রাঙ্গামাটির ছেলে জুমো চাকমা, সময়ের সাথে সাথে নিজের ভেতরে এক আলৌকিক প্রাকৃতিক শক্তি টের পায় সে। টের পায় যে কোন গাছের সাথে আত্মিক ভাবে মিশে যেতে পারে সে, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, ধরতে পারে তাদের রূপ। ক্ষমতা টের পেয়ে তা নিয়ে কী করবে ভেবে বের করার আগেই অদ্ভূত কিছু লোকের পাল্লায় পড়ে যায় সে। কেন কিছু মানুষ তার পিছু নিয়েছে তা বুঝতে পারে না। কে এই সুলো, আর বিনাশই বা কে তাকে মারতে চাইছে?
কাহিনী সংক্ষেপঃ সায়েন্স আর কমিক্স, শুনে দুই ভিন্ন জগত মনে হলেও কার্টুনের মাধ্যমে জটিল সায়েন্সের মজার মজার ব্যাখ্যা আর সেই সাথে নতুন প্রশ্নের সূচনা দুই-ই পাওয়া যাবে প্রজেক্ট টিকটালিক সিরিজের এই তৃতীয় বইতে। ছোট ছোট কয়েকটি গল্পে শেষ হয়েছে কমিক্সটি।
"দুর্জয় ভলিউম ২ (৬ থেকে ১০ খণ্ড একত্রে)" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কে এই দুর্জয়? সারা ঢাকা যাদের ভয়ে কাঁপে, সেই মাফিয়াচক্র কেন ওর ব্যাপারে এত বেশী সতর্ক? অন্যদিকে পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে খুন-খারাপির মামলা নিয়ে। দুনিয়ার কারাে নজরে ‘ভাল’ নয় সে। কিন্তু তাকে থামায় এই শক্তিও যেন ভাল-মন্দ কারােরই নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত শুধু তছনছ করে দিয়ে চলে যাবে। হয় পালাও নয় চেয়ে চেয়ে তাণ্ডব দেখে কাঁদো! পুলিশের রেকর্ডস ক্লার্ক নীহারিকা! প্রথম দেখায় না চিনলেও, ভাল করে । আরেকবার দেখে চিনে ফেলল ওকে। একযুগ আগে যার ফোটো ম্যাগাজিনে ছাপা হত দেশের গর্ব হিসেবে, তার আজ এই চেহারা কেন? জানতে চাইলে চলে আসুন দুয়েৱ জগতে, ঢাকা কমিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমিক্স সিরিজ দুর্জয়ের দ্বিতীয় ভলিউম!
কাহিনি সংক্ষেপঃ বান্দরবানে আরেক সুপারহিরো জুমের সাথে এক বৌদ্ধ মন্দিরে আছে ইব্রাহীম, নিজের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই তার জন্য এখন অনেক বড় একটা চ্যলেঞ্জ, জানে যে সেটা না করতে পারলে আসলে তাঁর বেঁচে থাকারই মানে নেই, মানে নেই এইসব শক্তির, জুমের গুরুজীর দেয়া উপদেশে একাগ্র ধ্যানের মাধ্যমে কিছুটা বুঝতে পারে সে কী করতে হবে তাকে। আর সময় হতেই বেরিয়ে সে পড়ল নতুন নিয়ন্ত্রিত শক্তির দৌড় পরীক্ষা করতে। কিন্তু সামনে যে এরকম অদ্ভূত দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে ঘটনা তা কি ও স্বপ্নেও ভেবেছিলো?
