আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই জানা ছিল। তাই সকাল থেকে আকাশ গোমট দেখে আশ্চর্য হয়নি সে। সাদা ছেঁড়া কাগজের মতো কিংবা পালকের মতো তুষার ঝরতে শুরু করেছিল অবশ্য এর পর পরই। বিশাল জানালার পাশে বসলে বাহিরটা পরিষ্কার দেখা যায়। মতিন শব্দহীন বসেছিল। এরকম তুষার ঝরার সময়ে তার মন কেন জানি এখনো বিষণ্ণ হয়ে যায়। মেঘলা দিন কিংবা বৃষ্টির দুপুরের কথা মনে করিয়ে দেয়। কালো কালো বিশাল মেঘের দল দক্ষিণ থেকে উত্তরে উড়ে যেত। কখনো কখনো হঠাৎ ঝমঝম করে ঝরে পড়ত তাদের চৌচালা টিনের ঘরের চালে। সুপারি ও নারকেল গাছগুলো নীরবে-নিঃশব্দে উপভোগ্য ভঙ্গিতে শুধু ভিজে যেত। এ বছর একটু দেরিতেই বরফ পড়ছে। অন্যান্য রাজ্যে আগেই পড়েছে। নিউইয়র্কে আজই প্রথম। ধীরে ধীরে পাতলা একটি আস্তরণের মতো তুষার জমছে রাস্তায়। সে জানে দিনের শেষে এগুলোই চার থেকে পাঁচ ইঞ্চিতে দাঁড়াবে। শেষের দিকে বৃষ্টিও হতে পারে। এরকমই বলেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। এ দেশে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যথার্থই হয়ে থাকে।
শিউল মনজুর কথা ও কবিতা শিউল মনজুর কথা ও কবিতা শিল্পের আদিগন্ত সবুজ মাঠের কৃষক, প্রগতি চেতনার ধ্যানমনস্ক, স্বতন্ত্রস্বর ও আধুনিক ভাবনার কবি শিউল ম কবিতা সর্বদা অগ্রসর পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে আসছে। একগ্রন্থ থেকে অন্যগ্রন্থে তাঁর ভাবনা ও নির্মাণের কৌ পরিবর্তন কিংবা পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়টি সহজেই চোখে পড়ে। আশিদশকের কবি হলেও একই বৃত্তে তিনি দীপিত নন। বরং মুহূর্তকে ধারণ করেছে তাঁর কবিতার উর্বর জমিন। কখনো আন্তর্জাতিকতার দিগদিগন্ত ছুঁয়ে যায় তাঁর কবিতার পঙক্তিগুলো কখনো স্বদেশের পল্লীগাঁয়ের ছোট্ট কুড়েঘরটিও অপূর্ব এক নান্দনিকতায় যুক্ত হয় তাঁরই কবিতার সতেজ ভূমিতে। প্রকৃতি ও মা তাঁর কবিতার বড় উপাদান হলেও বিশ^মানচিত্রের চালচিত্র তাঁর কবিতার জানালা দিয়ে উঁকি দেয় ভোরের কোমল রোদের স্বচ্ছতায়। যে কারণে সকল বয়সী পাঠকের কাছেই তাঁর কবিতার গ্রহণযোগ্যতা লক্ষণীয়। পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আরেক বাংলাভাষার প্রায় সকল কাগজে, ওয়েবম্যাগে লিখছেন। অন্যভাষাতেও অনুবাদের ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে।