লম্বা আর সোনালী চুলের এক ইংরেজ; পেশায় ভাড়াটে খুনি; নিজের কাজে বিশ্বসেরা। তার নিয়োগকর্তারা পর্যন্ত তার নাম জানে না। পৃথিবীর বড় বড় সিক্রেট সার্ভিসের কাছেও সে অজ্ঞাত। সম্পূর্ণ একা, বিশেষভাবে তৈরি একটি রাইফেল নিয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেবার মিশনে নেমেছে সে। অপ্রতিরোধ্য জ্যাকেলকে থামাবে কে, কিভাবে-কেউ জানে না। এক সময় মনে হয় জ্যাকেলকে থামানোর মতো কোনো শক্তি এই পৃথিবীতে নেই। ফ্রেডরিক ফরসাইথ’র এই অসাধারণ থৃলারটি পড়ে না থাকলে আজই পড়ে নিন, পরিচিত হন মাস্টার স্টোরিটেলার ফরসাইথের সাথে।
হাজার বছর ধরে এক বস্মিয়কর সক্রিটে র্ফমুলা লুকিয়ে রাখা হয়ছে র্শালমেইেনরে কিংবদনত্মীতুল্য দাবার্বোড। প্রকৃতির নিয়মকে পাল্টে দেবার ক্ষমতা রাখে এটি-যেমন শক্তিশালী তেমনি বিপজ্জনক। দার্শনিক রুশো, ভলতেয়ার, আইজ্যাক নিউটন, ক্যাথারনি দি গ্রটে, গণতিবদি লিওনার্দো ফিবোনাচ্চ, পিথাগোরাস, সঙ্গতিজ্ঞ বাখ রশিলেু আর ফরাশি সম্রাট নেপোলিওন বোনার্পাতসহ ইতিহাসের অসংখ্য মহানব্যক্তিত্ব এই ফর্মুলার খোঁজে ছিলেন। ফর্মুলা করায়ত্ত করতে ফরাশি বিপন্ন আর আধুনকি সময়কালে সমান্তরালভাবে ঘটে চলছে দুটো ঘটনা। সইে দুটো ঘটনা একবন্দিুতে এসে মিলিত হয় অভাবনীয় রোমাঞ্চ আর গোলোকধাঁধাতুল্য অ্যাডভঞ্চোরের মাধ্যম।
পৃথিবীকে দেখার আপনার একটি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে... সবারই থাকে। এখন কল্পনা করুন এমন এক ভবিষ্যৎ যেখানে যে কেউ চাইলেই আপনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পৃথিবী দেখতে পারবে। ভাববে আপনার সব চিন্তা, অনুভব করবে আপনার সব অনুভূতি। এ জগতে দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সবচেয়ে দামি সম্পদ, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাদক। আর অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি চুরি করার জন্য জন্ম নিয়েছে একদল দুর্ধর্ষ, দক্ষ চোর। এমন এক চোরের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিশন থেকে এ গল্পের শুরু। আর্কন, অক্টারিন দিয়ে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করার পর কেটজালকোয়াটল এবং সুষ্টিবিনাশ রহস্য-এর মতাে নিরীক্ষাধর্মি নভেলা উপহার দিয়েছিলেন এ সময়ের আলােচিত লেখক তানজীম রহমান এবার তিনি পাঠকের সামনে হাজির হয়েছেন আর আমি হবাে ধ্বংসতারার মতাে কাব্যিক নামের মহাকাব্যিক এক কল্পবিজ্ঞান উপাখ্যান নিয়ে...আর সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গত্বাধা কোনাে ‘সাই-ফাই' গল্প নয় মােটেও। এখানে আপনি রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশনে পূর্ণ অসাধারণ এক রােমাঞ্চযাত্রা উপভােগ করবেন। ভ্রমণ করবেন সম্পূর্ণ নতুন এক পৃথিবীতে, খুলবেন অপ্রত্যাশিত রহস্যের জাল। কে জানে, হয়তাে বইয়ের শেষে বদলে যাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটাও!
১৯১৮ সাল। বাবার মৃত্যুর দুঃখকে সঙ্গী করে মাধবগঞ্জে পা রাখে নসিব উদ্দেশ্য, সাহেব আলী নামের এক রহস্যময় বাউলের জীবন আর কর্ম সম্পর্কে জানা। কিন্তু সেই সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যের আড়ালেও অন্য কোন লক্ষ্য লুকিয়ে নেই তাে? একজন অঘােরনাথ তান্ত্রিক, মােস্তফা মাস্টার অথবা চায়ের দোকানদার সুবােধ ঘােষের গল্পে মৃত্যুর স্থান কোথায়? বিকলাঙ্গ এক বালকের তাতে কতােটুকুই বা ভূমিকা থাকতে পারে? নীল বিদ্রোহ থেকে ভাগ্যের ফেরে বেঁচে যাওয়া জাদুকর অ্যান্ডারসনের কল্যাণে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথমবারের মতাে অনুপ্রবেশ ঘটে সার্কাস নামক প্রথার রহস্যময় এক কটেজের গােড়াপত্তনও তার হাত ধরে ঘটেছিল; সাতান্ন বছর আগে। একদল ঠগির মৃত্যুর পর যেখানে ভয়ে কেউ পা বাড়ায়নি। ধরে নেয়া যাক, এই গল্পটা তারই। গল্পটা হয়ত ষোড়শ শতকের পর্তুগিজ নাবিক অ্যামেরিক গিরাল্ডাের। একই সাথে অনিন্দ্য সুন্দরী অনিতার গল্পও বলা যেতে পারে। দৃষ্টির অগােচরে লুকিয়ে থাকা নৈঃশব্দের জগতে যখন চেতনার প্রদান অনুভব করা যায়, নীলচে আলােতে ভাস্বর হয়ে আবির্ভাব ঘটে তার রঙ সরিয়ে সাদাকালাে হয় পৃথিবী।
তানজিরুল ইসলামের জন্ম লালমনিরহাট জেলায়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি শৈশব থেকে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ। ধূলার-সাহিত্যের প্রতি রয়েছে আলাদা ঝোঁক। অনুভূতিহীন’ নামক তার একটি সাই-ফাই গল্প প্রথম প্রকাশিত হয় কলেজ-ম্যাগাজিনে। এরপর বাতিঘর প্রকাশনীর থুলার গল্পসঙ্কলন-৪ ছাড়াও ‘গল্পের আসর’ এবং ‘বিসর্গ’সহ কিছু সঙ্কলনে তার বেশ কয়েকটি মৌলিক গল্প প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন থৃলার লেখক হারলান কোবেনের টেল নাে ওয়ান তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। 'প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায় তার প্রথম মৌলিক সায়েন্সফিকশন উপন্যাস।