দুর্জয়ের চতুর্দশ সংখ্যা, বান্তং মাজলান আর দুর্জয় এখন একই শহরে, ওদিকে বিল্পব আচমকাই সমূর্ন অপ্রত্যাশিত এক পরিস্থিতে নিজেই আটকা পড়ে গেছে। নীহারিকা তার সংসারী রুপের মধ্য থেকে আবার নতুন করে পেশাদারি সাহায্য করতে চাইছে দুর্জয়কে। পুলিশ অফিসার এমদাদ আটকে আছেন জীবনের এক জটিল টানাপোড়েনে, নিজের শিশুকন্যা আর বনাম গোটা দেশ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর। দুর্জয় কি পারবে সেই জটিল পরিস্থিতি থেকে তাকে বাঁচাতে? সে কি পারবে শেষমেশ বিপ্লবের মুখোমুখি হতে?
বিপ্লব এখন নিজেই ক্রাইম লর্ড, জেঁকে বসেছে সে সব সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে। তাকে শায়েস্তা করতে ধীরে ধীরে জাল পাতছে কবির মনসুর ওরফে দুর্জয়। তারই অংশ হিসেবে একদল বড়লকের বখে যাওয়া ছেলেদের পিছু করে সে ঢুকলো একটা শপইং মলের ফুড কোর্টে। সব ঠিকঠাক মতই এগোচ্ছিলো হঠাৎ আশ্চর্য একোটা ঘটনা দুর্জয়ের এতদিনের সব ধারনা ওলটপালট করে দিল। এই প্রথম বসে বসে দেখা ছাড়া খুব বেশি কিছু করতে পারলো না সিরিজের নায়ক। কেন? জানতে হলে চলে আসুন বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ক্রাইম ফিকশন কমিক্স দুর্জয়ের ইউনিভার্সে।
দুর্জয় সিরিজের ১৬ নম্বর বই। ড্রাগ লর্ড বিপ্লব এবার পুরোদমে অপারেশনে নেমেছে, ওদিকে দুর্জয় তার গোপন সেলে তুলে এনেছে কিছু ক্ষমতাশালীদের ছেলেদের। এর মাঝে অপসরীর কুংফু ডেমন্সট্রেশন ক্লাসে আচমকা ঢুকে পড়েছে ওরা কারা? আর দর্শক সারিতে কে বসেছিলো? নাহ্ পুরোটা বলে দেবার চাইতে নিজের চোখে দেখে নেয়াই ভালো।
অনেক বছর পর আবার সোহেল ভাইয়ের কাছে এসেছে দুর্জয়। কিন্তু এরকম একটা সময়ে হয়ত দেখা না হলেই ভাল ছিল। একদল ভাড়াটে ষণ্ডা হঠাত চলে এল অপ্সরীদের কুংফু ক্লাসে। এবং এসেই শুরু করে দিল মার। এবং বোঝা গেল এরা হাইলি ট্রেইন্ড পার্সোনাল আর্মি। কিন্তু দুর্জয় কী করছে? এই এত হট্টগোলের মধ্যে সে কি পুরোটা সময় শুধু ঘুমোবে? দেখা যাক।
"দুর্জয় ভলিউম ২ (৬ থেকে ১০ খণ্ড একত্রে)" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কে এই দুর্জয়? সারা ঢাকা যাদের ভয়ে কাঁপে, সেই মাফিয়াচক্র কেন ওর ব্যাপারে এত বেশী সতর্ক? অন্যদিকে পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে খুন-খারাপির মামলা নিয়ে। দুনিয়ার কারাে নজরে ‘ভাল’ নয় সে। কিন্তু তাকে থামায় এই শক্তিও যেন ভাল-মন্দ কারােরই নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত শুধু তছনছ করে দিয়ে চলে যাবে। হয় পালাও নয় চেয়ে চেয়ে তাণ্ডব দেখে কাঁদো! পুলিশের রেকর্ডস ক্লার্ক নীহারিকা! প্রথম দেখায় না চিনলেও, ভাল করে । আরেকবার দেখে চিনে ফেলল ওকে। একযুগ আগে যার ফোটো ম্যাগাজিনে ছাপা হত দেশের গর্ব হিসেবে, তার আজ এই চেহারা কেন? জানতে চাইলে চলে আসুন দুয়েৱ জগতে, ঢাকা কমিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমিক্স সিরিজ দুর্জয়ের দ্বিতীয় ভলিউম!
কাহিনী সংক্ষেপঃ দুর্জয়ের সপ্তম বই, নীহারিকা কে দুর্জয়ের ইতিহাস জানাচ্ছেন নেভির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক। অহনা, তার মা অ নেশাখোর ভাই, আর সেই সাথে নিজের মায়ের জীবন মরণের সন্ধিক্ষণ নিয়ে কি অদদ্ভূত আনন্দ বেদনার সময় পার হয়েছে দুর্জয় সেটারই বর্ণনা চলছে। ধীরে ধীরে ঘটনা এগোচ্ছে এক অমোঘ পরিণতির দিকে।