সাড়ে চার বছর ধরে কোমায় পড়ে থাকা এজেন্ট বাবুকে জাগানাের মানে একটাই-আকাশ ভেঙে পড়েছে দেশের মাথায়। ফেল মেরে গেছে বাকি সব এজেন্ট। আসলেই তাই। বাংলাদেশের বুকে বসে একটা ওয়েবসাইট খুলে গােপন নথি ফাস করতে শুরু করেছে সিআইএ’র হুইসলব্লোয়ার এজেন্ট কার্ল সেভার্স, আর তাকে থামাতে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গােপন সংস্থা দ্য অক্টোপাস। নানান দেশের সেরা এজেন্টদের একের পর এক পাঠিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে, তাদেরকে ঠেকানাের দায়িত্ব বাজিকর বাবুর। টেক্কা দিতে হবে ভারত আর পাকিস্তানের বাজিকরদের সাথেও। এর ওপরে আছে কার্ল আর সাব্বিরকে খুঁজে বের করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবার ঝক্কি, প্রধানমন্ত্রির ওপরে দিনে দুপুরে করা হামলা ঠেকানাে। রহস্যময় এক পঙ্গু সুপার জিনিয়াস মাস্টার সিফাতের বুদ্ধিতে কাজ করতে হবে ওকে, যার স্ট্র্যাটেজিতে করা ইউক্রেন মিশন ব্যর্থ হয়েছিলাে ভয়ানকভাবে। আসলে কি চায় মাস্টার সিফাত? একের পর এক বিপদে ঠেলছে কেন সে বাবুকে? এমন কোনাে গােপন প্ল্যান কি তার আছে যেটার কথা শুধ সে-ই জানে? এদিকে একা গােটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্রুসেডে নেমেছে সিআইএ'র সেরা এজেন্ট ট্রাভিস আরভাইন। কেন? এমন কি হয়েছে যে, তার মত দেশপ্রেমিক পাল্টে গেছে। সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহিতে? আর সত্যিই কি ইউক্রেন মিশনের সবাই মরে গেছে? তাদের কেউ ফিরে আসবে না। অতীতের সব হিসেব চুকিয়ে নিতে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা কি? নাবিল মুহতাসিমের জনপ্রিয় ‘বাজিকর ট্রিলজি’র দ্বিতীয় আখ্যান বাজি পাঠককে রুদ্ধশ্বাস একটি গল্প উপহার দেবে।
তরুণ স্পাই আহাদ উত্তরাখন্ড না গিয়ে দার্জিলিং গেল কেন? কী করবে সে ওখানে, যেটা বদলে দেবে সবকিছু? অনেকগুলাে পক্ষ নেমে পড়েছে নাটকের শেষ অঙ্কে। দ্য অক্টোপাস জাল গুটিয়ে আনছে বাংলাদেশে। কার্ল সেভার্স উধাও নিখোঁজ মাস্টার সিফাতও সিরিয়া থেকে ফিরছে। আইএসে যােগ দেওয়া সাবেক বাজিকর সমশের সাবেক এজেন্ট রােখসানার শান্তি তছনছ। কাপ্তান গৌতম ফিরতে চায়, জানে না কিভাবে ফিরবে। ট্রাভিস নেমে পড়েছে জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধে। আহাদ দেখছে কিভাবে সব ভেঙে পড়ছে, আর তার মাঝেই খুঁজে ফিরছে নিজের রহস্যময়ী মা’কে। তুরুপের তাস অনেকের হাতেই, অনেকের আস্তিনেই রুমাল লুকানাে, কিন্তু বাজিমাত করবে শুধু একজনই। আর এসবের রঙ্গমঞ্চটা কোথায়, জানেন? নিউক্লিয়ার। ওয়্যারহেডবাহী এক বিশাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারে!। নাবিল মুহতাসিমের বাজিকর ট্রিলােজির শেষ খন্ড বাজিমাত পাঠককে হাজির করবে। বহুদিন ধরে লুকোনাে এক সত্যের সামনে।