"থ্রি: টেন এ এম ৩:১০ এ এম" অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
‘ থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
থৃলার জগতের সর্বাধিক বিক্রিত ট্রিলজি ‘মিলেনিয়াম’ সিরিজের লেখক স্টিগ 'লারসনের জন্ম উত্তর সুইডেনের ফাস্টারবােথেন এলাকায় ১৯৫৪ সালে। পড়াশােনা সাংবাদিকতা বিষয়ে মিলিটারি সার্ভিস শেষ করে যাযাবরের মতাে বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরপর কর্মজীবনের পুরােটা সময় কাটিয়েছেন একজন নফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার হিসেবে। এজন্যে কর্পোরেট জগতে বিরাগভাজন ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার তার 'প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। অকালে প্রয়াত এই লেখকের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকে হলেও রহস্যজনক কিছু কারণে তার মৃত্যুকে হতাকাণ্ড হিসেবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মৃত্যুর পরই জানা যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনটি থৃলার উপন্যাস লিখে গেছেন লারসন। মিলেনিয়াম সিরিজ হিসেবে পরিচিত। এই তিনটি উপন্যাসের প্রথমটি দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন ট্যাটু প্রকাশ হয়। লেখকের মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে। ইউরােপে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে পরের বছর যখন এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় তখন সেটা পরিণত হয় ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলারে। এখন পর্যন্ত তিনটি বইয়ের বিক্রি গিয়ে ঠেকেছে প্রায় এক বিলিয়ন কপিতে!
‘বিজ্ঞানের চেহারা চিরদিনের জন্যে পাল্টে দেবে’--এমন এক যুগান্তকারি ঘোষণার সাক্ষি হতে সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন স্পেনের বিলবাওয়ের অত্যাধুনিক গুগেনহাইম জাদুঘরে উপস্থিত হয়েছে। আর এই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারই এক পুরনো ছাত্র, একচল্লিশ বছর বয়সি ধনকুবের, ফিউচারিস্ট এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব এডমন্ড কিয়ার্শ। তার আবিষ্কার এবং কিছু বক্তব্য আগেও আলোড়ন তুলেছে গোটা দুনিয়া জুড়ে । এমন কিছু উন্মোচন করতে যাচ্ছে সে যা কিনা উত্তর দেবে মানব অস্তিত্ববাদের দুটো প্রধান প্রশ্নের। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই ল্যাংডন বুঝতে পারে ভীষণ বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে এডমন্ডের আবিষ্কার। এসময় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আবিষ্কারের কথাটা মুখেই থেকে যায় কিয়ার্শের। জাদুঘরের পরিচালক অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা একটি গোপন, সংরক্ষিত পাসওয়াডের্র খোঁজে, যেটা কিনা তাদের সাহায্য করবে কিয়ার্শের আবিষ্কার উন্মোচনে। ধর্মিয় ইতিহাসের পথে ল্যাংডন এবং ভিদালের এই অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ, স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত যার ক্ষমতা বিস্তৃত। এডমন্ড কিয়ার্শের আবিষ্কারকে কোনভাবেই প্রকাশ হতে দেবে না তারা। আধুনিক চিত্রকলা এবং কিছু গুপ্ত সংকেতের সহায়তায় ল্যাংডন কি পারবে এই আবিষ্কার উন্মোচন করতে? চরম সত্যের মুখোমুখি হতে? পাঠক, প্রফেসর ল্যাংডনের সাথে ইতিহাসের গলি-ঘুপচিতে ছুটে বেড়াতে আপনি কি প্রস্তুত আছেন?
স্কুল শেষে বাসায় ফিরতেই ছোট্ট ব্রুনো দেখল সবাই গোছগাছ করছে, বাবার বদলি হয়ে গেছে, অন্য কোথাও যেতে হবে তাদেরকে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো সে। খেলার কোন সঙ্গি নেই। যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। ওপাশের সবকিছুকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু চুপ করে বসে রইল না ব্রুনো। অজানাকে জানার জন্যে খুঁজতে থাকলো উপায়। ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে দেখা হলো তার, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে গেল বন্ধুত্ব। কিন্তু এর পরিণতি কি হবে তা তার জানা নেই।