আমরা পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন, আকাশের দিকে তাকালেই সবাই জ্যোতির্বিদ হয়ে যাই। এর জন্য দুরবিন লাগবে না, টাকা খরচ করতে হবে না। লাগবে না বড় ডিগ্রি, যেতে হবে না বিদেশে। শুধু থাকতে হবে ভালো চোখ। জানতে হবে আকাশের উজ্জ্বল তারার নাম। তাদের হাত তুলে চিহ্নিত করতে হবে। এর মধ্যে যে আনন্দ, তা নির্দোষ ও ঈর্ষাবিহীন। সেই আনন্দের মাঝে আমরা সবাই পাব পর্যবেক্ষকের তকমা। আর এই তকমা মহাবিশ্বের মাঝে আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অবস্থানকে বুঝতে সাহাঘ্য করবে। এখানে পেশাদারি ও অপেশাদারির মধ্যে কোনো তফাত নেই। বইটি জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার নয়। এখানে আকাশের তারা, নীহারিকা, গ্যালাক্সি ও গ্রহদের চিহ্নিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, তাদের পদার্থবিদ্যার ওপর নয়। আকাশ চেনানো, আর সেই চেনা থেকে আনন্দ পাওয়াই বইটির উদ্দেশ্য। সেই আনন্দের জগতে পাঠককে আমন্ত্রণ।
এই বইয়ে আছে ইরানের বিপ্লবের জটিল ঘটনাপ্রবাহের বিস্তৃত আলোচনা। বিপ্লবে ধর্মের আধ্যাত্মিকতার ভূমিকা, ইরানের কমিউনিস্ট তুদেহ পার্টিসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ব্যর্থতা আর রক্ষণশীল বনাম সংস্কারপন্থার দ্বন্দ্ব কীভাবে ইরানের ভাগ্য নির্ধারণে সংগ্রামরত, তার বর্ণনা তুলে ধরেছে এই বই।
'বেলা-অবেলার কথা' বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ জীবনের চলার পথে খ্যাত-অখ্যাত কতজনের সঙ্গেই তো মানুষের দেখা হয়। কত ঘটনারই সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এসব দেখাশোনা, আলাপ-পরিচয় মানুষের স্মৃতির সঞ্চয়কে সমৃদ্ধ করে তোলে। আবার তারই সূত্রে মানুষের মনে কিছু অনুভব-উপলব্ধি, ভাবনাচিন্তা জন্ম নেয়। তা যেমন আপন পারিপার্শ্বিকতা অর্থাৎ স্বদেশ ও সমাজ সম্পর্কে, তেমনি বিদেশ বা বিশ্ব সম্পর্কেও। কখনো হারিয়ে যাওয়া প্রিয়-পরিচিতজনদের কথা ভেবে স্মৃতিভারাতুর হয়ে ওঠে মন। বেলা-অবেলার কথা বইটিতে ড. সেলিম জাহান এক আশ্চর্য স্বাদু ও মমত্বময় ভাষা ও ভঙ্গিতে তাঁর সে বিচিত্র অভিজ্ঞতা, যাপিত জীবনের চালচিত্র ও ব্যক্তিগত ভাবনা তুলে ধরেছেন। ফেসবুকে লেখাগুলো প্রকাশের সময়ই তা ব্যাপক পাঠকের আগ্রহ ও মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাঁর সে লেখার ঝাঁপি থেকে নির্বাচিত কিছু রচনা প্রথমা প্রকাশন এবার মলাটবন্দী করে প্রকাশ করল।
এ বইয়ে বিশাল ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে সোভিয়েত রাশিয়াকে। এতে রয়েছে ইতিহাস কাঁপানো রুশ বিপ্লব, আনকোরা নতুন সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন, বিভীষিকাময় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ, স্নায়ুযুদ্ধের শীতল তিমিরাচ্ছন্ন পঞ্চাশ বছর। রুশ আত্মার সন্ধানে জারতন্ত্রের আদি থেকে শেষ ইতিহাস, তার শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা, সিনেমা, সংগীত আর দর্শনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। কোনোটাই এখানে বাদ পড়েনি। আছে সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙনের ইতিবৃত্ত, রাজনৈতিক উত্থান–পতন, ব্রেজনেভ, গর্বাচেভ, ইয়েলেৎসিন, পুতিনের মতো রাষ্ট্রনায়কদের গল্প, দুর্নীতি আর অলিগার্কদের উত্থান পবের্র সোজাসুজি বর্ণনা। সব মিলিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে যেন নানা বর্ণের মিশ্রণে রুশ সমাজ ও ইতিহাসের রামধনতুল্য।
জনপ্রিয় লেখক আসিফ মেহ্দীর বিজ্ঞান কল্পগল্পের বই ‘মাছিম্যান’। জীবনঘনিষ্ঠতা ও রম্যের সমন্বয়ে লেখা তাঁর বিজ্ঞান কল্পগল্পগুলো একটু আলাদা। বইটিতে আছে আসিফ মেহ্দীর লেখা থেকে বাছাইকৃত ১৪টি বিজ্ঞান কল্পগল্প। তাঁর লেখা প্রকাশিত হচ্ছে ‘কিশোর আলো’, ‘বিজ্ঞানচিন্তা’সহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন পত্রিকায়; এছাড়াও দেশের বাইরে থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্রে। ‘মাছিম্যান’-এর গল্পগুলো পাঠককে আনন্দ দেবে, খোরাক যোগাবে নতুন নতুন ভাবনার। সাই-ফাই জগতে সবার আমন্ত্রণ। আসিফ মেহ্দী। পড়ালেখা বুয়েটে এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে। পেশা সরকারি চাকরি, কিন্তু নেশা লেখালেখি। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে আসিফ মেহ্দী পাঠকের কাছে সুপরিচিত। তাঁর প্রকাশিত প্রতিটি বই পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা, উঠে এসেছে সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায়। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩০
দানাকিল ডিপ্রেশনে আগ্নেয়গিরির লাভালিপ্ত নিসর্গের বিবরণের সঙ্গে লেখক যুক্ত করেন স্থানীয় আফার সম্প্রদায়ের মানুষের দিনযাপনের খণ্ড কাহিনি। সমান্তরালভাবে উপস্থাপন করেন হরেক কিসিমের পর্যটকের চরিত্র। বিস্তারিত হয় শরণার্থীশিবির, মরুচারীদের গ্রাম বা বেসক্যাম্পের বিষয়-আশয়। পরিশেষে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি-সংলগ্ন লাভাহ্রদের পাড়ে রাত্রিযাপনের ঘটনাও পাঠকদের আগ্রহী করে তোলে।