"ফাইট ক্লাব" বইটিতে লেখা শেষের কথা: ‘ফাইট ক্লাবের প্রথম নিয়ম হচ্ছে ফাইট ক্লাব নিয়ে কোনাে কথা বলা যাবে না।, ফাইট ক্লাবের দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে ফাইট ক্লাব নিয়ে কোনাে কথা বলা যাবে না! ফাইট ক্লাবের তৃতীয় নিয়ম হচ্ছে... চরম ইনসােমনিয়ায় আক্রান্ত এক অফিস ওয়ার্কারের সাথে জুটি বেঁধে এক সকল-কাজের-কাজী সাবান-প্রস্তুতকারক নেমে পড়ে রহস্যময় আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইট ক্লাব গড়ায়, যা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি শহরে। বেপরােয়া একদল ফ্যানাটিক গােটা পৃথিবীর ইতিহাস বদলানাের কাজে নেমে পড়ে এরপরই। এই উন্মত্ততা ঠেকানাের সামর্থ্য আছে শুধু একজনেরই-আর আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, আমাদের নায়কের অমিত শক্তিধর শত্ৰুটি কে।
ইউক্রেনের মাটিতে মুখােমুখি হয়েছে আমেরিকা আর রাশিয়া-তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলাে বলে। সেই তপ্ত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এদেশে আশ্রয় নিলাে বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত এক সিআইএ এজেন্ট, সাথে করে নিয়ে এসেছে দুনিয়া কাঁপানাে এক বিস্ফোরক তথ্য। পরিস্থিতি আরাে ঘােলাটে হয়ে উঠলাে যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে আর দেশসেরা স্পাই বাজিকর আহাদসহ ইউক্রেনের আকাশ থেকে হাইজ্যাক করা হলাে একটি যাত্রিবাহী বিমান। জিম্মি উদ্ধারে বাছাই করা ছ’জন এসপিওনাজ এজেন্টকে পাঠানাে হলাে বটে, কিন্তু ইউক্রেনের মাটিতে পা দিতেই বাঁধলাে বিপত্তি। গােটা মিশনের দায়িত্ব এসে পড়ে দলের সর্বকনিষ্ঠ এজেন্ট আহাদের ওপরে-যার শৈশব কৈশাের কেটেছে এতিমখানায়, ফুটপাতে, যার ট্রেনিং এখনাে শেষই হয়নি। শত্রুভূমিতে একা একা কতটুকু করতে পারবে আহাদ? অনেকগুলাে প্রশ্নের উত্তর বের করতে হবে তাকে-প্লেনটা হাইজ্যাক করেছে কে? শত্রুসেনার দলপতির গ্যাসমাঙ্কের আড়ালে কার মুখ? পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন মহাশক্তিধর গােপন সংস্থা? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্নওর মিশনের আসল উদ্দেশ্য কি? সত্যিই কি জিম্মি উদ্ধার মিশনে পাঠানাে হয়েছে ওকে, নাকি এই মিশনের লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু? প্রথম উপন্যাস শ্বাপদ সনের সাফল্যের পর একেবারে ভিন্ন আর টান টান উত্তেজনার একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন নাবিল মুহতাসিম।
ভেবে দেখুন, বাংলাদেশের প্রথম নভােচারি আপনি, উৎসাহে টগবগ করছেন আর কদিন পরেই রকেটে চড়ে বসার জন্য। কিন্তু ঠিক এই সময়েই আবিষ্কার করলেন একটা খুনের দায়ে ফাঁসানাে হচ্ছে আপনাকে, স্পেস স্টেশনের বদলে হয়তাে যেতে হবে জেলে। লাশ গুম করবেন কিভাবে? আর স্পেস স্টেশনে যেতে পারলেও শান্তি নেই—আপনি জানেন না আমেরিকান এবং রাশিয়ান নভােচারিরা কি গােপন মিশন নিয়ে এসেছে, তারা মহাকাশেই একে অন্যকে মারার জন্য উঠেপড়ে লাগবে কিনা। অভিনব কোনাে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে কি তারা? কেনই বা আপনার এক সহকর্মী উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করলাে? মহাকাশ থেকে আসা রহস্যময় কোনাে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি? বিভং কাকে বলে? এদিকে, যে মহাশক্তিধর অশুভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাত থেকে কয়েক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে মানুষ, সে আবার ফেরার চেষ্টা করছে না তাে? পৃথিবীব্যাপী তার সমর্থকরা কিসের আশায় বিশৃঙ্খলা চালাচ্ছে? সবচেয়ে বড় কথা, সবকিছু বিগড়ে গেলে কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন আপনি? সুপারন্যাচারাল-থলার শ্বাপদ সনে দিয়ে শুরু, তারপর স্পাইথুলার বাজিকর আর বাজি দিয়ে পাঠকপ্রিয় লেখক নাবিল মুহতাসিম এবার টান টান উত্তেজনার সায়েন্সফিকশন-থৃলার বিভং নিয়ে হাজির পাঠকের সামনে।
এরিক ভ্যান লুস্টবেডার ১৯৪৭ সালে নিউইয়র্কের প্রসিদ্ধ গ্রিনউইচ ভিলেজে জন্মগ্রহণ করেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশিওলজিতে গ্র্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন তিনি। র্যাকি মাস্টার হিসেবেও বেশ পরিচিত এই লেখক। দ্য নিনজা আর ব্ল্যাক হার্ট-এর মতো বিশটি বেস্টসেলার উপন্যাস লেখার পর প্রয়াত রবার্ট লুডলামের বিখ্যাত বর্ণ সিরিজ পুণরায় শুরু করেন তিনি। এই নতুন বর্ন সিরিজের প্রথম বই বর্ন লিগ্যাসি পাঠকমহলে দারুণ ভাবে সমাদৃত হলে পর পর আরো পাঁচটি বর্ন সিরিজ লিখে ফেলেন। সাম্প্রতিক সময়ে বর্ন লিগ্যাসি নিয়ে হলিউড চলচ্চিত্র নিমার্ণ করলে ব্যাপকভাবে দর্শক নন্দিত হয়।