আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই জানা ছিল। তাই সকাল থেকে আকাশ গোমট দেখে আশ্চর্য হয়নি সে। সাদা ছেঁড়া কাগজের মতো কিংবা পালকের মতো তুষার ঝরতে শুরু করেছিল অবশ্য এর পর পরই। বিশাল জানালার পাশে বসলে বাহিরটা পরিষ্কার দেখা যায়। মতিন শব্দহীন বসেছিল। এরকম তুষার ঝরার সময়ে তার মন কেন জানি এখনো বিষণ্ণ হয়ে যায়। মেঘলা দিন কিংবা বৃষ্টির দুপুরের কথা মনে করিয়ে দেয়। কালো কালো বিশাল মেঘের দল দক্ষিণ থেকে উত্তরে উড়ে যেত। কখনো কখনো হঠাৎ ঝমঝম করে ঝরে পড়ত তাদের চৌচালা টিনের ঘরের চালে। সুপারি ও নারকেল গাছগুলো নীরবে-নিঃশব্দে উপভোগ্য ভঙ্গিতে শুধু ভিজে যেত। এ বছর একটু দেরিতেই বরফ পড়ছে। অন্যান্য রাজ্যে আগেই পড়েছে। নিউইয়র্কে আজই প্রথম। ধীরে ধীরে পাতলা একটি আস্তরণের মতো তুষার জমছে রাস্তায়। সে জানে দিনের শেষে এগুলোই চার থেকে পাঁচ ইঞ্চিতে দাঁড়াবে। শেষের দিকে বৃষ্টিও হতে পারে। এরকমই বলেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। এ দেশে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যথার্থই হয়ে থাকে।