গুন্ডা আর পান্ডা, গুন্ডা তো গুণ্ডা-ই, আর পান্ডা সেও আসলে একেবারে আসল পান্ডা! ডাইরেক্ট ফ্রম চিড়িয়াখানা। আমাদের চেনা শহরের অলি গলিতে ঘুরে বেড়ানো একেবারেই আক্কেল গুড়ুম জুটি। তাদের সাথে ঘুরে দেখুন না চেনা শহরটাকে আবার নতুন করে, মজাই লাগবে আশা করি।
উদ্ধারকারীদের পরিচয় পেয়ে হতভম্ব হয়ে গেছে ইব্রাহীম, তারা যা বলছে তা কি সত্যি? এদিকে তার নাম ব্যবহার করে এক জঙ্গী গোষ্ঠী যে একের পর এক সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা কিভাবে থামাবে সে? পুলিশ অফিসার শীলা ওদিকে মনেপ্রাণে চাইছেন আসল সত্য সামনে আসুক, সবাই জানুক কে আসলে অপরাধী। টান টান উত্তেজনা আর ঘটনার নতুন নতুন মোড় নিয়ে ইব্রাহীম সুপারহিরো সিরিজের এবারের পর্ব।
বড়লোক বাবার সুনিশ্চিত জীবন থেকে পালিয়ে নিজের মত কিছু করতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে রিশাদ নামের এক তরুণ। অন্ধকার রাতে একা একা বাড়ি থেকে পালাবার সময় হঠাত অদ্ভূত এক আলো জ্বলে ওঠে পথে! তারপরে আর কিছু মনে নেই তার। জেগে উঠে হতভম্ব রিশাদ আবিষ্কার করে সে কোন অচেনা একটা জায়গায় চলে এসেছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে আক্রমণ করে বসে অদ্ভূত কিছু বস্তু। আতঙ্কে ছুটতে ছুটতে ভাবতে থাকে রিশাদ- কখনো বেঁচে ফিরতে পারবে তার চেনা জগতে? ঢাকা কমিকসের বেস্ট সেলার সাই-ফাই সিরিজ রিশাদের প্রথম তিনটি বই এক মলাটে নিয়ে এলো রিশাদ ট্রিলজি।
কথায় আছে গরীবের ঘোড়ারোগ, আমাদের হয়েছে ‘ঘোরারোগ’। সময় সুযোগ পেলেই খুচরো ভাংতি সম্বল সব কম্বলে মুড়ে বেড়িয়ে পড়ি যতদূর যাওয়া যায়। যা দেখি তাতেই বিস্মিত হই। মনে হয় যা দেখেছি লিখে ফেলি, তাতে কারো কিছু এসে যায় না তা জেনেও তাই টুকটাক লিখে ফেলা, আর সেই লিখে ফেলা থেকেই ধীরে ধীরে দ্বিতীয় বইটাও হয়ে গেল। আমাদের যৌথ ভ্রমণের প্রথম বই ‘আহ্ কাশ্মীর’ পড়ে যারা যারা পরেরটাও লিখবার জন্যে উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলেছেন এই বইয়ের প্রেরণা তাঁরাই। মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা ভ্রমণের বইটিতে সবাইকে স্বাগতম।
পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটছে নতুন নতুন রোগের, পাশাপাশি পাল্টে যাচ্ছে অনেক চেনা রোগের লক্ষণ আর উপসর্গ। ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট সাধারণ রোগগুলোও ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে মরণঘাতী। ব্যাকটেরিয়ারা এন্টিবায়োটিকের ধরন বুঝে নিজেদের রূপ পাল্টে ফেলছে, পরিণত হচ্ছে ‘সুপারবাগ' এ, রোগ প্রতিরোধ করতে পারছে না এন্টিবায়োটিকও! কিন্তু কেন? আর কী করে মোকাবেলা করা যাবে এই সুপারবাগদের? জানতে হলে পড়তে হবে প্রজেক্ট টিকটালিকের নতুন বিজ্ঞান কমিক্স ‘মিশন সুপারবাগ'!!
ছােট থাকতে আমরা সবাই কমিক্স পড়েছি। ছেলেমানুষী কার্টুন চরিত্র থেকে শুরু করে গুৰুতর চিরায়ত সাহিত্যর কমিক্স কিছুই বাকী ছিল না। মনে আছে জুল ভার্নের 2000 leagues under the sea এর কমিক্সটি যখন দেখেছিলাম তখন সেই চরিত্রগুলাে এবং সেই রহস্যময় সবকিছুই আমার সামনে একটা নুতন জগত খুলে দিয়েছিল। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে আমি খুব অর্থাভাবে ছিলাম, নিজের খরচ চালানাের জন্য পত্রিকায় কার্টুন এঁকেছি, সাথে সাথে কমিক স্ট্রিপ এঁকেছি। মহাকাশে মহাত্রাস নামে আমার একটা সায়েন্স ফিকশন আসলে আমার একটা কমিক স্ট্রিপের কাহিনী। অজিকাল সারা পৃথিবীতেই সাহিত্য এবং চিত্রশিল্পের এই সমম্বিত রূপটি একটি নূতন রূপ নিতে যাচ্ছে। এখন শুধু কম বয়সী শিশু কিশােরদের কাল-কমিক্স হয় না, রীতিমত ড় মানুষদের জন্যে প্রাফিক্স নডেল নামে এই নূতন মাধ্যমটি শিফড় গেড়ে বসতে গেছে। আমাদের বাংলাদেশেও তার আয়োজন রু হয়েছে। কিছু তরুণ শিল্পী আমার বুহান রুহান নামের সায়েন্স ফিকশনটিকে এই গ্রাফিক্স নভেল রূপ দিতে যাচ্ছে জেনে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে সেটি দেখার জন্যে অপেক্ষা করছি। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।
