঝতেই পারি না যে আপাতঃ গ্রাহ্য বিষয়ের সবটুকু একই রকম নয়। ভালোভাবে রোগ নির্ণয় করতে হলে একজন ডাক্তারের যেমন অনেক ধরনের রোগ সম্পর্কে জানতে হয়, ভাবনাকে সুবিচারের সাথে একই মঞ্চে দাঁড় করাতে হলে আপনাকেও জানতে হবে আপনি কিভাবে ভাবছেন। এটা অনেকটা রোগের প্রতি মনোযোগ দেয়ার মতই। আর মনস্তত্বের এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাইকোলজিষ্ট ড্যানিয়েল কাহনমান। সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত গবেষণার উজ্জ্বল নক্ষত্র অ্যামোস ভার্সকির মূল্যবান সঙ্গ কাহনমানের গবেষণাকে মর্যাদার উঁচু আসনে পৌঁছে দেয়। দীর্ঘ ১৪ বছরের গবেষণায় সমৃদ্ধ ‘থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’ বইটিতে কাহনমান মানুষের ভাবনার প্রকৃতির সাথে অন্তর্জ্ঞানের একটি আনুপাতিক সম্পর্ককে পাকাপোক্ত করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, আমাদের দ্রুত ভাবনা যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখন মন্থর ভাবনা রাশ টেনে ধরে। যুক্তি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আর এরপর ...... নাহ্, বাকীটুকু জানতে হলে আজই কিনে নিন ড্যানিয়েল কাহনমান রচিত ‘থিংকিং, ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’বইটি। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার সুচিন্তিত মতামত ও যুক্তিপূর্ণ বিচারশক্তি জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলবে।