প্রতিদিন কত জনের লাশই তাে পাওয়া যায় ঢাকা শহরে, তাদের প্রত্যেকেই দুর্ঘটনার শিকার-ইচ্ছেকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত। ইন্সপেক্টর রাহাত আজিমের কাজই হলাে এ ধরণের দুর্ঘটনাগুলাের সুরাহা করা। অপরাধিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু এবারের লাশটা একটু ভিন্ন, কপালে তিনটা পাখির ছবি আঁকা। তদন্তে নেমে গােলকধাঁধায় ঘুরতে লাগলাে সে, মিলছে না কোনাে সূত্র। এদিকে নিয়মিত বিরতিতে সেই অদ্ভুত চিহ্নসম্বলিত লাশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে কি সবার মাঝে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর কোনাে সিরিয়াল কিলার? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে যেতে হবে সুদূর অতীতে। পাঠক, কিছু ভয়ঙ্কর সত্য জানতে আপনি তৈরি তাে?
আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে ।বেস্টসেলার ১১টি থৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। ব্যাপারটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনের অংশেই পরিণত হয়ে গেছে বলতে গেলে। মাঝে মাঝে শুধু নজর বুলাই, কিন্তু প্রায়ই খোলার উদ্দেশ্যে হাতে নিয়ে বসে থাকি। এভাবেই দুই তিন মিনিট চলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার জন্যে ঐ দুই তিন মিনিটই বিশাল ব্যাপার। কারণটা জানেন বোধহয়, প্রতিদিন আমার জন্যে মাত্র ষাট মিনিট বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা হয়ত আমি ইনগ্রিডের সাথে কাটাতে পারতাম কিংবা ল্যাসির পেটে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম। বাবার সাথে কার্ড খেলেও পার করা যেত সময়টা। মোটকথা আমার দৈনন্দিন জীবন থেকে মহামূল্যবান দুই-তিন মিনিট নষ্ট করছি প্রতিদিন। কিন্তু খামটা খোলার সাহস হয় না। তাই এমুহূর্তে ভেতরের লেখা আর ছবিগুলো কল্পনা করা ছাড়া আর উপায় নেই কোন। “আমাদের বেরুতে হবে এখন। এয়ারপোর্টে যেতে বিশ মিনিট লাগবে,” ইনগ্রিডের গলার আওয়াজ ভেসে এলো লিভিং রুম থেকে। পটোম্যাক এয়ারফিল্ড এখান থেকে দশ মাইলের মতন দূরে হবে, নদীর ওপারে। আমরা যদি চারটা বাজার আগেই ওখানে পৌছাই, তাহলে সবার জন্যেই সুবিধা। যদিও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত, ইনগ্রিড আগে থেকেই একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি দরকার পড়ে।
বাংলাদেশের ছেলে প্রলয়, বয়স তার চৌদ্দ বছর। বাবা-মা ছােটবেলায় মারা যাওয়ায় লন্ডনে চাচার সাথে থাকে। সেখানে আর দশজন সমবয়সির মতই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু একদিন মাথার ওপর থেকে সরে যায় শেষ আশ্রয়টুকুও। চাচার মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয় তাকে, সেই সাথে জানতে পারে তার চাচা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে চৌকশ গুপ্তচরদের একজন। ঘটনার পরিক্রমায় প্রলয় জড়িয়ে পড়ে সেই গুপ্তচর সংস্থার সাথে, যেতে হয় রহস্যময় অ্যাকাডেমি ব্যাক এলিটসের অভ্যন্তরে। পড়াশােনার নামে কী চলছে সেখানে? যা চলছে তা কি বদলে দিতে পারে পুরাে পৃথিবীর চেহারা?
ক্রাইম রিপাের্টার জন ম্যাকেভয়ের কাজ আবর্তিত হয় মৃত্যুকে ঘিরে। কিন্তু তার পুলিশ অফিসার যমজ ভাই যখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন অবসাদ থেকে মুক্তি পাবার জন্যই ভাইয়ের মৃত্যু আর পুলিশ অফিসারদের আত্মহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে সে। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর একটি সত্য আবিস্কৃত হয়-তার ভাইয়ের মৃত্যুর ধরণের সাথে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনার মিল রয়েছে-সবগুলাে কেসেই সুইসাইড নােট হিসেবে এডগার অ্যালান পােয়ের কবিতার পংক্তি লেখা! তাহলে কি কোন এক সিরিয়াল কিলার বেছে বেছে পুলিশ অফিসারদের খুন করে যাচ্ছে? খুনির শিকারে পরিণত না হলে এ রকম একটি রহস্যের সমাধান বদলে দিতে পারে তার সাংবাদিক জীবনকে। কিন্তু কাজটা মােটেও সহজ নয়। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারের গল্প। ‘কনেলি তার গ্লারে আসল সারপ্রাইজটা সমাপ্তির আগপর্যন্ত জামার আস্তিনের নীচে লুকিয়ে রাখেন। ‘আগ্রহােদ্দীপক একটি প্রােটাগনিস্ট...কনেলি শুধুমাত্র পােয়েট-এর গল্পটা বলেননি, তিনি লিখেছেনও বেশ কাব্যিকভাবে।
স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার ঠিক আগে খুন হয়ে গেল ইয়ােশিতাকা, বিষ প্রয়ােগে হত্যা করা হয় তাকে। সঙ্গত কারণেই তার স্ত্রী আয়ানে হয় প্রধান সন্দেহভাজন। কিন্তু সমস্যা একটাই-ইয়ােশিতকার মৃত্যুর সময় কয়েক শ' মাইল দূরে অবস্থান করছিল সে। টোকিও'র পুলিশ ডিটেক্টিভ কুনাগির দৃঢ় বিশ্বাস, আয়ানে নির্দোষ। কিন্তু তার সহযােগি উতসমি মনে করে এই হত্যাকাণ্ডে মহিলা জডিত। কারাে কাছেই শক্ত কোনাে প্রমাণ নেই। বাধ্য হয়েই ডিটেক্টিভ গ্যালিলিও হিসেবে পরিচিত এক প্রফেসরের শরণাপন হয় উতসমি। কিন্তু এই কেসটি তার ক্ষুরধার মস্তিষ্ককেও বিপদে ফেলে দেয়। রীতিমতাে অসম্ভব হয়ে ওঠে সমাধান করাটা। এ রকম ঠাণ্ডা মাথার খুনির নাগাল পাওয়া কি সম্ভব হবে? ডিভােশন অব সাসপেক্ট এক্সর মাধ্যমে বিখ্যাত জাপানি থৃলার লেখক কিয়েগাে হিগাশিনাের অসাধারণ কাজের সাথে বাংলাভাষি পাঠক এরই মধ্যে পরিচিত হয়েছেন, স্যালভেশন অফ আ সেইন্ট-এ তারা আরেকবার মুগ্ধ হবেন, বিস্মিত হবেন ডিটেক্টিভ গ্যালিলিওর বুদ্ধিদীপ্ত অনুসন্ধান দেখে।