কাহিনী সংক্ষেপ স্কুল পড়ুয়া জিতুর ব্যাগ এ কী করে যেন একটা ভূত ছলে এসেছে। না জিতু ভয় পায়নি। বরং ভূতটার সাথে বন্ধুই হয়ে গেচগে সে। আর কেউ তাকে দেখতে না পেলেও জিতু ঠিকই দেখে। ওদিকে সেটা আরো একজন জেনে গেছে। বিভিন্ন উপায়ে সেই ভূতটাকে হাত করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়াতে এবারে সে ভাড়া করেছে এক খতরনাক তান্ত্রিক কে। দেখা যাক কী হয়ে শেষে।
কাহিনী সংক্ষেপঃ দুর্জয়ের সপ্তম বই, নীহারিকা কে দুর্জয়ের ইতিহাস জানাচ্ছেন নেভির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক। অহনা, তার মা অ নেশাখোর ভাই, আর সেই সাথে নিজের মায়ের জীবন মরণের সন্ধিক্ষণ নিয়ে কি অদদ্ভূত আনন্দ বেদনার সময় পার হয়েছে দুর্জয় সেটারই বর্ণনা চলছে। ধীরে ধীরে ঘটনা এগোচ্ছে এক অমোঘ পরিণতির দিকে।
কাহিনী সংক্ষেপঃ দুর্জয়ের অষ্টম বই, নীহারিকা কে দুর্জয়ের ইতিহাস জানাচ্ছেন নেভির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক। অহনাকে অপহরণকারীদের ত্থেকে উদ্ধার করতে টাকা দরকার, তা না হয় দেয়া গেল। কিনুত অহনার নিরাপত্তা এর পরেও কে নিসচিত করবে? পুলিশকেও জানানো যাচ্ছে না। অগত্যা দুর্জয় নিজেই অহনার মায়ের পিছু পিছু গিয়ে পড়লো দুর্ব্রৃত্তদের ডেরার মুখে। আর সেই পর্যন্ত গেলে একজন কেইজ ফাইটার কি আর খালি হাতে ফিরে আসে? এটুকু জেনেই উত্তেজিত হবেন না। এবারের সমাপ্তি দুর্জয়ের গল্পকে আবার এক টানে নিয়ে আসবে বর্তমানে।
কাহিনী সংক্ষেপঃ জিতু আর তার পোষা ভূত টি এবারে চলেছে স্কুলের পিকনিকে। পথিমধ্যে হুট করে বাস বন্ধ হয়ে গেল। সাধারণ দূর্ঘটনা ভেবে সবাই নীচে নেমে যেই বাতাস খাচ্ছে ঠিক তখনই বোঝা গেল এর মধ্যে একটা কিনুত আছে। হঠাত করে 'বস' এঁর উদয় হল সাথে কঞ্চি বনস্পতি। টি কে এঁর মধ্যে আবার হারিয়ে ফেললো জিতু, কী করবে বুঝতে না পেরে হাল ছেড়ে দেবার আগেই সাথে সাহস আর বুদ্ধি দেবার জন্যে চলে এল নতুন বন্ধু টিনা। তারা খুঁজে পাবে তো টি কে? আনন্দের পিকনিক শেষে আবার কষ্টের হয়ে যাবে নাতো?
কাহিনি সংক্ষেপঃ তুফান নগর, মশায় মশাময়। সেই শহরের দুই মেয়র আছেন খালি ফাঁকা বুলি দিয়ে মিডিয়া কভারেজ নিতে। কাজের কাজ আর হচ্ছে না। মানুষজনের নাভিশ্বাস ওঠার দশা মশায়। নিত্যুনতুন তুঘলকী সব আইডিয়া বাতলে যাচ্ছেন দু'জনে, এমনকি চলে আসছে বেশ কিছু বিদেশী দাওয়াই। এদিকে তুফান নগরের একেবারে খাস দেশি লোকাল হিরো 'লুঙ্গিম্যান' যতই বলে যাচ্ছে যে সে চাইলে যে কোন সমস্যাকেই সমাধান করে দিতে পারে, কিন্তু তার 'ক্ষ্যাত' গেট আপের কারণে কেউ তাকে পাত্তা দিচ্ছে না, কিন্তু অদিকে দুই মেয়রের আইডিয়া এতই ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন যে শেষমেশ- নাহ শেষমেশ কী হয় সেটা দেখতে ত আসলে বইটা পড়তে হবে, আর সময় কাটাতে হবে আমাদের লুঙ্গিম্যানের সাথে।
পুরোনো এক তেলরং পেইন্টিং থেকে ঘটনার শুরু, যেই কিনছে বা সংগ্রহ করছে তারই কিছু না কিছু একটা অদ্ভূৎ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই ইন্টারনেটের যুগে হুট করে আবার এটা ভেবে নেয়াও কষ্ট যে পেইন্টিংটা অভিশপ্ত। কিন্তু শখের টিনেজ গোয়েন্দা আফতাবের কাছে তেমনই মনে হচ্ছে। পড়াশোনা করে ভালমত ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করতে গিয়ে হঠাত ঘটলো আরেক অসম্ভব এক ঘটনা...